Saturday, December 3, 2011

ডায়াবেটিস থাকলে কিডনি সুরক্ষাও চাই

0 comments
ডায়াবেটিস থাকলে রক্তের সুগার মনিটর করা, তদারকি করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা যথেষ্ট নয়।
জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহ অধ্যাপক ডা: রিতা কল্যাণী বলেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা সবাই এমনকি তাদের চিকিত্সকও কিডনি সমস্যার লক্ষণ আছে কিনা তাও নজর করবেন। ডায়াবেটিসের একটি গুরুত্বর জটিলতা হলো কিডনি নিষ্ক্রিয়া এবং কিডনি ফেইলুর বা নিষ্ক্রিয়ার প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস। জসিলন ডায়াবেটিক সেন্টারে নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে সহযোগী অধ্যাপক মেডিসিন ডা: রবার্ট স্ট্যানটন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত:যাদের ডায়াবেটিস তারা অনেক সময় বুঝতে পারেনা যে তাদের রয়েছে কিডনি রোগ’। কিডনি নিষ্ক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায়না।

তবে সুসংবাদও আছে। সহজ টেস্ট করে কিডনির কাজকর্ম পরীক্ষা করা যায় এবং আগাম কিডনি রোগ চিহ্নিতও করা সম্ভব। সূচনায় রোগের চিকিত্সায় বড় রকমের তারতম্য ঘটানো যায়। ওষুধপত্র, খাদ্যবিধি, রক্তগ্লুকোজের সুনিয়ন্ত্রণ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে বা অগ্রগতি ধীর করে দিতে পারে। মূল চাবিকাঠি হলো আগাম রোগ নির্ণয় এবং অবিলম্বে চিকিত্সা।

ডায়াবেটিসে কিভাবে কিডনির ক্ষতি হয়

কিডনি পরিশ্রুত করে রক্ত। বর্জ বেরিয়ে যায় মূত্রের মাধ্যমে আর পরিশ্রুত রক্ত ফিরে যায় শরীরে। ডায়াবেটিক রোগীদের কিডনির ক্ষতি হতে পারে তখন, যখন রক্তকে পরিশ্রুত করতে পারেনা ঠিকমত। সামান্য পরিমাণ এলবুমিন মূত্র দিয়ে বেরিয়ে যায়। উঠে যায় রক্তচাপ কিডনির উপর আরো চাপ পড়ে। আরও বেশি প্রোটিন বেরিয়ে যায় প্রস্রাবে। এসব পরিবর্তন হতে থাকলে কিডনির রক্ত পরিশ্রুত করার ক্ষমতা আরও হ্রাস পায়, রক্তে জমতে থাকে বর্জ্য পদার্থ। রক্তে গ্লুকোজের উচু মান ডায়াবেটিসের সূচক বটে- কালক্রমে অনেক ক্ষতি করে কিডনি কোষদের। সেন্টলুই ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের প্রফেসর অব মেডিসিন ও এনডোক্রিনোলজিস্ট ডা: জেনেট বি ম্যাকগিল বলেন, ডায়াবেটিস, কিডনি ক্ষতির অন্যান্য কারণের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ম্যাকগিল বলেন, ‘টাইপ ১ ডায়াবেটিসে কিডনি ক্ষতি হলো বহুলাংশে রক্তে গ্লুকোজের উঁচুমানের ফলশ্রুতি।’ তবে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে কিডনি ক্ষতির পেছনে থাকতে পারে নানাবিধ কারণ। উচুমান গ্লুকোজ, উচ্চরক্তচাপ, প্রদাহ, বয়স এবং জীনগতি এদের মধ্যে পরস্পর আন্ত:ক্রিয়া বড় কারণ হতে পারে। চিকিত্সা না হলে ক্ষতি শোচনীয় পর্যায়ে যেতে পারে, পরিণতিতে কিডনি হতে পারে নিষ্ক্রিয়। প্রান্তিক পর্যায়ে এলে শেষ চিকিত্সা বিকল্প ডায়ালাইসিস নয়ত ট্রান্সপ্লান্ট।

কিডনি ক্ষতির লক্ষণ বা উপসর্গ

কিডনির তাত্পর্যপূর্ণ ক্ষতি না হওয়া পর্যন্ত কিডনি সমস্যার স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায়না। ফেনিল সূত্র, ওজন বৃদ্ধি, শরীরে পানি ধারন, ক্ষুধামান্দ্য, শরীর খারাপ লাগা। এরকম হলে ডাক্তার দর্শণ অবশ্য। আগাম সময়, কিডনি ক্ষতিতে তেমন উপসর্গ নেই। ডাক্তারের কাছে রক্ত ও প্রস্রাবের বিশেষ পরীক্ষা করে তবে জানতে হয়। রক্তের গ্লুকোজ মান পরীক্ষায় কিডনির কাজকর্ম সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় না। প্রচলিত মূত্র পরীক্ষা এত সংবেদনশীল নাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং কিডনি ক্ষতির ঝুকি আছে এদের তিনটি টেস্ট করা প্রয়োজন।

রক্তচাপ মনিটরিং: উচ্চরক্তচাপ হতে পারে কিডনি সমস্যার একটি লক্ষণ। স্ট্যানটন বলেন, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ যাদের এদের রক্তচাপ সুনিয়ন্ত্রণ করা উচিত। লক্ষ হওয়া উচিত রক্তচাপ ১৩০/৮০ এর নিচে রাখা।

প্রস্রাবে প্রোটিন, ক্রিয়েটিনিন ও এলবুমিন পরীক্ষা:কিডনি ক্ষতি হতে থাকলে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন প্রস্রাবে যেতে থাকে। ল্যাবরেটরীতে টেস্ট করা যেতে পারে। ২৪ ঘন্টার প্রস্রাব সংগ্রহ এখন লাগেনা। একটি একক নমুনাই যথেষ্ট।

অনুমিত গ্লুমেরুলার ফিলট্রেশন রেট (ই.জি.এফ.আর) eGFR: রক্তের ক্রিয়েটিনিন মান থেকে সূত্র অনুযায়ী গণনা করলে পাওয়া যায় ইজিএফআর। কিডনি রক্তকে কেমন পরিশ্রুত করছে, তা বোঝা যায়।

ডায়াবেটিস ও কিডনি ক্ষতির চিকিত্সা

জীবন যাপনে পরিবর্তন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া, ব্যায়াম করা, রক্ত গ্লুকোজ মানের উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলে। কারো প্রয়োজন লো-প্রোটিন ডায়েট। ধূমপান করে থাকলে তত্ক্ষণাত্ ছেড়ে দেওয়া। লিপিড নিয়ন্ত্রণ কোলেস্টেরোল ও ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ কিডনি কাজ কর্মের উপর সরাসরি প্রভাব না থাকলেও এতে হূদরোগের ঝুঁকি কমে।

হোম মনিটরিং: ঘরে রক্তের গ্লুকোজ চেক করা ছাড়াও রক্তচাপ ও মনিটরিং চাই।

ওষুধ পত্র

এসিই ইনহিবিটার ওষুধ এবং এনজিওটেনিসন রিসেপ্টার ব্লকার উচ্চরক্তচাপ রোগীদের কিডনি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে। কিডনি নিষ্ক্রিয় হলে ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্লান্ট। কিডনি নিষ্ক্রয় হলো ডায়াবেটিসের গুরুত্বর ঝুঁকি, তবে বেশিরভাগ ডায়াবেটিক রোগী নিষ্ক্রিয়ার পথে যায়না। সুচিকিত্সা হলে গুরুতর কিডনি রোগের রোগীদেরও ডায়ালাইসিস দেরি হতে পারে অনেক দিন।

ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ, মোকাবেলা করুন স্বাস্থ্য, স্যান্টন বলেন, ডায়াবেটিক রোগী বা প্রিডায়াবেটিক রোগী কিডনি সমস্যার ঝুঁক ভেবে সংকিত হওয়া উচিত নয়। স্যান্টন বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ না নেয়া হলো বড় ভুল। টেস্টগুলো করে ভালো ফল পেলে এবং কিডনি সমস্যার লক্ষণ না পেলে মনে শান্তি হলো। কোনও লক্ষণ পেলেও অবিলম্বে চাই চিকিত্সার শুরু। ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের আগ্রাসী চিকিত্সা বড় রকমের পার্থক্য ঘটাতে পারে। তবে চিকিত্সা নেবার আগে জানা চাই যে সমস্যাটি আছে।

++অধ্যাপক ডা: শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস
বারডেম, ঢাকা

Monday, November 28, 2011

২৭ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে

0 comments
তাজমহল দেখে মনে হয়/যেন আজও সে প্রেম এসে কথা কয় ... হ্যাঁ, প্রেম চিরন্তন। দেশ-কাল ভেদে প্রেম-ভালোবাসা প্রকাশের প্রভেদ থাকলেও প্রেমের আকুলতায় প্রভেদ নেই। সম্রাট শাহজাহান যেমন তার প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ মহলকে ভালোবেসে; শ্বেতমর্মরে গড়েছেন তাজমহল, গড়েছেন প্রেমের অমরগাঁথা। তেমনি পঞ্চগড়ের হাফিজউদ্দিন প্রিয়তমা স্ত্রীকে ভালোবেসে তার কবরের পাশে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ২৭টি বছর।
ভালোবাসার এই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত গড়ে হাফিজউদ্দিন বনেছেন এ যুগের সম্রাট শাহজাহান।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের মৃত বরকত আলী মিয়ার ছেলে বর্তমানে অশীতিপর মোঃ হাফিজউদ্দিন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তের দুই বছর পর বাড়ির পাশেই বিয়ে করেন ৬ বছরের শুকুরী বিবিকে। বিয়ের ৭-৮ বছর পর্যন্ত ছোট্ট
শুকুরী হাফিজউদ্দিনের মা সূর্যবানু বিবির সঙ্গেই থাকতেন। এরপর ১৯৫৬ সালের দিকে দু'জনের সংসার শুরু হয়। প্রেম-ভালোবাসায় ভালোই কাটছিল হাফিজ-শুকুরীর সংসার। বিয়ের ১৯ বছরের মাথায় স্ত্রী শুকুরী মারা যান। স্ত্রীর এভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেননি নিঃসন্তান হাফিজ।
স্ত্রীর স্মৃতিচারণ করেন হাফিজ; বলেন, 'মৃত্যুর আগের রাতে বিবি আমার কাছে মিষ্টি খেতে চেয়েছিল, মিষ্টি এনে দিয়েছিলাম। রাতে দু'জনে মিলে মিষ্টি খেয়েছি। রাতভর দু'জনের অনেক কথা হলো। 'আমার জন্য কানবেন না, আমি থাকব না এমন কথা বলে পরদিন বিবি আমার হাঁটুতে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।'
স্ত্রীর এমন বিদায়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েন হাফিজ। দাফনের পর ছুটে যান স্ত্রীর কবরে। ডাকতে থাকেন তার প্রিয় সঙ্গিনী বিবিকে। কিন্তু সেই আকুলতায় সাড়া দেননি শুকুরী বেগম। হাফিজ ভাবেন, 'আগের রাতে বিবি আমার সঙ্গে ছিল, কথা বলেছে, আজ কেন নেই। কোথায় গেল তার আত্মা।'
স্ত্রীর আত্মার খোঁজে গৃহত্যাগ করেন হাফিজ। হেটে রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। আহার ও নিদ্রাহীন ঘুরতে ঘুরতে কুমিল্লার সোনাকান্দা এলাকায় এক পীরের সানি্নধ্যে আসেন হাফিজ। আবদুর রহমান নামের ওই পীরের দরগায় শুরু করেন সাধনা আর তপস্যা।
পীরের দরগায় ৪১ দিন কবরের ভেতর এবং ১ বছর ভাত না খেয়ে দুধ আর কলা খেয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে ১৯৭১ সালে শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। যুদ্ধের পর ১৯৭৮ সালের দিকে হাফিজউদ্দিন নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। ওই সময়ের অগ্রহায়ণ মাসের ২ তারিখ হাফিজউদ্দিন স্ত্রীর কবরের পাশে আশ্রয় নেন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ২৭ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে ঘর তুলে বসবাস করেন হাফিজউদ্দিন। এ দীর্ঘ সময়ে বনজঙ্গলে ঘেরা নির্জনস্থানে ভয়ভীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে।
২০০৬ সালে আত্মীয়-স্বজনদের চাপে বিবির কবরস্থান ছেড়ে আসতে হয় হাফিজউদ্দিনকে, সবাই মিলে জোর করে বিয়ে করান আরেকটি। কিন্তু কবরস্থান ছাড়লেও বাড়িতে ফেরেননি তিনি। বাড়ির বাইরে নিজের কবর খুঁড়েছেন তিনি। সেখানেই ঘর তুলে বাস করছেন এখনও। তার বর্তমান স্ত্রীর সন্তানরাও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাকপুর গ্রামে গিয়ে হাফিজউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার জীবনকাহিনী। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে চোখ ভিজে আসে হাফিজউদ্দিনের। দুহাতে চোখ মুছতে মুছতে তিনি জানান, সংসার জীবনে আমরা একে অন্যকে ছেড়ে কখনও ছিলাম না। বিয়ের পর থেকে একাত্ম হয়ে দু'জন দু'জনকে অনুভব করতাম। কেউ কাউকে কষ্ট দিইনি।
হাফিজ জানান, স্ত্রীর কবরের পাশে ২ অগ্রহায়ণ বসবাস শুরু করার কারণে বর্তমানে প্রতি বছরের ওই তারিখে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি। মৃত্যুর পর পরকালে যেন বিবির সঙ্গে মিলিত হতে পারেন, বারবার এমন দোয়া কামনা করেন হাফিজউদ্দিন।

উৎসঃ UKBDNEWS (হ্যাঁ, প্রেম চিরন্তন: ২৭ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে)

Monday, November 14, 2011

যা চায়

0 comments
পুরুষের কাছে নারী যা চায়ঃ পড়ে দেখুন...পুরুষ এবং নারী উভয়ের এর জন্য পড়া প্রয়োজন।। ♥
জীবনের পথে চলতে চলতে অজান্তেই হয়তো এসব বিষয় আমরা ভুলে যাই। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব ছোটখাটো ভুলে যাওয়া কাজ দিয়েই খুশি করে তোলা সম্ভব সঙ্গিনীকে।
♥ যখন বান্ধবী বা স্ত্রী কথা বলবে, মনোযোগ দিয়ে শুনুন। বোঝার চেষ্টা করুন তার সমস্যা। এতে প্রমাণিত হয়, আপনি তাকে গুরুত্ব দেন। তার কথা ভাবেন।
♥ রাগকে প্রশমিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রের ঝামেলাগুলোকে বাড়িতে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে টেনে না আনাই ভালো।
♥ বান্ধবী বা স্ত্রী চান, সঙ্গী তাঁর সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিন। তাই আবেগ বা উচ্ছ্বাস লুকিয়ে রাখবেন না। সুখ, দুঃখ যা-ই হোক না কেন, মনখুলে প্রকাশ করুন আপনার প্রিয় সঙ্গিনীর কাছে। এতে করে সেও আরও সহজ হবে আপনার কাছে। তাই সঙ্গিনীর সঙ্গে কথা বলতে হবে প্রাণখুলে।
♥ নারী সব সময় চান, তাঁর আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সঙ্গী পুরুষটি যেন ভালো ব্যবহার করেন। তাই বান্ধবী বা স্ত্রীর স্বজনদের আপনার অপছন্দ হলেও তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। এর কোনো বিকল্প নেই।
♥ নারী তাঁর সঙ্গীকে পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করেন, এটা সত্যি। তবে এটাও সত্যি যে রান্নাঘরের দৈনন্দিন কাজ বড্ড একঘেয়ে। নারীও মাঝেমধ্যে এ থেকে মুক্তি চান। বান্ধবী বা স্ত্রীর জন্য সবচেয়ে চমকপ্রদ উপহার হলো তাঁকে তাঁর পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ানো। একটু কষ্ট হলেও মাঝেমধ্যে এটা করতে পারেন। দেখবেন, তাঁর বিষণ্ন মুখ হয়ে উঠবে ঝলমলে। কিংবা তাঁকে নিয়ে একদিন বাইরে ভালো কোনো রেস্তোরাঁয় খাবার খেলেন।
♥ গাড়ি চালানোর সময় মাথায় রাখতে হবে ঝোড়ো গতিতে গাড়ি চালানো আপনার সঙ্গিনীর পছন্দ না হওয়ারই কথা। তাই গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। এতে আপনি যেমন নিরাপদে থাকবেন, তেমনি আপনার পাশে বসা সঙ্গিনীও থাকবেন স্বস্তিতে।
♥ নারীর প্রতি যত্নশীল হোন। তবে সেটি যেন কর্তৃত্ব না হয়ে দাঁড়ায়। আপনার অধিকারবোধ যেন এমন না হয়ে ওঠে, যাতে সঙ্গিনীর দম বন্ধ হয়ে আসে।
♥ মাত্র একটি ভুল বা মিথ্যের কারণেই আপনি আপনার সঙ্গিনীকে চিরতরে হারাতে পারেন। এ ব্যাপারে নারীরা ছাড় দেন না। তাই তাঁর প্রতি সত্ থাকতে হবে। তবেই জীবন হবে আনন্দময়।


সংগ্রহঃ ♥ দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ♥ প্রথম আলো♥

Friday, November 4, 2011

ইসলামিক নিয়মে পশু জবাইয়ে পশুর যন্ত্রণা ?

