Sunday, November 7, 2010

জুরাইন কাঁচাবাজার

0 comments
স্বাধীনতার পর জুরাইন বাজারটি ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় মাছের দোকান ৩টি, চাউলের দোকান ২টি, ৪-৫টি তরকারি দোকানসহ মাংসের ১টি দোকান গড়ে ওঠে। মার্কেটটির বয়স বর্তমানে ৩৮ বছর। এই ৩৮ বছরে এর পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচশত দোকান গড়ে উঠেছে এখানে। জুরাইন বাজারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (জুরাইন বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি) হাজী আবদুর রহিম জানান, বর্তমানে মার্কেটটি লম্বায় দুপাশে ১ হাজার ফিট (আনু:)। এরমধ্যে মাংসের দোকান ২৬টি, মুরগির দোকান ৪০টি, মাছের দোকান ১০০টি, হার্ডওয়ারের দোকান ১০টি। কাপড়ের দোকান ৩২টি, কাঁচামালের দোকান ৭০/৮০টি, মুদি দোকান ৬০টি, কসমেটিকস দোকান ৪০টি, ক্রোকারিজ দোকান ৪০টি, রেডিমেট থান কাপড়ের দোকান ৩০টি এবং কাপড়ের দোকান ৩০টি রয়েছে।

এই মার্কেটের অ্যালোটি প্রায় ৪০০শত রয়েছে। জুরাইন বাজারটি বাংলাদেশ রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে। জুরাইন বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী আবদুর রহিম জানান, এক সময় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মার্কেটে আসা ক্রেতা এবং দোকানদারদের অর্থকড়ি দিন দুপুরেই ছিনতাই করে নিয়ে যেতো। সে সময়ে তারা প্রায়ই গুলি এবং বোমা ফাটিয়ে ত্রসের রাজত্ব কায়েম করতো। তবে তারা এখন নেই। তিনি বিদু্যৎ সমস্যা সম্পর্কে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২২ ঘণ্টাই বিদু্যৎ থাকে না। তাছাড়া মার্কেটে কোনো সাপস্নাইয়ের পানি পাওয়া যায় না। নিজস্ব উদ্যোগে ওয়াসা থেকে ডিপ-টিউবয়েলের পারমিশন নিয়ে পানি ব্যবহার করছে। এখানে রেলওয়ের কোনো ক্লিনার এবং দারোয়ান নেই, তবে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব অর্থ খরচে ক্লিনার এবং দারোয়ান নিয়োগ দেয়া আছে। এক প্রশ্নের জবাবে সভাপতি বলেন, মার্কেটের পূর্ব দিক ও রেল লাইনের পশ্চিম দিকে কিছু ভাসমান দোকানদার আছে। এরা সারাদিন বেচাবিক্রি করে সন্ধ্যার পর চলে যায়। এরা দারোয়ান ও সুইপারদের কিছু পয়সা দিয়ে দোকান পাহারায় রাখে। সভাপতি বলেন, গত ৩৮ বছরে এই মার্কেটে রেল লাইনে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। রেল আসার সময় হুইসেল দেয়ার সাথে সাথে সবাই সজাগ হয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।

০০ হামিদুল করিম ০০

0 comments:

Post a Comment