Tuesday, January 26, 2010

হাত ও পায়ের যত্ন

0 comments
‘শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বকের কোষগুলো ঠিকমতো পানি পায় না, তাই রুক্ষ হয়ে ওঠে হাত-পা। এ সময় হাত ও পায়ের আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি।’ বললেন হলিফ্যামিলি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আফজালুল করিম। প্রতিদিন হাত-পা পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। হাতে লাগাতে পারেন হ্যান্ড ক্রিম। যাঁরা প্রতিদিন অতিরিক্ত পানির সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের জন্য বেশি জরুরি এটি। রাহিমা সুলতানা মনে করেন, তাঁদের অবশ্যই একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে রান্নাঘরে কাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, একটা তোয়ালে যেন পাশে থাকে। কাজ শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে হাতটা মুছে ফেলুন।
হাত ও পা কখনই ভেজা রাখা যাবে না। মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার
বাজারে পাওয়া ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি আপনি ঘরে বসেও বানিয়ে নিতে পারেন আপনার হ্যান্ড ও ফুট ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার।
 হাতের জন্য তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল সমপরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তিলের তেলের পরিবর্তে জলপাইয়ের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
 পায়ের জন্য মধু, গ্লিসারিন, লেবুর রস ও ঘৃতকুমারীর রস একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
 সয়াবিন গুঁড়া হাত ও পায়ের জন্য খুবই ভালো। বাজার থেকে সয়াবিন কিনে কড়াইয়ে তেল দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ নেড়ে গুঁড়া করে সেটা দিয়ে হাত ও পা ধুতে পারেন। এটা পরিষ্কারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের ভূমিকা রাখে।
 সপ্তাহে একদিন মাস্ক লাগানো যেতে পারে। মুলতানি মাটি, সয়াবিন গুঁড়া, কাঁচা হলুদ ও জলপাইয়ের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হাত ও পায়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
হাত ও পায়ের বিভিন্ন সমস্যায়
শীত মানেই হাতের চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, পা ফাটে, কাল দাগ বিভিন্ন সমস্যা। কিন্তু চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আপনি নিজে নিজেই এর সমাধান করতে পারেন।
 যাঁদের হাতের চামড়া অত্যধিক রুক্ষ হয়ে যায়, তাঁরা ক্ষারযুক্ত সাবান বর্জন করুন। সে ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। অথবা বেসন দিয়ে ধুতে পারেন।
 যাঁদের হাত ও পায়ের হাড়ের সন্ধিস্থানে কালো দাগ পড়ে, তাঁরা সাবান বর্জন করুন। কাল দাগযুক্ত স্থানে লেবুর রস ও মধু লাগান। এতে খুব ভালো কাজ হয়।
 অনেকের চামড়া ফাটে। তাঁদের জন্য রাহিমা সুলতানার পরামর্শ হচ্ছে—তিলের তেল ব্যবহার। তিলের তেল এ ক্ষেত্রে ওষুধের মতো কাজ করে।
 শীতে অনেকের নখ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সে ক্ষেত্রে লেবুর খোসা খুব কার্যকর। মুড়ি বা চানাচুরের সঙ্গে লেবুর খোসা মিশিয়ে ১৫ দিন নিয়মিত খেলে নখ ভাঙা বন্ধ হয়ে যায়।
 অতিরিক্ত শুষ্ক হাত-পায়ে কাঠবাদামের মাস্ক লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
 যাঁদের পা ফাটে, তাঁদের উদ্দেশে আফজালুল করিম বলেন, ‘খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন নোংরা কম হয়। খোলা জুতা না পরে শীতে ঢাকা জুতা বা কেডস পরলে পা ফাটা অর্ধেক কমে যায়।’ তবে যাঁদের পা ফাটার প্রবণতা খুব বেশি, তাঁরা অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
হাত ও পায়ের ব্যায়াম
ত্বকের সজীবতার জন্য শরীরের রক্তসঞ্চালন খুব বড় ভূমিকা রাখে। তাই হাত ও পায়ের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন রাহিমা সুলতানা। হাত মুঠ করা, মুঠ ছাড়া, বসে বসে পা সামনে পেছনে টেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাত ও পায়ে ভ্যাসলিন লাগিয়ে ম্যাসাজ করাও ভালো। এতেও রক্তসঞ্চালন বেড়ে ত্বক সজীব হয়ে ওঠে।
শীতকালে প্রচুর তাজা ফলমূল পাওয়া যায়, সেটা থেকে আপনি কেন বঞ্চিত হবেন? পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। আর কর্মব্যস্ত সময়ের ফাঁকে মাসে অন্তত একবার কোনো ভালো পার্লার থেকে মেনিকিউর ও পেডিকিউর করার সময়টা বের করে নিন।

শীতে ঠোঁটের যত্ন

0 comments
 ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচতে এবং ঠোঁট সুরক্ষিত রাখতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন ও ভ্যাসলিন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাবেন।
 শীতকালে ঠোঁটে জমে থাকা মরা কোষ পাতলা চামড়ার স্তর পড়ে। ভেজা অবস্থায় বা গোসলের সময় তা পাতলা কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলবেন। এতে ঠোঁটের গোলাপি আভা ফুটে উঠবে।
 সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দুধের সর ও মধু মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঠোঁটে রেখে ধুয়ে ফেলবেন। এতে শীতের রুক্ষতা থেকে আপনার ঠোঁট সুরক্ষিত থাকবে।
 লেবু খাওয়ার পর খোসায় লবণ লাগিয়ে ঠোঁটে ঘষলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে।
মনে রাখুন
সব সময় ভালো ব্র্যান্ডের গ্লস ও লিপস্টিক ব্যবহার করবেন এবং একটি লিপস্টিক এক বছরের বেশি সময় ব্যবহার করবেন না। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না, এতে ঠোঁটে রুক্ষভাব হয়। অনেকের ঠোঁটে বেশিক্ষণ লিপস্টিক থাকে না। এ ক্ষেত্রে রূপবিশেষজ্ঞ নাহিন বলেন, মুখে লাগানোর ফাউন্ডেশন ঠোঁটে লাগিয়ে লিপলাইনার দিয়ে এঁকে নেবেন। তারপর একটি স্তর লিপস্টিক লাগিয়ে টিস্যু পেপার দিয়ে চেপে এর ওপর পাউডার দিন। পরে টিস্যু দিয়ে চেপে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। এতে দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিক থাকবে। অবশ্যই লিপস্টিক ব্রাশ দিয়ে দেবেন তাহলে ঠোঁটে ভালোভাবে মিশবে।

