Tuesday, October 5, 2010

আইডিবি ভবন

42 comments
ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইডিবি ভবন সংলগ্ন ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি’ দেশের সর্ববৃহৎ ও অন্যতম কম্পিউটার মার্কেট।  ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াকফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) এর সহযোগিতায় গড়ে ওঠে।
এক নজরে কম্পিউটার সিটি
০০ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত
০০ আয়তন : ১ লাখ ১০ হাজার বর্গফুট
০০ স্থায়ী দোকান : ১৫৬টি
০০ উদ্বোধন করেন (১৯৯৯) সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়া

০০ কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা
০০ এক ছাদের নিচে আইটির সকল সাম্প্রতিক পণ্য ও সেবা
০০ অনুষ্ঠানেবর জন্য নিচ তলায় সুপরিসর মনোরম উন্মুক্ত স্থান
০০ মার্কেটের ভেতরে সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা বেষ্টিত পরিবেশ
০০ একটি অ্যাক্সেলেটর, ২টি লিফট
০০ ২টি সিড়ি
০০ খাবারের জন্য বড় আন্তর্জঅতিক মানের চেইন হোটেল
০০ পুরো মার্কেটে অভ্যন্তরীণ ইন্টারকম ব্যবস্থা
০০ ওয়াইম্যাক্স সেবা

প্রেক্ষাপট, পটভূমি ও মার্কেট হিসেবে প্রতিষ্ঠা
আশির দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ‘বিসিএস কম্পিউটার শো’ নামে নিয়মিতভাবে প্রতি বছর মেলার আয়োজন করে আসছে নব্বই দশকের প্রায় শুরু থেকে। সে সময় মেলার আয়োজন হতো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। প্রতিবছরই আগত দর্শকের সংখ্যা, ক্রেতা-বিক্রেতাও বাড়তে থাকে। তিল ধারণের জায়গা থাকত না। মেলা প্রবেশের দীর্ঘ লাইন সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। সব মিলিয়ে বেশ কয়েকবছর পর ১৯৯৮সালে বিসিএস মেলা আয়োজনের জন্য (ভেতরে ভেতরে আগে থেকেই খোঁজা হচ্ছিল) সুপরিসর জায়গা এবং সুষ্ঠুভাবে মেলা করা যায় এরকম জায়গা চাচ্ছিল। সেরকম একটি সময় কম্পিউটার বিচিত্রার প্রতিষ্ঠাতা বিএস ইনাম লেনিন, আইডিবি ভবনের এই মার্কেটকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির মেলা আয়োজনের জন্য উপযুক্ত মনে করে বিসিএস-এর নেতৃবৃন্দের কাছে প্রস্তাব করেন।

বিসিএস-এর তৎকালীন কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দরা ছিলেন সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম, সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হাসান জুয়েল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সবুর খান, কোষাধ্যক্ষ আতিক-ই-রাব্বানী, সদস্যদ্বয় মুজিবর রহমান স্বপন ও মোস্তফা শামসুল তারা জায়গাটি মেলার উপযুক্ত মনে করায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আয়োজনে ১৯৯৮ সালের কম্পিউটার মেলা আইডিবি আইডিবি ভবনের এই মার্কেটে অনুষ্ঠিত হয় এবং অভাবনীয় সাড়া ফেলে সারা দেশে। সে মেলায় বর্তমানের মতো সুসজ্জিত দোকান ছিল না। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই ভাড়ায় আসবাব কিনে/সাময়িক তৈরি করে মেলায় অংশ নেয়।



বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রসরমান করতে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরিতে বর্তমানের বিসিএস কম্পিউটার সিটির অবদান সিংহভাগ। ১৯৯৮ সালের মেলার মধ্যে দিয়ে তার সূচনা বলা যেতে পারে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) পুনরায় আইডিবি ভবনে ‘বিসিএস কম্পিউটার শো’ নামে মেলার আয়োজন করে। এ বছরই তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়া মেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি আইডিবি ভবনের এই মার্কেটকে ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি’ হিসাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১৯৯৮ সালের মেলার পর থেকেই দোকান বরাদ্দ নেয়া শুরু হয়। তবে স্কয়ার-ফিটের দামটা অনেক দর কষাকষি করে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিলেন আহমেদ হাসান জুয়েল। বিসিএসের তৎকালীন মহাসচিব তারপরও সহজেই কাজটা হয়নি। অনেকটা ডেকে ডেকে, একে-তাকে খবর দিয়ে, প্ররোচিত করে দোকান বরাদ্দ নিতে উৎসাহিত করা হতো।

তৎকালীন বিসিএস ইসি বিএম ইনাম লেনিন সহযোগিতা ছাড়াও মার্কেট প্রতিষ্ঠায় এএইচ কাফী, মুনিম হোসেন রানা ও ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালের দুটি কম্পিউটার মেলা স্মরণকালের অভাবনীয় সাফল্য লাভকারী কম্পিউটার মেলা হিসাবে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৯৯ সালের মেলার এবং ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরের বছরে ২০০০ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হাসান জুয়েল। আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মতিউর রহমান বকুল, আক্তারুজ্জামান, আমিনুল রসুল এবং এইচ সাফি।

এই কমিটি ২০০০ সালে ‘সিটিআইটি ফেয়ার’ নামে ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি’ মার্কেটে মেলার আয়েঅজন করে। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা মূলত মার্কেটের দোকানগুলোই। এর বাইরে মিডিয়াসহ কিছু স্টল থাকত। সেই আহ্বায়ক কমিটি থেকে পরবর্তীতে দুবছর মেয়াদী নির্বাচিত কমিটি হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মেলার আয়োজনের চেহারাও আগের মতো নেই। নির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দ মেলা আয়োজন ছাড়াও মার্কেটের অভ্যন্তরীণ দেখভাল করে থাকেন। আজকের এই কম্পিউটার সিটি দেশের প্রায় ৬০%-৭০% হার্ডওয়্যার ব্যবসা ধরে রেখেছে। এর হার প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে ৩০০/৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো আর এখন ৪০০/৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয় এখানে প্রতি বছর।




BCS Computer City

42 comments:

Post a Comment