0 comments
আপনার কি মনে হয় ইসলামিক পশু জবাই পদ্ধতিটি খুব নি…ষ্ঠুর?
আসুন দেখা যাক, বিজ্ঞান কি বলে :

western world এ পশু জবাইয়ের প্রচলিত নিয়ম(CPB Method):

Captive bolt pistol(CPB ) নামের এক ধরনের যন্ত্র দ্বারা পশুর কপালে প্রচন্ড আঘাত করা হয়……ধারনা করা হয় এতে পশু unconcious হয়ে পড়ে এবং জবাইয়ের পর ব্যথা অনুভব করে না ……

গবেষণা :
জার্মানির Hanover University এর প্রফেসর Wilhelm Schulze এবং তার সহযোগী Dr. Hazim এর নেতৃত্বে একটি গবেষণা পরিচালিত হয় …গবেষনার বিষয়বস্তু ছিল : ১.western world এ প্রচলিত নিয়মে(CPB Method) এবং ২.ইসলামিক নিয়মে পশু জবাইয়ে পশুর যন্ত্রণা এবং চেতনাকে চিহ্নিত করা……

Experimental Setup:
brain এর surface কে touch করে পশুর মাথার খুলির বিভিন্ন জায়গায় surgically কিছু electrode ঢুকিয়ে দেয়া হয় …… পশুকে এরপর সুস্থ হওয়ার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়……তারপর পশুগুলোকে জবাই করা হয়……কিছু পশুকে ইসলামিক নিয়মে আর কিছু পশুকে western world এর নিয়মে…… জবাই করার সময় electroencephalograph (EEG) এবং electrocardiogram (ECG) করে পশুগুলোর brain এবং heart এর condition দেখা হয়……

Result:

ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাইয়ের ফলাফলঃ

১. জবাইয়ের প্রথম ৩ সেকেন্ড EEG graph এ কোন change দেখা যায় না ……তারমানে পশু কোন উল্লেখযোগ্য ব্যথা অনুভব করে না …
২. পরের ৩ সেকেন্ডের EEG record এ দেখা যায় , পশু গভীর ঘুম এ নিমগ্ন থাকার মত অচেতন অবস্থায় থাকে…… হঠাৎ প্রচুর পরিমানে রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যাবার কারনে brain এর vital center গুলোতে রক্তসরবরাহ হয়না………ফলে এই অচেতন অবস্থার সৃষ্টি হয়……
৩. উপরিউল্লিখিত ৬ সেকেন্ড এর পর EEG graph এ zero level দেখায় …… তারমানে পশু কোন ব্যথাই অনুভব করেনা ……
৪. যদিও brain থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না , তবুও heart স্পন্দিত হচ্ছিল এবং তীব্র খিঁচুনি হচ্ছিল (spinal cord এর একটা reflex action) । এভাবে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছিল এবং এর ফলে ভোক্তার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত মাংস নিশ্চিত হচ্ছিল ।

western world এ প্রচলিত পদ্ধতিতে(CPB Method) জবাইয়ের ফলাফলঃ

১. মাথায় প্রচন্ড আঘাত করার পরের মুহূর্তে পশুটিকে দৃশ্যত অচেতন মনে হচ্ছিল
২. কিন্তু EEG এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছিল পশুটি খুব কষ্ট পাচ্ছে ।
৩. ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাই করা পশুর তুলনায় CBP দিয়ে আঘাত করা পশুটির heart স্পন্দন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । যার ফলে পশুটির শরীর থেকে সব রক্ত বের হতে পারে নি । এবং ফলশ্রুতিতে, পশুটির মাংস ভোক্তার জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে যাচ্ছিল ।

western world এর পদ্ধতি(CPB Method) এবং MAD COW রোগঃ

Texas A & M University এবং Canada এর Food Inspection Agency একটা পদ্ধতি(Pneumatic Stunning) আবিষ্কার করেছে যেটাতে একটা metal bolt পশুর brain এ fire করা হয় এবং এর ফলে brain এর টিস্যু পশুর সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে । brain tissue এবং spinal cord হল Mad Cow আক্রান্ত গরুর সবচেয়ে সংক্রামক অংশ ।
এছাড়াও brain এবং heart এ electric shock এর মাধ্যমে পশুকে অচেতন করেও কিছু কিছু জায়গায় পশু জবাই করা হয় যেটা মাংসের quality এর উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে ।

ভারতীয় পদ্ধতিঃ

ভারতে পশুর মাথা এক কোপে আলাদা করে ফেলা হয় । এতে করে ঐচ্ছিক পেশীগুলো হঠাৎ করে সঙ্কুচিত হয়ে পরে যা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ তরল বের করে দেয় এবং heart হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শরীর থেকে রক্ত বের হতে পারে না , যা বের হওয়া স্বাস্থ্যকর মাংসের জন্য দরকার ।

এছাড়া ইসলামে spinal cord না কেটে শ্বাসনালী , এবং jugular vein দুটো কাটার
ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে । এর ফলে রক্ত দ্রুত শরীর থেকে বের হয়ে যেতে পারে । spinal cord কাটলে cardiac arrest এর সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রক্ত শরীরে আটকে যাবে যা রোগজীবানু এর উৎস ।

এখানে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর একটি হাদীস মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করছিঃ “আল্লাহ সবাইকে দয়া করার হুকুম দেন । তাই যখন জবাই কর তখন দয়া কর । জবাই করার পূর্বে ছুরিতে ধার দিয়ে নাও যাতে পশুর কষ্ট কম হয়” । তিনি পশুর সামনে ছুরিতে শান দিতে বা এক পশুর সামনে আরেক পশুকে জবাই করতেও নিষেধ করেছেন । এই জিনিস্টা কুরবানীর সময় আমারা ভুলে যাই ।

সবশেষে , আমরা কি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে পশু জবাই করার ইসলামিক পদ্ধতিটিই সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত এবং পশু এবং পশুর মালিক উভয়ের জন্যই উপকারী?

সংগ্রহে: আলোকবর্ষ

Friday, October 28, 2011

রাজেন্দ্রবাবুর জমিদারবাড়ি, সুনামগঞ্জ, সিলেট

1 comments
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত 'পাইলগাঁও' গ্রাম। স্থানীয় লোকমুখে শোনা বাবুর বাড়ির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায় এই বাড়িটির বয়স আনুমানিক ২০০ বছরেরও বেশি। তৎকালীন প্রতাপশালী জমিদার ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী এ বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাড়িটি '’রাজেন্দ্রবাবুর বাড়ি’ নামে'ই পরিচিতি লাভ করে এবং সংক্ষিপ্তভাবে '’বাবুর বাড়ি’' নামেই এখন এটি স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক পরিচিত।













বৃহত্তর সিলেট বিভাগের হলদিপুর, পাইলগাঁও, জগন্নাথপুর এবং বানিয়াচং এলাকা নিয়ে রাজেন্দ্রবাবুর বিশাল জমিদারী ছিল। এই বাড়ি থেকেই তিনি জমিদারী পরিচালনা করতেন। মোট বাড়ির সংখ্যা এখানে তিনটি। প্রথমটি বৈঠকখানা, তারপরেই কাচারীঘর এবং একদম ভিতরে অন্দরমহল। অন্দরমহলের পাশেই একটি জেলখানা রয়েছে। পুকুর রয়েছে দু’টি। একটি বৈঠকখানার বড়বাড়িটির সামনেই। আরেকটি ভিতরে অন্দরমহলের পিছনদিকে। অন্দরমহলের পাশেই রয়েছে রান্না করার জন্যে সুবিশাল এক রান্নাঘর। বৈঠকখানার বড়বাড়িটির সামনে রয়েছে একটি মন্দির। অযত্ন আর অবহেলায় মন্দিরটি ঘন গাছপালায় ঢেকে গিয়েছে। এখানে এখন বড় বড় সাপ এবং অন্যান্য সরীসৃপের বসবাস।

লোকমুখে শোনা যায়, রাজেন্দ্রবাবুর একটি মাত্র মেয়ে ছিল যিনি অজানা রোগে ভুগে মারা যান। তারপর দেশবিভাগের সময় বাবু এই জমিদারী ছেড়ে দিয়ে একেবারের জন্যে ভারতে চলে যান। বর্তমানে সিলেটপ্রবাসী জনাব আজমল হোসেন এই বাড়ি এবং বাড়ি সংলগ্ন জমি-জমা সরকার থেকে লীজ নিয়েছেন। অন্দরমহলের বাড়িটিতে বর্তমানে তিনটি পরিবার বাস করছে যাদের নিজস্ব কোন বাড়িঘর নেই।
পাইলগাঁও গ্রামে জমিদার রাজেন্দ্রবাবু '’পাইলগাঁও ব্রজনাথ উচ্চবিদ্যালয়'’ নামে নিজের নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। শোনা যায়, তাঁর স্ত্রী রাণীর নামে রাণীগঞ্জ বাজারের নামকরণ হয়েছে। বর্ষায় হাওড় এ অঞ্চলে চলাচলের জন্য তাঁর নিজস্ব পানশী নৌকা ছিল। আর শুকনার সময় তিনি ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করতেন।
কিভাবে বাবুর বাড়িতে যাওয়া যাবে?
ঢাকা থেকে গ্রীনলাইনের এসি বাসে রাত সোয়া বারোটায় উঠলে ভোর ৬ টায় সিলেটের হুমায়ূনরশিদ চত্ত্বরে নামিয়ে দেবে। সিলেটের কীন ব্রিজের (পুলের মুখ) ওপার থেকে জগন্নাথপুরগামী সিএনজিতে ৫ জনের শেয়ারে জনপ্রতি ৮০ টাকা করে সরাসরি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌরপয়েন্টে পৌঁছতে প্রায় ২ ঘন্টা লাগবে। আর রিজার্ভ সিএনজি ৪০০ টাকার কমে যাবেনা। জগন্নাথপুর বাসকাউন্টার থেকেও জনপ্রতি ৪৫ টাকা করে জগন্নাথপুর উপজেলায় যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে প্রায় আড়াইঘন্টা সময় লাগবে। জগন্নাথপুর পৌঁছানোর পর রিক্সাযোগে পৌরপয়েন্টে পৌঁছাতে হবে।

পৌর পয়েন্ট থেকে রানীগঞ্জের রাস্তায় রিজার্ভ (১২৫ টাকা) বা শেয়ার সিএনজিতে (২০ টাকা জনপ্রতি) হাবিবপুর ফেরিঘাট পার হয়ে শিবগঞ্জ বাজারে পৌঁছাতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগবে। সেখান থেকে ডিঙ্গি নৌকায় ইটাখোলা নদীতে ঘন্টাখানেক যাবার পর একটা ঘাটে মাঝি নামিয়ে দেবে যেখান থেকে আরও প্রায় ৪০ মিনিট পথ হেঁটে তারপর পাইলগাঁও গ্রামে পৌঁছাতে হবে। ফেরার সময়ও একই রাস্তা। হাতের ডানপাশে পড়বে কুশিয়ারা নদী। তবে এবার ঘাটে ডিঙ্গি নৌকা না পাওয়া গেলে প্রায় একঘন্টার মতো হেঁটে শিবগঞ্জ বাজারে আসতে হবে। সেখান থেকে শেয়ার অথবা রিজার্ভ সিএনজিতে জগন্নাথপুর।

লিখেছেন: পয়গম্বর

Monday, October 10, 2011

কিডনি ভালো রাখাতে

0 comments
কিডনির সমস্যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। সমস্যাটির প্রথম সমাধান হলো প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া। এরপরে আসে নানারকম সতর্কতার ব্যাপার। সেই সতর্কতাগুলো তুলে ধরা হলো-

++ ডায়রিয়া, বমি, রক্তআমাশয়, পানিশূন্যতায় অতিদ্রুত চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে—এগুলোর মাধ্যমে কিডনি বিকল হতে পারে।

++ চিকিত্সকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশকসহ যেকোনো ওষুধ গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

++ মাঝে মাঝে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।

++ পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

++ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

++ ধূমপান বর্জন করুন।

++ ডায়াবেটিক আক্রান্তরা নিয়মিত শর্করা ও রক্তের অ্যালবুমিন পরীক্ষা করুন।

++ উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

++ প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

++ শিশুদের গলাব্যথা, খোস-পাঁচড়ার দ্রুত চিকিত্সা করানো উচিত। কারণ এগুলো থেকে কিডনি প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে।

মাউথওয়াশ

0 comments
আমরা অনেকে ঘুম থেকে উঠার পর ব্রাশ না করে মাউথওয়াশ ব্যবহার করি। এখন প্রশ্ন হলো মাউথ ওয়াশ কী? মাউথ ওয়াশ হলো ওষুধসমৃদ্ধ একটি অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ, যা মুখে নিয়ে কুলি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ কর্তৃক মাউথওয়াশকে প্রধানত তিন ভাগে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছে, কসমেটিক মাউথওয়াশ এবং রাপিউটিক মাউথওয়াশ। আসুন জেনে নিই এর ব্যবহারগুলো।
মাউথওয়াশের উপাদানগুলো :বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত মাউথওয়াশে যেসব উপাদান ব্যবহূত হয়ে থাকে সেগুলো হলো—থাইমল, ইউক্যালিপ্টল, হেক্সিটিডিন, মিথাইল স্যালিসাইলেট, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ক্লোরোহেক্সিডিন গ্লুকোনেট, ফ্লোরাইড, পোভিডন আয়োডিন ইত্যাদি।

মাউথওয়াশ কীভাবে ব্যবহার করবেন?

++ মাউথওয়াশ ব্যবহারের আগে দাঁত ব্রাশ এবং ডেন্টাল ফ্লসিং করে নেওয়া ভালো।

++ ২ চামচ পরিমাণ সমপরিমাণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা চিকিত্সক কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

++ মাউথওয়াশ ৩০ সেকেন্ডের জন্য মুখের অভ্যন্তরে রেখে কুলি করতে হবে। তবে ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশের ক্ষেত্রে ১ মিনিট কুলি করতে হবে।

++ মাউথওয়াশ ব্যবহারের ৩০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া বা ধূমপান করা ঠিক নয়। অন্যথায় মাউথওয়াশের কার্যকারিতা অনেকাংশে হ্রাস পায় অথবা নষ্ট হয়ে যায়।

অতিরিক্ত বা যথাযথ মাউথওয়াশ ব্যবহার না করলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সেগুলো হলো—

++ মুখের স্বাদের পরিবর্তন আসতে পারে। মুখের স্বাদের এ পরিবর্তন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার জন্য হতে পারে আবার ক্ষেত্রবিশেষে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
++ দাঁতে দাগ পড়তে পারে।
++ মুখের অভ্যন্তরে শুষ্কভাব বিরাজ করতে পারে।
++ অতিরিক্ত ব্যবহারে মুখে ঘা বা আলসার দেখা যেতে পারে।

পায়ের যত্ন

0 comments
ভাবুন তো আপনার পুরো শরীর যখন পায়ের উপর দণ্ডায়মান তখন আপনার পায়ের যত্নটা ঠিক কতটুকু নেওয়া উচিত। মূলত পায়ের ওপর ভর দিয়েই আমাদের দৈনন্দিনের পথচলা। তাই সারা বছরই দু’খানি পায়ের চাই বাড়তি পরিচর্যা। গ্রীষ্মের শেষের এ সময়টায় প্রকৃতিতে ধুলাবালির যেমন রাজত্ব, তেমনি হঠাত্ আকাশ ভেঙে নামা বৃষ্টির পানি আর কাদারও সমান উত্পাত। তাই এ সময় পা সুন্দর রাখতে কর্মব্যস্ততার ফাঁকে বের করে নিন খানিকটা সময়।
++ যদি সময় থাকে, কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ ও শ্যাম্পু দিয়ে ১০ মিনিট পা চুবিয়ে রেখে ঝামা পাথর দিয়ে পা দু’খানি ঘষে নিন।

++ বাইরে যাওয়ার আগে রোদের প্রকোপ থেকে পা বাঁচাতে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন।
++ ফিতাওয়ালা জুতা পরতে পারেন। ফিতার ফাঁকে ফাঁকে বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে পায়ে ঘাম হবে না।
++ পা ভেজা রাখবেন না। ধোয়ার পর পা মুছে তাতে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
++ যাদের পায়ে ঘাম হয়, তারা একেবারে খোলা জুতা বেছে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পায়ে ধুলাবালু যথাসম্ভব কম লাগানোর চেষ্টা করুন।
++ পায়ে ধুলাবালু বা কাদা-পানি লাগলে যত দ্রুত সম্ভব পা পরিষ্কার করুন।
++ বাসার মেঝে পরিষ্কার রাখুন। বাসায় খালি পায়ে হাঁটা ভালো। এতে শরীর তাপ নিঃসরণের সুযোগ পায়।
++ সারা দিনের কাজ শেষে বাসায় ফিরে হালকা কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
++ অফিসে পৌঁছে একটি আরামদায়ক স্যান্ডেল পরে নিতে পারেন।