Monday, January 25, 2010

এ্যাভাটার

0 comments
ছবির কাহিনীর প্রতিটা অঙ্গে অঙ্গে জড়িয়ে আছে রূপকথা। এ্যাভাটারে প্রয়োগ করা হয়েছে কম্পিউটার বিজ্ঞানের এনিমেশন বিভাগের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।

মুভিটিতে সাইন্স ফিকশনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এক ভিন্ন মাত্রায়। মানুষও যে এলিয়ন হতে পারে তা দেখানো হয়েছে এই মুভিটিতে।

তৎকালীন বৃটিশরা যেভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল, সেখানকার অধিবাসীদের উপর অত্যাচার করেছিল, সেভাবেই এবার প্যান্ডোরায় উপনিবেশ করতে যায় মানুষ। প্যান্ডোরা হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৪.৩ আলোকবর্ষ দূরে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তি নক্ষত্র আলফা সেন্টুরাইয়ের কক্ষপথে অবস্থান করা পলিফেমাস গ্রহের জঙ্গলে পরিপূর্ণ তিনটা উপগ্রহের একটা। প্যান্ডোরাতে এমন একটা মৌল আছে যা পৃথিবীতে এনে বিক্রি করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। আর সে লালসার কারনেই মানুষ সেখানে যায় অত্যাধুনিক সামরিক বহর নিয়ে যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ তীর ধনুক হাতে স্থানীয় না'ভি জাতি।
যে মৌলের লোভে মানুষ সেখানে গিয়েছিল সে মৌল ছিল না'ভিদের গ্রামের ঠিক নিচে। ফলে তাদের উচ্ছেদ করাটা জরুরী ছিল। আর উচ্ছেদ করতে গিয়ে মানুষ একটা সমাধান বের করে। মানুষ এবং না'ভি জাতির জিনের সমন্বয়ে এক ধরনের এ্যাভাটার তৈরি করে যা একেকজন মানুষ নিয়ন্ত্রন করে। ইয়াহুতে যে এ্যাভাটার ব্যবহার হয় তার এর ধারনাটা একই যেখানে পিছন থেকে একজন মানুষ নিয়ন্ত্রন করে। ধীরে ধীরে যখন একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয় তখন মারা যায় একজন বিজ্ঞানী যারা এ্যাভাটার তৈরি হচ্ছিল প্যান্ডোরাতে। মূলত জেনিটিক কোডিং এ মিল থাকার কারনে তার জায়গায় পাঠানো হয় তার পঙ্গু জমজ ভাই মেরিন অফিসারকে।
তার যখন এ্যাভাটার তৈরি হয় তখন তাকে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য নেওয়া হয় প্যান্ডোরাতে একপর্যায়ে সেখানে সে হারিয়ে যায়। শুরু হয় তার নতুন যুদ্ধ একসময় তার দেখা সেখানকার রাজকন্যার সাথে। রাজকন্যার সাহায্যেই সে না'ভিদের দলে স্থান পায়। গল্পটা এখানেই শুরু। জ্যাককে দিয়ে মানুষ জয় করতে চায় প্যান্ডোরা কিন্তু সেই জ্যাকই শুরু করে মানুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। শুরু হয় দুই অসম প্রতিপক্ষের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে কে জয়ী হবে।
মূলত এ্যাভাটার মুভিতে জেমস্ ক্যামেরুন মানবতাকে জয় করেছেন। কল্পবিজ্ঞান দিয়ে ভালোবাসা এবং সর্বশেষে মানবতা। এই মুভিতে প্রতিটি মূহুর্ত ছিল থ্রিল যেন এক মহাকাব্য। অসম্ভব ভালোলাগার একটি মুভি দেখলাম অনেকদিন পর। মুক্তি পাওয়ার গত ৩৮ দিনের মধ্যে মুভিটা ইউ.এস.এ তে আয়ের পরিমান ৫৫,২৭,৯৭,৪১৮ ডলার আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড আয়ের পরিমান ১,৬৬৭,৭৯৭,৪১৮ ডলার। এই কয়েকদিনেই এটা সর্বকালীন মুনাফা অর্জনকারী মুভি টাইটানিককে ছাড়িয়ে নতুনভাবে নাম লিখিয়েছে। তাতেই বুঝা যায় মুভিটার সাফল্য। জয় হউক মানবতার।

আহসান মঞ্জিল

1 comments
                                                       ০ মেহেদী হাসান বাধন ০

ঢাকা অতি প্রাচীন এবং সৌন্দর্যের নগরী। কিন্তু ঢাকা শহরের এই সৌন্দর্য ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। তারপরেও যে সৌন্দর্যগুলো ঢাকাকে আলোকিত করে রেখেছে এবং বাংলার জাতীয় ইতিহাসের সাথে বিশেভাবে জড়িত ঐতিহাসিক ভবন ও পুরাকৃতির অনুপম শৈল্পিক স্থাপত্য নির্দেশের মধ্যে আহসান মঞ্জিল অন্যতম।
নামকরণঃ জমিদার শেখ ইনায়েত উল্লাহ অস্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এখানে (বর্তমান আহসান মঞ্জিল) প্রমোদভবন নামে একটি রঙ্গমহল তৈরি করেন। ইনায়েত উল্লাহর মৃত্যুর পর তার পুত্র শেখ মতিউল্লাহ রঙ্গ মহলকে ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। ফরাসিরা এই প্রমোদ ভবনটি বর্তমান আহসান মঞ্জিল) তাদের বাণিজ্য কুঠির হিসেবে ব্যবহার করে। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের কাছ থেকে ভবনটি ক্রয় করেন এবং বসবাস শুরু করেন। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে নওয়াব আবদুল গণি পুরো ভবনটিকে পুনঃনির্মাণ করেন এবং তার পুত্র খাজা আহসান উল্লাহর নামানুসারে এই প্রমোদ ভবনটির নাম করেন আহসান মঞ্জিল।
যাদুঘরে রূপান্তর
পাক আমলের শেষ দিক থেকে আহসান মঞ্জিলকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে স্থাপনের জন্য প্রচেষ্টা চলছিলো এবং স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে ঢাকা জাদুঘর এবং পর্যটন করপোরেশনকে যৌথভাবে একটি পরিকল্পনা করার দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এমএইচ, খান এর নেতৃত্ব প্রকল্পটির অগ্রগতি হয় এবং ১৯৭৭ সালে ঢাকা জাদুঘঘর কর্তৃক ২,২৫,৫০,০০০ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরে পরিকল্পনা করা হয়। অবশেষে ১৯৯২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আহসান মঞ্জিলকে ঢাকা জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে উদ্বোধন করেন।

