Saturday, October 30, 2010

হোয়াইট লজ

0 comments
পৃথিবীতে যতগুলো বিখ্যাত ভবন, দালান, বাড়ি কিংবা স্থান রয়েছে তার মধ্যে লন্ডনের হোয়াইট লজ বা শ্বেতকুঠির অন্যতম। ইংল্যান্ডবাসীর কাছে হোয়াইট লজ ভবনটি জর্জিয়ান হাউস বলেই সুপরিচিত। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ বরাবর রিসমন্ড পার্কের কোল ঘেঁষে লন্ডন শহরের ঠিক মাঝখানে ১৭২৭ সালে হোয়াইট লজ নির্মাণ করা হয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৭২৭ সালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় জর্জ হোয়াইট লজ ভবনটি নির্মাণ করেন। এই ভবনের মূল নকশাকার ছিলেন রোজার মরিচ। শুরুতে ভবনটির নাম ছিল স্টোন লজ, দ্বিতীয় জর্জ মারা যাওয়ার পর তার স্মৃতি রক্ষার্থে ভবনটির নামকরণ করা হয় জর্জ হাউস। কথিত আছে রানী ক্যারোলিন হোয়াইট লজের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে সেখানে বসবাস করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, নিজের ইচ্ছানুযায়ী ১৭৩৭ সালে হোয়াইট লজে বসবাস শুরু করেন। রানী ক্যারোলিনের মৃত্যুর পর রবার্ট ওয়াল পোল এবং ওয়াল পোলের পর তার ছেলে ফার্স্ট ব্যারন ওয়াল পোল হোয়াইট লজে বসবাস করেন। ১৭৫৭ সালে রানী ক্যারোলিনের কন্যা প্রিন্সেস অ্যামিলিয়া হোয়াইট লজের পাশে একটি পার্ক তৈরি করেন। তিনি নিজের পছন্দমতো প্রায় ২০০ রকমের ফুল ও ফলের গাছ পার্কে রোপণ করেন। অ্যামিলিয়া পার্কের নাম দেন রিসমন্ড পার্ক। প্রিন্সেস অ্যামিলিয়া ছিলেন অতি সুন্দরী রমণী। রমণী মাত্রই প্রকৃতিপ্রেমী, অ্যামিলিয়াও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি যখন হোয়াইট লজে বসবাস করতেন, তখন প্রতিদিনই পার্কের গাছ-গাছালির যত্ন নিতেন। ১৭৬০ সাল পর্যন্ত পার্কে সাধারণ লোকের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও ১৭৬২ সালে জনগণের জন্য তা মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৭৬১ থেকে ১৭৯২ সাল পর্যন্ত হোয়াইট লজ ও রিসমন্ড পার্ক ছিল প্রিন্সেস অ্যামিলিয়ার নিয়ন্ত্রণে। প্রিন্সেসের মৃত্যুর পর হোয়াইট লজের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হয়। ১৯৫২ সালের পর থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রিসমন্ড পার্ক ও হোয়াইট লজকে সংরক্ষিত স্থান বলে ঘোষণা করা হয়। হোয়াইট লজ স্থান হিসেবেও ইংল্যান্ডবাসীর কাছে কম জনপ্রিয় নয়। কেননা, এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড। যাই হোক সবকিছু বিবেচনাপূর্বক হোয়াইট লজ বর্তমানে ব্রিটেনবাসীর কাছে অতি প্রিয় ভবন ও স্থান হিসেবে গৃহীত।



রকমারি

0 comments:

Post a Comment