++ পা ফাটার প্রবণতা যাদের, তারা ঝামা পাথর দিয়ে শুষ্ক চামড়া ঘষে তুলে ভ্যাসলিন মেখে নিন রাতে।
++ রোদে পোড়া দাগ যদি পায়ে পড়েই যায়, তবে কাগজি লেবুর খোসা, রসসহ ঘষলে উপকার পাবেন।
++ পা পরিষ্কারের সময় নখের ময়লা তুলে ফেলুন ভালোভাবে।
++ যাদের পা ঘামে, তারা ধনেপাতা ও পুদিনা পাতার স্যুপ খান। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে, ঘামও কম হবে।
++ সানস্ক্রিন লোশনে অ্যালার্জি থাকলে তিলের তেল লাগাতে পারেন এর পরিবর্তে।
++ কম মসলাযুক্ত খাবার খান। তবে হলুদ ও জিরা রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
++ সপ্তাহে এক দিন পায়ে একটা স্ক্রাব লাগান।
++ মসুর ডাল, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস, দুধ ও এক চামচ ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

++ পায়ের জুতা যথাসম্ভব সামনের দিকে বদ্ধ রাখুন। পেছন দিকে খোলা রাখুন, যাতে বাতাস ঢুকতে পারে।
++ মাসে একবার পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করে নেওয়া ভালো। এই তো! এবার জুতার আড়ালে পা নয়, বরং আপনার সুন্দর দু’খানি পায়ের আড়ালে সুন্দর জুতা।

লেখক: তামান্না শারমিন

ব্যাংক

0 comments
Bank শব্দটি এসেছে ইতালিয়ান ভাষা থেকে। তবে তখন শব্দটির মানে ছিল বর্তমানে প্রচলিত অর্থ থেকে ভিন্ন। তখন Bank মানে বুঝানো হতো 'moneychanger' এর টেবিলকে। মধ্যযুগীয় ইতালির প্রত্যেক শহরে প্রচলিত ছিল আলাদা আলাদা মুদ্রা। যেমন মিলান থেকে একজন মানুষ ফ্লোরেন্সে এলে তাকে প্রথমে ফ্লোরেন্সের মুদ্রা কিনতে হতো।
আর moneychanger-এর কাছে নানা শহরের মুদ্রা পাওয়া যেত। পৃথিবীর টাকা-কড়ির ইতিহাসে moneychanger এবং তার ...টেবিলটার গুরুত্ব ছিল অনেক। কারণ পরবর্তী সময়ে এরা সুদে টাকা ধার দিত। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেদের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করত। আধুনিক যুগের Bank শব্দের পূর্ব নাম হলো moneychanger-এর টেবিল, কথাটি অবিশ্বাস্য হলেও একেবারেই সত্য।

Monday, October 3, 2011

সিলজান হ্রদ

1 comments
সিলজান। বড্ড রূপসী। একটি হ্রদ। এটি সুইডেনের ষষ্ঠ বৃহত্তম হ্রদ। হ্রদ এবং হৃদ এলাকা একটি জনপ্রিয় পর্যটক-আকর্ষক স্থান। শুধু সুইডেনেই নয়, সারা ইউরোপেই এর নৈসর্গিক শোভার খ্যাতি।
মধ্য সুইডেনের ডালারনায় হ্রদটির অবস্থন। হ্রদের চিত্রময়তায় ভরা প্রকৃতি যেন হাতছানি দেয়। সূর্যাস্তের সময় মনে হয়, সূর্যটি যেন এর হলদে আভার সবটুকু নিয়ে হ্রদে নামছে, গলে পড়ছে এর সবটুকু হলুদাভ রূপমাধুরী হ্রদ-এলাকার সবটুকুজুড়ে।

গ্রীষ্মকালে হ্রদের ওপরের নীলাকাশে ঘুরে বেড়ায় উজ্জ্বল সাদাটে মেঘমালা। এতে হঠাৎ দেখায় অনেকের মনে হতে পারে কোনো রূপসী পরী যেন উড়ে যাচ্ছে দূরে, বহু দূরের দেশে। হ্রদের সুশ্যামল ও স্বচ্ছ সবুজ জলের মায়াবী টান দৃশ্যকে দান করে পরিপূর্ণতা। হেমন্তেও হ্রদের রূপ থাকে বর্ণিল ও অমলিন।
হ্রদের ধারে হেঁটে বেড়িয়ে কিংবা নৌকায় ভ্রমণ করে প্রকৃতির সুধা পান হতে পারে কারো জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন অভিজ্ঞতা। এতে মন ভরে, চোখ জুড়ায়। আহ! হ্রদ তুমি!
সিলজানের আয়তন প্রায় ৩৫৪ বর্গকিলোমিটার। এর সর্বোচ্চ গভীরতা ১২০ মিটার। সাগরসমতল থেকে হ্রদের উচ্চতা ১৬১ মিটার। হ্রদের তীরের সবচেয়ে বড় শহর মোরা।

-মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্

ক্যাডমিয়াম

0 comments
ক্যাডমিয়াম ও রূপার সঙ্কর রূপার চেয়েও উজ্জ্বল সাদা হয়। এটি খুব ভালো পালিশ করা যায়। তাই রূপার আধার ও গহনা তৈরি করা হয় এই সঙ্কর দিয়ে। সোনা, রূপা বা তামার সাথে ক্যাডমিয়াম মিশিয়ে অলঙ্কার এবং মূল্যবান শৌখিন দ্রব্য তৈরি করা যায়। টিন, দস্তা ও ক্যাডমিয়ামের সঙ্কর কাজে লাগে অ্যালুমিনিয়াম ও ব্রোঞ্জ রাং ঝালাইয়ের কাজে। হলুদ রঙ তৈরি করতে ক্যাডমিয়াম সালফাইড ব্যবহার করা হয়।

চিনি- ১৪২ রোগের কারণ

0 comments
চিনি একটি অপ্রাকৃতিক তথা রাসায়নিক উপাদান। শিল্প কারখানায় রিফাইনিং পদ্ধতিতে আখের রস থেকে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর করে চিনি (সুক্রোজ) তৈরি করা হয়। চিনি তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটা হেরোইন তৈরির মতো। হেরোইন তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে পপি গাছের বীজ থেকে অপিয়াম আলাদা করা হয়। তারপর অপিয়ামকে রিফাইন করে মরফিন এবং মরফিনকে আবার রিফাইন করে তৈরি হয় হেরোইন। ঠিক একইভাবে আখ বা বিট থেকে রস বের করে তা রিফাইন করে তৈরি হয় মোলাসেস। তারপর একে রিফাইন করে তৈরি হয় ব্রাউন সুগার এবং সবশেষে রিফাইন করে সাদা স্বচ্ছ চিনি (C12H22O) তৈরি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় চিনিকে বহু রোগের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণা মতে, চিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করা ছাড়াও দেহের খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট করে, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি কমায়, এসিডিটি তৈরি করে, অকালে বার্ধক্য আনে। শুধু তা-ই নয়, এজমা, পিত্তপাথর, লিভার টিউমার, অশ্ব, দন্ত, এলার্জি, চোখের ছানি, মাইগ্রেন, স্মৃতিলোপ, গ্যাস্ট্রিক, আর্থটিটিস, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ ১৪২টি রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চিনি। চিনির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো খুব অল্প সময়ে চোখে পড়ে না। তাই সহজে এর ক্ষতি উপলব্ধিতে আসে না। আমাদের খাদ্য তালিকায় যে শর্করা থাকে তাতে যে পরিমাণ চিনি বিদ্যমান থাকে তা দেহের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। প্রথমে এই চিনি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় এবং পরে দেহে শক্তি উৎপাদন করে। যখন দেহে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের জন্য উপকারী না হয়ে বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, কার্বোনেটেড ড্রিংকস এবং অন্যান্য সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস এবং প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাবারে অতিমাত্রায় চিনি থাকে। আমরা রোগের জন্য সব সময় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য প্যাথোজেনকে দায়ী করি এবং চিনিকে করি না। কারণ চিনির প্রভাব দ্রুত আমাদের শরীরে পড়ে না। কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, অনেক ক্যান্সার রোগীর অবস্থা উন্নত হয় শুধু ক্যান্সার ফুয়েল গ্লুকোজের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করা সম্ভব। ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়েট, ব্যায়াম, সাপ্লিমেন্ট, মেডিকেশন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মেডিসিনের মহৎ ব্যক্তি জার্মান অটো ওয়ারবার্গ ১৯৩১ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন, স্বাস্থ্যকর কোষ বা হেলথি সেলের চেয়ে গঠনগতভাবে ক্যান্সার কোষের বিপাকীয় শক্তি আলাদা। তার থিসিসের মূল কথা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার অবায়বীয় গ্লাইকোলাইসিস পদ্ধতিতে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এ পদ্ধতিতে ক্যান্সার কোষগুলো জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ব্যবহার করে উপজাত হিসেবে যে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে তা স্বাভাবিক কোষে হয় না।


ডা. আলমগীর মতি বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক

অ্যালকোহলে যত ক্ষতি

0 comments
ধর্মীয় বা সামাজিক বিধিবিধানের বাইরেও স্বাস্থ্যের ওপর মদ বা অন্য অ্যালকোহলসমৃদ্ধ পানীয়ের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বেশি অ্যালকোহল পান করলে হ্যাংওভার হয়। শরীর দুর্বল লাগে। চেহারা-সুরতেও পড়ে বাজে ছাপ। তবে এটা কেবল অ্যালকোহলপানের পরের দিনের সকালের অবস্থা।
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ওপর এর কী প্রভাব পড়ে? সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার ফল বলছে, শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বেশ ক্ষতি করে অ্যালকোহল। প্রাণঘাতী ব্যাধি ক্যানসারের বড় কারণ এটি। এ ছাড়া প্রজননক্ষমতা হ্রাস, জন্মগত ত্রুটি ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাসসহ বহু ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে অ্যালকোহল।

অতিরিক্ত অ্যালকোহলপানে দীর্ঘ মেয়াদে স্তন ক্যানসার, মুখের ক্যানসার, হূদেরাগ, স্ট্রোক ও যকৃতের (লিভার) সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অ্যালকোহল ও যকৃতের সমস্যার ব্যাপারটি কমবেশি অনেকেই জানেন। বিজ্ঞানীরা শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপরও এর প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণা করছেন।

ক্যানসার রিসার্চ ইউকে নামের যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান এ বছর তাদের একটি গবেষণার ফল চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী বিএমজেতে প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, অ্যালকোহলের কারণে যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ১৩ হাজার মানুষের ক্যানসার হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দিনে প্রতি ১০ গ্রাম বাড়তি অ্যালকোহলের জন্য স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ৭ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ে। অন্ত্র ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অ্যালকোহল পান সপ্তাহে ১০০ গ্রাম বাড়ালে এ রোগের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ বাড়বে।

মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের গবেষক কে জি প্যাটেল বলেন, অ্যালকোহল ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি বলেন, যে পর্যন্ত শরীরের ডিএনএতে পরিবর্তন না ঘটে, সে পর্যন্ত কারও ক্যানসার হবে না। মদ্যপান করলে অ্যালকোহল শরীরে ঢুকে অ্যাসিটালডিহাইডে পরিণত হয়। এটি একটি বিষাক্ত উপাদান এবং তা ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে শরীরকে ক্যানসারের পথে ঠেলে দেয়।

ইমিউনোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যালকোহল শরীরের ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বাড়তি অ্যালকোহলপানে মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্মৃতিশক্তি। কমে যেতে পারে প্রজননক্ষমতা। গর্ভাবস্থায় কোনো নারী মাত্র একবার অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলেও তাঁর সন্তানের জিনের কাঠামোয় স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এমনকি অল্প মাত্রায় পান করলেও নারীদের সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে বেশি পান করলে পুরুষের শুক্রাণুর মান ও পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন জেনারেল হাসপাতালের যকৃত বিভাগের বিশেষজ্ঞ নিক শেরন বলেন, যুক্তরাজ্যে যকৃত ক্যানসারে মৃত্যুর হার গত ২০-৩০ বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে। ৮০ ভাগের মৃত্যু হয়েছে শুধু অ্যালকোহলের কারণে।

ইতিমধ্যেই হূৎপিণ্ডসংক্রান্ত গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত অ্যালকোহল পানের ফলে হূদেরাগের ঝুঁকি কমে। কেননা এতে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং ধমনিতে রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ হয়। দিনে তিন মাত্রার বেশি অ্যালকোহল পান করলে হূৎপিণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

বিবিসি

Wednesday, September 28, 2011

স্কুল

0 comments
School এই শব্দের মূল অর্থটা জানলে আজকের যুগের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনাই বন্ধ করে দিতে চাইবে।

School শব্দটা এসেছে গ্রিক থেকে। যার অর্থ ছিল 'অবসরযাপন'। তখন এই শব্দটা দিয়ে এমন এক সময়কে বুঝানো হতো, যখন সৈন্যদের আর যুদ্ধে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কৃষক মুক্তি পেত কৃষি কাজ থেকে। ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ, অর্থাৎ পুরোপুরি অবসরযাপন। ওই সময় স্কুলে গেলেও পড়াশোনার কোনো ঝামেলা ছিল না। বই সঙ্গে নিলেও সেটা না খুললেও চলত। এসব স্কুলে যাওয়ার সুযোগ মিলত ধনীর ছেলে-মেয়েদের। তারা ওইসময় গল্প-গুজবের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু শিখে ফেলত। পরবর্তী সময়ে তারা ভালো চাকরি পেত।

এটা দেখে অনেক মা-বাবাই চাইলেন তাদের ছেলেমেয়েরাও স্কুলে যাক। সময়ের পরিক্রমায় School হয়ে উঠল জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু, যা এক সময় ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে।

আলেকজান্দ্রিয়া বাতিঘর

0 comments
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় তৈরি হয় এ অনন্য স্থাপত্যকীর্তি। প্রথমে বন্দরের পরিচিতি চিহ্ন হিসেবে এটি তৈরি করা হলেও পরবর্তীতে বাতিঘর হিসেবে কাজ করে। বাতিঘরের মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিল ১১০ বর্গফুট। উচ্চতা ছিল ৪৫০ ফুট। ৫০ মাইল দূর থেকেও এটি দেখা যেত। দ্বাদশ শতকে প্রবল ভূমিকম্পে বাতিঘরটি ভেঙে পড়ে।
হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীতে প্রযুক্তির ব্যবহার যখন খুব সীমি...ত ছিল, তখন বিশাল এবং কঠিন কোনো স্থাপনার কাজে হাত দেওয়াটা ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। তারপরও তারা তা করেছেন। অনেক অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছেন তারা, যা ভাবতে গেলে আজো অবাক হতে হয়। প্রাচীন যুগে মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল জলপথ। জলপথ দিয়েই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। কিন্তু এই জলপথে চলাচল করা ছিল অত্যন্ত কঠিন। পদে পদে বিপদের সম্মুখীন হতে হতো। এখানে জলদস্যুর যেমন ভয় ছিল, তেমনি ঘনকুয়াশা কিংবা রাতের অন্ধকারে অথৈ জলরাশির মাঝে নাবিকদের পথ হারিয়ে ফেলা ছিল একেবারেই সাধারণ ব্যাপার। এ নিয়ে প্রাচীন শাসকরাও সবসময় থাকতেন আতঙ্কগ্রস্ত। তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় যে কোনো শাসকরা খোঁজেননি, তা কিন্তু নয়। গ্রিক সম্রাট টলেমি এ সমস্যার কথা জানতে পারলেন। তিনি ছিলেন মিসরের রানী ক্লিওপেট্রার বাবা। সমস্যার সমাধানে তিনি পথ খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে ২৭০ অব্দে ভূমধ্যসাগর উপকূলে আলেকজান্দ্রিয়ায় নির্মিত হলো একটি বাতিঘর। এ বাতিঘরটি প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। বাতিঘরটির মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিল ১১০ ফুট। উচ্চতা ছিল ৪৫০ ফুট। মূল দেহের চারদিক দিয়ে পেঁচানো ছিল সিঁড়ি। এ সিঁড়ি বেয়েই উপরে ওঠা হতো। বাতিঘরটি তৈরির সময় ৪৫০ ফুট উঁচুতে যে বিশাল অগি্নকুণ্ড জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাতিঘরটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ তাকে নিভতে দেখেনি। প্রায় ৫০ মাইল দূর থেকেও বিশাল অগি্নকুণ্ড মানুষের চোখে পড়ত। আলেকজান্দ্রিয়ার এ বাতিঘরটি বহুকাল ধরে সমুদ্রগামী হাজার নাবিককে পথ দেখিয়েছে। পথ দেখিয়েছে পৃথিবীর দেশে দেশে সমুদ্র উপকূলে বাতিঘর তৈরির। কিন্তু পৃথিবীর কোনো সৃষ্টিই চির অমর নয়। যে কোনো কারণেই হোক সব সৃষ্টিই এক সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ধ্বংস হয়েছে আলেকজান্দ্রিয়ার সেই বাতিঘরও। ১২০০ শতকে এক প্রচণ্ড ভূমিকম্পে বাতিঘরটি ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের এই নিদর্শনও।