মঞ্জিলের বর্ণনা

শতাব্দীতে ঢাকায় নির্মিত অন্যান্য ইমারতের মধ্যে আহসান মঞ্জিল একটি উল্লেখযোগ্য ও অনবদ্য শৈল্পিক স্থাপত্য নিদর্শন। দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার দিকে প্রাকৃতিক দৃশ্যশোভিত প্রাসাদের মনোরম অঙ্গন বিস্তৃত। সমগ্র আহসান মঞ্জিল ২টি অংশে বিভক্ত। পূর্বপাশের গম্বুজযুক্ত অংশকে বলা হয় প্রাসাদ ভবন এবং পশ্চিমাংশের আবাসিক প্রকোষ্ঠাদি নিয়ে গঠিত ভবনকে বলা হয় অন্দর মহল। প্রাসাদ ভবনটি আবার ২টি সুষম অংশে বিভক্ত। মাঝখানে অষ্টকোণ গম্বুজটি উত্তোলিত।
গ্যালারি পরিচিত
আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে মোট গ্যালারির সংখ্যা ২৬টি। মূল ভবনের সংস্কার কাজ চলার কারণে দর্শনীয় বস্তুগুলোকে পাশের ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানসংকুলানের অভাবে এ ভবনে মোট ১১টি গ্যালারি করা হয়েছে।
গ্যালারি-১
প্রথম গ্যালারিতে আপনি দেখতে পাবেন আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস লেখা বোর্ড, আহসান মঞ্জিলের মডেল, আহসান মঞ্জিলের তৈল চিত্র, ফানুস, ঝাড়বাতি।
গ্যালারি-২
এই গ্যালারীতে আপনি দেখতে পাবেন নওয়াব সলিমুলহ্মাহ, লর্ড মিন্টো, লর্ড কার্জন, আগা খানের প্রতিকৃতি। শাহবাগ বাগানবাড়ির ছবি। নওয়াবদের ব্যবহৃত ল্যাম্প, কেরোসিন বাতি, অষ্টকোণ টেবিল, হুক্কার খোল, কোলকের ঢাকনা, ফুলদানী, পিকদান, খামদানি পানদানি, আফতারাব, সুরাই কোর্টা, গোলাব পাশ, আতরদানি ফলপাত্র, সাবানদানী, চিনিপাত্র, চা পাত্র, দুধদান জগ, কেটলি এবং নিখিল ভারত মুসলীম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দের ছবি।
গ্যালারি-৩
এই গ্যালাারতে দেখতে পাবেন চীনা মাটির ফুলদানি ও স্টান্ড ক্রিস্টাল চেয়ার, ক্রিস্টাল চেয়ার, অলংকৃত চেয়ার, হুক্কা, বিলিয়ার্ড বক্স, বিলিয়ার্ড বল, হাতির দাঁদের বিভিন্ন সামগ্রিক হাত পাখা, পিঠচুলকানি, কাঁচি, চাকু, চামচ ও অলংকৃত সামগ্রী।
গ্যালারি ৪
এই গ্যালারিতে আপনি দেখতে পাবেন নওয়াব আবদুল গণি, আহসান উল্লাহ, সমিলমুলহ্মাহ, খাজা নাজিমুদ্দিন, খাজা হাফিজুল্লাহ, নওয়াব হাবিবুল্লাহর প্রতিকৃতি। আরো দেখতে পাবেন- ডাইরী, জমি পত্তন দেয়ার দলিল, ডাইরী (উর্দ্দুতে লেখা) নওয়াবদের বংশের তালিকা।
গ্যালারি- ৫
এই গ্যালারীতে আছে নওয়াব সলিমুলহ্মার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। চিঠি, জুয়েলারী এলবাম, ফটো এলবাম, আলোকচিত্র, তরবারি, গুপ্তি বেয়নেট, লেটার স্টান্ড, সীল রাখার পাত্র। ডেক্স কেলেন্ডার স্টান্ড, নওয়াব সলিমুল্লার ব্যবহৃত টুপি। তারবারি, সলিমুল্লার প্রতিকৃতি।
গ্যালারি-৬
এই গ্যালারি পুরোটাই একটা অতিথি ক । চেয়ার, টেবিল, শোপিস, ওয়াল পেপার, সোফা, ডাইনিং টেবিল, আলনা, প্রতিকৃতি, চেয়ার ইত্যাদিতে ভরপুর এই ক ।
গ্যালারি- ৭
এই গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা, ব্যাজ, মেডেল, হোল্ডার, কোর্টপিন ও মেডেল, কোর্টপিন, রাবার স্প্যাম্প, কাঠ ও রাবার স্মারক ব্যাজ। এই গ্যালারিতে আরো আছে এ.কে. ফজলুল হক, হাকিব হাবিবুর রহমান, স্যার আশরাফ আলী, সৈয়দ শামসুল হুদা, স্যার আবদুর রহমান, স্যার যুবেন্দনাথ ব্যানার্জী, মাওলানা মোঃ আলী, সৈয়দ আমীর আলী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নওয়াব মোহসীনুল মুলফ, মাওলানা আকরাম খাঁ, স্যার সৈয়দ আহম্মদ খানের প্রতিকৃতি।
আরো আছে- অলংকৃত চেয়ার কাঠ, হুক্কা, নল, নইচা, কলকে।
গ্যালারি- ৮
এই গ্যালারিতে নওয়াব আবদুল গণির প্রিয় হাতি ফিরোজ জং এর মাথার কঙ্কাল গজদন্তসহ সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
গ্যালরি- ৯
এই গ্যালারির মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন, ফিল্টার ট্যাংকসহ পানির কল ঘরের দৃশ্য। পানির ট্যাপ, জগ, পানির গ্লাস, কেরোসিন বাতি, গার্ডবাতি, হারিকেন সার্চ বাতি, হারিকেন-চুল্লি, বাইগুন বাতির প্রসাদ, কেরোসিন চালিত পাখা, ব্যাটারি বৈদ্যুতিক মিটার, বৈদ্যুতিক কেটলি, ইশরাত মঞ্জিলের ছবি। কেরোসিন চুল্লি, বৈদ্যুতিক হিটার, টেবিল ল্যাম্প, মোমবাতি, ফানুস, লোহার চুল্লি, পানির ট্যাপ, অলংকৃত বালতি, মগ।
আরো দেখতে পাবেন বিভিন্ন তৈলচিত্র- নওয়াব আবদুল গণির অনুদানে ১৮৭৪ খ্রীঃ ঢাকার প্রথম পানীয় জলের কল উদ্বোধনের তৈলচিত্র। আরো আছে পানির ড্রাম।
গ্যালরী- ১০
এই গ্যালারীতে দেখতে স্টেট বেডরশুম। যার মধ্যে আছে খাট, ডেসিং টেবিল, ঘরি, বড় আয়না, কাঁচের ল্যাম্প, জামা-কাপড় রাখার স্ট্যান্ড।
গ্যালরি- ১১
এই গ্যালারি ভবনের নীচ তলায় একটির পাঠাগার আছে আপনি ইচ্ছে করলে আহসান মঞ্জিল সম্পর্কে এই পাঠাগারে গিয়ে জানতে পারবেন।
অবস্থানঃ ঢাকা শহরের দক্ষিণাংশের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই সুরম্য মঞ্জিল অবস্থিত।
যেভাবে যাবেনঃ আপনি দেশের যে প্রান্ত থেকেই আহসান মঞ্জিল দেখতে আসবেন আপনাকে প্রথম সদরঘাট (পুরান ঢাকাই যেতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে অথবা রিকশায় করে আপনি চলে যেতে পারবেন আহসান মঞ্জিল। আহসান মঞ্জিল জাদুঘর খোলা থাকে শীতকালে শনি-বুধবার ৯.৩০ থেকে ৪.৪০ পর্যন্ত।
শুক্রবার- বিকেল ৩.৩০ থেকে ৭.৩০ পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

