Monday, October 18, 2010

সিসিলি দ্বীপ

0 comments
ইউরোপ মহাদেশের ছোট্ট দ্বীপ সিসিলি। ইতালি থেকে প্রায় ৫০০ মাইল দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটি স্থলভাগ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। আয়তন নেই বললেই চলে। লোকসংখ্যা প্রায় ২ হাজার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দ্বীপটিতে মানব বসতি গড়ে উঠে ১৭৬৮ সালে। সিসিলি দ্বীপের অধিবাসীরা কথা বলে ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষায়। লোকসংখ্যা স্বল্প হলেও শিক্ষিতের হার শতকরা ৯২ ভাগ। ইতালির অধীনে থাকা ইউরোপ মহাদেশের এ দ্বীপটি ভূমধ্যসাগরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে কসিক, পালমা নামক বিখ্যাত দ্বীপ। ইতালির রোম শহর থেকে ৪০০ কি. মি. দূরের এ দ্বীপটির অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ১৬০০ সালের পূর্বে এ দ্বীপটির কোনো অস্তিত্বই ছিল না। ১৬০৫ থেকে ১৬২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ভূমধ্যসাগরে এ দ্বীপটি জেগে ওঠে। ১৮৮১ সালে জুউস এক্সিকালচারের সদস্যরা এ দ্বীপটির নামকরণ করেন সিসিলি দ্বীপ। ১৮৮০ সালে এক্সিকালচার কলোনিটি তৈরি করেছিলেন এলিজাবেথ গার্ড নামক একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। ১৮৮২ সালে সিসিলি দ্বীপের সমভূমিতে প্রচুর বৃষ্টিপাতে এলিজাবেথের এক্সিকালচার কলোনি ধ্বংস হয়ে যায়। ১৮৮৩ সালের দিকে সিসিলি দ্বীপে লোকসংখ্যা ছিল মাত্র ১০০ জন। ১৯২০ সালের পরে ইতালি সরকার সিসিলি দ্বীপে বেশি পরিমাণে লোক পাঠাতে শুরু করে। যার ফলে ধীরে ধীরে এ দ্বীপের লোকসংখ্যা বাড়তে থাকে। অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত সিসিলি দ্বীপের চারপাশে পানি থই থই করে। সাগর-মহাসাগর বেষ্টিত এ দ্বীপটিতে বছরে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বার প্লাবন হয়। দৃষ্টিনন্দন এ দ্বীপটিতে রয়েছে নানা প্রকার গাছ-গাছালি ও বন্য প্রাণী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এ দ্বীপটির উচ্চতা বেশি না হলেও সমুদ্রের পানিতে এ দ্বীপটির অধিবাসীদের কোনো ক্ষতিই হয় না। মজার ব্যাপার হলো ইতালির যেসব মানুষ রোম শহরে বসবাস করে তাদের চেয়ে গড় আয়ু সিসিলি দ্বীপের অধিবাসীদের অপেক্ষাকৃত বেশি। অধিকাংশ সিসিলি অধিবাসী মাছ শিকার করে তাদের জীবন ধারণ করে। তাছাড়া অনেকে আবার সরকারি সাহায্য-সহযোগিতাও পেয়ে থাকেন। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েরা একই সঙ্গে বসবাস করে বিধায় বিয়ে নিয়ে এ দ্বীপটির অধিবাসীদের তেমন কোনো চিন্তাভাবনা করতে হয় না। সিসিলি দ্বীপটি ছোট হলেও বিরল প্রজাতির প্রাণীর জন্য বিখ্যাত। যেসব প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্তপ্রায় সেসব প্রাণীর অধিকাংশই এ দ্বীপে পাওয়া যায়। সিসিলাস নিগ্রিপাস তার মধ্যে অন্যতম। আয়তন কম হলেও সিসিলি দ্বীপে যেসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দালান-কোঠা রয়েছে তা অতি চমৎকার। সৌন্দর্যের অপরূপ সাজে সজ্জিত এ দ্বীপটিকে দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায়।



-মো. রিয়াজুল ইসলাম

0 comments:

Post a Comment