Tuesday, November 3, 2009

কোমল পানীয়তে বিপত্তি

0 comments


কোমল পানীয় হিসেবে প্রসিদ্ধ কোকা-কোলার জন্ম হয় ১৮৮৬ সালে আর একই ধাঁচের পানীয় পেপসির জন্ম ১৯০৩ সালে। এরপর থেকে আজ পর্যনত্দ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতি আর স্থান ভেদে মানুষ এই কোল্ডড্রিংস বা কোমল পানীয় পান করে আসছে। গরমে হাঁপিয়ে উঠে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত ঠিক তখন এক বোতল কোল্ডড্রিংসে যেনো পৃথিবীর সব সুখ বোতলের বুদবুদে ঠাঁই নেয়। শুধু তেষ্টা মেটাতে নয়, বন্ধুদের প্রান চঞ্চল আড্ডায় কোল্ডড্রিংস যেনো না হলেই নয়। আপাত সুস্বাদু এই কোমল পানীয় আমাদের স্বাস্থের জন্য কতটা কোমল তা কিন্তু আমরা কখনইখতিয়ে দেখি না। এবারের কড়চার মুল প্রতিবেদনে থাকছে কোল্ডড্রিংসেরই ব্যবচ্ছেদ, লিখেছেন এমএইচ মিশু


কোল্ডড্রিংসের মূল উপাদান যদিও পানি কিন্তু একে সুস্বাদু আর দৃষ্টিনন্দন করতে মেশানো হয় নানান ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। কোল্ডড্রিংসের বিপত্তি বলতে খুব সাধারন এক সমিৰায় দেখা গেছে যারা প্রতি মাসে অনত্দত একবার কোল্ডড্রিংস পান করে থাকেন তারাও টাইপ টু ডায়াবেটিকস এর ঝুঁকিতে ভোগেন। এ থেকেই অনুমান করা যায় কোল্ডড্রিংসের ৰতির কথা। এর কারণ হলো কোল্ডড্রিংসের চিনি আর অতিরিক্ত ক্যালরি। আর তাই কোল্ডড্রিংসের কারণে খুব দ্রম্নতই ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়ার সাথে সাথে শুরম্ন হয় নানান ধরনের ওজন জনিত সমস্যা। শরীরটাকে কমিয়ে আনতে যারা প্রতিদিন সকাল-বিকাল নানান কসরৎ করে থাকেন তারা হয়তো নিজের অজানত্দেই প্রতি নিয়ত বোতলে বোতলে এই কোমল পানীয় পান করে চর্বি জমাচ্ছেন। অপর পৰে কোল্ডড্রিংস কিন্তু শুধুই ক্যালোরি বৃদ্ধি করে কিন্তু পেট ভরায় না। ফলে আরো খেতে ইচ্ছে করে।
অনেক সময়ই আমরা ফাস্টফুডের সাথে কোল্ডড্রিংস পান করে থাকি। এতে ঘটনাটা আরো খারাপ পর্যায়ে যায়। খাবারের সাথে কার্বনেটেড চিনি-পানি পেটে মারাত্মক এসিড ফর্ম করতে পারে। বিশেষ করে তৈলাক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া খাবারের সাথেই আমরা কোল্ডড্রিংস বেশী খাই। আর সেখান থেকেই ঘটে বিক্রিয়া। খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল আর কোল্ডড্রিংসের ক্যালরি মিশে আমাদের শরীরে থরে থরে জমতে থাকে মেদ। চট করে এই মেদ ধরা পরে না বলে তরম্নন-তরম্ননীরা হয়তো এই পানিয়ের ৰতিটায় প্রভাবিত হন না। কিন্তু একটা সময় যখন শরীর ভারি হয়ে পড়বে তখন কোল্ডড্রিংস থেকে বিরত থাকলেও জমে যাওয়া চর্বি জন্ম দেবে অনেক রকম অসুস্থতার।
তরম্নন আর উদ্যোমী থাকতে প্রয়োজন শক্ত দৃঢ় হাড়। কিন্তু আপনার প্রিয় কোমল পানীয় এই হাড়ে ৰয় ধরাতে পারে। এর প্রধান কারণ কোমল পানীয়ের কার্বোনেটেড যেকোন পানীয়ে থাকে ফসফরিক অ্যাসিড যা হাড়ের স্বাস্থ্যের ৰতি করে। এই ফসফরিক এসিড এতোটাই খারাপ যে এর প্রভাবে হাড়ের স্বাভাবিক উন্নতিতে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম খেলেও তা আপনার শরীরে অকার্যকর হয়ে থাকবে।
কোল্ডড্রিংস থেকে বাঁচতে
খাবার পানীয় হিসেবে সবচেয়ে উপযোগী হলো পানি। তৃষ্ণা মেটাতে কেবলই বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিৎ। এর কোনো বিকল্পই নেই। চেষ্টা করম্নন এক বোতল পানি সবসময় সঙ্গে রাখতে। এতে পথে ঘাটে আপনাকে কোমল পানীয় দিয়ে তৃষ্টা মেটাতে হবে না। সারাদিন পানির পাশাপাশি চা, কফি, লাচ্ছি, দুধের সরবত, ফলের জুস খেতে পারেন। বাড়িতে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন আইস টি। এখন সুপার শপগুলোতে কিনতে পাওয়া যায় নানা রকম আইস টি। নিয়ম করে যদি আপনি কোমল পানিয় এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে অর্থ আর স্বাস্থ্য দুটোই রৰা হবে।

0 comments:

Post a Comment