Saturday, January 16, 2010

আওয়ামীলীগ সরকার ৭১’র ঘাতকদের ক্ষমা করে দিলো ( ইতিহাস, রাজনীতি )

0 comments
লিখেছেন আবদুল হালিম
আমি আজ আপনাদের সামনে তিক্ত অথচ ধ্রুব সত্য কিছু কথা তুলে ধরতে চাই । আপনারা আমাকে খারাপ বলেন আর ভাল বলেন। ১৯৭৩ সালে ৩০ নভেম্বর সরকারি ঘোষণায় দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন সকল আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের ক্ষমা করে দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আসুন তার এই সিদ্ধান্তকে শহীদ পরিবারবর্গ কিভাবে নিয়েছিলেন , একটু খুঁজে দেখি।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বলেন; "গনহত্যা, বুদ্ধিজীবি হত্যায় যাদের ভূমিকা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয়েছিলো। স্বাধীনতার পরপরই তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমার জন্য তা হয়নি। তৎকালিন সরকারের সাধারণ ক্ষমা ছিলো একটি ভূল। সেদিন ক্ষমা ঘোষনা না করলে , ঘাতকরা নিজেদের সমাজে পূণর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পেতনা।"
সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কাওসারের স্ত্রী পান্না কাওসার বলেন; বর্তমানে রাজাকার আল-বদরের যে দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তা শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমার ফসল। ওই ক্ষমাছিল বিচার বুদ্ধিহীন।" পান্না আরো বলেন; " আওয়ামীলীগের প্রথম সারীর কোন নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে আপন জন হারায়নি ফলে স্বজনহারার ব্যাথা তাদের জানা ছিলনা।এজন্যই ঘাতকদের তারা সহজেই ক্ষমা করে দিয়েছিলো।"
"আমার ভাইয়ের রক্তরাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী" নামক গানের অমর সূরকার আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা মাহমুদ বলেন; "সাধারণ ক্ষমা কোন ভাবে উচিত হয়নি। সাধারণ ঘোষনা না করলে অন্ততঃ আমার স্বামীর লাশ কোথায় সেটা জানতে পারতাম।"
ইউনিট কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাকীর বৃদ্ধ পিতা আব্দুল বাকী বলেন; শহীদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে আওয়ামীলীগ সরকার ৭১'র ঘাতকদের ক্ষমা করে দিলো। এই ক্ষমা ছিলো তাদের অদ্ভূত খেয়ালীপনা। পৃথিবীতে এমন ঘটনার নজীর নেই। তিনি আরো বলেন; "এটা অত্যন্ত সাধারণ বিষয় যারা হত্যা করে তাদের বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু তা হয়নি। ই না হওয়াটা অমার্জনীয় অপরাধ ।"
(বিচিত্রাঃ স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা ৮৭- বিশেষ সংখ্যা, পৃষ্টাঃ২৮-৩৩)

0 comments:

Post a Comment