Tuesday, August 17, 2010

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা

0 comments
আধুনিক বিশ্বে জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠিই হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। একবেলা বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের কী দশা হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি বছর বিগত এক মাস যাবত দেশে মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে যে সর্বময় বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তা থেকে আমরা বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তার কিছুটা টের পাই। সরকারী-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, কল-কারখানা, বসতবাড়ি ইত্যাদি সব জায়গায় মারাত্মক স্থবিরতা দেখা দেয়। তখন সব মানুষের মনে জাগে একটাই প্রশ্ন, কীভাবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? এব্যাপারে নানাজন না মত প্রকাশ করেছেনে। তবে অধিকাংশের মত হচ্ছে দেশে পারমানবিক শক্তি প্রকল্প স্থাপন ও বাস্তবায়নই একমাত্র পন্থা। পারমানবিক শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রথম আমরা ধারণা পাই পাকিস্তান-আমলে।

পারমাণবিক শক্তি পরমাণুর তেজস্ক্রিয়তা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের একটি প্রক্রিয়া। যখন কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন ইউরেনিয়াম-২৩৫ (ইউরেনিয়ামের একটি আইসোটোপ) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করা হয় তখন তেজস্ক্রিয় পদার্থে পারমাণবিক শৃংখল বিক্রিয়া (nuclear chain reaction) শুরু হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে পারমাণবিক বিযোজন (Nuclear fission)। শৃংখল বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর তাপ নির্গত হয়, যা পানিকে ফুটিয়ে বাস্প উৎপন্ন করে। উদ্ভুত বাস্প বাস্পীয় টারবাইন চালাতে সাহায্য করে।

তখন পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর, চর রূপপুর ও দিয়াড় বাঘইল এ ৩টি মৌজায় প্রকল্পটি অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি প্রকল্প। দেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রার্থিত প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের অন্যতম প্রধান শর্ত বলে বিবেচিত। বিদ্যুৎ খাতের চাহিদা ব্যবস্থাপনায় পারমানবিক প্রযুক্তি একটি সুবিধাজনক প্রকল্প। এ প্রযুক্তির প্রেক্ষিতে ৬০ এর দশকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার রূপপুরকে এ প্রকল্পের স্থান হিসেবে নেয়া হয়েছিল।
১৯৬৩ সালে ঈশ্বরদী থানার রূপপুর এলাকায় ২৫৯.৯৩ একর জমি এ প্রকল্পের জন্য হুকুম দখল করা হয়। ০৪/০২/১৯৬৭ খ্রিঃ তারিখে জেলা প্রশাসক, পাবনা কর্তৃক উল্লেখিত জমি তদানীন্তন ‘পাকিস্তান এটোমিক এনার্জি কমিশন’ (বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন) এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। ১৯৬৩'র ১ এপ্রিল প্রখ্যাত পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিঞা পাকিস্তান এটোমিক এনার্জি কমিশনে যোগদান করেন (কার্যকাল ১৯৬৩-১৯৭৫, ১৯৮২-১৯৯৯)। ১৯৬৪ সালে প্রকল্প স্থাপনের সুবিধার্থে আবাসিক বাসভবন তৈরীর জন্য ৩১.৫৮ একর জমি হুকুম দখল করা হয় এবং উক্ত সালেই পাকিস্তান এটোমিক এনার্জি কমিশন এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন টাইপের (গ্রেড-৩ =৪০টি, গ্রেড-৪ =১২টি এবং গ্রেড- ৫=২০টি) মোট ৭২টি আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়েছিল।

পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের প্রখ্যাত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি মাজহারুল ইসলাম এই আবাসিক প্রকল্পের নকসা প্রনয়ণের কাজ করেন যা অনেকটা জাতীয় সংসদ ভবন সংস্লিষ্ট আবাসিক ঘরবাড়িগুলোর মত। কেননা, সংসদ ভবনের ওই ভবনগুলোর নকসাও তিনিই করেছিলেন এবং তার আহবানেই বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুইস আই কাহন পাকিস্তানে আসেন এবং মূল ভবনের নকসা তৈরি করেন। 

