Saturday, December 25, 2010

সোমালিয় জলদস্যু

0 comments
মাঝ সমুদ্র থেকে একের পর এক জাহাজ ছিনতাই ও নাবিকদের জিম্মি করে কোটি কোটি ডলার আদায় করলেও নিজেদের জলদসু্য বলে না তারা। নিজেদের কোস্টগার্ডস দাবি করে সোমালি জলদসু্যরা। বিদেশিরা তাদের সমুদ্র উপকূলে এসে অবৈধভাবে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। বাণিজ্য জাহাজগুলো রাসায়নিক বজর্্য ফেলে পানি দূষণ করছে। এখন আর সোমালিয়ার জেলেদের জালে মাছ ওঠে না। এগুলো ঠেকাতেই তারা সাগর পাহারা দেয়। সোমালি জলদসু্যরা নিজেদের কর্মকান্ডের এমন সরল ব্যাখ্যা দিলেও এর সবটাই সত্য নয়। বেশিরভাগ সোমালি তাদের এ কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না।

আবদুল কাদিল মোহাম্মদ নামের এক সোমালিয় জানান, বেশিরভাগ জলদসু্যর বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। শুধু অর্থের লোভে জাহাজ ছিনতাই করে তারা। মুক্তিপণের টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, সুন্দরী বউ, প্রভাব-প্রতিপত্তি সবই পায় তারা।

সোমালিয়া এখন জলদসু্যর দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও ১৯৬০ সালে দেশটি স্বাধীন হবার পর গ্রামীণ গণতন্ত্রের জন্য আফ্রিকার 'ওয়েস্ট' হিসেবে চিহ্নিত হয়। সে সময় প্রায়ই দেখা যেত গোত্র সংঘর্ষ। ১৯৬৯ সালে সিয়াদ বারের নেতৃত্বে সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণ করে। উন্নয়নের জন্য দেশে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেন তিনি। মডেল হিসেবে নেয়া হয় চীনকে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তখন শস্য উৎপাদন, হাসপাতাল ও রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়। জাতীয়করণ করা হয় প্রায় সব ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে উঠতে থাকে শিল্প প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেমে আসে শূন্যে। গোত্র প্রধানরা মেনে নেন সিয়াদ বারের শাসন। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যায় সোমালিয়া। তবে সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায় ১৯৯১ সালে সিয়াদ বারে ক্ষমতা হারানোর পর। আবারও শুরু হয় গোত্র সংঘর্ষ, রক্তারক্তি আর হাঙ্গামা। সোমালিয়ায় শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।

মৎস্য শিল্পের উন্নয়নের জন্য ডেনমার্ক, ব্রিটেন, ইরাক, জাপান, সুইডেন, সোভিয়েট ইউনিয়ন এবং পশ্চিম জামর্ানির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেত সিয়াদ বারে সরকার। নিজেদের দেশে সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা না থাকায় বিপুল মাছ রপ্তানি হতো ঐ সব দেশে। সিয়াদ বারের পতনের পর মাছ রপ্তানিতে নেমে আসে ধস। সোমালিয়ার উপকূলে এসে অবৈধভাবে মাছ ধরতে থাকে বিভিন্ন দেশের ট্রলার। কেন্দ্রীয় সরকার না থাকায় কিছু কিছু গোত্র প্রধান অর্থের বিনিময়ে তাদের এ সুযোগ করে দিতেন। চলতো বাণিজ্য জাহাজ সোমালিয়ার সমুদ্রসীমায়। ঐ সব জাহাজ থেকে ব্যাপক হারে রাসায়নিক বর্জ্য পড়ায় সমুদ্রে দূষণ বাড়তে থাকে। ফলে সোমালিয় জেলেরা আগের মতো আর সাগরে মাছ পেত না। তাছাড়া মাছ ধরার উন্নত প্রযুক্তি না থাকায় তারা আধুনিক বিদেশি মাছ ধরার ট্রলারের সঙ্গে পেরেও উঠছিল না। কার্যকর নৌ-বাহিনী এবং জাহাজ না থাকায় বিশাল সমুদ্র উপকূলও থাকতো অরক্ষিত।

