Saturday, October 30, 2010

টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিকথা

0 comments
বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে দেশ-বিদেশের খবর শোনা ও দেখা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির বদৌলতে। আর সেই টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমের নাম টেলিভিশন। এ প্রক্রিয়ায় দূর হতে শব্দ ও ছবি আনা যায়। ব্রডকাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে টেলিভিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ওয়েব প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে ইন্টারনেট থেকে টেলিভিশন সিস্টেম কার্যকর করা সহজ হয়েছে। একটি টেলিভিশন বিভিন্ন ব্রডকাস্টিং অথবা ভিডিও ফরমেট যেমন এইচডিটিভি ফরমেট গ্রহণ করে। কিন্তু কিভাবে এই টেলিভিশন আবিষ্কৃত হলো।

১৮৬২ সালে তারের মাধ্যমে প্রথম স্থির ছবি পাঠানো সম্ভব হয়। এ পদ্ধতির আবিষ্কার করেন অ্যাডোবি গিয়োভানা ক্যাসেলি। ১৮৭৩ সালে বিজ্ঞানী মে এবং স্মিথ ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মধ্যে ছবি পাঠানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ১৮৭৬ সালে জর্জ ক্যারে প্রথম পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন পদ্ধতির চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন। ১৮৮৪ সালে পল নিপকো তারের মাধ্যমে মেটাল ডিস্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৮ লাইন রেজুলেশনসহ ছবি পাঠাতে পেরেছিলেন। ১৯০০ সালে প্যারিসে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কনগ্রেস অব ইলেকট্রিসিটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কনস্ট্যান্ট পারস্কভি নামক রাশিয়ান কর্তৃক তৈরিকৃত বিশ্বের প্রথম টেলিভিশন পরিচিতি লাভ করে। ১৯০৬ সালে বরিস রোজিং প্রথম মেকানিক্যাল টেলিভিশন পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড প্রথম কার্যকর টেলিভিশন তৈরি করেন। তবে টেলিভিশন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হয় ১৯৪০ সালে। বেয়ার্ড ১৯৩৯ সালে ক্যাথোডরে টিউব ব্যবহার করে রঙিন টেলিভিশনের ব্যবহার দেখান। ১৯৪৪ সালে তিনি বিশ্বের প্রথম পূর্ণ ইলেকট্রনিক রঙিন টেলিভিশনের প্রদর্শন করতে সক্ষম হন। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ টেলিভিশনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

শামীম শিকদার

0 comments:

Post a Comment