Wednesday, August 18, 2010

রাজধানীর বর্জ্য পুনঃব্যবহারে বছরে বাঁচে ৩৫০০ কোটি টাকা

0 comments
রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য তৈরী হলেও ঢাকা সিটি করপোরেশন অপসারণ করতে পারে দুই হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। বাকি এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন বর্জ্যরে মধ্যে ৬০০ টন কখনোই সিটি করপোরেশন অপসারণ করতে পারে না। আর প্রতিদিন টোকাই থেকে শুরু করে বয়স্ক পৌনে দুই লাখ লোক ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকে। বর্জ্য থেকে বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী আলাদা করে পুনরায় ব্যবহারের জন্য কারখানায় নিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ করায় বছরে সাশ্রয় হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। জাপান সরকারের অনুদানে বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের জন্য পরিবেশবান্ধব ১০০টি বিভিন্ন ধরনের নতুন গাড়ি যুক্ত হয়েছে।

রাজধানীর অনেক জনদুর্ভোগের অন্যতম হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লা আবর্জনা কেন শুধু রাতে অপসারণ করা হয় না? এমন এক প্রশ্নে ডিসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা ইত্তেফাককে বলেন, রাতে সমুদয় বর্জ্য সরিয়ে নেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। রাজধানীতে প্রতিদিন ৪ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্যরে মধ্যে সিংহভাগ তৈরী হয় সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে। ফলে সব বর্জ্য রাতের বেলা অপসারণ করা সম্ভব নয়। তিনি স্বীকার করেন, রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত বর্জ্যরে সকল কন্টেইনার টানা হয়।

রাতদিন ৪০০ ট্রাক রাজধানীর ময়লা ও আবর্জনা বহন করছে। এরমধ্যে প্রতিটি ট্রাককে ৪ থেকে ৫ বার করে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে ডাম্পিং ডিপোতে যেতে হয়। জনবল কম বলে ওভারটাইম দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। আধুনিক শহরে প্রতি এক হাজার জনসংখ্যায় বর্জ্য অপসারণে কাজ করে দুইজন। রাজধানী ঢাকার লোকসংখ্যা এক কোটি হিসাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য ২০ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা। কিন্তু ডিসিসি’র এই বিভাগে পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংখ্যা হচ্ছে প্রায় সাত হাজার। কম সংখ্যক জনবল দিয়েই বছরের পর বছর ধরে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে।

ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বলেন, রাজধানীর বর্জ্য অপসারণে টোকাই থেকে শুরু করে বয়স্করা প্রতিদিন অবদান রাখছে। তারা কাগজ, প্লাস্টিক, টিন, চামড়া, কাঁচ, রাবার, পানি ও কোল্ড ড্রিংকসের খালি বোতল, ঢাকনাসহ বলপেন, কাপড়ের ছোট ছোট টুকরো ও অসংখ্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসব জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা হয়। তারা সংগ্রহ করা জিনিস কারখানাগুলোতে পৌঁছে দেয়। ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া এসব জিনিস কারখানাগুলোতে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে বাজারে ছাড়া হয়।

অপরদিকে ডিসিসি প্রতিদিন ৬০০ মেট্রিক টন করে বর্জ্য অপসারণ করতে পারছে না। এইসব বর্জ্য অসংখ্য অলিগলির ডোবা, নালা, ড্রেন ও জলাশয়ে ফেলে দেয়া হয়। বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য ডাস্টবিনে ফেলার পরিবর্তে লোকজন ঐসব স্থানে ফেলে দেয়ায় তা আর কখনোই অপসারণ করা যায় না।
০০ সাকির আহমদ

0 comments:

Post a Comment