বিরতিহীন গোত্র সংঘর্ষের কারণে দেশটিতে গড়ে ওঠে নি কোন কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষেরই বিদেশি খাদ্য সহায়তার উপর বেঁেচ থাকতে হয়। নেই পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান। হর্ন অব আফ্রিকা (মানচিত্রে দেশটির অবস্থান অনেকটা শিং এর মতো) নামে পরিচিত দেশটির অনেক মানুষই এ কারণে দসু্যবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এই দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় দুই ডলারের নিচে।

ভৌগোলিকভাবে সোমালিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। লোহিত সাগর, এডেন উপসাগরের প্রবেশমুখে দেশটির অবস্থান। আর একটু দূরেই আরব সাগর। লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযোগ করেছে সুয়েজ খাল। ১৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সুয়েজ খাল পেরুলেই ইউরোপ, আমেরিকা মহাদেশের সঙ্গে এশিয়ার সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার দূরত্ব কমে যায়। আর তাই এটিই বিশ্বের সবয়েয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট।

এমন আকর্ষণীয় ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সোমালীয়রা জাহাজ ছিনতাইয়ে নেমে পড়ে। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জাহাজ ছিনতাই ব্যবসা। ছিনতাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ও অস্ত্র কেনার জন্য আছে অর্থলগি্নকারী। ছিনতাই অভিযান সফল হলে নাবিকদের মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর হয় ভাগ-বাটোয়ারা। জলদসু্যদের কাছে জিম্মি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জিম্মিদের দেখাশুনায় কোন ক্রটি করে না তারা। ছিনতাই বাণিজ্যে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয় বলে জলদসু্য সদস্য বাছাই করা হয় বেছে বেছে।

জলদসু্যদের যে কোন অভিযানে তিনটি গ্রুপ থাকে। একটি গ্রুপে থাকে সাবেক জেলেরা। তাদের বলা হয় অভিযানের মাথা। আরেক গ্রুপে থাকে মিলিশিয়া বাহিনীর সাবেক সদস্য। তাদের রয়েছে গোত্র লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা ও আধুনিক অস্ত্র চালনায় পারদর্শিতা। এদের বলা হয় অভিযানের শক্তি। অপর গ্রুপে থাকে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তারা অত্যাধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন স্যাটেলাইট ফোন, জিপিএস এবং সামরিক সরঞ্জাম সম্পর্কে অভিজ্ঞ। এদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সম্মানিত যিনি সবার আগে টার্গেট জাহাজে চড়েন। তিনি নেন সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক। কারণ ঐ জাহাজ থেকে প্রতিরোধ আসলে তিনিই শিকার হবেন সবার আগে। আর যে যত বার এ কাজটি করতে পারেন তার প্রোফাইল হয় তত ভারি। তার কদরও বহুগুণ বেড়ে যায়। এমন একজন জলদসু্য প্রতি অভিযানে পেয়ে থাকেন পাঁচ হাজার ডলার করে।

সোমালিয়া ও ইয়েমেনের মাঝে এডেন উপসাগর। অভিযোগ রয়েছে, ইয়েমেন থেকে জলদসু্যরা বেশিরভাগ অস্ত্র পেয়ে থাকে। ১৯৯২ সাল থেকে সোমালিয়ায় অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিপুল অস্ত্র সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকেও সংগ্রহ করে ছিনতাইকারীরা। 'হাওয়ালা' কোম্পানির (হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠিকভাবে মূল্য স্থানান্তর ব্যবস্থা) মাধ্যমে জলদসু্যরা মোগাদিসুর অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র পেয়ে থাকে। অস্ত্র ব্যবসায়ীরাই সোমালিয়ার অন্যতম প্রধান শহর পুন্টল্যান্ডে অস্ত্র দিয়ে যায়। অতীতে শোনা যেত, দুবাইয়ের বড় বড় ব্যবসায়ীরা জাহাজ ছিনতাইয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা দিত।