মেনওয়িদ হিল

0 comments
সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল।এটি ইংল্যান্ড এর ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত একটি মিলিটারি বেইজ, যেটি ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত।আমেরিকা আর ইংল্যান্ড কে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এটি তৈরি করা হয়।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশান এখানেই রয়েছে।তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এতটাই জটিল সাধারণ মানুষের ওই পুরো এলাকায় ঢুকা এক্কেবারেই অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। রোমান্সপ্রিয় কেউ যদি সে সপ্ন কখনো দেখেও থাকে তা স্রেফ আকাশকুসুম কল্পনাই হবে।

হাওয়াই মিঠাই

0 comments
সর্বপ্রথম হাওয়াই মিঠাইয়ের ধারণা নিয়ে আসেন উইলিয়াম মরিসন ও জন হোয়ারটন নামের দুই ভদ্রলোক। তারা আমেরিকার টেনেসিতে থাকতেন। এমনিতেও দু’জনে মজার মজার ক্যান্ডি বানাতেন, সেটাই ছিল তাদের
পেশা। ১৮৯৭ সালে তারা দু’জনে মিলে একটা মেশিন আবিষ্কার করলেন।
মেশিনটা একটা ঘুরন্ত বাটি, যার মাঝখানে থাকবে একটা ছিদ্র।
প্রথমে চিনির সিরাকে গরম করে বাটিতে রাখা হতো। বাটিটা ঘুরালেই সেই সিরা বাটির... ছিদ্র দিয়ে পালকের
মতো হালকা হয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে। এই পুরনো প্রক্রিয়াতেই কিন্তু এখনো হাওয়াই মিঠাই বানানো হয়।
প্রথমদিকে মরিসন এবং জনের এই মজার খাবার বেশি জনপ্রিয় হয়নি।
ঢালাওভাবে এর পরিচয় বাড়ে ১৯০৪ সালে। সে বছর সেন্ট লুইস নামক এক
মেলায় তারা নিয়ে আসেন এই অদ্ভুত ক্যান্ডি। প্রতিটি মাত্র ২৫ সেন্ট, তাতেই ৬৮ হাজার ৬৫৫টি হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়ে যায় এক লহমায়। তারপর সবাই হয়ে যায় এর ভক্ত। ১৯২০
সালে এর নাম রাখা হয়ে ‘কটন ক্যান্ডি’। তবে যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় ‘রেশমি মিঠাই’।

Monday, September 26, 2011

প্রতিদিন একটি কমলা

0 comments
বয়সকে বেঁধে রাখার চেষ্টা চলছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। প্রচার মাধ্যমগুলোতেও তারুণ্যকে বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে থাকছে নজরকাড়া সব বিজ্ঞাপন। এই সব ঝক্কি-ঝামেলায় মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন এক আশা জাগানিয়া তথ্য। দিনে একটি মাত্র কমলাই আপনার তারুণ্যকে ধরে রাখবে বহুদিন। এক পরীক্ষা থেকে জানা যায়, সাইট্রাস খাবার প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে পাকস্থলী, ল্যারিংক্স ও মুখের ক্যান্সার ৫০ শতাংশ কমে যাবে। আর এই সাইট্রাস খাবারের সবচেয়ে বড় উত্স কমলালেবু। বিশেষজ্ঞরা তাই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কমলালেবুকেও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন। কমলালেবুতেই আছে প্রায় ১৭০ রকমের ভিন্ন ভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতেও সাহায্য করে। কমলার এই উপাদানগুলো ধমনিতে চর্বি জমতেও বাধা দেয়। এই কমলাতেই আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় বহু গুণ। একটি মাত্র কমলায় থাকে প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এই ভিটামিনটি পানিতে দ্রবীভূত হয় বলে অপ্রয়োজনীয় অংশটুকু শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই একদিনে বেশি না খেয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে একটি কমলা খান।

দই

0 comments
সুস্থ থাকতে সবাই চাই। কিন্তু আমরা কি সবসময় সুস্থ থাকতে পারি? মনে হয়—না। কিন্তু অসুখ-বিসুখ থেকে রেহাই পেতে তো চাই। দেহ নীরোগ, সুস্থ-সবল ও কর্মঠ রাখতে হলে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি। আর এজন্য প্রয়োজন নিজের প্রতি সচেতন হওয়া এবং ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ। প্রতিদিন কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই কিন্তু নীরোগ ও কর্মঠ শরীর নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। আজ আমরা টক দই খাওয়ার উপকারিতা জানব। দই একটি দুগ্ধজাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। টক দই অত্যন্ত পুষ্টিকর, এতে আছে দরকারি ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। টক দইতে দুধের চাইতে বেশি ভিটামিন ‘বি’, ক্যালসিয়াম ও পটাশ আছে। এতে কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও ফ্যাট নেই। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে ও রোগ সারাতে সাহায্য করে।

দই খাওয়ার উপকারিতা

++ দইতে ল্যাটিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যান্সার কমায়।

++ এটি হজমে সহায়তা করে।

++ টক দইতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ আছে যা হাড় ও দাঁতের গঠনে ঠিক রাখতে ও মজবুত করতে সাহায্য করে ।

++ কম ফ্যাটযুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়।

++ দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজেচ ও কম সময়ে হজম হয়। তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন ।

++ টক দই রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে।

++ উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেয়ে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ।

++ ডায়বেটিস, হার্টের অসুখের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেয়ে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

++ টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া বা অকাল বার্ধক্য রোধ করে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

++ওজন কমাতে কম ফ্যাটযুক্ত ও চিনি ছাড়া টক দই খাবেন।

লক্ষ রাখুন

++ টক-জাতীয় খাবার গরম অবস্থায় এবং রাতে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

++ দই, পেয়ারা, শসা, ক্ষীরা, কলা, শাক ইত্যাদি রাতে কখনই খাওয়া ঠিক নয়।

++ দইয়ের পর কোনো সফ্ট ড্রিঙ্কস পান না করাই উচিত। কারণ এতে দইয়ের উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

তেল

0 comments
খাদ্যের বড় শক্তি হলো তেল। তেল ছাড়া বাঙালিদের রান্নাই হয় না। খাদ্য সামগ্রীর অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে ভোজ্যতেল। রান্না সুস্বাদু করা ছাড়াও ভোজ্যতেল শরীর সুস্থ ও সবল রাখে। তাই খাদ্য তালিকায় ভোজ্যতেল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চলতি বাজারে নানা রকমেরই তেল পাওয়া যায়। বিশেষ করে নানা রকমের ফুডস্টোরের বদৌলতে সাধারণ মানুষ নানা ধরনের তেলের নামের সাথে পরিচিত। কিন্তু ঠিক কোন তেল স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই নিরাপদ তা জেনে রাখা একান্তই জরুরি। তাই নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন নওশীন শর্মিলী

সয়াবিন

সয়াবিন হলো এক প্রকারের শুঁটিজাতীয় উদ্ভিদ। এটির আদি নিবাস পূর্ব এশিয়াতে। এটি একটি বাত্সরিক উদ্ভিদ। রান্নায় অতিরিক্ত চর্বিবিহীন সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি খাবার দেহের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের প্রাথমিক উত্স। সয়াবিন তেলের রান্না বেশি খেলে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। জাপানি একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। সয়াবিনের আইসোফ্লেবনস খাদ্যগুণ হরমোনে অ্যাস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে। সে সঙ্গে বুক ও প্রোস্টেটের হরমোন-সংশ্লিষ্ট ক্যান্সারবিরোধী উপাদানও সয়াবিনে থাকতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

সর্ষের তেল

সরিষার বীজ নিষ্পেষণ দ্বারা প্রস্তুত এই তেল। এই তেল রান্নার জন্যে এবং গায়ে মাখা বা মালিশ করার কাজে ব্যবহার হয়। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের জন্যে সর্ষের তেলের রান্নার আলাদা বিশেষত্ব আছে। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের কারণ অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট নামক একটি উদ্বায়ী সালফারযুক্ত যৌগ। সর্ষের তেল যদি জলের সংস্পর্শে না আসে তাহলে কিন্তু তাতে ঝাঁঝ হয় না। তাজা সর্ষের তেলে অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট থাকে না, থাকে সিংগ্রিন নামে তার গ্লুকোসিনোলেট যৌগ। জল বা অ্যাসিডের সাথে মিশ্রণ বা আলোড়নের ফলে মাইরোসিনেজ নামে একটি উেসচক সক্রিয় হয়ে সিংগ্রিন থেকে গ্লুকোজ আলাদা করে দিয়ে ঝাঁঝালো অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট তৈরি করে। সর্ষের তেলকে পাতন করলেও উচ্চতাপে মাইরোসিনেজ সক্রিয় হয়ে যায় ও অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট উবে যায়, পরে তাকে ঘনীভূত করে এই গন্ধ তেল (অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট) পাওয়া যায়। অ্যালাইল আইওডাইড ও পটাসিয়াম থায়সায়ানেটের রাসায়ানিক বিক্রিয়া দ্বারাও কৃত্রিমভাবে এটি প্রস্তুত করা যায়। এটিকে কৃত্রিম সর্ষের তেল বলে। এটি খাবারে সর্ষের তেলের গন্ধ দেবার জন্যে ব্যবহার হয়।

মাছের তেল

সামুদ্রিক মাছের তেলে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের হাত থেকে রক্ষা করে। সমপ্রতি বিজ্ঞানীরা এর আরও বেশ কয়েকটি উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন। সামুদ্রিক মাছ, যেমন—টুনা ও এর সমগোত্রীয় মাছগুলো যারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন খাবেন, তারা ডিমেনিশিয়া ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে বেঁচে যাবেন অনেকাংশে।

উপকারিতা

++ এটি রক্তে ট্রাই গ্লিসারাইড কমায় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়।

++ এটি ধমনিগাত্রে প্লাক জমতে দেয় না এবং রক্ত জমাটবদ্ধ হতে দেয় না। ফলে রক্তচাপ বাড়ে না, যা হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচায়।

++ এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

++ এটি রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে পারে।

++ এটি বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে বাঁচায়।

++ কিছু ক্যান্সারের হাত থেকেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সুরক্ষা দেয়।

অলিভ অয়েল

যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হলো জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দুত হলো জলপাইয়ের তেল, যা অলিভ ওয়েল, আরবিতে জয়তুন, যেটাকে লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়। সেই গ্রিক সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে রন্ধন কর্মে ও চিকিত্সা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় সব গুণাবলি এই জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে। জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েলে দারুণ দারুণ সব উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দুর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে অলিভ ওয়েল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টেরল এবং গুড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হয়। ওলিভ ওয়েলের আরেকটা গুণাবলী হলো এটা স্টমাকের জন্য খুব ভালো। শরীরে অ্যাসিড কমায়, লিভার পরিষ্কার করে যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোষ্ঠ-কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ স্পুন অলিভ ওয়েল অনেক অনেক উপকারী।

তিল ও তিসিজাতীয় তেল

আজকাল আমাদের দেশে তিল ও তিসিজাতীয় তেল শস্যবীজের উত্পাদন ও ব্যবহার ক্রমাগত কমতে থাকলেও উন্নত বিশ্বে ঘটছে উলটা ঘটনা। তিল ও তিসির অসংখ্য উপকারী গুণাবলি থাকার ফলে উন্নত বিশ্বে এদের উত্পাদন ও ব্যবহার বাড়ছে ব্যাপক হারে। মূলত তিল ও তিসি থেকে পাওয়া তেলের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে যে, এতে রয়েছে কিছু উন্নতমানের ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। তিল ও তিসির মোট ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রায় ৯০ ভাগই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং যার মধ্যে আলফা লিনোলেইক অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অহিকোসাপেন্টানয়িক অ্যাসিড এবং ডকোসাহেক্রানয়িক অ্যাসিড অন্যতম। এসব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিডের রয়েছে বহুবিধ উপকারী ভূমিকা। এরা একদিকে যেমন আমাদের রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমায় একই সঙ্গে উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায় এবং এ প্রক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট লোকের রক্তচাপ কমিয়ে আনে।

চর্বি এবং কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ

খাবার পরিহার করুন

হূিপণ্ডের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবারে সম্পৃক্ত চর্বি, ট্রান্সফ্যাট (খাদ্য প্রস্তুত করতে যে চর্বি তৈরি হয়) এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি সেগুলো অবশ্যই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এ জাতীয় কোলেস্টেরল তেল-চর্বিযুক্ত খাদ্য বেশি গ্রহণ করলে চর্বির পুরো আস্তর জমে রক্তনালির ফুটো কমে যায় বা বন্ধ হয় যায়। ফলে হূিপণ্ডে রক্ত চলাচল কমে যায় কিংবা অংশবিশেষে একেবারে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে হূদরোগ এবং মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক হয়।

প্রতিদিন হূদ-বান্ধব খাবারের তালিকায় সর্বোচ্চ কতটুকু চর্বি থাকতে পারে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো—

সম্পৃক্ত চর্বি :দৈনিক গৃহীত সর্বমোট ক্যালরির ৭ শতাংশের কম হবে।

ট্রান্সফ্যাট :দৈনিক গৃহীত সর্বমোট ক্যালরির ১ শতাংশের কম হবে।

কোলেস্টেরল :সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৩০০ মি. গ্রামের কম।

যারা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করেন কিংবা যাদের রক্তে কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল বেশি তাদের ২০০ মি. গ্রামের বেশি কোলেস্টেরল গ্রহণ করা উচিত নয়।

খাবারে সম্পৃক্ত চর্বি এবং ট্রান্সফ্যাট কমাতে হলে মাখন, ঘি, মার্জারিন ইত্যাদির ব্যবহার কমাতে হবে। এ ছাড়া গরু কিংবা খাসির চর্বিযুক্ত মাংস গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। ট্রান্সফ্যাট বলতে আংশিক বিজারিত চর্বিকে বোঝানো হয়। রান্নায় একই তেল পুনরায় ব্যবহার করলে বা ব্যবহূত তেল রেখে দিলে ওটাতে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট তৈরি হওয়ার অবকাশ থাকে। অতএব প্রতিবার রান্নার সময় নতুন তেল ব্যবহার করা উত্তম; আগের দিনের ভাজাভুজির পর কড়াইয়ে রয়ে যাওয়া তেল ব্যবহার করা ক্ষতিকর। আর অবশ্যই রান্নার জন্য অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত তেল যেমন—সয়াবিন, জলপাই তেল কিংবা ক্যানোলা তেল ব্যবহার করা উচিত। বাদাম এবং সয়াবীজের তেল অসম্পৃক্ত চর্বি বেশি পরিমাণে থাকে। সম্পৃক্ত চর্বির পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত তেল ব্যবহার করলে রক্তে কোলেস্টেরল কম থাকে।

উপকারী তেল
++ জলপাইয়ের তেল

++ ক্যানোলা তেল

++ ট্রান্সফ্যাটবিহীন মার্জারিন

ক্ষতিকর তেল

++ মাখন

++ খাসি-গরুর চর্বি

++ ক্রিম সস্

++ নন-ডেয়ারি ক্রিম

++ হাইড্রোজেনেটেড মার্জারিন

++ মাখন

++ নারিকেল তেল, পাম অয়েল, তুলাবীজের তেল

মেদ ভূড়ি কি করি

20 comments

ওজন কমানোর সঠিক ফর্মুলা

লেখক: তামান্না শারমিন

ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টার অভাব নেই । স্ট্রিট ডায়েট, এক্সারসাইজের শাসন কোনো কিছুই মানতে অসুবিধা নেই। তবু ঠিক যতটা চাইছেন ততটা রোগা হতে পারছেন না। তাই এবার জেনে নিন ওজন কমানোর সঠিক পদ্ধতি। লিখেছেন তামান্না শারমিন

যেসব কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়

দেহের চাহিদার অতিরিক্ত খাওয়া বিশেষ করে ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ও ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি হলে ওজন বৃদ্ধি পায়। মদ্যপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ঘুম, স্টেরয়েড এবং অন্যান্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে। অতিরিক্ত আরাম-আয়েশ ও শারীরিক পরিশ্রম কম হলে দেহে চর্বি জমে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে।

