Tuesday, April 20, 2010

ম্যানেজার'এর দ্বায়িত্ব

0 comments
‘ম্যানেজার’ শব্দটি শুনলেই এক কথায় বুঝি তার কাজ হচ্ছে ম্যানেজ করা। ম্যানেজ করা শব্দটা বলা যতো সহজ বাস্তবে তা কার্যকর করা কিন্তু ততো সহজ নয়। একজন সফল ম্যানেজার যেমন তার কর্মীবাহিনীর কাছ থেকে কাজ আদায় করে প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের চরম শিখরে উঠিয়ে দিতে পারেন তেমনি একজন নিষ্কর্মা ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানের লাল বাতিও জ্বালিয়ে দিতে পারেন সহজেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ম্যানেজারের গুরুত্ব কতোখানি।

একটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা যদি মানব দেহের সাথে তুলনা করি তাহলে তার মাথা বলতে পারি ঐ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে। একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজনের সুপ্ত প্রতিভার সন্ধান পাওয়া ও সেই প্রতিভার সঠিক ব্যবহার করা। আপনারা যারা ইতোমধ্যে ম্যানেজার হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বা ভবিষ্যতে হতে চান তাদেরকে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এগুলো হলো।।

অনুপ্রেরণা দেয়া ঃ ধরুন, আপনি জানেন আপনার সহকর্মী ঐ কাজটা পারবে কিন্তু সে কাজটা করার জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। এখন ম্যানেজার হিসেবে আপনার কাজ তাকে মটিভেটেড করা বা তার মধ্যে সে যে কাজটা করতে পারবে সেই বিশ্বাসটা তৈরি করে দেয়া।

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর ঃ সহকর্মী ও অধিনস্ত উভয়ের বিশ্বাস অর্জন করার মধ্যে একজন ম্যানেজারের সফলতা অনেকাংশেই নির্ভর করে। প্রতিষ্ঠানের উন্নতি আর সহকর্মীদের কল্যাণ সাধন যদি আপনার লক্ষ্য হয়ে থাকে তবে

বিশ্বস্ত ম্যানেজার উপাধিটি পেতে বেশি একটা সময় লাগবে না।

একের ভিতর তিন (অবজার্ভার, তত্ত্বাবধায়ক, পরামর্শদাতা) ঃ আপনি আপনার সহকর্মীদের কাছ থেকে কি ধরনের কাজ চান তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন। কাজটা ঠিক মতো করা হচ্ছে কিনা তা অবজার্ভ করুন। ভুল হলে কিভাবে সংশোধন করতে হবে তা জানিয়ে দিন।

কর্তৃত্ববান নয় কর্তৃত্ব প্রদান করুন ঃ ম্যানেজার হিসেবে আপনার অন্যতম কাজ হচ্ছে অন্যদের দিয়ে কাজ করানো। অন্যদের দিয়ে কাজ আদায়ের মূল সূত্র হচ্ছে তাকে কাজটার ওপর কর্তৃত্ব দিতে হবে। তাই অন্যের ওপর কর্তৃত্ব ফলানোর পাশাপাশি প্রয়োজনমতো কর্তৃত্ব প্রদান করার ক্ষমতাও একজন সফল ম্যানেজারের থাকতে হবে।

0 comments:

Post a Comment