Sunday, June 20, 2010

নিমতলী মার্কেট

0 comments
ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত নিমতলী সিটি করপোরেশন মার্কেট ৮০টি দোকান নিয়ে ১৯৭৯ সালে নির্মিত হয়। এখানে বেশির ভাগই পোলট্রি সামগ্রীর দোকানসহ ট্রান্সপোর্টের ছোট ছোট দোকান রয়েছে। এই মার্কেট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চরে পোলট্রি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এই পোলট্রি সামগ্রীর মধ্যে ভ্যাকসিনও এই মার্কেট থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ-এর লোডশেডিংসহ ডেসার লাইন কাটার কারণে লাখ লাখ টাকার ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। তাই, তারা কোনো উপায় না দেখে অন্য জায়গায় ভ্যাকসিন রেখে লস দিয়ে বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে কথা হয় ফুলবাড়িয়া পোল্ট্রি সামগ্রী বিক্রেতা মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, এ্যাগ্রোভেটা ভ্যাকসিন এখান থেকে পুরো দেশে সরবরাহ করা হয়। অথচ বিদ্যুৎতের কারণে লাখ লাখ টাকার ভ্যাকসিন নষ্ট হচ্ছে। এতে দেশ, জনগণ এবং ব্যবসার দারুন ক্ষতি হচ্ছে। মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন বিদ্যুৎ ডেসা থেকে ক্রয় করে বেশি দামে আমাদের নিমতলী মার্কেটে সরবরাহ করে। অথচ আমরা বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করা সত্ত্বেও সিটি করপোরেশন ডেসার বিল নিয়মিত পরিশোধ না করার কারণে ডেসা ডিসিসি’র লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কারণ ডিসিসি ডেসাকে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার কারণে আমরা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ডেসা সময়-অসময় এসে মার্কেটের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা ডেসাকে কিছুই বলতে পারি না। কারণ ডেসার কথা হলো বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে ডিসিসিকে আর ডিসিসি বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। ব্যবসায়ীরা বলেন, পোলট্রি সামগ্রীর মধ্যে ভ্যাকসিনগুলো ফ্রিজে রাখা হয়। এদিকে বিদ্যুৎ নিয়মিত না থাকার কারণে দামি দামি ভ্যাকসিনগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া মার্কেটের ওয়ারিং লাইন নষ্ট থাকায় মাঝে মাঝে শর্ট সার্কিট হয়ে মার্কেটে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে ডিসিসি’কে বহুবার অবগত করা সত্ত্বেও কোনো কর্ণপাত করেনি। নিমতলী মার্কেট সংলগ্ন আনন্দ বাজার বস্তিতে মাদকের রমরমা ব্যবসাও হয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এখানে খামারিরা মালামাল ক্রয় করতে এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে।

0 comments:

Post a Comment