আরো ছবি দেখতে চাইলে....এই লিংকে যান

কারাত

0 comments
একক কাতা, তিন কাতা আর কুমিতে। কারাতের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত নন, শব্দগুলো তাঁদের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতেই পারে। জাপানি ভাষায় কুমিতে মানে হলো যুদ্ধ, আর কাতা মানে ডেমনস্ট্রেশন বা প্রদর্শনী। কারাতে খেলায় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের ইভেন্ট হলো কুমিতে, আর কাতা হলো 'ছায়াযুদ্ধ'_অদৃশ্য প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াইয়ের প্রদর্শনী।

Wednesday, January 20, 2010

ইজরাইলকে যে কারণে ভেঙ্গে দেওয়া দরকার। বিজ্ঞানী জন হারটুঙ্গ-এর তত্ত্ব।

0 comments

নিউ ইয়র্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহকারী প্রভাষক। জার্নাল অভ নিউরোসার্জিকাল অ্যানেসথেসিওলজি পত্রিকার সহকারী সম্পাদক। গভীর মানবতাবাদী। আমাদের সময়ের একজন জ্ঞানী মানুষ। তিনি বিশ্বাস করেন অবিলম্বে ইজরাইলকে ভেঙ্গে দেওয়া দরকার। নইলে বিশ্বময় ঘোর অন্ধকার নামবে।

সম্প্রতি এক জন হারটুঙ্গ এর ভিডিও দেখলাম। সেখানে তিনি ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন ইহুদিদের যে টাকা দেওয়া হয়, সেটা বন্ধ করে এখন থেকে ইরাকিদের দেওয়া হোক। ইজরাইল প্রতিষ্ঠা ছিল ভুল। বাইবেল বিশ্বাসী মানুষরাই ইজরাইল টিকিয়ে রাখতে চায়। ফলে অত্র অঞ্চলের মানুষদের ওপর অন্যায় কম হয়নি। অথচ ওল্ড টেস্টামেন্ট বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। ওটা একটা গল্পের বই।
তিনি প্রশ্ন রেখেছেন-জার্মান নাৎসীদের জন্য কেন ফিলিস্তিনী জনগন দুভোর্গ পোহাবে? অবিলম্বে ইজরাইল ভেঙ্গে দিয়ে লক্ষ লক্ষ ইহুদিকে আমেরিকায় নিয়ে আসা হোক। ইজরাইল প্রতিষ্ঠা ছিল ঐতিহাসিকভাবে ভুল। আর হোমল্যান্ড সিকিউরিটির টাকা দেওয়া হোক ইরাকের যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষদের। এবং ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা হোক ...

লিখেছেন ইমন জুবায়ের

Tuesday, January 19, 2010

পতঙ্গভুক কালোগৃবা

0 comments
লিখেছেন : সোমা
নামটি আমার বলি - কালোগৃবা পতঙ্গভুক
ইংরেজিতে বলি -Black-naped Monarch
বৈজ্ঞানিক নাম - Hypothymis azurea
দেখতে আমি যেমন - আকারে প্রায় ১৬সে.মি লম্বা। সমস্ত দেহ নীল রংয়ের পালকে ঢাকা তবে বুকের নিচ থেকে শুরু করে লেজের অংশটুকু ধিরে ধিরে সাদা হয়েছে।নীল পা আর ঠোঁট। ঠোঁটের উপরে কালো গোঁফের মত পালক আছে আর চাঁদিও কিছু পালকও কালো রংয়ের।মেয়ে পাখির পালক কিছুটা ধুসর বাদামী হয়ে থাকে।চোখ কালো।
যেথায় আমার বাস-নিবাস - ভারতীয় উপমহাদেশের গভীর জঙ্গলে আমায় খুঁজে পাবে।গাছের সরু ডালে পেয়ালা সদৃশ বাসা বানিয়ে আমি সংসার পাতি।
আমার খাবার মেন্যু - কীট-পতঙ্গ ।
প্রজনন সময়-মে থেকে জুলাই। ডিম সংখ্যা- ২ থেকে ৩ টি।

