Tuesday, December 7, 2010

খৎনা

1 comments
১। খৎনা বা মুসলমানী কি?
পুরুষাঙ্গের সামনের বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত স্কীন পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে তা কর্তন করাকে বুঝায়।
২। খৎনা বা মুসলমানী করার প্রয়োজনীয়তা :
(ক) ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রীস্টানরা খৎনা করিয়ে থাকে।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারা ফাইমোসিস রোগ হলে খৎনা বা মুসলমানী করাতে হয়।
ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মূত্রনালীকে ঢেকে রাখে যে বাচ্চা বা রোগীর প্রস্রাব ঠিকমতো বের হতে পারে না। যার ফলে প্রস্রাবের সময় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাবের সময় মাথাটা ফুলে ওঠে। এইভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিওর হতে পারে।
পেরাফাইমোসিস : পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায় যার ফলে চামড়াটাকে আর সামনে ও পিছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয় ক্ষেত্রেই জরুরী ভিত্তিতে খৎনা করা প্রয়োজন।
আরও নানাবিধ কারণে খৎনা দরকার হয় যেমনÑ পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় পেন্টের চেইনের সাথে আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যে কোন ধর্মাবলম্বী লোকের খৎনা করা যায়।
৩। খৎনা বা মুসলমানী করালে কি উপকারিতা :
পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রীস্টানদের মধ্যে নেই বললেই চলে। তার প্রধান কারণ খৎনা। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে সাদা এক ধরনের পদার্থ (স্লেষ্মা) জমে এবং এই স্লেষ্মাই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
৪। কখন খৎনা করা যাবে না : হাইপোষপেডিয়াসিস রোগ।
হাইপোষপেডিয়াসিস এটা পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্র“টি। এখানে মনে হবে বাচ্চা জন্মগতভাবে খৎনা হয়ে আছে। এই ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ত্র“টি মেরামতের সময় প্রয়োজন হয়। তাই খৎনা করানো নিষেধ।
৫। খৎনা করার পূর্বে রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে কি?
অবশ্যই আছে। খৎনার পর কিছু খৎনার রোগীর ব্লিডিং বন্ধ হয় না এবং মরণাপন্ন অবস্থায় আমাদের কাছে হাজামরা পাঠায়। তাই খৎনার পূর্বে বাচ্চার অবশ্যই রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা (জন্মগত) আছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
৬। খৎনা করার পর কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে :
রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া।
হাজাম বা অনভিজ্ঞতার কারণে অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা।
পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলা। হাজামরা খৎনা করে ব্লাইন্ডলি অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগে চামড়া মাথা থেকে সঠিকমতো না ছাড়িয়ে, না দেখে কেটে ফেলতে গিয়ে এই ধরনের মারাÍক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীর সমস্ত দেশে এই খৎনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় এবং খৎনা কনসালটেন্ট সার্জন ছাড়া করা হয় না। কারণ খৎনা করতে গিয়ে যে কোন দুর্ঘটনা বাচ্চার ভবিষ্যত জীবন জটিল করে তুলতে পারে।
Source:Banglanews21

1 comments:

  • February 29, 2012 at 1:10 PM
    Anonymous :

    সম্পূর্ণ ভুয়া পোস্ট। একমাত্র প্যরা ফিমোসিস ছাড়া খৎনার কোন দরকার নেই ।প্যারা ফিমোসিসও খৎনা ছাড়া ভালো করা যায়।খত্নার সাথে ক্যন্সার এর কোন সম্পর্ক নেই। থাকলে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেখান।
    জোকার নায়েকের মতো মিথ্যা কথা বলবেন না।

Post a Comment