Thursday, November 11, 2010

অ্যারোপ্লেন যেভাবে বাতাসে ভাসে

0 comments
সম-আয়তন বাতাসের চেয়ে ওজনে ভারি বিমানের বাতাসে ভেসে থাকার কায়দাটা আছে তার ডানার আকৃতি ও গতিবেগের মধ্যে। কোনো বিমানই বেলুনের মতো স্থির অবস্থায় বাতাসে ভাসতে পারে না। অ্যারোপ্লেন যখন মাটির উপর দিয়ে গড়িয়ে যায়, তার ডানার উপর-নিচে উল্টো দিক থেকে বাতাস বয়ে আসে। বিমানের ডানার প্রচ্ছদের একটি বৈশিষ্ট্য আছে, যাকে বলা হয় অ্যারোফয়েল সেকশন। এর উপরের দিকটা নিচের দিকের তুলনায় বেশি বাঁকানো, ফলে লম্বায় বড়। বিমান যখন জোরে চলে, তখন ডানার উপর দিকে বাতাসের গতিবেগ নিচের তুলনায় বেশি হয়।

বিমান জোরে চলার ফলে উপরের দিকে বাতাসের চাপ কমে যাায় ও নিচে বেশি হয়। ডানার নিচের উচ্চচাপে অ্যারোপ্লেন উপরের দিকে উঠতে চায়। আর গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উপরে উঠে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। এক সময় বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী বল যখন অ্যারোপ্লেনের উপর মধ্যাকর্ষণ বলের চেয়ে বেশি হয়, তখন অ্যারোপ্লেন বাতাসে ভেসে ওঠে। আকাশে একবার উঠে যাওয়ার পর ইঞ্জিন অ্যারোপ্লেনকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শক্তি জোগায়। ইঞ্জিন ঘোরায় 'প্রপেলার' নামে পাখাকে যা স্ক্রুর মতো বাতাস কেটে সামনে এগিয়ে চলে।

অ্যারোপ্লেনের গতিবেগ বাড়লে প্লেনের ক্রমশই উপরে উঠে যাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে অ্যারোপ্লেনকে সূচালো মুখটাকে নিচের দিকে নামিয়ে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করা হয়, যাতে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী বল যা অ্যারোপ্লেনকে ঠেলে আকাশে তুলতে চায় এবং মাধ্যাকর্ষণ বল যা অ্যারোপ্লেনকে মাটিতে নামিয়ে আনতে চায় তারা পরস্পরের সমান হয়। এর ফলে অ্যারোপ্লেন উপর-নিচ উঠানামা করে এক জায়গায় ভেসে থেকে সামনের দিকে এগিয়ে চলে।



-আমিন রহমান নবাব

0 comments:

Post a Comment