ওজন হ্রাস করার কয়টি সহজ পদ্ধতি

যেহেতু ওজন বৃদ্ধি মেদ বা ভুঁড়ি প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে সেহেতু আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই ওজন বাড়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে তা প্রতিরোধ করুন। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস, অপ্রতুল কায়িক পরিশ্রম কিংবা অসুখই এর প্রধান কারণ।

অতিরিক্ত ওজন কমানোর সহজ উপায় হলো সঠিক ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ এবং প্রচুর কায়িক পরিশ্রম, ব্যায়াম করা। যারা কায়িক শ্রম বেশি করেন তাদের ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। নিয়মিত হাঁটা খুব ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটতে পারেন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, ত্রিকোণ আসন প্রভৃতি ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী।

চর্বি জাতীয় খাবার যেমন মাখন, তেল, গরু বা খাসির মাংস, বাটার প্রভৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে। শরীরের জন্য এগুলো প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে, যার কম-বেশি হলে সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য অনেক সময় দেখা যায়, ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে। এজন্য প্রয়োজন খাদ্য গ্রহণ পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল খাবেন এবং বেশি বেশি পানি পান করবেন। একবারে বেশি খাবেন না, একটু পর পর অল্প অল্প করে খাবেন। ক্ষুধা লাগলে শশা বা ফল খেয়ে নেবেন। কারণ শশা ও টকফল ওজন হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আজকাল অপারেশনের সাহায্যে ভুঁড়ি বা মেদ কমানো হচ্ছে। লাইপোসাকশন বা অ্যাবডোমিনো ফ্লিস্টর সাহায্যে মেদ কমানো হচ্ছে। কিন্তু এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে অনেক।

ওজন হ্রাসকারী খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও লোহার অভাব ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিম, কলিজা লোহার চাহিদা পূরণ করবে। চেষ্টা করবেন লবণ বর্জিত খাদ্যগ্রহণ করতে।

এ ক্ষেত্রে খাবার মেপে মেপে খাওয়ার প্রয়োজন নেই, মোটামুটি একটা হিসাব করলেই চলবে। শরবত, কোকাকোলা, ফান্টা ইত্যাদি মৃদু পানীয় সব রকম মিষ্টি, তেলে ভাঁজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনাফল, ঘি, মাখন, সর ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য ক্যালরির প্রধান উত্স। অধিক চর্বিযুক্ত কম ক্যালরির খাদ্যে স্থূল ব্যক্তির ওজন খুব দ্রুত কমে। ওজন কমাতে পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সকাল :দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, একবাটি সবজি সিদ্ধ, ১ বাটি কাঁচা শশা। শশা ওজন কমাতে জাদুর মতো কাজ করে।

দুপুর :৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগির ঝোল ১ বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক, শশার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই।

বিকাল :দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট ২টা।

রাত :আটার রুটি তিনটা, একবাটি সবুজ তরকারি, একবাটি ডাল, টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ এবং মাখন তোলা দুধ।

দৈনিক এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহে প্রোটিনের অভাব থাকে না। ৬০ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তির খাদ্য ৬০ গ্রাম প্রোটিন হলেই ভালো হয়। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপতে হবে, লক্ষ রাখতে হবে, ওজন বাড়ার হার কম না বেশি। ওজনবৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ বা ভুঁড়ি এদের অতিরিক্ত ওজন কোনোটাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয়, একথা সবসময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্য-সচেতন হবেন।

ওজন কমানোর ১০ টিপস

লেখক: প্রাঞ্জল সেলিম |
শরীরের বাড়তি ওজন কেউ চাই না। সবাই চাই বাড়তি মেদহীন সুঠাম দেহ এবং সুন্দর স্বাস্থ্য। আমরা শরীরের বাড়তি মেদের সমস্যায় যারা ভুগছি, এবার তাদের জন্য রইল, সহজ ১০ টিপস।

++ জুস, কোল্ড ড্রিংকস নয়; প্রচুর পানি পান করুন। পানি শরীরের ভেতরটা সতেজ রাখে।

++ বাইরের খাবার না খেয়ে বাসার খাবারে অভ্যস্ত হোন। এতে আপনার খাদ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী চর্বি, চিনি এবং লবণ পাবেন।

++ প্রচুর সালাদ খাবেন, সালাদের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নেবেন।

++ ফল ও সবজি বেশি খান, তাতে আপনাআপনি চর্বি ও শকরাযুক্ত খাবার কম খাওয়া হবে।

++ আপনি যদি চান, ওজন কমানোর জন্য জিমেও যেতে পারেন।

++ ছোট প্লেটে খাবার খান। এতে বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

++ বাড়তি চর্বি পোড়ানোর জন্য প্রতিদিন কিছু পরিশ্রম করতে হবে।

++ উত্সবে বিশেষ খাবার খাওয়ার সময়, আপনার ওজন কমাতে হবে,

এটা মাথায় রাখুন।

++ নিয়মিত হাঁটুন কিংবা ব্যায়াম করুন। এগুলো শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

++ আমিষ (প্রোটিন) সমৃদ্ধ খাবার যেমন—মাছ, ডাল ইত্যাদি

প্রচুর পরিমাণে খান।

প্রোটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়।

Monday, September 19, 2011

কম্পিউটার ভাইরাস

1 comments
কম্পিউটার ভাইরাসের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ভাইরাস তৈরি করে যাচ্ছে প্রোগ্রামাররা। এসব ভাইরাসের অনেক গুলোই এতটাই ক্ষতিকর যে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করেছে। ক্ষতিসাধন করেছে লাখ লাখ কম্পিউটারের, ধংস করেছে মুল্যবান অনেক তথ্য। এমনি কিছু ভাইরাসের ইতিহাস সম্পর্কে চলুন আজ জানা যাক।

CIH বা চেরনোবিল ভাইরাস

৯৯ এর ২৬শে এপ্রিল বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার CIH বা চেননোবিল নামক ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয়। টাইম বোমার মতো নির্দিষ্ট সময়ে এ ভাইরাসটি কম্পিউটারকে আক্রমণ করে। একই সময়ে সারাবিশ্বে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এটাই সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। কম্পিউটার সিস্টেমে সময় ও তারিখের জন্য ঘড়ি সেট করা আছে। ঘড়ির কাটায় ২৬শে এপ্রিল, ১৯৯৯ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারে লুকায়িত সিআইএইচ ভাইরাস বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে। পশ্চিমাদেশগুলোর তুলনায় এশিয়ার বিপর্যয়ের মাত্রা অনেক ভয়াবহ। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উদাসীনতার ফলে এই বিপর্যয় ঘটেছে।

অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যাপক প্রচারনার ফলে যথাসময়ে এন্টিভাইরাস আপগ্রড কারায় কর্পোরেট হাউজগুলো এই বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে। পিটার্স বুর্গের মেলোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের মুখপাত্র বিল পোলক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২৩৮২টি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে”।

সারা চীনে ১ লাখেরও বেশি কম্পিউটার CIH ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয।চীনের বৃহত্তম এন্টিভাইরাসের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রুইজিন কোম্পানীর জিএম লিউ জু একে মহাবিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। দক্ষিন কোরিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আন বিউং-ইয়প ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমরা এই ভাইরাসটির ধ্বংশ ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম এবং বিষয়টির প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেইনি”। তিনি বলেছেলেন, “কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে ও সর্তকতা পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে”। সরকারী সূত্রমতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ লক্ষ কম্পিউটার CIH ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো দাবি করেছে, ৬ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

তুরষ্কের র‍্যাডিকেল পত্রিকা জানিয়েছে, বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও, কেউই বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। প্রচুর কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অচল হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপি সবাই চেষ্টা করে এ বিপর্যায় কাটিযে উঠার জন্য। এই ভাইরাসটি ২৬শে এপ্রিল, ২৬শে জুন ও প্রতি মাসের ২৬ তারিখে আক্রমণ করতে দেখা যায়। এই ভাইরাসের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই সর্তক থাকুন।

CIH ভাইরাসের লক্ষণঃ

১. কম্পিউটারের প্রোগ্রাম রান করে না। CIH ভাইরাসের একটি ভার্সন এর জন্য দায়ী। এই ভাইরাস প্রোগ্রামের .exe ফাইলের নাম পরিবর্তন করে ফেলে।

২. কম্পিউটার অন হচ্ছে কিন্তু সি ড্রাইভ পাওয়া যাচ্ছে না।

৩. কম্পিউটার অন করলে কিছুই দেখা যায় না।

ক্ষতিঃ এটি মাদারবোর্ডের বায়োস নষ্ট করে দেয়। হার্ডডিস্কের পার্টিশন মুছে দেয়।

CIH ভাইরাসের ইতিহাসঃ

১৯৯৮ এর জুনের শুরুতে তাইওয়ানে প্রথম সিআইএইচ ভাইরাস দেখা যায়।ভাইরাসের নির্মাতা একে স্থানীয় ইন্টারনেট কনফারেন্সে পাঠায়। তারপর তা ইন্টারনেটে বিশ্বব্যাপি ছড়ায়।

CIH ভাইরাস তৈরি করেন চেন ইং হাও –এর নামের অদ্যাক্ষর অনুযায়ী ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। এ ভাইরাসকে চেরনোবিল ভাইরাসও বলা হয়। এটি ২৬শে এপ্রিল বিপর্যয় ঘটায়। ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল রাশিয়ার চেরনোবিলে মারাত্মক পারমাণবিক বিষ্ফরণ ঘটেছিল। চেরনোবিলের ২৬শে এপ্রিলের ঘটনাকের স্মরণ করে এ ভাইরাস ২৬শে এপ্রিল কার্যকর হয় বলে একে চেরনোবিল ভাইরাস বলা হয়। একে ‘স্পেস ফিলার’ও বলে। কারণ এটি ফাইলের ভিতরের খালি জায়গা দখল করে। এর কারণে এন্টিভাইরাস ভাইরাসটি ধরতে পারেনা।

সারা বিশ্বের হাজার হাজার কম্পিউটারে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী CIH ভাইরাসের সৃষ্টিকারী হলেন, তাইওয়ানের ‘তাতং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ছাত্র ‘চেন ইং হাও’। চেনের নাম অনুসারে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়। ‘তাতং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র ছাত্র বিষয়ক ডিন ‘লি চে চেন’ জানান, গত বছর (১৯৯৮) এপ্রিলে ভাইরাসটি আন্তঃকলেজ ডেটা সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করলে চেনকে লঘু শাস্তি দেয়া হয়। ঐ সময়ের সিনিয়র ছাত্র চেনকে কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারের মতো কঠিন শাস্তি দেয় নি কারণ, সে অন্য ছাত্রদের ভাইরাসটির বিস্তার ঘটাতা নিষেধ করেছিল। কিন্তু চেন ভাইরাসবিরোধী কোন প্রোগ্রাম তৈরির উদ্যোগ নেননি। লি বলেন, এক বছরের মাথায় ভাইরাসটি কেমন করে এমন বিপর্যয় ডেকে আনল সে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন না।

কেন তিনি এ ভাইরাস সৃষ্টি করেন? আত্মম্ভরিতা থেকেই চেন ইং হাও এটি করেছেন। কিন্তু এই ভাইরাস যে বিশ্বব্যাপী এমন বিপর্যয় ডেকে আনবে তা চেন কখননোই ভাবেনি। এ ভাইরাসটি সৃষ্টির কারণ হিসেবে চেন বলেন, অযোগ্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রোভাইডারদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি এ কাজ করেন। কলেজে থাকার সময় ইন্টারনেট থেকে গেম ও সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে গিয়ে চেন প্রায়ই প্রযুক্তিগত বিপত্তির মুখে পড়তেন। তখনই চেন সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞদের বোকা বানানোর জন্য এই ভাইরাসটির জন্ম দেন। এই ভাইরাসটি এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।

ডেটা রিকভারী করাঃ

CIH ভাইরাসের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে এটি হার্ডডিস্কের পার্টিশন তুলে দিয়ে ডেটা আনরিডেবেল করে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র মনিরুল ইসলাম শরীফ চেনরোবিল ভাইরাসে বিপর্যস্ত কম্পিউটার ঠিক করার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন। সি ল্যাংগুয়েজে করা এ সফটওয়্যারটির নাম MRecover1.7। এই সফটওয়্যার দিয়ে মুছে যাওয়া ডেটা পুনরুদ্ধার করা যায়।
ব্রেইন ভাইরাস

১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ডেলোয়ারে পৃথিবীর সর্বপ্রথম ভাইরাস ধরা পড়ে। এটি যে ডিস্কে আক্রমণ করে সে ডিস্কের FAT নষ্ট করে ফেলে এবং ডিস্ক লেভেল হিসেব ব্রেইন শব্দ লিখে। পাকিস্তানের লাহোরের ব্রেইন কম্পিউটার সার্ভিসেস নামক এক প্রতিষ্ঠানের মালিক দুই ভাই বাসিত আলভি ও আমজাদ আলভী এই ভাইরাস তৈরী করেন। অবৈধ সফটওয়্যার নকলকারদের সায়েস্তা করার জন্যই ফ্লপি ডিস্কে ভাল প্রোগ্রামের পাশাপাশি এই সফটওয়্যার সরবারাহ করে তারা।

বেড বয় ভাইরাস

এটি একটি মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস। এটি .com ফাইলকে আক্রান্ত করে। এর ফাইল Growth 1001 bytes. এ ভাইরাসটি Encrypted এ ভাইরাসে আক্রান্ত পিসিতে নিন্মের বার্তা দেখায়ঃ

The bad boy halt jour system…

and

The Bad Boy virus. Copyright © 1991.

ব্যাটম্যান

এটি একটি ফাইল ভাইরাস। এটিও .com ফাইলসমূহকে আক্রান্ত করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হার্ডডিস্ক কোন ব্যাচ ফাইল পরিচল করিয়ে দেয়। যেমন: INF.BAT তেঃ

@each off

rem

INF

del.INF.COM

ব্যচ ফাইলটি যখন রান করে তখন এ ভাইরাস .com ফাইলকে রিনেম করে।

বিগ জোক ভাইরাস

এটি একটি ফাইল ভাইরাস যা command.com ছাড়া অন্য সব .com ফাইলকে আক্রমণ করে। এটি Growth 1068 bytes সিস্টেমের ক্লক সেকেন্ড কাউন্টার 0 এবং 4 সেকেন্ডের মধ্যে অবস্থান করলে এ ভাইরাস রান করলে পর্দায় প্রদর্শন করেঃ

At last…ALIVE!!!!!

I guess your PC is infected by The Big Joke Virus

Release 4/4-91

Lucky you, this is the kind version

Be more careful while duplicating in the future

The Big Joke Virus, Killer Version, will strike harder

The Big Joke rules forever,

ক্রেজি ভাইরাস

এটি একটি ট্রোজন ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ফাইল রান করলে একটি জীবন্ত চেহারা পর্দার উপরে বাম কোণায় প্রর্দশিত হয়। তখন কোন কী চাপলে প্রদর্শিত হয়ঃ

Hi, I’m Crazy Daizy! I’m format your harddisk! Say goodbye to Your files!Formating….

এ অবস্থায় হার্ডডিস্কের লাইট প্রদীপ্ত হয়। এ ট্রোজন ভাইরাস ২০০-৪০০ কেবির বৃহৎ বৃহৎ ফাইল ইচ্ছামতো নামে বিভিন্ন লেখাসহ তৈরি করে। অতঃপর প্রদর্শিত হয়ঃ

ERROR: No SYSTEM found! No files on drive C: Insert SYSTM disk in drive A: and push any key!

নির্দেশ মতো কাজ করলে ভাইরাস সব .exe ফাইলকে Patches করে। Patched প্রোগ্রাম রান করে। কোন কী চাপা হলে দেখায়ঃ

Pretty day today – isn’t it?

Don’t worry – sing a song!

Life isn’t easy!

Don’t hate your PC! Lets be friend!

