Sunday, November 21, 2010

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার কায়দা কানুন

0 comments
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য বর্তমানে পরীক্ষার সাথে সাথে অ্যাসাইনমেন্টের গুরুত্ব বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে কোনো কোর্সের পরিপূরক হিসেবে একজন শিক্ষার্থীকে কোনো না কোনো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হয়। এখানে মোট নম্বরের একটি অংশও বরাদ্দ থাকে।
জানাচ্ছেন খন্দকার হাসান মাহবুব

অ্যাসাইনমেন্ট-এর প্রয়োজনীয়তা

০০ অ্যাসাইনমেন্ট পাঠ্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করতে পারে।

০০ কোন বিশেষ পাঠ্য বিষয়কে সমালোচকের দৃষ্টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পড়তে উৎসাহিত করে।

০০ যে সব আনুষঙ্গিক বই, পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী, গবেষণা প্রবন্ধ পাওয়া যায় সেগুলো বিস্তারিতভাবে পড়ে প্রয়োজনীয় বিষয় নির্বাচন করতে পারেন।

০০ কোনো বিষয় সম্পর্কে তার নিজস্ব চিন্তাধারা প্রয়োগ করে চিন্তার স্বপক্ষে সাক্ষ্য ও যুক্তি প্রদান এবং বিভিন্ন মতামত মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন।

০০ শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে অনুপ্রাণিত হন এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন।

শুরু করবেন কীভাবে?

অ্যাসাইনমেন্ট সাধারণত সংশিস্নষ্ট কোর্স শিক্ষক নির্ধারণ করে দেন। অনেক সময় নিজেও বাছাই করে নেয়ার সুযোগ থাকে। অ্যাসাইনমেন্ট বাছাই করেই আপনাকে লেখার কাজে হাত দিতে হবে। তার আগে আপনাকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

তথ্যের উৎস

০০ শিক্ষক কর্তৃক মনোনীত বই

০০ সংশিস্নষ্ট বিষয়ের সহায়ক বই

০০ পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী, জার্নাল

০০ ইন্টারনেট র অভিজ্ঞজনের মতামত

০০ বড় ভাইদের করা সংশিস্নষ্ট বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট, শিক্ষকের গাইড লাইন এবং ক্লাস লেকচার।

লেখা শুরুর আগে

প্রথমেই জানা উচিত অ্যাসাইনমেন্ট অনেকটা গবেষণাপত্রের মত। আপনার সংগৃহীত তথ্য এবং বাস্তবতা মিলিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। যেমন ধরুন, আপনার অ্যাসাইনমেন্ট-এর বিষয় হলো "বাংলাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের প্রশাসন ব্যবস্থা : একটি পর্যালোচনা"-এ বিষয়ে আপনি যতটা সাহায্য পাবেন আপনার সংগৃহীত তথ্য হতে তার চেয়ে বেশি পাবেন বাস্তবতা থেকে। এ ক্ষেত্রে স্কুলগুলোর প্রশাসন ও সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসন হবে আপনার উৎস। আপনার লেখার ধরনও হবে অন্যরকম। এখানে আসবে-

১. বর্ণনা, ২. সচিত্র ব্যাখ্যা, ৩. বিশেস্নষণ, ৪. সমস্যা, ৫. সমাধান, ৬. উন্নতবিশ্বের উদাহরণ, ৭. প্রশাসনের ভূমিকা, ৮. শিক্ষকদের ভূমিকা, ৯. শিক্ষার্থীর ভূমিকা, ১০. সুপারিশ

অ্যাসাইনমেন্ট-এর রূপরেখা

অ্যাসাইনমেন্টের রূপরেখার সর্বজন স্বীকৃত কোনো কাঠামো নেই। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই তাদের নিজস্ব রূপরেখা বা কাঠামো থাকতে পারে। আপনার প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্টের জন্য যদি নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা থাকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তবে সাধারণভাবে যে বিষয়গুলো আপনার লিখতে হবে তা হলো-

ভূমিকা : এখানে সমস্যার একটি সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকবে। অ্যাসাইনমেন্টে ব্যবহূত শব্দ ও পদগুলোর সংজ্ঞা থাকবে এবং সমস্যা বা অ্যাসাইনমেন্টের সীমাবদ্ধতা এখানে লিখতে হবে। তাৎপর্য ও পটভূমি এর মধ্যে থাকবে। এখানে আনুষঙ্গিক বই পত্রের পর্যালোচনা থাকতে পারে, সমস্যা বা বিষয়টির পরিধি বর্ণিত হতে পারে। ভূমিকায় পুরো অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত মোটামুটি একটি ধারনা থাকবে।

মূল অংশ : এই অংশে যুক্তিতকের্র মাধ্যমে বিষয়টির উত্তরণ ঘটবে। ভূমিকায় বর্ণিত সমস্যাটির প্রগতিশীল সমাধানের জন্য এখানে বিস্তারিত লেখা হয়। পুরো অ্যাসাইনমেন্টের মূল অংশ এখানে উপস্থাপিত হবে। এই অংশটিকে সচল রাখার জন্য কোনো অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে হারিয়ে গেলে চলবে না।

উপসংহার : এখানে পর্যবেক্ষণ, গবেষণা নির্বাচিত বিষয়টির ফলাফল উপস্থাপন করবে। এতে সমস্যার সমাধান ও সমস্যার সমাধানের পথনির্দেশ থাকতে পারে, সাথে সাথে সুপারিশও থাকবে।

অ্যাসাইনমেন্ট-এর শিরোনাম পৃষ্ঠা :

অ্যাসাইনমেন্ট-এর জন্য শিরোনাম পৃষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে লেখার ক্ষেত্রে আসবে-

ক. বিষয়ের নাম, খ. লেখকের নাম,

গ. শিক্ষকের নাম, ঘ. কোর্সের নাম,

ঙ. বিভাগের নাম, চ. বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠানের নাম, ছ. লেখা জমা দেয়ার তারিখ।

০০ শিরোনাম পৃষ্ঠার পর বিস্তারিত সূচিপত্র দিতে পারেন।

০০ অ্যাসাইনমেন্ট-এর লেখা হবে অনেকটা গবেষণাধর্মী।

০০ গ্রুপ স্টাডি করেও অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারেন।

০০ আপনার শিক্ষক যে বিষয়টি চাচ্ছেন সেটি আপনি কীভাবে এনেছেন দেখুন।

0 comments:

Post a Comment