Thursday, October 28, 2010

রসমালাই

0 comments
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের দই, মিষ্টি, রসমালাই এখনো স্বাদে-মানে অতুলনীয় এবং তার অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নবীনগরে সাহা পরিবারের কয়েকজন মিষ্টির দোকান খোলেন। তারা এ দোকানে দই, রসগোল্লা, চমচম, লালমোহন, রাজভোগ, রসমালাই ও সন্দেশ প্রভৃতি মিষ্টি বিক্রি করতেন। তাদের দেখাদেখি আরও অনেকেই এ পেশা-ব্যবসা বেছে নেন। বহুকাল আগে থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিভিন্ন উপজেলায় দুধ সস্তা। এখনো জুন-জুলাই মাসে খাঁটি গরুর দুধ ১৫-২০ টাকা কেজি দরে নেমে আসে প্রায়ই। আর ব্রিটিশ আমলে ১ বা ২ পয়সা সের দরে দুধ বিক্রি হতো। পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকেও নবীনগরে দুধের সের ছিল এক আনা। এরপর ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে। সস্তা দুধ পাওয়ায় এখানে নানা জাতের মিষ্টি তৈরি হতে থাকে, তবে সেকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনেও বেশি মিষ্টি বিক্রি হতো তাছাড়া বিবাহ বা সামাজিক অনুষ্ঠানেও দই, রসগোল্লা, মিষ্টির ব্যাপক প্রচলন ছিল। জানা যায়, রসগোল্লা, দই প্রথম তৈরি হয় কলকাতার বাগবাজারে। আর রসগোল্লা নামকরণ করেছিলেন কবি নবীন চন্দ্র সেন। কলকাতা থেকে ময়রাগণ রসগোল্লা তৈরির কৌশল শিখে এসে এদেশের বিভিন্ন স্থানে এসবের দোকান খুলে বসে। আর একেক স্থানে একেক ধরনের মিষ্টি প্রসিদ্ধ হয়। যেমন নাটোরের কাঁচাগোল্লা, কুমিল্লার রসমালাই প্রসিদ্ধ। তখন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দই, মিষ্টি জনপ্রিয়তা পায়। তবে গুণে-মানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের দই, মিষ্টি, রসমালাই অত্যন্ত ভালো। দামেও সস্তা। বর্তমানে কেজি ৮০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রবাসীরা নবীনগর থেকে এসব মিষ্টি বিদেশেও নিয়ে যান। এলাকার সুপরিচিত গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সাহা পরিবারসহ এমন অসংখ্য পরিবার তাদের পৈতৃক পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

0 comments:

Post a Comment