Sunday, July 18, 2010

রাজধানী সুপার মার্কেট

0 comments
টিকাটুলিতে অবস্থিত রাজধানী সুপার মার্কেটটির সাপ্তাহিক ছুটি ছিল রোববার। গত কয়েক মাস ধরে সরকার ঘোষিত শুক্রবার পূর্ণ দিবস এবং শনিবার অর্ধ দিবস সাপ্তাহিক ছুটি চলাতে এই মার্কেটের ব্যবসা অনেকাংশে কমে এসেছে। শুক্র ও শনিবার মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসার ক্ষতি বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে কথা হয় রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সাথে। তারা জানান, পুরান ঢাকাবাসীর কাছে এই রাজধানী সুপার মার্কেট বিশেষ স্থান দখল করে আছে। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচক- এসব মার্কেটের পণ্যের মূল্যের তুলনায় সুলভ মূল্যে রাজধানী সুপার মার্কেটে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, স্বামীবাগ, দয়াগঞ্জ, কেএম দাস লেন, যাত্রাবাড়ি, টিকাটুলি ও ওয়ারি এলাকা থেকে ক্রেতাসাধারণ বেশি আসে। ব্যবসায়ীরা বলেন, বিশেষ করে চাকরিজীবীরা এই মার্কেটে শুক্রবার কেনাকাটার জন্য আসত। এখন মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে এই মার্কেটে ব্যবসার সাথে জড়িত সকল ব্যবসায়ীর ব্যবসার ক্ষতি বেড়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে মার্কেট পরিচালিত হচ্ছে এবং ১৯৯৫ সালে মার্কেটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট নিয়ে ১৭৮৩টি দোকান গড়ে উঠেছে। মার্কেট টিনশেড হিসেবে এখানে ৯টি ব্লকে বিভক্ত। এ ব্লকে কসমেটিক্স, তৈরি পোশাক এবং বাচ্চাদের খেলনার সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। বি ব্লকে মহিলা ও পুরুষদের তৈরি পোশাক, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী রয়েছে। সি ব্লকে মহিলাদের পণ্যসামগ্রী, ক্রোকারিজ, ঘড়ি এবং রেকসিন পাওয়া যাচ্ছে। ডি ব্লকে শাড়ি, থানকাপড় এবং বেডশিট রয়েছে। ই ব্লকে পুরোটাই ঘড়ি মার্কেট। এফ ব্লকে লুঙ্গি এবং জুতার সামগ্রী। জি ব্লকে বাটা শোরুম, জুতা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। তাছাড়া নিউ রাজধানীর নিচতলায় সম্পূর্ণ স্বর্ণের শো রুম রয়েছে। নিউ রাজধানীর দ্বিতীয় তলায় কারখানা, হোলসেল, মোবাইল সামগ্রীসহ ভ্যারাইটিজ আইটেম পাওয়া যায়। এই মার্কেটে পুরান ঢাকার লোক বেশি আসে। তাদের মধ্যে মধ্য ও নি¤œ-মধ্য শ্রেণীর লোক বেশি আসে। রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি রয়েছে। এই সমিতির বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি হাজী মো. আজমল হোসেন বাবুল এবং সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হক মঞ্চ (সাবেক কমিশনার)। বর্তমানে মার্কেটে কিছু সমস্যা তুলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ১৯৯৬ সালে যাত্রাবাড়ি-টিকাটুলি ওয়ান ওয়ে রোড হওয়ার পর থেকে মার্কেটের চারপাশে রাস্তা থাকায় গাড়িগুলো একদিকে চলাচল করার কারণে মার্কেটে ব্যবসার কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এখানে বেচা-বিক্রিরও ব্যাঘাত হয়ে থাকে। তাছাড়া বিদ্যুতের লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর বিদ্যুৎ থাকে না। এতে টিনশেড দোকান হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কেটের পাশে ফুটপাতে আইল্যান্ডের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে যাতায়াতকালে কোনো গাড়ি, ব্রেক ফেল হলে সরাসরি মার্কেটের ভিতর ঢুকে পড়ে। ব্যবসায়ীরা জানায়, গত ৩ মাস পূর্বে একটি মিনিবাস যাত্রাবাড়ি থেকে আসার পথে ব্রেক ফেল করে মার্কেটে ঢুকে পড়ে। এরই মধ্যে একটি পিকআপ ভ্যানও ব্রেক ফেল করে মার্কেটে ঢুকে পড়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন কোনো হতাহত হয়নি।

0 comments:

Post a Comment