External Link: http://allbirdhere.blogspot.com/2012/05/blog-post_47.html

Sunday, January 17, 2010

বগুড়ার দই: দেশেই শত কোটি টাকার বাজার

0 comments

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে দই তৈরি হয় না এমন জায়গা নেই। তবে স্বাদ আর মান বগুড়ার দইকে নিয়ে গেছে এক অনন্য অবস্থানে। এ জেলার প্রায় ১০০ দোকানে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার দই বেচাকেনা হয়। সে হিসেবে বছরে বিক্রি প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রবাসীদের আগ্রহের কারণে বগুড়ার দই পেঁৗছাচ্ছে কানাডা, ফিলিপাইন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ বহু দেশে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, দই রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। শুরু হয়েছিল বগুড়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর এলাকায়। ১৯৬০-এর দশকের দিকে গৌরগোপাল পালের সরার দই তৈরি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। বগুড়ার নবাব পরিবার ও সাতানি পরিবারের কাছে দই সরবরাহ করতেন এ কারণে সে সময় তাঁর দই 'নবাববাড়ির দই' নামে পরিচিতি পায়। এখন নবাববাড়ির পাশেই গৌরগোপালের ছেলে দিবাকর চন্দ্রপাল 'গৌরগোপাল দধি ভাণ্ডারে' বসে দই বিক্রি করছেন। স্বাধীনতার পর দই তৈরিতে শহরের গৌরগোপাল, মহরম আলী ও বাঘোপাড়ার রফাত আলীর নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ছোট ছোট মাটির পাত্রে (স্থানীয় ভাষায় হাড়া) ফেরি করেই দই বিক্রি হতো।
গৌরগোপাল ও মহরম আলীর পর বগুড়ার দইঘরের আহসানুল কবির দই তৈরি ও বাজারজাতকরণে নতুনত্ব আনেন। তিনি ছোট ছোট হাঁড়িতে দই বানানো শুরু করেন। প্যাকিং ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায়ও আনেন অভিনবত্ব। বগুড়ায় মনোরম ও সুসজ্জিত শোরুমে দই বিক্রির চল শুরু তার মাধ্যমেই। সেটা ১৯৯০-এর দশক শুরুর দিকের কথা। দইঘরের ম্যানেজার আবুল খায়ের জানান, প্রবাসীদের আগ্রহে মাঝেমধ্যে বিশেষভাবে প্যাক করে বিদেশেও পাঠানো হয় তাঁদের দই।
বর্তমানে বগুড়া শহরের চেলোপাড়ার কুরানু, নবাববাড়ির রুচিতা, কবি নজরুল ইসলাম সড়কের আকবরিয়া, বিআরটিসি মার্কেটের দইবাজার, মিষ্টিমহল, সাতমাথার চিনিপাতাসহ ২০/২৫টি দোকানে দই বিক্রি হয়। আবার শহরের বাইরে বাঘোপাড়ার রফাত, শেরপুরের রিপন দধিভাণ্ডার, সৌদিয়া, জলযোগ, বৈকালী ও শুভ দধিভাণ্ডার থেকে প্রতিদিন প্রচুর দই বিক্রি হয়। দই-মিষ্টির দোকান এশিয়ার ম্যানেজার দিপু আলী জানান, আগে কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা দই বিক্রি করেন পাত্রের মাপে। এশিয়ার স্পেশাল দইয়ের দাম সরাপ্রতি ১১০ টাকা। এছাড়া সাধারণ দই প্রতি পাত্র ৮০/৯০ টাকা ও সাদা দই ৮০ টাকা। এছাড়া বাজারে প্রতি হাঁড়ি দইয়ের মূল্য ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর সরার দই বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয় বগুড়ার দই।
বগুড়া দইঘরের মালিক আহসানুল কবির বলেন, তাঁরা বগুড়ার দইয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে কিছু লোক মান নিয়ে আপস করায় বগুড়ার দইয়ের সুনাম ধরে রাখা কঠিন হয়ে উঠেছে।

Saturday, January 16, 2010

টপ্পা গান

0 comments
লিখেছেন : কুলদা রায়
অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে পাঞ্জাব অঞ্চলের লোকগীতি টপ্পা গানের প্রচলন শুরু হয়। প্রধানত উটের গাড়ি চালকের মুখেই টপ্পা গান বেশি শোনা যেত। শোরী মিয়া (১৭৪২-১৭৯২) নামে একজন সঙ্গীতজ্ঞ টপ্পা গানগুলোকে সাঙ্গিতিক আদর্শে সাজিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা একটি গায়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে রামনিধি গুপ্ত বা নিধু বাবু (১৭৪১-১৮৩৯) বাংলা টপ্পা রচনা করেন। এখানেই ভারতীয় বা হিন্দুস্থানী রাগসঙ্গীতের ধারার সঙ্গে বাংলা রাগসঙ্গীত চর্চা যুক্ত হয়। পরবর্তীতে টপ্পাকার কালীমির্জা (১৭৫০-১৮২০), বাংলা ভাষায় ধ্রুপদ রীতির প্রবর্তক রামশংকর ভট্টাচার্য (১৭৬১-১৮৫৩) এবং বাংলা ভাষায় খেয়াল রচয়িতা রঘুনাথ রায় (১৭৫০-১৮৩৬) বাংলা গানকে আরও সমৃদ্ধ করে হিন্দুস্থানী রাগসঙ্গীতের ধারার সঙ্গে যুক্ত করেন।

আওয়ামীলীগ সরকার ৭১’র ঘাতকদের ক্ষমা করে দিলো ( ইতিহাস, রাজনীতি )

0 comments
লিখেছেন আবদুল হালিম
আমি আজ আপনাদের সামনে তিক্ত অথচ ধ্রুব সত্য কিছু কথা তুলে ধরতে চাই । আপনারা আমাকে খারাপ বলেন আর ভাল বলেন। ১৯৭৩ সালে ৩০ নভেম্বর সরকারি ঘোষণায় দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন সকল আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের ক্ষমা করে দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আসুন তার এই সিদ্ধান্তকে শহীদ পরিবারবর্গ কিভাবে নিয়েছিলেন , একটু খুঁজে দেখি।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বলেন; "গনহত্যা, বুদ্ধিজীবি হত্যায় যাদের ভূমিকা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয়েছিলো। স্বাধীনতার পরপরই তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমার জন্য তা হয়নি। তৎকালিন সরকারের সাধারণ ক্ষমা ছিলো একটি ভূল। সেদিন ক্ষমা ঘোষনা না করলে , ঘাতকরা নিজেদের সমাজে পূণর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পেতনা।"
সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কাওসারের স্ত্রী পান্না কাওসার বলেন; বর্তমানে রাজাকার আল-বদরের যে দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তা শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমার ফসল। ওই ক্ষমাছিল বিচার বুদ্ধিহীন।" পান্না আরো বলেন; " আওয়ামীলীগের প্রথম সারীর কোন নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে আপন জন হারায়নি ফলে স্বজনহারার ব্যাথা তাদের জানা ছিলনা।এজন্যই ঘাতকদের তারা সহজেই ক্ষমা করে দিয়েছিলো।"
"আমার ভাইয়ের রক্তরাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী" নামক গানের অমর সূরকার আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা মাহমুদ বলেন; "সাধারণ ক্ষমা কোন ভাবে উচিত হয়নি। সাধারণ ঘোষনা না করলে অন্ততঃ আমার স্বামীর লাশ কোথায় সেটা জানতে পারতাম।"
ইউনিট কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাকীর বৃদ্ধ পিতা আব্দুল বাকী বলেন; শহীদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে আওয়ামীলীগ সরকার ৭১'র ঘাতকদের ক্ষমা করে দিলো। এই ক্ষমা ছিলো তাদের অদ্ভূত খেয়ালীপনা। পৃথিবীতে এমন ঘটনার নজীর নেই। তিনি আরো বলেন; "এটা অত্যন্ত সাধারণ বিষয় যারা হত্যা করে তাদের বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু তা হয়নি। ই না হওয়াটা অমার্জনীয় অপরাধ ।"
(বিচিত্রাঃ স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা ৮৭- বিশেষ সংখ্যা, পৃষ্টাঃ২৮-৩৩)

বিজয়ে তৈরি করা মাইক্রোসফট অফিস ফাইল ইউনিকোডে রুপান্তর করুণ “নিকস কনভার্টার” দিয়ে

