Monday, January 25, 2010

এ্যাভাটার

0 comments
ছবির কাহিনীর প্রতিটা অঙ্গে অঙ্গে জড়িয়ে আছে রূপকথা। এ্যাভাটারে প্রয়োগ করা হয়েছে কম্পিউটার বিজ্ঞানের এনিমেশন বিভাগের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।

মুভিটিতে সাইন্স ফিকশনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এক ভিন্ন মাত্রায়। মানুষও যে এলিয়ন হতে পারে তা দেখানো হয়েছে এই মুভিটিতে।

তৎকালীন বৃটিশরা যেভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল, সেখানকার অধিবাসীদের উপর অত্যাচার করেছিল, সেভাবেই এবার প্যান্ডোরায় উপনিবেশ করতে যায় মানুষ। প্যান্ডোরা হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৪.৩ আলোকবর্ষ দূরে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তি নক্ষত্র আলফা সেন্টুরাইয়ের কক্ষপথে অবস্থান করা পলিফেমাস গ্রহের জঙ্গলে পরিপূর্ণ তিনটা উপগ্রহের একটা। প্যান্ডোরাতে এমন একটা মৌল আছে যা পৃথিবীতে এনে বিক্রি করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। আর সে লালসার কারনেই মানুষ সেখানে যায় অত্যাধুনিক সামরিক বহর নিয়ে যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ তীর ধনুক হাতে স্থানীয় না'ভি জাতি।
যে মৌলের লোভে মানুষ সেখানে গিয়েছিল সে মৌল ছিল না'ভিদের গ্রামের ঠিক নিচে। ফলে তাদের উচ্ছেদ করাটা জরুরী ছিল। আর উচ্ছেদ করতে গিয়ে মানুষ একটা সমাধান বের করে। মানুষ এবং না'ভি জাতির জিনের সমন্বয়ে এক ধরনের এ্যাভাটার তৈরি করে যা একেকজন মানুষ নিয়ন্ত্রন করে। ইয়াহুতে যে এ্যাভাটার ব্যবহার হয় তার এর ধারনাটা একই যেখানে পিছন থেকে একজন মানুষ নিয়ন্ত্রন করে। ধীরে ধীরে যখন একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয় তখন মারা যায় একজন বিজ্ঞানী যারা এ্যাভাটার তৈরি হচ্ছিল প্যান্ডোরাতে। মূলত জেনিটিক কোডিং এ মিল থাকার কারনে তার জায়গায় পাঠানো হয় তার পঙ্গু জমজ ভাই মেরিন অফিসারকে।
তার যখন এ্যাভাটার তৈরি হয় তখন তাকে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য নেওয়া হয় প্যান্ডোরাতে একপর্যায়ে সেখানে সে হারিয়ে যায়। শুরু হয় তার নতুন যুদ্ধ একসময় তার দেখা সেখানকার রাজকন্যার সাথে। রাজকন্যার সাহায্যেই সে না'ভিদের দলে স্থান পায়। গল্পটা এখানেই শুরু। জ্যাককে দিয়ে মানুষ জয় করতে চায় প্যান্ডোরা কিন্তু সেই জ্যাকই শুরু করে মানুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। শুরু হয় দুই অসম প্রতিপক্ষের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে কে জয়ী হবে।
মূলত এ্যাভাটার মুভিতে জেমস্ ক্যামেরুন মানবতাকে জয় করেছেন। কল্পবিজ্ঞান দিয়ে ভালোবাসা এবং সর্বশেষে মানবতা। এই মুভিতে প্রতিটি মূহুর্ত ছিল থ্রিল যেন এক মহাকাব্য। অসম্ভব ভালোলাগার একটি মুভি দেখলাম অনেকদিন পর। মুক্তি পাওয়ার গত ৩৮ দিনের মধ্যে মুভিটা ইউ.এস.এ তে আয়ের পরিমান ৫৫,২৭,৯৭,৪১৮ ডলার আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড আয়ের পরিমান ১,৬৬৭,৭৯৭,৪১৮ ডলার। এই কয়েকদিনেই এটা সর্বকালীন মুনাফা অর্জনকারী মুভি টাইটানিককে ছাড়িয়ে নতুনভাবে নাম লিখিয়েছে। তাতেই বুঝা যায় মুভিটার সাফল্য। জয় হউক মানবতার।

0 comments:

Post a Comment