Friday, May 14, 2010

ছাই থেকে ইট

0 comments
ঈশিকা নাজনীন: ছাই উড়িয়ে অমূল্য রত্ন পাননি ঠিকই, তবে ওই মূল্যহীন পদার্থটি দিয়েই বানিয়ে ফেলেছেন পরিবেশবান্ধব ইট। তিনি হলেন পাশের দেশ ভারতের গোপালাকৃষ্ণান। ভারতের ন্যাচারাল এডুকেশনাল এনভায়রনমেন্ট এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনইইএডিএস) এর প্রেসিডেন্ট। ভারতজুড়ে বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে। একটি বিশেষ আবিষ্কার হিসেবে ৪৭ বছর বয়স্ক গোপালের ছাই ইটও স্থান পেয়েছে এতে।
গোপালের ইট তৈরির আইডিয়া এসেছিল কাঞ্চিপুরামে। সেখানকার একটি আম বাগানের মাটিতে অবাধে ফেলা হচ্ছিল ধানের তুষের ছাই বা রাইস হাস্ক অ্যাশ (আরএইচএ)। দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন গোপাল। স্থানীয় কৃষকদের জিজ্ঞেস করতেই আরো একবার হতভম্ব হলেন। কৃষকরা মনে করছে, এই ছাইতেই নাকি মাটির উর্বরতা বাড়ে। অথচ সত্য ঘটনা হলো, এর কারণেই মাটির জীবনীশক্তি দিনকে দিন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাই পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে এ বিশাল পরিমাণ ছাইয়ের একটা গতি করতেই ভাবতে বসলেন গোপাল।
মাটির পিএইচ মাত্রা (৬.৫-৭.৫) আর ওই ছাইয়ের পিএইচ মাত্রা (৮ শতাংশ) মাথায় রেখে দেখা গেল ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে এর ব্যবহার সবদিক থেকেই বেশ লাভজনক। তৈরির প্রক্রিয়াটাও বেশ সহজÑ ছাই এর সঙ্গে বালি, ধুলা ও কিছু সিমেন্ট মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এনইইএডিএস গত দুবছরে এমন ৩০ হাজার ইট তৈরি করেছে।
প্রতি ইটে খরচ পড়ছে মাত্র ৩.৫০ রুপি, যা প্রায় সাধারণ ইটের সমানই। তবে আসল লাভ হলো মাটির ইট তৈরিতে যে কাঠের ব্যবহার হয়, তারও প্রয়োজন নেই এখানে। ইট তৈরির পুুরো কারখানাটি দাঁড় করাতে খরচ পড়বে মাত্র ১ লাখ রুপি। সম্প্রতি এ আবিষ্কারের জন্য ‘রুরাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর গোপালের ইচ্ছেÑ আসছে বছরগুলোতে আরো ছড়িয়ে পড়-ক এই পরিবেশবান্ধব ইটের ব্যবহার ও উৎপাদন।

0 comments:

Post a Comment