0 comments
লিখেছেন : মুকুল
অফিসে কলিগদের ইউনিকোড বাংলা সিস্টেমে আনতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। সবাই প্রাগৈতিহাসিক কালের বাতিল বিজয়ে লিখতে অভ্যস্ত। যদিও ইউনিজয় আসার কারণে লেআউট কোন সমস্যা না; কিন্তু সমস্যা হয় পুরোনো ডকুমেন্টস নিয়ে। বছরের পর বছর তৈরি করা হাজার হাজার ফাইল বিজয়ে লেখা। ইউনিকোড ব্যবহার করলে ফাইলগুলো প্রয়োজনে এডিটিং করা সম্ভব না। তাই পুরোপুরি ইউনিকোডে কাজ করার জন্য বিজয়ে তৈরি করা পুরোনো ফাইল সহজেই কনভার্ট করার প্রোগ্রাম খুবই জরুরী।
আনন্দের কথা হলো বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সেই কাজটি করেছে। ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নিকস কনভার্টার নামের বিজয় থেকে ইউনিকোড রুপান্তরক প্রোগ্রামটি ডাউনলোড করা যাবে। ব্যবহার খুবই সহজ। যে কোন অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ফাইলকে ফরম্যাটিং ঠিক রেখে বাংলা ইউনিকোডে রুপান্তরিত করে প্রোগ্রামটি। একক ফাইলকে কনভার্ট করা যায়। আবার ব্যাচ ফাইলকেও একসাথে কনভার্ট করা যায়।
খুবই কাজের এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিঙ্ক থেকে। ইনস্টলারটির সাইজ ১৪ মেগাবাইট।

উল্লেখ্য, নিকস কনভার্টারটি চালাতে .NET framework ইনস্টল করা থাকতে হবে। যাদের .NET framework ইনস্টল করা নেই, তারা .NET framework সহ নিকস কনভার্টার ইনস্টলারটি (৩৯ মেগাবাইট সাইজ) ডাউনলোড করতে পারেন। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করলে ব্যবহার নির্দেশিকা পাবেন। সাথে চমৎকার কয়েকটি ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ও পাবেন। শুধু ফন্ট ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিঙ্ক থেকে।

Tuesday, January 12, 2010

শীতে চুলের যত্ন - শান্তা তাওহিদা

0 comments
‘সৌন্দর্যের সার্বিক প্রকাশ ঘন কালো চুলের মসৃণতায়। চুলের এ মসৃণতা ধরে রাখতে শীতের শুরু থেকেই চাই বিশেষ পরিচর্যা। নয়তো শীতের রুক্ষ প্রকৃতি আমাদের চুলও করে তুলবে রুক্ষ।’ বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। শীতে চুলের নানা সমস্যা ও এর যত্ন-আত্তি নিয়ে শুনুন তাঁর কাছে।

চুলের পরিচ্ছন্নতায়
শীতকালে চুল নিয়মিত পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে রাহিমা সুলতানা ভেষজ উপাদান বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
 রাতে রিঠার খোসা টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেটা ভালোভাবে চটকে ছেঁকে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ঝরঝরে হয়ে উঠবে।
 মুলতানি মাটি ১০০ গ্রাম একটা পাত্রে নিয়ে দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিজেই তৈরি করতে পারেন ঘরোয়া শ্যাম্পু। পানিতে ফুলে ওঠা মুলতানি মাটি ভালোভাবে পেস্ট করে ব্যবহার করুন শ্যাম্পু হিসেবে।
 শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে বেসনও ব্যবহার করতে পারেন। বেসন পানিতে গুলে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মাথায় লাগান। ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
 শিকাকাই ২৫ গ্রাম আধাভাঙা করে এর সঙ্গে ২৫ গ্রাম আমলকী মিশিয়ে ৫০০ মিলি পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ছেঁকে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
 সরষের খৈল চুলের জন্য খুব ভালো শ্যাম্পু। খৈল রাতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
 শ্যাম্পুর পাশাপাশি কন্ডিশনার হিসেবেও ভেষজ উপাদান বেছে নিন। কন্ডিশনার হিসেবে চায়ের লিকার খুবই উপকারী। এ ছাড়া শ্যাম্পুর পর লেবুর পানি ও কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
তেল দিন নিয়মিত: শীতে মাথার তালু শুকনো হয়ে যায়। তাই চুলের পুষ্টি জোগাতে নিয়মিত মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজ করুন। তেল কুসুম গরম করে নিন। নারকেল বা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তারপর চুল ও মাথার ত্বকে লাগান ও ম্যাসাজ করুন আঙুলের ডগা দিয়ে ওপর থেকে নিচ ও নিচ থেকে ওপরে। তেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরদিন শ্যাম্পু করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
খুশকি দূর করুন সহজেই: হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আফজালুল করিম বলেন, খুশকি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কাজ করা হলে চুলের গোড়ায় ঘাম জমে অথবা ঠিকমতো শ্যাম্পু করা না হলে খুশকি হতে পারে। বাজারে যেসব অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু পাওয়া যায় তা সপ্তাহে এক থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু পাঁচ-দশ মিনিট মাথায় রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এসব শ্যাম্পুতে কাজ না হলে ছত্রাকরোধী মেডিকেডেট শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। অথবা চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাকরোধী ট্যাবলেটও খেতে পারেন।

চাই বাড়তি যত্ন
 মধু ও লেবুর রস প্রতিদিন চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া কমবে।
 চুলের ডগা যাঁদের ফাটে ও চুল ভেঙে যায়, তাঁরা এক ভাগ মধু ও দুই ভাগ লেবুর রসের সঙ্গে আমলকীর নির্যাস মিশিয়ে নিয়মিত চুলে লাগালে উপকার পাবেন।
 চুল বেশি পড়লে পেঁয়াজের রস মাথায় এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
 সবুজ ধনেপাতার রস নিয়মিত চুলের গোড়ায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।
 সপ্তাহে এক দিন চুলে মেহেদি লাগাতে পারেন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল রেশমি হয়।

মনে রাখুন
সন্দুর চুলের জন্য যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক খাদ্যতালিকা। শীতের শাসকবজি তো আছেই। পাশাপাশি পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। দুশ্চিন্তা ছেড়ে দিন আজ থেকেই। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাসটাও দিন ছেড়ে। চুলে হেয়ার স্প্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। গরম ড্রায়ার, আয়রন যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন। বাইরে বা রোদে বের হওয়ার আগে চুলটা বেঁধে নিন অথবা চুলে পেঁচিয়ে নিতে পারেন স্কার্ফও।

Thursday, January 7, 2010

Female Band of Iran Rozaneh to tour Europe

0 comments
Taken from Payvand's Iran News ...
The all-female band Rozaneh is to give Iranian traditional music concerts in Geneva, Switzerland on September 13 and 14, the Asia House cultural center of Spain announced on Monday.