অভিযানে এ কে-৪৭ রাইফেল, রকেট লঞ্চার ও ভারি গ্রেনেড সঙ্গে নেয় জলদসু্যরা। জলদসু্যদের অভিযান পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ হয় এক অভিনব পদ্ধতিতে। অভিযানের আগেই প্র্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, অস্ত্র ও ট্রলারের ভাড়া একেকজন দিয়ে থাকে। মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর সে অনুপাতে হয় ভাগাভগি।

মুক্তিপণের অর্থ আদায়েও জলদসু্যরা ব্যবহার করে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। মুক্তিপণের অর্থ তারা নিয়ে থাকে ডলারে। মুক্তিপণের অর্থ আদায়ে জলদসু্যরা ঐ জাহাজের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের জন্য তাদের সঙ্গে থাকেন ইংরেজিতে দক্ষ একজন দোভাষী। তিনিই বলে থাকেন মুক্তিপণের অর্থের পরিমাণের কথা বা কোথায় তা ডেলিভারি দিতে হবে তাও। ডলার গণনার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন, যা আনর্্তজাতিক মুদ্রা গণনায় ব্যবহার করা হয়। ওয়াটারপ্রুফ সুটকেস কিংবা কাপড়ের থলে ভর্তি করে পাঠাতে হয় ডলার। ২০০৯ সালে ছিনতাইকৃত সৌদি জাহাজ এম ভি সাইরাসের নাবিকদের মুক্তিপণ নেয়া হয় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে প্যারাসুটে ফেলা ওয়াটারপ্রুফ সুটকেসে করে।

এমন নগদ অর্থের লোভ ও ভগ্ন অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে দেশটির তরুণরাই মূলত এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। আবদি ফারাহ নামে এক সোমালিয় বিবিসিকে জানান, 'সোমালিয়ার জলদসু্যদের সবই আছে- অর্থ, প্রতিপত্তি। দিনে দিনে তারা আরো শক্তিশালি হয়ে উঠছে। তারা সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে বিয়ে করে, অভিজাত এলাকায় সবচেয়ে বড় বাড়িতে তারা থাকে, সবচেয়ে দামি গাড়িতে তারা চড়ে। তারা হয়ে উঠছে সমাজের এলিট। দসু্যবৃত্তি অনেক ক্ষেত্রে এখানে সামাজিকভাবে স্বীকৃত। কারণ এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি এনে দেয়।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে জাহাজ ছিনতাই ঠেকাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা যেমন জাতিসংঘ, বিশ্ব সমুদ্র সংস্থা (আইএমও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ (ডবি্লউএফও) বিভিন্ন দেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ঐ রুট ব্যবহারকারী দেশগুলোকে জলদসু্যদের প্রতিরোধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করার জন্য আহবান জানায়।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) ১০১ তম অধিবেশনে ভারত সোমালিয়ার জলদসু্যদের দমনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবি করে। কারণ জলদসু্যরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের পাশাপাশি ইদানীং আরব সাগর থেকেও জাহাজ ছিনতাই করা শুরু করেছে। সমপ্রতি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি জাহানমনিকে ছিনতাই করা হয় আরব সাগর থেকে। জাহাজে ২৫ জন নাবিকসহ ২৬ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। জলদসু্যরা দেড় কোটি ডলার মুক্তিপণ চেয়েছে।

জলদসু্যদের টার্গেটে পরিণত হয় ছোটখাটো জাহাজ থেকে মালবাহী জাহাজ, তেল ও রাসায়নিক ট্যাংকার। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ভারতীয় নৌবাহিনী সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য জাতিসংঘের অনুমতি লাভ করে। জলদসু্যরা ২০০৮ সালে সর্বমোট ১১১টি আক্রমণ চালায়। এর মধ্যে ৪২টিতে তারা সফল হয়। ২০০৮ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের একই সময়ে ১০ গুণ বেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ বছর ঘটে ৩২টি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা। সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত সরকার জলদসু্যদের প্রতিরোধে আইন পাস করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা মিলে শুরু করে জলদসু্যদের গ্রেফতার ও বিচার কার্যক্রম।