যাহোক, রূপপুরে এসব ভবনের কাজ আনুমানিক ৬০% সম্পন্ন হওয়ার পর স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বেই নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অদ্যাবধি অর্ধনির্মিত এসব ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত/ব্যবহারের অনুপযোগী। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় কিছু ভৌত অবকাঠামো, ৭৫০ কেভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন (বর্তমানে অকেজো), ২০ অশ্ব শক্তিসম্পন্ন একটি পানির ট্যাংকসহ পাম্প হাউস, ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি পাকা মেট্রোলোজিক্যাল বিল্ডিং, ১টি সেমি পাকা অতিথি ভবন এবং ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি অস্থায়ী কার্যালয় রয়েছে।

পরে পাকিস্তান সরকার ‘৭১ সালের যুদ্ধের আগেই প্রকল্পটি পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে স্থানান্তর করে আর সেই সাথে এটি মূলতঃ পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-১৫ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং রূপপুর প্রকল্প পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিদেশী উদ্যোক্তা প্রকল্পটি পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে আর সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। কারিগরি যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রকল্পের কাজ অদ্যাবধি শুরু হয়নি। তবে অর্থ সংস্থানই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচ্য। প্রকল্প এলাকার অব্যবহৃত ২৫৯ একর জমি ১৯৭৮ সাল হতে ভূমিহীন চাষীদের চাষাবাদের জন্য বছরভিত্তিক লীজ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ১জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আছেন। এ প্রকল্পের আওতায় কোনো কার্যক্রম না থাকলেও এসব কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন বাবদ ফি-বছর অন্ততঃ ৫০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকে।

এই এলাকাটির বিপুল পরিমাণ জমি ও সম্পদ অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে উত্তরাঞ্চলসহ সমগ্র দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে জানা যায়। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ‘৭৭ সালে তৎকালীন রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঈশ্বরদী সাড়া মাড়োযারী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আযোজিত জনসভায় “রূপপুর আনবিক শক্তি প্রকল্প” চালু করার ঘোষণা দেন। তৎকালীন রাস্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদও ক্ষমতায় থাকাকালে একই রকম আশার বাণী শোনান। ‘৯৪ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাস্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস ঈশ্বরদী সফরের সময় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। গত ১৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে কোরিয়ান অ্যামব্যাসেডর এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান যৌথভাবে প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন। ২৫ মার্চ ২০০৯ তারিখে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইয়াসেফ ওসমানের নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল এই একটিমাত্র বিষয় নিয়ে গত বছর রাশিয়া সফর করেন। পাঁচ দিনের ওই সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলটি রাশিয়ার বিভিন্ন পারমানবিক স্থাপনা পরিদর্শন ও দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে একধিক বৈঠকে মিলিত হয় । এরই ফলশ্রুতিতে ২১ অক্টোবর, ২০০৯-এ বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে পারমানবিক স্থাপনা সংক্রান্ত্র খসড়া চুক্তি সাক্ষরিত হয় । রাশিয়া সরকারের পক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রসএটম) পরিচালক মিখাইল এন লিসেঙ্কো। এই চুক্তির পর রাশিয়ান প্রতিনিধি দলও বাংলাদেশ সফর করে যায়। এক্ষেত্রে রাশিয়া শুধু কারিগরী সহযোগিতাই নয়, তারা প্রয়োজন হলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিতেও রাজি বলে জানা যায়।

পরে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, ফ্যান্স, যুক্তরাজ্য, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশই এব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

সর্বশেষ ৩০ মার্চ ২০১০ তারিখে বর্তমান সরকারের জ্বালানীমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান রূপপুর আনবিক শক্তি প্রকল্পটি পরিদর্শন করে যতশীঘ্র সম্ভব এটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগা ওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুত বিতরণ নিশ্চিত করা । আর তা করতে হলে আনবিক জ্বালানীর ব্যাবহারই সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা অনেক বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন।

সেই ১৯৬২ সাল থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের আমলে দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে এনিয়ে রেডিও-টিভি এবং সংবাদপত্রে শ শ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তান বা বাংলাদেশ আমলের এমন কোনো পত্রপত্রিকা নেই যা ঘাঁটলে রূপপুর আনবিক প্রকল্পের দু’চারটে রিপোর্ট পাওয়া যাবে না।