উৎসঃ প্রযুক্তি ব্লগ

Sunday, September 18, 2011

মমি

0 comments
মমি হলো একটি মৃতদেহ যা জীবের শরীরের নরম কোষসমষ্টিকে জলবায়ু (বায়ুর অভাব অথবা অনাবৃষ্টি অথবা মৌসুমীয় অবস্থা) এবং ইচ্ছাকৃত কারণ (বিশেষ দাফন প্রথাগুলো) থেকে রহ্মা করে। অন্যভাবে বলা যায়, মমি হলো একটি মৃতদেহ যা মানবিক প্রযুক্তির মধ্যে অথবা প্রাকৃতিকভাবে ধ্বংস এবং হ্ময়প্রাপ্ত হওয়া থেকে রহ্মা করে। মমি শব্দটি মধ্যে যুগের লাতিন শব্দ "Mumia" থেকে এসেছে, একে পারস্য ফার্সি ভাষা mūm (موم) থেকে আনা হয়েছে ...যার অর্থ বিটুমান (bitumen)।
মমি শব্দটার উৎপত্তি পারস্য দেশে । পারস্যে যা মমি, বাংলায় তা হল মোম। মোম দিয়ে মৃতদেহকে আবৃত করার পদ্ধতিকে বলা হত মমি । এই মমি তৈরির প্রণালীটা প্রায় ৫ হাজার বছর পুরনো । প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন যে দেহ যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার আত্মাও নষ্ট হয়ে যাবে । তাই কারও দেহ মমিফিকেশন করে রাখলে দেহের মালিক আবার জন্ম নিবে ।
তারা একটি দেহকে মমি করতে প্রথমেই মৃতদেহটির ভেতরের সবকিছু বের করে ফেলত, অদ্ভুদ কায়দায় ম্যানুয়ালি পাকস্থলী, কিডনি, মস্তিষ্ক বা ব্রেন নাক ও মুখ দিয়ে বের করত বিশেষ হুকারের সাহায্যে । তারপর ফাঁপা দেহটাকে ন্যাট্রেনে ( সোডিয়াম ও কার্বনের মিশ্রণ) ৪০ দিন ধরে রেখে দিত। ফলে দেহ থেকে অবশিষ্ট পানি বেরিয়ে দেহ শুকিয়ে যেত । এরপর বিশেষ বিশেষ গাছপাতা ও রজনে ভেজানো তুলো ফাঁপা দেহটিতে ভর্তি করে দিত। তারপর মমি বিশেষজ্ঞরা দেহটাকে মোমে চোবানো ব্যান্ডেজে মুড়ে ফেলত । এইভাবে মমি তৈরি হয়ে গেলে পবিত্র কফিনের মধ্যে রেখে দিত । যাকে বলা হত ম্যাক্রোফ্যাগাস ।

পিরামিড

0 comments
পিরামিড, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। প্রাচীন মিশর শাসন করতেন ফারাও রাজারা। তাদের কবরের উপর নির্মিত সমাধি মন্দিরগুলোই পিরামিড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মিসরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষনীয় হচ্ছে গিজা'র পিরামিড যা খুফু'র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল... ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল ১ লাখ। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে এমনভাবে পিরামিড তৈরি করা হত যে, একটি পাথর থেকে আরেকটি পাথরের মাঝের অংশে একচুলও ফাঁক থাকত না।

Sunday, August 14, 2011

ঢাকা শহরের কমিউনিটি সেন্টারগুলোর বর্তমান ভাড়া

0 comments
১. হিলটাউন কমিউনিটি সেন্টার: ২৩/৪, খিলজী রোড (মিরপুর রোডের উপরে), শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১১৮১২৬, ০১৫৫২৩০৪২২৮। মূল্য: ৩০০ লোকের জন্যে ভাড়া ২৬,০০০ টাকা, ৬০০ লোকের জন্যে ভাড়া ৩০,০০০ টাকা। যেহেতু জায়গা কম, তাই হলুদ বা ছোট অনুষ্ঠানের জন্যে এই কমিউনিটি সেন্টারটি উপযোগী।

২. পার্টি প্যালেস কমিউনিটি সেন্টার: ২৩/৫, শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১২৩২৯৬। এটি রোজার পর ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে শুনেছি।

৩. অঙ্গন কমিউনিটি সেন্টার: ৮/৯, আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৮১৫৩৫৮৭, ০১৭১০০৯৬৯৭৭, ০১৯২৩১৯৮৬৮৮। ভ্যাটসহ ভাড়া ৩২,০০০ টাকা। খাবার+বাবুর্চি+ফুলের ডেকোরেশন -এসব কিছু নিজের খরচ। এই কমিউনিটি সেন্টারটি অপোকৃত ছোট। তাই সর্বোচ্চ ৫০০-৬০০ মানুষের জন্যে এটি ভাড়া করা যেতে পারে।

৪. নিউ প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টার: ২/৯, স্যার সৈয়দ রোড, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১১৪২৮৮, ৮১২১২৮৬, ০১৭১১০২৬৯১৫। প্রতি ১০০০ গেস্টের জন্যে হল ভাড়া (ডেকোরেশনসহ) ৭০,০০০ টাকা। প্রতি ৫০০ গেস্টের জন্যে হল ভাড়া (ডেকোরেশনসহ) ৬০,০০০ টাকা। খাবার+বাবুর্চি ভাড়া -এসব কিছু নিজের খরচ। প্রতি ১০০০ অথবা প্রতি ৫০০ গেস্টের বেশি গেস্ট এলে সেক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের জন্যে ৩০০০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করতে হবে। এছাড়া ১০০০ গেস্টের খাবার ভ্যাট বাবদ ৫০০০ টাকা সরকারকে প্রদান করতে হবে।

৫. সূচনা কমিউনিটি সেন্টার: রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ (কৃষি মার্কেট সংলগ্ন), ১৫/১২, ব্লক-এফ, টিক্কাপাড়া, মোহাম্মদপর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ০১৯১১৩৯২৫৮৪, ০১৬৭০১০৯২৭২। প্রতি ১০০০ জন গেস্টের জন্যে হল ভাড়া, ডেকোরেটর, লাইটিং, বেয়ারা, জেনারেটর, এসি -এসব সহ মূল্য ৪৬,৭৫০ টাকা। খাবার ও ভ্যাটের টাকা আলাদা। প্রতি ১০০০ জন গেস্টের বেশি গেস্ট এলে সেক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের জন্যে ৩০০০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করতে হবে।

৬. বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টার: বুকিং ইনফরমেশন
আগারগাঁও, শেরেবাংলানগর, ঢাকা, ফোন: ৮৮০২-৯১০০০২৩, ৮৮০২-৯১০০০১৪-৫, ৮৮০২-৯১০০০১৭

৭. সামারাই কনভেনশন সেন্টার: ২৩/জি/৭, পান্থপথ (বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের বিপরীতে)। ফোন: ৮৬২২৫০৯, ০১৭২৭৬৯৯৩৭৪, ০১৭১৫৯৫৫৩১৮, ০১৭২৭৩৪৬৮৭৭, ৭১২০৭৩৪, ০১৭১৩০৪৬০৬৬। প্রতি ১০০০ গেস্টের জন্যে হল ভাড়া ৫০,০০০ টাকা, ডেকোরেটর ভাড়া ৫০,০০০ টাকা, লাইটিং এবং সাউন্ড বাবদ ভাড়া ৪০০০ টাকা, গ্যাস এবং ওয়াসা বাবদ ভাড়া ৫০০০ টাকা। মোট ১,১৩,০০০ টাকা। ফুড ভ্যাট ১৫%। ফুল সাজানো এবং ডেকোরেশনের জন্য আলাদা ভাড়া প্রযোজ্য।

৮. সোহাগ কমিউনিটি সেন্টার ১, ২ এবং ৩: ৯১, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা-১২১৭। ফোন: ৯৩৩৪০৬৮, ৮৩৫১২৯১। হল ১ এবং ২ এর ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ জন গেস্টের জন্য হল ভাড়া+ডেকোরেটর বিল+খাদ্যের উপর ভ্যাট বাবদ ৭৭,৮০০ টাকা দিতে হবে। আর প্রতি ৫০০ জন গেস্টের জন্যে উপরিউক্ত খাতে ৫৫,৪০০ টাকা প্রযোজ্য। হল -৩ টি ছোট, যেখানে সর্বোচ্চ ৬০০ মানুষ ধরে।

৯. স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার: যোগাযোগের জন্য এখানে ক্লিক করুন

বাবুর্চি সংক্রান্ত তথ্য:
প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারের নিজস্ব বাবুর্চিকে দিয়ে আপনি রান্না করিয়ে নিতে পারেন। অথবা নিজের পরিচিত বাবুর্চিকে দিয়েও রান্নার কাজটা সারতে পারেন। কমিউনিটি সেন্টারের বাবুর্চি বা নিজস্ব বাবুর্চি - যাকে দিয়েই রান্না করান, বাজারটা নিজে করে দিতে পারলে সাশ্রয় হয় ভালো। আর বাবুর্চিকে রান্নার বাজার করার দায়িত্ব দিলে সেক্ষেত্রে দেশী ছাগল জবাইয়ের আগে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জবাই করুন। মুরগীর ক্ষেত্রে বাজারে এখন পাকিস্থানী কক মোরগে সয়লাব হয়ে গিয়েছে। সুতরাং কেউ যদি দেশী মুরগী/মোরগের কথা বলে, তবে তা নিতান্তই বাতুলতা মাত্র। সবার আইডিয়ার জন্যে দুই একজন নামকরা বাবুর্চীর মেনুসহ প্রতিপ্লেট খাবারের মূল্য নিচে দেওয়া হলো। তবে খাবার অর্ডার করার আগে ভাল করে বাজার যাচাই করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

১. মেসার্স ইব্রাহিম ক্যাটারিং সার্ভিস: মোবাইল: ০১১৮৫৩৫৪৩, ০১৭৩০৪৬০৬৬
মেনু-১: সাদা পোলাও, চিকেন রোস্ট, খাসির রেজালা/মোরগ রেজালা, হোয়াইট ভেজিটেবল/চাইনিজ ভেজিটেবল, আলু বোখারা চাটনী, কাবাব/জালী/শামী/টিক্কা, জর্দা/ফিরনী, বোরহানী, পিস সালাদ: প্রতি প্লেট মূল্য ৩২০ টাকা (ভ্যাট+বাবুর্চিসহ)।
মেনু-২: কাচ্চি বিরিয়ানী, চিকেন রোস্ট/গ্রীল, আলু বোখারা চাটনী, কাবাব/জালী/শামী/টিক্কা, শাহী টুকরা, জর্দা/ফিরনী, বোরহানী, পিস সালাদ: প্রতি প্লেট মূল্য ৩৮০ টাকা (ভ্যাট+বাবুর্চিসহ)।
মেনু-৩: মোরগ পোলাও, চিকেন রোস্ট/ফ্রাই, খাসির রেজালা, কাবাব/জালী/শামী/টিক্কা, সাচলি কাবাব, জর্দা/ফিরনী, বোরহানী, পিস সালাদ: প্রতি প্লেট মূল্য ৪৩০ টাকা (ভ্যাট+বাবুর্চিসহ)।

২. মো: সানু মিয়া বাবুর্চি: ০১৬১৩০০৭৭৭৪, ০১৯১৯০০৭৭৭৪, ০১৭১৩০০৭৭৭৪, ৯১২০৫৪৯, ৯১৩৪১৮২, ৯১৩৭৮৯৫

৩. শামসুল হক বাবুর্চি: ০১৮১৯২৬৮০২২, ০১৭৪১২৫১৫৮১।

৪. আল-আমিন ক্যাটারিং সার্ভিস: ০১৯১১৩৯২৫৮৪, ০১৬৭০১০৯২৭২।
মেনু: প্লেন পোলাউ, খাশির রেজালা, দেশী মোরগের রোস্ট, সাদা ক্রিম দই-এর বোরহানী, শাহী ফিরনী, টিকা কাবাব, পিস সালাদ: প্রতি প্লেট মূল্য ৩০০ টাকা (ভ্যাট+বাবুর্চিসহ)।

আরও কমিউনিটি সেন্টারের তথ্য জানার জন্যে এখানে ক্লিক করুন
 

Wednesday, August 10, 2011

স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের যত্ন

0 comments
দূর ছাই! কিচ্ছু মনে থাকে না। স্মৃতিশক্তিটা কি কমে গেল? নিজেদের প্রতি এ জাতীয় অভিযোগ আমরা হরহামেশাই করে থাকি। আর বয়স হলে আরও বেশি করি। আবার অনেকেই আছেন যারা সুস্থ তীক্ষষ্ট মস্তিষ্ক নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন। শেষ দিনটি পর্যন্ত মেধা আর অটুট স্মৃতিশক্তি বলে কাজ করে যান মানুষের জন্য। কী করে সম্ভব হয়? তীক্ষষ্ট মেধা, অটুট স্মরণশক্তি মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য হলেও এগুলো... অক্ষুণ্ন রাখাও মানুষেরই কাজ।

স্মৃতিশক্তি কমে কেন
মস্তিষ্কের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা কমে গেলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। কমে যায় চিন্তা করার স্বাভাবিক ক্ষমতা। দেহের কোষগুলোতে শক্তি উত্পাদনের জন্য প্রতিনিয়ত সংগঠিত হচ্ছে বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এসব জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোষগুলোতে কিছু ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়। এ যৌগগুলো কোষের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয় এবং এক পর্যায়ে কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। ফলে আমরা বার্ধক্যের পথে এগিয়ে যাই। একই ব্যাপার মস্তিষ্কের কোষগুলোতেও ঘটে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলোও বুড়িয়ে যায়। হারিয়ে ফেলে তার স্বাভাবিক ক্ষমতা। আমাদের স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। এছাড়া কোন কারণে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে মস্তিষ্কের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যায়। হৃিপণ্ড থেকে শতকরা ২০ ভাগ রক্ত সরাসরি মস্তিষ্কে যায়। রক্তের কোলেস্টেরল বা অন্য কোনো কারণে ধমনীর প্রাচীর সরু হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়। দেখা গেছে, যারা হৃদরোগী তারা সাধারণত ভুলোমনা হয়ে থাকে। একই কারণে স্ট্রোক করলে মানুষের স্মরণশক্তি এবং চিন্তাশক্তিও দারুণভাবে কমে যায়।

আর দুশ্চিন্তা নয়
দুশ্চিন্তা বা টেনশনে মানুষের অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে গ্লুকোকরটিকয়েড নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে দ্রুত আক্রান্ত করে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। সুস্থ মস্তিষ্ক আর শাণিত মেধা নিয়ে বেঁচে থাকুন দীর্ঘ দিন।

ইতিবাচক চিন্তা করুন
নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। সন্দেহবাতিক মন মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। মনের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগটা খুব গভীর। তাই মনের পরিচর্যা করুন। নিজেকে নিয়োজিত রাখুন সৃষ্টিশীল কাজে।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করুন
ক্রোধ বা রাগ মন ও মস্তিষ্কের শত্রু। আমরা যখন রেগে যাই তখন শরীরে নিঃসৃত হয় বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

মেডিটেশন করুন
নিয়ম করে দিনের কিছু সময় মেডিটেশন করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। সম্ভব না হলে অন্তত সকাল-সন্ধ্যা খোলা ময়দানে হাঁটুন। এ অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। স্মরণশক্তি মূলত নির্ভর করে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার ওপর। মেডিটেশন আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
সারাক্ষণ কাজ আমাদের মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে। ক্লান্তি মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন গড়ে ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমান। দীর্ঘ কাজের ফাঁকে একটু ব্রেক দিন। কাজে মনোনিবেশ করা সহজ হবে।

বুঝেশুনে খাবার খান
বুঝেশুনে খাবার খেলে যদি ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়, হৃদযন্ত্র সচল রাখা যায় তাহলে মগজকে কেন শাণিত করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। চাই খাদ্য সচেতনতা। এ ব্যাপারে প্রথম পরামর্শ হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতিকর জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উত্পন্ন ক্ষতিকর যৌগগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। ফলে কোষগুলো থাকে কর্মক্ষম আর তারুণ্যদীপ্ত। তাছাড়া অ্যান্টঅক্সিডেন্ট শিরা-ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে হৃিপণ্ড সচল, মগজটাও টনটনে। প্রাণীজ আমিষ খেয়ে শরীরে হিমোসিস্টিন নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড উত্পন্ন হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ হিমোসিস্টিন উত্পাদনের প্রক্রিয়াও বেড়ে যায়। এ হিমোসিস্টিন ধমনীর প্রাচীরে জমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই মাছ-মাংস পরিমিত খাওয়াই সঙ্গত। তাহলে কী খাবেন? আগেই বলা হয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো খাবার। মূলত ভিটামিন-ই এবং সি হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন। দুধ, কলিজা, সয়াবিন, সবুজ শাক-সবজি, ফলমূলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। সমপ্রতি পশ্চিমা গবেষকরা নির্দিষ্ট কিছু খাবারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছেন। এগুলো হলো পালং শাক, ব্লুবেরি এবং স্ট্রবেরি। সয়াবিন আর রসুনের প্রতিও তারা আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাদের যুক্তিটা হলো রসুন-সয়াবিন রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল সুষ্ঠু হয় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোও সচল থাকে। বিজ্ঞানীরা ফলিক এসিডসহ ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের অন্যান্য ভিটামিনের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন একই কারণে। বিশেষ করে হিমোসিস্টিন দূর করতে ভিটামিন বি-১২ এর জুড়ি নেই।

মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার মস্তিষ্ক, যা তাকে আর সব প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ করে রেখেছে। মস্তিষ্কের তাই যত্ন নেয়া চাই। মেধা, মনন, বুদ্ধি—এসবই হলো সুস্থ মস্তিষ্কের ফসল। সঠিক চিন্তা, সুস্থ জীবনাচরণ, সুষম খাবার—এ হলো সুস্থ মস্তিষ্কের মূলমন্ত্।