Parvin Javdan, Zohreh Bayat, Bita Qasemi, Golnaz Khazeii, Bahareh Mir Moqtadaii, and Nastaran Kimiaii are the members of the group
The band will be doing a musical tour of Europe sponsored by ILLA, an association which introduces the culture and promotes the artists of Iran in Europe. ILLA is named after a hero in Ferdowsi's epic Shahnameh.
The band performed Iranian traditional music in Barcelona, Paris, and Brussels a few years ago.
Iranian traditional music concerts have been received warmly in Europe in recent years.
Rozaneh
The six women of the Iranian Ensemble Rozaneh interpret mystical poets. The two singers were trained in � Avaz �, the classical vocal r�pertoire, by the great Master Sharam Nazeri. Interviewed at length, they do not speak on the condition of women artists in their country. But they proclaim their admiration for the Sufi poet Rumi. "He is my master, my physician and my source of inspiration. He teaches me about life, death, love, pain and joy", says Zohreh. Thus the luminous freedom of their sweet voices, wide, full, slightly trembling, sing "O God, bestow upon me a heart as vast as the sea".
13-14 September 2005 at 20:00H
Salle Centrale de la Madeleine
10 rue de la Madeleine
1204 Gen�ve
Vocalists:
Parvin Javdan
Zohreh Bayat
Instrumentalists:
Bita Ghassemi(kamancheh)
Golnaz Khazei (daf)
Bahareh Mirmoghtadei (tonbak)
Nastaran Kimiavi (tar)


Biographies:
Parvin Javdan (Vocals)
Parvin was born in Tehran. At the age of 15 she went to study in the U.K., where she graduated in philosophy at London University. In 1980 she returned to Iran and started learning Avaz with Master Shahram Nazeri. Some years later, she took up setar with Master Jalal Zolfonun. After forming Rozaneh Group together with Zohreh Bayat in 2000, she has been giving concerts in different parts of Europe, releasing and recording CDs. She also teaches Avaz.
Zohreh Bayat (Vocals)
Zohreh was born in Tehran and studied Avaz with Master Shahram Nazeri. She has a degree in Persian Literature. After forming the Rozaneh Group together with Parvin Javdan in 2000 she has given concerts in different parts of Europe, releasing and recording CD's. She has been teaching Avaz for many years.
Since the formation of the Rozaneh Group in 2000, Parvin Javdan and Zohreh Bayat have released a CD and given various concerts in different European cities. They have recently finished the recording of a soon-to-be-released CD.
Bita Ghassemi (Kamancheh)
Bita was born in 1977 in Tehran and started learning to play kamancheh with Master Ali Akbar Shekarchi. She graduated in music at the University of Tehran. She has played in many groups and has accompanied well known musicians and vocalists such as Hengameh Akhavan , Tolui and Behruzi Nia. Since 2001 she has played in all the concerts and recordings of the Rozaneh Group.
Nastaran Kimiavi (Tar)
Nastaran was born in 1981 in Tehran. She started learning to play the Tar at the age of 10 and later went to the Tehran Music lnstitute (Honarestane Musughi) where she completed the intermediate level with masters such as Hemmati and Zarif. Later she went to university to complete her studies in music. At this stage she learned tar with Master Talai, Master Pirniakan and Master Alizadeh. She graduated in 2003. Apart from giving tar recitals and playing in the Rozaneh Group she has been teaching Orff to children since 2001.
Bahareh Mirmoghtadei (Tonbak)
Bahareh was born in 1981 in Tehran. She started learning tonbak at the age of 4 with Master Morteza Aayan and later with Master Esmaili. She was among the best students of Ustad Esmaili and has accompanied some of the best musicians of Iran such as Ustad Musavi and Ustad Shahnaz. Apart from tonbak, Bahareh plays the piano and tar. She graduated in music at Tehran University.
Golnaz Khazei (Daf)
Golnaz was born in Tehran in 1983. She started her musical training in santur at the age of 10. Some years later she took up daf with Master Mehrdad Karim Khavari. She has done research on the different styles of daf playing among the Kurds of Iran and Iraq. When she was 18 she was chosen as the second best santur and daf player of Iran in a national music festival. She has participated in many concerts inside and outside of Iran. At the moment she teaches daf and santur at the same time as studying music at university.
Video of Rozaneh and further information is available at ILLA's web site.

