Monday, December 6, 2010

সিলিন

0 comments
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীনের ইউনান প্রদেশে পৃথিবীর বৃহৎ পাথুরে বন বা (ঝঃড়হব ঋড়ৎবংঃ) সিলিন অবস্থিত। চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে এর দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। এ পাথুরে বনটি দেখতে অদ্ভুত, সুন্দর ও চমৎকার। মূলত সিলিন একটি জাতীয় উদ্যান। উদ্যানে ছোট-বড়, সবুজ গাছ-গাছালির সঙ্গে সাজানো রয়েছে হাজার হাজার ছোট-বড় কিংবা মাঝারি আকারের পাথর। পাথরগুলো দেখতে অবিকল গাছের মতো, দেখে যেন মনে হয়, শাখা-প্রশাখাবিহীন পাথুরে বৃক্ষ। সিলিনের আয়তন ৩৫০ স্কয়ার মিটার। প্রাচীনকালে উইলো নামক একজন ভদ্রলোক পাথুরে বনটি তৈরি করেন। সিলিন পার্কটি সাতটি ভাগে বিভক্ত। এর বিভিন্ন ভাগে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পাথর। প্রথম ভাগে রয়েছে বেলে পাথর, দ্বিতীয় ভাগে ধূসর রঙয়ের পাথর, তৃতীয় ভাগে লাল রংয়ের পাথর, চতুর্থ ভাগে খয়েরি রংয়ের পাথর ও পঞ্চম ভাগে সাদা রংয়ের পাথর ইত্যাদি নানা রঙয়ের পাথর দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে সিলিন বা পাথুরে বন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, হাজার হাজার বছর ধরে এই পাথরগুলো একইভাবে অবিকলভাবে দাঁড়িয়ে আছে। উইলো নামক ভদ্রলোকটির এ বন তৈরি করতে সময় লেগেছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী প্রদক্ষিণ করতে আসে হাজার বছরের পুরনো এই পাথুরে বনটি। শুধু চীনের নয়, এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র যেমন_ পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার, ইরান, ইরাক থেকেও হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায় চীনের ইউনানে পাথুরে বন প্রান্তরে। শুধু পাথুরে বন থেকেই চীন সরকারের বার্ষিক আয় হয় কয়েক লাখ মার্কিন ডলার। পাথুরে বনের ভেতরে রয়েছে অসংখ্য ফুল ও ফলের গাছ। পাথুরে বনের চারপাশ ঘিরে রয়েছে অসংখ্য প্রহরী, যাতে কেউ বনের কোনো ক্ষতি করতে না পারে। পাথুরে বনটি সরকারের কাছে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীকই নয়, জাতীয় সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত।

-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 comments:

Post a Comment