জলদুস্যদের আস্তানায় চালানো হয় অভিযান। ইসলামি মনীষী, বিভিন্ন সংস্থা দসু্যবৃত্তির নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে প্রচার প্রচারণা চালাতে থাকেন। এ ছাড়া সোমালিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল প্রধান ও গোত্র প্রধানরাও দসু্যবৃত্তি ইসলামি শরিয়াহ বিরোধী বলে প্রচারণা চালচ্ছেন। ন্যাটো এবং বিভিন্ন দেশের নৌ টহল থাকা সত্ত্বেও জাহাজ ছিনতাই বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারণ সোমালিয়ার সমুদ্র উপকূল এত বড় যে তারা পুরো এলাকা টহল দিতে পারছে না।

জলদসু্যরা অভিযান পরিচালনায় নেয় নানা কৌশল। একটি বড় জাহাজের (মাদার শিপ) সঙ্গে থাকে অনেকগুলো ছোট ট্রলার। বড় জাহাজটি ট্রলারগুলো বেঁধে নিয়ে যায় মাঝ সাগরে। কোন টহল জাহাজ আসতে দেখলেই জলদসু্যরা অস্ত্রসহ অন্য সরঞ্জাম পানিতে ফেলে দেয়। ট্রলারে থাকে শুধু জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম। টহল বাহিনী নিশ্চিত হলেও এ কারণে কিছু করার থাকে না। আর সন্দেহভাজন জলদসু্য গ্রেফতার হলেও উপযুক্ত সাক্ষ্যের অভাবে তারা রেহাই পেয়ে যায়। তারপর জলদসু্যরা আবারো সজ্জিত হয়ে ফিরে যায় সাগরে।

অভিযানে বিভিন্ন সময় অনেক জলদসু্য গ্রেফতার হলেও কোন দেশই বিচারের বিষয়টি তাদের কাঁধে নিতে চায় না। সাক্ষ্যের অভাবেও অনেক জলদসু্য রেহাই পেয়ে যায়। ২০০৮ সালে ব্রিটেন সরকার নৌ বাহিনীকে আদেশ দেয়, তাদের গ্রেফতার না করার জন্য। কারণ এটি তাদের আইনে মানবাধিকার বিরোধী। চলতি বছর ডেনমার্কের একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে পাঁচ জলদসু্যকে গ্রেফতার করা হয়। নেদারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের পাঁচ বছরের সাজা হয়। অনেক বিশেস্নষকই বলছেন, আন্তর্জাতিক আদালত যা সাজা দেয় তাতে জলদসু্যরা সাজা ভোগের পর আবারও দসু্যতার পেশায় ফিরে যাবে। এদিকে সোমালিয়াও বিদেশে তার দেশের নাগরিকদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে। দেশটি চাইছে তার দেশের নাগরিকের বিচার নিজেদের দেশেই হোক।

বেশ কিছু কোম্পানি জাহাজ ছিনতাই ঠেকাতে বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানির শরণাপন্ন হচ্ছে। এমনই একটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি হল টেক্সাসের এসপাডা লজিকটিকস গ্রুপ। ঐ কোম্পানির সদস্যরা বাণিজ্য রুটে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এমইউএসসি হল এমন আরেকটা লন্ডনভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা। তাদের গ্রিস, আরব আমিরাত, আমেরিকা, এস্তোনিয়া ও মাল্টায় অফিস আছে।

ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন ২০০৮ সালে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানায় তাদের সহায়তার জন্য।

০০মো. পলাশ সরকার

0 comments:

Post a Comment