বর্তমানে সারা বিশ্বে মোট চুল্লীর সংখ্যা ৪৪১ এবং উৎপাদিত শক্তি ৩৬৯,১২২ মেগাওয়াট। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১০৩টি চুল্লি থেকে ৯৮,১৪৫ মেগাওয়াট, ফ্রান্স ৫৯টি চুল্লি থেকে ৬৩,৩৬৩ মেগাওয়াট, জাপান ৫৫টি চুল্লি থেকে ৪৭,৫৯৩ মেগাওয়াট, রাশিয়া ৩১টি চুল্লি থেকে ২১,৭৪৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এছাড়া ভারতের ১৫টি চুল্লি থেকে ৩,০৪০ মেগাওয়াট ও পাকিস্তান ২টি চুল্লি ৪২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। 

পারমানবিক বিদ্যুৎশক্তির ব্যবহারকারি অন্যন্য দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইউক্রেন, ভারত, সুইডেন, চীন, স্পেন, বেলজিয়াম, তাইওয়ান, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান, লিথুয়ানিয়া, স্লোভেনিয়া, রোমানিয়া, নেদারল্যান্ড, আর্মেনিয়া। আরও ৫/৬টি দেশ অদূর ভবিষ্যতে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার এই শক্তির ব্যবহার নিয়ে আভ্যন্তরীণ মতভেদের কারণে ইতালি তাদের সকল বা আংশিক চুল্লি বন্ধ করে দিতে চাইছে। অস্ট্রেলিয়া শুধুমাত্র গবেষণার জন্য চুল্লি বসালেও সেখান থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না।

সম্ভাব্য খরচ:
বর্তমানে পারমানবিক শক্তি ক্দ্রে প্রতিষ্ঠার খরচ আকাশচুম্বী হলেও অসম্ভব বলে আর কিছু নেই। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে খরচের কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হলেও ফার্স্ট ও সেকেন্ড জেনারেশন-টাইপ পাওয়ার প্লান্টের তুলনায় থার্ড জেনারেশন পাওয়ার প্লান্টগুলো তুলনামুলক বিচারে খরচ বেশ কম পড়ে বলেই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মত। তাঁরা বলেন, প্রথম রিএক্টর স্থাপনে আনুমানিক খচর $1500 per KW এবং পরবর্তী প্রতি রিএক্টরে $1000 per KW তৎসহ এস্টাবলিশমেন্ট খরচ আরও $2000 per KW. অর্থাৎ ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রিএক্টর বা চুল্লি স্থাপনে খরচ দাঁড়াবে ৩ বিলিয়ন ডলারের মত যা বাংলাদেশি টাকায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার সমান। আমেরিকার মত দেশে নানা কারণে এই খরচ এর থেকেও বেশি পড়ে। যমুনা সেতু তৈরিতে সর্বসাকূল্যে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আর প্রস্তাবিত পদ্মাসেতুর বাজেট দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। জন্মভূমির প্রতি সত্যিকার ভালবাসা থাকলে, বাংলাদেশের ১৫ কোটি লোকের প্রত্যেকের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা গেলে এই বিশাল অংকের খচরও জোগাড় করা অসম্ভব হবে না বলেই সকলের বিশ্বাস।

যাহোক, ইতালি বা অস্ট্রেলিয়ার মত অবকাঠামো বা অর্থনৈতিক সামর্থ্য আমাদের নাই বলেই সামগ্রিক উন্নয়নে আগে দরকার প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জনের মত বিদ্যুৎ বা এনার্জি ক্ষেত্রে স্বয়ম্ভরতা অর্জনই হবে সত্যিকার সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতির কমপক্ষে শতকরা ৫০% ভাগ কাজ এগিয়ে থাকা - এতে আর সন্দেহ কি?

সূত্র:
-বিবিসি নিউজ-লন্ডন
-ডয়চে’ ভেলে-জার্মানী
-Bangladesh Ministry of Science and Information & Communication Technology
-Energy Bangla
-www.live24.com.bd
-www.dcpabna.gov.bd
-www.dhakareport.com
-www.etechdemo.com
-www.ukbdnews.com
-www.discoverybangladesh.com
-www.wikipedia.org
-www.NuclearInfo.net


লিখেছেনঃএম. রহমান

0 comments:

Post a Comment