ন্যুড ফটোগ্রাফি ও ফটোগ্রাফার

0 comments
লিখেছেন : সুদীপ্ত সালাম
নৃবিজ্ঞান বলে, মানুষ প্রাকৃতির নিয়ম অনুযায়ী নিরাভরণ ছিল। এক সময় মানুষ বৃষ্টি-বাদল, রৌদ্র ও শীত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে শরীর ঢাকা শুরু করে। তখন অন্তত লজ্জা বা শরমের তাগিদে মানুষ দেহ ঢাকতো না। মূল কথা, প্রাকৃতিক ভাবেই মানুষ নিরাভরণ।
ন্যুড আর ইরোটিক শব্দ দুটির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ন্যুড শব্দের অর্থ নিরাভরণ বা নগ্ন, ইরোটিক শব্দের অর্থ কামদ, এটি যৌনতার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষের কামদ প্রবৃত্তিকে আন্দোলিত করা ন্যুড ফটোগ্রাফি আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল না। ন্যুড ফটোগ্রাফি মানব দেহকে শিল্পখণ্ড বলে মনে করে। সেই শিল্পখণ্ডকে শৈল্পিক ভাবে তুলে ধরতেই ন্যুড ফটোগ্রাফির জন্ম। এক সময় আর্টের বিষয় হিসাবে মানবদেহকে ব্যবহার করতো চিত্রকলা, এখন করে আলোকচিত্রকলা। যৌনতাকে বাহবা দিতে কিংবা প্রসার বাড়াতে ন্যুড ফটোগ্রাফি কাজ করে না। যৌনতা বা কামকে প্রাধান্য দিলে সেটা আর আর্টের পর্যায়ে থাকে না, সেটা হয়ে যায় স্বতঃস্ফূর্ততাহীন ও উদ্দেশ্যমূলক বস্তু। ন্যুড আর্ট বলতে চায়, নগ্নতা মানেই অশ্লীলতা না। এটা একটি বিতর্কিত বিষয়। আমরা বিতর্কে লিপ্ত না হয়ে ন্যুড ফটোগ্রাফির ইতিহাসের কিছু অংশে আলোকপাত করব।
ন্যুড ফটোগ্রাফি যতই বিতর্কিত হোক না কেন, এর প্রারম্ভটা কিন্তু নিঃসন্দেহে দুঃসাহসিক ছিল। ১৮৩৫ সালের আগে ন্যুড আর্ট বিভাগটি ছিল চিত্রকলার অংশ। ড্যাগুয়্যারটাইপ ক্যামেরা আবিষ্কারের পরই ন্যুড ফটোগ্রাফির যাত্রা শুরু হয়। গোড়ার দিকেই ন্যুড ফটোগ্রাফি সমাজের ওপর তলার শিল্প-সমঝদার শ্রেণীর কাছে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। সেটা ১৮৩৮ সালের কথা।
ফরাসি ফটোগ্রাফার ফিলিক্স জাক্স মালান ১৮৪৯ সালে ফ্রান্সেই ছবির দোকান খোলেন। তিনি ন্যুড ফটোগ্রাফ তুলে তা বিক্রি করতেন। ন্যুড ফটোগ্রাফির তিনি প্রধান পথপ্রদর্শক। মালানকে ন্যুড ফটোগ্রাফির জন্য জেলও খাটতে হয়েছে। তার বিখ্যাত ন্যুড ফটোগ্রাফগুলো তার L'Algérie photographiée নামে প্রকাশিত হয়। এই বিখ্যাত ফটোগ্রাফারের জীবনকাল ১৮০২-১৮৭৫ সাল।
ন্যুড ফটোগ্রাফির স্বর্ণযুগের সূত্রপত বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে। এই শতাব্দীর অন্যতম পুরোধা এডওয়ার্ড ওয়েস্টন । জীবনকাল : ১৮৮৬-১৯৫৮ সাল। ফটোগ্রাফিতে ক্যারিয়ার গড়তে ১৯০৬ সাল থেকে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন। তিনি ন্যুড ফটোগ্রাফিকে বিশেষ এক মাত্রা দেন। তিনি ন্যুড ফটোগ্রাফিতে নতুন ও অভিনব পদ্ধতি সংযোজন করেন। তিনি ১৯৩২ সালে গঠিত বিখ্যাত এফ/৬৪ ফটোগ্রাফি গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
ন্যুড ফটোগ্রাফি আন্দোলনে নারী ফটোগ্রাফারদের অবদান কম নয়। প্রধান ভূমিকা পালন করেন রুথ বার্নহার্ড । জন্ম ১৯০৫ সালে। তিনি যখন ফটোগ্রাফিতে আসেন তখন তার বয়স ২৪। ১৯২৭-এ ক্যারিয়ার গড়তে চলে আসেন নিউ ইয়র্কে। তাকে ন্যুড ফটোগ্রাফির মহান শিল্পী বলে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি ন্যুড ফটোগ্রাফিতে মনোযোগী হন ১৯২০ সালে থেকে। তার তোলা বিখ্যাত ন্যুডগুলো The Eternal Body: A Collection of Fifty Nudes গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। তার মৃত্যু হয় ২০০৬ সালে।

শিল্পী ই. জে. ব্যালক বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পতিতাদের নিরাভরণ ছবি তুলে বিখ্যাত হয়ে আছেন। তার ছবিগুলোতে পতিতাদের জীবন ও বিষন্নতা ফুটে ওঠে। ব্যালককে বিংশ শতাব্দীর প্রথম ন্যুড ফটোগ্রাফার হিসেবে অনেকে মনে করেন। জীবনকাল : ১৮৭৩-১৯৪৯ সাল।

জুলিয়ান ম্যান্ডেলও তার বিবস্ত্র নারীর ছবিগুলোর জন্য ১৯২০ ও ১৯৩০-এর দিকে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তিনি আউটডোর ন্যুড ফটোগ্রাফির পক্ষে ছিলেন। ম্যান্ডেল এতোটাই বিখ্যাত ছিলেন যে, তার নামে আমেরিকার Johns Hopkins University একটি স্কলারশিপের নামকরণ করে। এই ফটোগ্রাফারের জন্ম ১৮৭২ সালে, মৃত্যু ১৯৩৫-এ।
অ্যারান্ডেল হোম্স নিকোল্স বিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশকের আরেক প্রধান ন্যুড ফটোগ্রাফার। তার শিল্পকর্মগুলোকে আমেরিকার বিশ্বখ্যাত কিনসি ইন্স্টিটিউটের আর্কাইভে স্থান দেয়া হয়। তিনিও ম্যান্ডেলের দেখানো পথ অনুসরণ করে ন্যুড ফটোগ্রাফিকে স্টুডিওর বাইরে নিয়ে আসতে সচেষ্ট ছিলেন। এছাড়া অন্যান্য বিখ্যাত ন্যুড ফটোগ্রাফারদের মধ্যে Louis-Am d e Mante (1826 - 1913), Gaudenzio Marconi (1841-1885), Wilhelm von Gloeden (1856-1931), Paul Nada (1856 - 1939), Stanislaus Julian Walery (1860- 1955), Emile Reutlinger (1863-?), Ernst Heinrich Landrock (1878-1966), Rudolf Franz Lehnert (1878-1948), Vincenzo Galdi (1880-1910), Imogen Cunningham (1883-1976), Walter Bird (1903-1969), Zoltán Glass (1903-1982), John Everard (1906-1999), Horace Roye (1906-2002), Helmut Newton (1920), Harrison Marks (1926-1997), Bettina Rheims (1952) -এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

Wednesday, January 6, 2010

How download from rapidshare, hotfile , megaupload, uploading,storage as premium account

0 comments
ডাউনলোড করুন প্রিমিয়াম একাউন্ট এর মত যে কোন ফাইল হোস্টিঙ সাইট থেকে যেমন rapidshare, hotfile , megaupload, uploading,storage.

I have tested it and it is fully 100% working
আপনাকে শুধু সাইট টি অপেন করতে হবে এবঙ ডাউনলোড লিঙক টি পেষ্ট করতে হবে
অতপর নতুন লিঙক পাবেন যা থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন

For rapidshare premium:-
http://www.hlusoe.info/rapidshare

For hotfile premium
http://www.hlusoe.info/hotfile

For megaupload premium
http://www.hlusoe.info/megaupload

For storage.to premium
http://www.hlusoe.info/storageto

For uploading.com premium
http://www.hlusoe.info/uploading

WHEN LOGGED IN BELOW CLICK DOWNLOAD
ENTER YOUR LINK
YOU WILL GET A NEW LINK
COPY AND PASTE IT IN YOUR BROWSER AND DOWNLOAD THE FILE WITH HIGHEST SPEED OF 1 MBpersec

ANOTHER TECHNIQUE TO DOWNLOAD AS PREMIUM USER FROM ANY FILE HOSTING SITE
JUST OPEN THE LINK
http://public.rapidpremium.net/
USERNAME:- public
PASSWOED:- public
ভাল লাগলে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
লিখেছেন : জুয়েল-ফুজি