সোর্স

Saturday, July 2, 2011

মোবাইল সমাচার

0 comments
মোবাইল ফোন প্রযুক্তি এখন কেবল আর কথা বলার কাজে ব্যবহৃত হয় না। এ প্রযুক্তি এখন ইন্টারনেট ব্যবহারেরও বাহক। আর এখন বাংলাদেশে অবস্থিত সব মোবাইল ফোন অপারেটরই ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। দেশের পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে লিখেছেন
বি আশরাফী

গ্রামীণফোন
P1 (ব্যবহার অনুযায়ী বিল) : সব গ্রামীণফোন গ্রাহক এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতি কই ২ পয়সা (ভ্যাট বাদে)।
P2 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ৮৫০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগের সুযোগ।
P3 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। রাত ১২টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতিমাসে ২৫০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ইন্টারনেট উপভোগের সুযোগ রয়েছে এ প্যাকেজে।
P4 : শুধু প্রিপেইড গ্রাহকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P5 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ৩এই ৭০০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P6 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ১এই ৩০০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P7 : শুধু প্রিপেইড গ্রাহকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ১৫ দিনে ১৫ গই ২৯ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P9 : শুধু প্রিপেইড গ্রাহকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ১৫ দিনে ৯৯ গই ৯৯ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে। বাংলালিংক
P1(ব্যবহার অনুযায়ী বিল) : এ প্যাকেজ উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বাংলালিংক গ্রাহকদের P1 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। এ প্যাকেজে প্রিপেইড গ্রাহকরা প্রতি কই ২ পয়সা এবং পোস্টপেইড গ্রাহকরা প্রতি কই ১৫ পয়সা (ভ্যাট বাদে) উপভোগ করতে পারবেন।
P2 (আনলিমিটেড প্যাকেজ) : এই প্যাকেজে বাংলালিংক গ্রাহকরা ৬৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) উপভোগ করতে পারবেন। এটি উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে P2 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
P3 (নাইট টাইম ইন্টারনেট প্যাকেজ) : এ প্যাকেজে প্রতিমাসে ৩০০ টাকা (ভ্যাট বাদে) প্রদান করতে হয়। রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এ প্যাকেজ উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বাংলালিংক গ্রাহকদের P3 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
P4 (ডেইলি প্যাক) : এ প্যাকেজটি সব প্রিপেইড গ্রাহক উপভোগ করতে পারবেন। দৈনিক ৫০ টাকায় (ভ্যাট বাদে) চার্জ বাবদ এ প্যাকেজ উপভোগ করা যায়।
P6 (১এন) : প্রতিমাসে ২৭৫ টাকায় (ভ্যাট বাদে) এ প্যাকেজ উপভোগ করা যাবে। এ প্যাকেজ উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বাংলালিংক গ্রাহকদের P6 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
চ৬ (মিনি প্যাক) : মাত্র ২০ টাকায় ২৪ ঘণ্টা (ভ্যাট বাদে) এ প্যাকেজের সুবিধা ভোগ করা যায়। এ প্যাকেজে গ্রাহকরা দৈনিক ১৫সন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
রবি
ভলিউম বেইস্‌ড প্যাক :1 GB – ২৭৫ টাকা (ভ্যাট বাদে)। 3 GB-৪৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে)। ৫ GB-৬৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে)। প্রতি প্যাকেজের মেয়াদ ৩০ দিন।
২০/২০ প্যাকেজ : ২০ MB ২০ টাকা (ভ্যাট বাদে)। এ প্যাকেজের মেয়াদ ৭ দিন। এ প্যাকেজ উপভোগ করতে *৮৪৪৪*২০# ডায়াল করুন। ব্যালেন্স দেখতে *২২২*৮১# ডায়াল করুন।
মান’লি আনলিমিটেড প্যাকেজ : এ প্যাকেজে ৭৫০ টাকায় (ভ্যাট বাদে) এক মাস অফুরন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ প্যাকেজটি উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে প্রথমে A1  লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন। ফিরতি এসএমএস-এ Y লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন।
নাইট ব্রাউজিং পৱ্যান : প্রতিমাসে ২৭৫ টাকায় (ভ্যাট বাদে) রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এ প্যাকেজটি উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে প্রথমে A2  লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন। ফিরতি এসএমএস-এ Y লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন।
পে পার ইউজ : ভ্যাট বাদে ২ পয়সা KB পিক আওয়ার সকাল ৯.০১ থেকে দুপুর ১২.৫৯ পর্যন্ত। অফ পিক আওয়ার ১ পয়সা KB রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা (ভ্যাট বাদে)।
মিনিপ্যাক : ভ্যাট বাদে ১০ টাকায় ১০ MB প্রতিদিন।
এয়ারটেল
প্রিপেইড গ্রাহকদের জন্য
P4 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য দিনে ৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ১৫০MB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P5 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ৬৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ৫GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P6 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ২৭৫ টাকা (ভ্যাট বাদে) ১GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P7 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ৪৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ৩GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P9 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য দিনে ১০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ১০ GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য
P1: এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য ৩ মাসে ৭৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ৩ GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P3 (নাইট টাইম অফার) : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রতিমাসে ১এই ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P8 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ৩০০ টাকা ১এই (ভ্যাট বাদে) ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
সিটিসেল
সিটিসেল Zoom Ultra  মডেমসহ সংযোগ
ZTE AC ২৭২৬ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৪৯০ টাকা। ZTE AC ২৭২৬ ও পোস্টপেইড সংযোগ ১৯৯০ টাকা। Huawei EC ১২২ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৪৯০ টাকা। Huawei EC  ১২২ ও পোস্টপেইড সংযোগ ১৯৯০ টাকা। Huawei EC ১৬৭ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৮৯০ টাকা। Huawei EC ১৬৭ ও পোস্টপেইড সংযোগ ২৩৯০ টাকা। ZTE AC ৬৮২ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৪৯০ টাকা। ZTE AC ৬৮২ ও পোস্টপেইড সংযোগ ১৯৯০ টাকা।
১৫০ Kbps প্রতিমাসে ১ GB ২৭৫ টাকা, ২ GB ৪৫০ টাকা, ৩ GB ৬০০ টাকা, ৫ GB ৭০০ টাকা, আনলিমিটেড ১৫০০ টাকা।
৩০০ Kbps প্রতিমাসে ১ এই ৬০০ টাকা, ২ GB ৮৫০ টাকা, ৩ এই ১১০০ টাকা।
৩০০ Kbps প্রতিমাসে ২ এই ২২০০ টাকা, ৫ GB ৩৫০০ টাকা।
অপারেটরদের নতুন অফার
২০০০ প্রতিবেদন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গ্রাহকদের নিত্যনতুন চাহিদা আর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে তাদের আকৃষ্ট করতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো নানা সময় নানা অফার ঘোষণা করে। এসব অফার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যাপকভাবে প্রচার হয় পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও বিলবোর্ডে। অপারেটরদের চলমান অফারগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।
গ্রামীণফোন
ক্যাশব্যাক অফার
অন্যান্য অপারেটর কোম্পানি আগেই এ ক্যাশব্যাক অফার নিয়ে এসেছে। এবার দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল কোম্পানি নিয়ে এলো এ ক্যাশব্যাক অফার। ১০ টাকার কথা বললেই ২ টাকার কথা ফেরত। গ্রামীণফোনের সব প্রিপেইড (সহজ, বন্ধু, আপন), স্মাইল, ডিজুস, বন্ধন, বিজনেস সলুশন প্রিপেইড ও একতার গ্রাহকরা ১৭ জুন থেকে ১৪ দিন এই অফার ভোগ করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে ‘start i’ লিখে পাঠাতে হবে ৯৯৯৯ নম্বরে।
বাডি ট্র্যাকার
আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে খুঁজছেন? আর চিন্তার কারণ নেই। গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে নতুন অফার ‘বাডি ট্র্যাকার’। যাতে সহজেই আপনি আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের অবস্থান জানতে পারবেন। বন্ধুকে খুঁজতে টাইপ করুন আপনার অবস্থান। স্পেস দিয়ে লিখুন আপনার বন্ধুর নাম অথবা মোবাইল নম্বর আর পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। ফিরতি বার্তায় আপনি জেনে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত মানুষটি এখন কোথায় আছেন। কিন্তু বন্ধু খোঁজার আগে নিজে নিবন্ধিত হতে হবে। নিবন্ধনের জন্য লিখতে হবে start, তারপর স্পেস দিয়ে আপনার নাম লিখে পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। বন্ধুকে সংযুক্ত করতে add লিখে স্পেস দিয়ে বন্ধুর নম্বর স্পেস বন্ধুর নাম লিখে পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। বন্ধু আপনাকে গ্রহণ করলেই কেবল তার অবস্থান জানার জন্য আপনি এ অফার কাজে লাগাতে পারবেন। বন্ধুর আবেদন গ্রহণ করতে অথবা গ্রহণ না করতে লিখে স্পেস দিয়ে অটো জেনারেটেড কোড লিখে পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। ২৪ জুন পর্যন- এ অফার একদম ফ্রি।
বাংলালিংক
এবার লড়াই হবে এসএমএসে
বাংলালিংক নিয়ে এসেছে ‘আনলিমিটেড এসএমএস’ অফার। এ অফারে বাংলালিংক প্রিপেইড ও ‘কল অ্যান্ড কন্ট্রোল’ গ্রাহকরা প্রতিদিন ২ দশমিক ৯৯ টাকায় (ভ্যাট যোগ হবে) ১০০টি এসএমএস পাঠাতে পারবেন যে কোনো বাংলালিংক নম্বরে। গত ৬ জুন থেকে এ অফার চলছে। অফারটি সক্রিয় করতে ডায়াল করুন *২২২*৮# নম্বরে। প্রতিদিন ‘আনলিমিটেড এসএমএস’ অফার উপভোগ করতে কমপক্ষে ২ দশমিক ৯৯ টাকা (+ভ্যাট) রিচার্জ করতে হবে। টাকা রিচার্জ করলেই বোনাস এসএমএস পৌঁছে যাবে আপনার অ্যাকাউন্টে। এসএমএস ব্যালান্স চেক করতে ডায়াল করুন *১২৪*৩# নম্বরে।

হাজার বছরের ঘুমও ভেঙে যাবে
হাজার বছরের ঘুম ভেঙে দিতে বাংলালিংক নিয়ে এসেছে ‘এক্সাইটিং রিঅ্যাক্টিভেশন অফার’। এ অফারে ১ এপ্রিল ২০১১ তারিখের পর অব্যাহতভাবে বন্ধ থাকা বাংলালিংক দেশ, দেশ রঙ, লেডিস ফার্স্ট, এক রেট, এক রেট দারুণ, দেশ ৭ এফএনএফ ও রংধনু সংযোগ চালু করলেই সব বাংলালিংক নম্বরে ২৫ পয়সা প্রতি মিনিট এবং অন্য নম্বরে ৬৫ পয়সা প্রতি মিনিট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। যে কোনো পরিমাণ রিচার্জের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ দিনের জন্য এ অফার কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে এ অফার উপভোগ করতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে যে কোনো পরিমাণ রিচার্জ করতে হবে। কোনো সংযোগ এই অফারের আওতাভুক্ত কি না তা জানতে যে কোনো বাংলালিংক নম্বর থেকে ওই নম্বরটি লিখে ৪৩৪৩ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।
এয়ারটেল মাই এয়ারটেল মাই অফার
প্রত্যেকটি মানুষের চাহিদা আলাদা। আবার একই মানুষের একেক সময় একেক চাহিদা থাকে। এসব চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এয়ারটেল নিয়ে এসেছে ‘মাই এয়ারটেল মাই অফার’। এখানে প্রতিসপ্তাহে একজন গ্রাহক তার ইচ্ছেমতো যে কোনো অফার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন কোনো সপ্তাহে তিনি রাতে বেশি কথা বলবেন তাহলে তিনি ওই সপ্তাহে ‘নাইট টাইম অফার’ কার্যকর করতে পারবেন। আবার কোনো সপ্তাহে তিনি দেখলেন তার ইনকামিং বেশি হচ্ছে তাহলে তিনি ওই সপ্তাহে ‘ইনকামিং বোনাস’ অফার কার্যকর করতে পারবেন। এভাবে প্রতিসপ্তাহে একজন এয়ারটেল গ্রাহক নাইট টাইম অফার, ইউসেজ বোনাস, ইনকামিং বোনাস, রিচার্জ বোনাস, ইন্সট্যান্ট ক্যাশ ব্যাক ও বান্ডল অফারের মধ্যে থেকে যে কোনো একটি অফার কার্যকর করতে পারেন। অফার সম্পর্কে আরো জানতে ডায়াল করতে হবে *২২২# নম্বরে।
ইন্সট্যান্ট সেলিব্রেশন
এয়ারটেলের নতুন প্রিপেইড সংযোগ কিনলেই এখন গ্রাহক পাচ্ছেন ৫০০ মিনিট টকটাইম এবং ৫০০ এসএমএস একদম ফ্রি। আর সংযোগের মূল্য পড়ছে ১৪৯ টাকা। ফ্রি টকটাইম ও এসএমএস কার্যকর রাখতে সংযোগ সক্রিয় হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এছাড়া লোড করার আগেই ২০ টাকা টকটাইম পাওয়া যাবে এ সংযোগ কিনলে। এই সংযোগ থেকে যে কোনো এয়ারটেল নম্বরে প্রতি সেকেন্ড ১ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে প্রতি সেকেন্ড ২ পয়সা কলরেটে কথা বলা যাবে। বোনাস সম্পর্কে জানতে ডায়াল করতে হবে *৭৭৮*৫# এবং *৭৭৮*২# নম্বরে।
রবি নিবেদিত ‘কে হতে চায় কোটিপতি’
বিশ্ববিখ্যাত রিয়েলিটি শো ‘হু ওয়ান্ট্‌স টু বি মিলিয়নিয়র’-এর বাংলা ভার্সন ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এই বিগ টেলিভিশন গেম শো নিবেদন করছে রবি। এ শোতে অংশ নিতে হলে আপনার একটি রবি সংযোগ থাকতে হবে এবং সেই সংযোগ থেকে ডায়াল করতে হবে ৭৭৭৭ অথবা *১৪০*৭৭# নম্বরে। প্রতিটি এসএমএসের জন্য খরচ হবে ৬ টাকা (+ভ্যাট), ভয়েস কলের জন্য প্রতি মিনিট ৬ টাকা (+ভ্যাট)।
রবি কথাবার্তা উৎসব
প্রতি শুক্র ও শনিবার মানুষ ছুটি কাটায়। প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এ সময় মানুষের হাতে থাকে প্রচুর সময়। আর এ সময় প্রিয়জনদের সঙ্গে একটু বেশি কথা বলার সুযোগ দিতেই রবি নিয়ে এলো ‘কথাবার্তা উৎসব’। এ দুদিন কোনো ঝামেলা ছাড়াই সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কম খরচে কথা বলতে পারবেন রবি প্রিপেইড ‘রবি ক্লাব’, ‘সরল’, ‘স্বচ্ছ’ ও ‘সাশ্রয়ী’ প্যাকেজের গ্রাহকরা। প্রথম মিনিট ১ টাকার পর দ্বিতীয় মিনিট থেকে রবি নম্বরে ২৫ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে ৬৫ পয়সা প্রতি মিনিট। এছাড়া ৫ টাকায় ২০ মেগাবাইট পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা তো থাকছেই। এ সময় এফএনএফ ও প্রিয় নম্বরের সুবিধা কার্যকর থাকবে। দিনের অন্য সময় কলচার্জ অপরিবর্তিত থাকবে।
সিটিসেল মিস্‌ড কল অ্যালার্ট একদম ফ্রি
সিটিসেল নিয়ে এলো মিস্‌ড কল অ্যালার্ট সুবিধা। মোবাইল বন্ধ থাকলেও মোবাইল ব্যবহারকারী মিস করবেন না কিছুই। মিস্‌ড কল অ্যালার্ট সার্ভিসটি চালু করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে START টাইপ করে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬২২২ নম্বরে। আর সার্ভিস বন্ধ করতে ঝঞঙচ টাইপ করে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬২২২ নম্বরে। সার্ভিস সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য টাইপ করে পাঠিয়ে দিন ২৬২২২ নম্বরে। অফারটি উপভোগ করতে রেজিস্ট্রেশন চার্জ ১০ টাকা (+ভ্যাট) এবং মাসিক চার্জ ১০ টাকা/মাস (+ভ্যাট) প্রদান করতে হবে। প্রতি মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে এ মাসিক চার্জ কেটে নেওয়া হবে। সার্ভিসটি ৩০ জুন পর্যন্ত একদম ফ্রি।
বিদেশ থেকে টাকা পেতে সিটিসেল
বিদেশ থেকে পাঠানো প্রিয়জনের টাকা সহজে পাওয়ার জন্য সিটিসেল নিয়ে এসেছে ‘মানিব্যাগ রেমিট্যান্স’ অফার। এখন রেমিট্যান্স গ্রাহকরা তাদের প্রবাসীদের পাঠানো টাকা অতি সহজে সিটিসেলের নির্ধারিত কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রাহককে ট্রানজেকশন রেফারেন্স নম্বর (টিআরএন), টাকার পরিমাণ, ব্যাংকের নাম, পাসপোর্টের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে কাস্টমার কেয়ার পয়েন্টে যেতে হবে। এ সার্ভিস শুধু এবি ব্যাংক প্রদত্ত ‘এক্সপ্রেস মানি’ ও ‘ইন্সট্যান্ট ক্যাশ’-এর রেমিট্যান্স সেবার জন্য প্রযোজ্য।
এছাড়া সিটিসেল মানিব্যাগের মাধ্যমে এখন সিটিসেল গ্রাহকরা ডেসকো ও ঢাকা ওয়াসার বিল পরিশোধ করতে পারেন।

মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট
সোহাগ আশরাফ
দিন দিন প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক কাজ সহজ হয়ে গেছে। যেমন ইন্টারনেটে ওয়েব সার্ফিং বা ই-মেইল চেক করে দেখার জন্য কম্পিউটার অবশ্যই প্রয়োজন, তা বলা যাবে না। কেননা অনেক কিছুই এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। ইন্টারনেটে আমাদের সবচেয়ে জরুরি কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব সার্ফিং, ডাউনলোড, ই-মেইল চেক ইত্যাদি। এগুলোর চেয়ে একটি বড় কাজ আমাদের দৈনন্দিন ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা বাড়িয়ে চলেছে। সেটি হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। অনেকেই যোগাযোগের জন্য প্রধান মাধ্যম হিসাবে সম্প্রতি ইন্টারনেটকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগে খরচ অনেক কম।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে ৪০ কোটির বেশি মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩১৫ কোটি। সুইডেনের মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মোবাইল ফোনে কথা বলার তুলনায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার। মোবাইল ফোনে সহজেই যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ থাকায় ভবিষ্যতে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
মোবাইল ফোনে ফেসবুক
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক কম্পিউটারে ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইল ফোন থেকেও ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয় না। অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীরা এসব নোটিফিকেশন ই-মেইলের পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও পেয়েছেন এতদিন। এবার আমাদের দেশেও এসেছে এ সুযোগ। সমপ্রতি বাংলাদেশের দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক তাদের গ্রাহকদের জন্য এ সুবিধা চালু করেছে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও এখন স্ট্যাটাস আপডেট, কারো ওয়ালে পোস্ট করা এবং নোটিফিকেশন মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে দেখার সুবিধা রয়েছে।
কীভাবে এ সেবা পাবেন?
এর জন্য ফেসবুকে কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হবে। এজন্য ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটার থেকে প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করুন। এবার Account থেকে Account Settings অপশনে যান। Account Settings থেকে Mobile লেখা ট্যাবে যেতে হবে।
মোবাইল ট্যাবে গেলে নিচের একটি পেজ খুলবে। যেখানে একেবারে নিচে লেখা রয়েছে Already received a confirmation code? এ লেখাটির ওপর ক্লিক করুন। এরপর যে মোবাইল নম্বর থেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট করতে চান এবং নোটিফিকেশন পেতে চান সেটির মেসেজ অপশনে গিয়ে ভন লিখে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা ২৫৫৫ নম্বর এবং বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের ৩২৬৬৫ নম্বরে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ব্যবহারকারীকে একটি Confirmation Code পাঠানো হবে। এবার ফেসবুকের মোবাইল ট্যাবের নিচে Already received a confirmation code? লেখা বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। যে confirmation code -টি এসএমএসে এসেছে সেটি কনফার্মেশন বক্সে
লিখতে হবে। এবার Confirm-এ ক্লিক করুন। এখন কী কী নোটিফিকেশন মোবাইলে পেতে চান তার সেটিংগুলো ঠিক করে দিন। এরপর থেকে ফেসবুকের সব ধরনের নোটিফিকেশন এসএমএসের মাধ্যমে পাবেন। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো চার্জ দিতে হয় না।
মোবাইল ফোনে ডাউনলোড
যে কেউ সফটওয়্যার, ছবি, নাটক, গান ইত্যাদি নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকায় কোনো কিছু নামাতে বেশ সময় লাগে। ইচ্ছা করলে আপনি আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনসেট থেকেও এ কাজ করতে পারেন। সিম্বিয়ান বা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে এমন মোবাইল ফোনসেট ব্যবহার করে এ কাজটি করা সম্ভব। ফলে খুব সহজে যেকোনো সময়ই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য বা গান, সফটওয়্যার ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন মোবাইল ফোনসেটেই। এ জন্য প্রথমে মোবাইল ফোন থেকে www.opera.com/mini নামিয়ে নিন। অপেরা মিনি মোবাইল ফোনসেটে ইনস্টল করে নিতে হবে। এবার আপনি যা নামাতে (ডাউনলোড) চান, সেই সাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ফাইলের ঠিকানা সংগ্রহ করুন। এবার এই ঠিকানাকে একটি ফাইলে সংরক্ষণ করুন। এবার ওই ফাইল আপনার মোবাইলের ফাইল ম্যানেজার দিয়ে খুলুন। এবার অপেরা খুলুন। এর ঠিকানায় লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেসবার) ওই ঠিকানা লিখে দিয়ে Go To চাপুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্টারনেট থেকে নির্দিষ্ট গান, সফটওয়্যার, ছবি বা যেকোনো কিছুর ফাইল চলে আসবে আপনার মোবাইল ফোনে।
বিনামূল্যে কথা
বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা কি আর সহজে শেষ হয়! শুরু করলে এ আড্ডা চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। হ্যান্ডসেটে এ আড্ডার জন্য ব্যবহারকারীদের মোটা অঙ্কের বিল গুনতে হয়। তবে হ্যান্ডসেটে বিশেষ কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিনামূল্যেও কথা বলা যায়। যে কোনো মডেলের স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই বিনামূল্যে কথা বলার এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন যে কেউ।
ইন্টারনেটের জাদু
বিনামূল্যে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য আসল জাদু হচ্ছে সফটওয়্যার। তবে ফোনে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে কথা বলার জন্য সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে। এগুলোর মধ্যে ফ্রিং, নিমবাজ এবং স্কাইপ মোবাইল অন্যতম। ফ্রিং সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সমপ্রতি ভিডিও কলিং সেবাও চালু করা হয়েছে। ফলে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট (থ্রিজি) ছাড়াও এ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ভিডিও কলিং করা সম্ভব। এতে কথা বলার পাশাপাশি যার সঙ্গে কথা বলা হবে ছবিও দেখা যাবে।
মোবাইলে চ্যাট করার সফটওয়্যার
প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল ফোনে সংযুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ব্যবস্থা। আপনি যদি একটি ইন্টারনেট সুবিধা সংবলিত হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেন তাহলে চ্যাটিংয়ের জন্য পিসির প্রয়োজন পড়বে না। বেশ কিছু অ্যাপিৱকেশন আপনাকে মোবাইলেই দেবে চ্যাটিংয়ের ব্যবস্থা। আসুন জেনে নিই তেমন কিছু সফটওয়্যারের কথা যা আপনি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন।
e-Buddy Mobile Messenger
ই-বাডি মোবাইল ম্যাসেঞ্জার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চ্যাটিং প্লাটফর্ম/অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল থেকেই লগ-ইন ও চ্যাট করতে পারবেন একসঙ্গে আপনার ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে, গুগল টকে, এমএসএন ও এওএলে। এটি খুবই ছোট একটি অ্যাপ্লিকেশন যা জাভা এমআইডিপি ২.০ (যা বর্তমানের প্রায় সব হ্যান্ডসেটেই বিদ্যমান থাকে) সাপোর্ট করে। এর মাধ্যমে আপনি চাইলে ডাউনলোড না করেও আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্লায়েন্টে লগ-ইন করে চ্যাট করতে পারেন আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে সরাসরি। তবে মূল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নেয়াই ভালো। অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে আপনার মোবাইল ফোনের ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন wap.ebuddy.com এবং আপনার হ্যান্ডসেটের মডেল নম্বর সিলেক্ট করে মূল ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
Mig33
বিশ্বব্যাপী চ্যাটিংয়ের জগতে আরেকটি জনপ্রিয় নাম হচ্ছে মিগ ৩৩। এটিও আপনাকে শুধু ইয়াহু বা এমএসএন ম্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি এদের নিজস্ব চ্যাটরুমেও বিনামূল্যে চ্যাটিংয়ের সুবিধা দেবে। পাশাপাশি প্রিমিয়াম সেবার আওতায় এরা দেশ-বিদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে ভয়েস কল ও এসএমএস প্রেরণের সুবিধাও দেবে। মিগ ৩৩ বর্তমানে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের ভয়েস কল সেবা দেয় না, তবে এসএমএস প্রেরণের সুবিধা দেয়।
মিগ ৩৩ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার বন্ধু যদি অফলাইনেও থাকে, তাহলে আপনি তাকে Buzz  ফিচারের মাধ্যমে এসএমএস পাঠাতে পারবেন তাকে অনলাইনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে। মিগ ৩৩ Buzzing -এর জন্য রেগুলার এসএমএস ট্যারিফের চেয়ে অনেক কম মূল্য নিয়ে থাকে। তবে এ সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার বন্ধুর ফোন নাম্বার আপনার কন্ট্যাক্ট লিস্টে যুক্ত থাকতে হবে। মিগ ৩৩ ডাউনলোড করতে হলে আপনার মোবাইল ফোনের ব্রাউজার ব্যবহার করে ভিজিট wap.mig33.com এবং আপনি যে হ্যান্ডসেট ব্যবহার করছেন, সেটির ব্র্যান্ড ও মডেল নাম্বার দিয়ে ডাউনলোড করুন মিগ ৩৩।
Nimbuzz
মোবাইল চ্যাটিংয়ের জগতে আরেকটি বিখ্যাত ও অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যারের নাম হচ্ছে নিমবাজ। বিখ্যাত এই সফটওয়্যার আপনি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করলে এর মাধ্যমে আপনি একসঙ্গে একসেস নিতে পারবেন স্কাইপ ম্যাসেঞ্জার, উইন্ডোজ লাইভ ম্যাসেঞ্জার, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, ICQ, AIM, GTalk, Jabber, মাইস্পেসসহ আরো বেশ কিছু সেবায়। নিমবাজের ভয়েস কলসহ আরো কিছু প্রিমিয়ার সেবাও রয়েছে। তবে শুধু চ্যাট বা ফেসবুক/মাইস্পেসে লগইন করার মতো সেবা আপনি পাবেন বিনামূল্যে। তবে নিমবাজ মূল ফাইলটির সাইজ একটু বড় বলে কিছু কিছু হ্যান্ডসেটে এটি ডাউনলোড করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ভালো উপায় হচ্ছে, প্রথমে পিসিতে ডাউনলোড করে ফাইলটি ব্লুটুথ বা ডাটাকেবল দ্বারা মোবাইলে ট্রান্সফার করা। তবে এর আগে আপনি একবার যাচাই করে নিতে পারেন আপনার ফোনে সরাসরি সাপোর্ট করা যায় কি না। আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন http://get.nimbuzz.com এবং আপনার ফোনের ব্র্যান্ড এবং মডেল নাম্বার সিলেক্ট করে ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করুন।
Yahoo! Go
Yahoo! Go এড় হচ্ছে ইয়াহুর নিজস্ব একটি মোবাইল অ্যাপিৱকেশন যা আপনার ইয়াহু দুনিয়াকে নিয়ে আসবে একেবারে হাতের মুঠোয়। একটি ইয়াহু গো অ্যাপিৱকেশন ব্যবহার করে আপনি আপনার ইয়াহু অ্যাকাউন্টের সব সেবায় একসেস নিতে পারবেন। যেমন ই-মেইল পড়তে পারবেন, ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করতে পারবেন, Flickr-এ সংরক্ষিত ছবি দেখতে বা নতুন ছবি আপলোড করতে পারবেন কিংবা বন্ধুদের ছবিও দেখতে পারবেন। এমনকি নির্দিষ্ট কিছু শহরের ম্যাপও আছে ইয়াহু গোতে। পাশাপাশি আপনি পৃথিবীর যে কোনো শহরের আবহাওয়া সম্বন্ধে জানতে ও পূর্বাভাস পড়তে পারবেন। মোটকথা, পুরো ইয়াহু দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে Yahoo Go. এই অ্যাপ্লিকেশনটির সাইজ প্রায় এক মেগাবাইট বা তার চেয়ে কিছু বেশি। এছাড়া এই অ্যাপ্লিকেশন প্রচুর ডাটা ট্রান্সফার করে। তাই আপনি যদি আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যানের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার না করেন, তাহলে এই সফটওয়্যার ব্যবহার না করাই ভালো। এই সফটওয়্যার মূলত আনলিমিটেড ডাটাপ্ল্যানের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি।

মোবাইলে বিলিং ও ব্যাংকিং সুবিধা
সুমাইয়া শিফাত
ব্যস্ত এই নাগরিক জীবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ইউটিলিটি বিল দেওয়া কিংবা ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ঝক্কি-ঝামেলা থেকে গ্রাহককে মুক্তি দিতে মোবাইল কোম্পানিগুলো নিয়ে এসেছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুবিধা। তারা নানান ব্যাংকিং সুবিধাও চালু করেছে। তবে রাজধানী ঢাকাতেই কেবল মোবাইল বিলিং সুবিধা সীমাবদ্ধ রয়েছে।
মোবাইল বিলিং
আজকাল মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ঘরবাড়িতে প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি যেমন পানি, বিদ্যুৎ গ্যাসের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে। বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন তাদের মনোনীত এজেন্ট পয়েন্ট থেকে গ্রাহকদের বিল দেওয়ার এ সুবিধা দিচ্ছে। এৰেত্রে গ্রাহকরা বিল বই পূরণ করে স্বাৰরসহ গ্রামীণফোন অথবা বাংলালিংকের মাধ্যমে এ বিল দিতে পারেন। এ ছাড়া মোবাইল ফোন কোম্পানি রবি, টেলিটক দিয়ে পানি ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়। সিটিসেল দিয়েও পানির বিল দেওয়া যায়।
মোবাইল কোম্পানিগুলো বর্তমানে রাজধানীতেই কেবল বিল দেওয়ার সুবিধা চালু করলেও পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই চালু করবে বলে জানিয়েছে। খুলনা জেলায় বাংলালিংকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
মোবাইল বিলিংয়ে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করার পর ফিরতি এসএমএস পান টাকা জমা হলে। ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ইউটিলিটি বিল দেওয়ার চেয়ে স্বল্প সময়েই এ পন্থায় বিল দেওয়া যায় বলে এ পদ্ধতি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মোবাইল ব্যাংকিং কী
মোবাইল ফোনে ব্যাংকিং সুবিধা আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন। মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা দিয়ে ব্যালেন্স চেক, অ্যাকাউন্ট ট্রানজেকশন, পেমেন্ট, ক্রেডিট অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্য ব্যাংকিং সুবিধাগুলো একটি মোবাইল ডিভাইস যেমন- মোবাইল ফোন কিংবা পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের (পিডিএ) মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। এটি একটি শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা যার মাধ্যমে স্বল্প খরচেই নানান আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
এ ব্যবস্থায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর দেওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক ও স্টক মার্কেট ট্রানজেকশন, অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং কাস্টমাইজড তথ্য অ্যাক্সেস সুবিধা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আন্তঃসম্পর্কিত তিনটি ধারণা হচ্ছে-
মোবাইল অ্যাকাউন্টিং
মোবাইল ব্রোকারেজ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন সার্ভিসেস
এদের মধ্যে মোবাইল অ্যাকাউন্টিং ও ব্রোকারেজ ক্যাটাগরির অধিকাংশ সেবাই মূলত লেনদেনভিত্তিক। এসব সেবা সব সময়েই ইনফরমেশন সার্ভিসগুলোর সমন্বয়ে প্রদান করা হয়। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সহায়তায় মোবাইল ব্যাংকিং বেশ কার্যকর।
প্রথমদিকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হতো এসএমএস-এর মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে এতে ওয়াপ প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় মোবাইল ওয়েব ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো
মোবাইল কোম্পানিগুলো যেসব ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে-
অ্যাকাউন্ট তথ্য
অ্যাকাউন্ট ইতিহাসের মিনি স্টেটমেন্ট ও চেকিং
অ্যাকাউন্ট কার্যক্রমের ওপর অ্যালার্ট
টার্ম ডিপোজিট মনিটরিং
লোন স্টেটমেন্ট অ্যাক্সেস
কার্ডং স্টেটমেন্ট অ্যাক্সেস
মিউচুয়াল ফান্ড অথবা ইক্যুয়িটি স্টেটমেন্ট
ইন্স্যুরেন্স পলিসি ব্যবস্থাপনা
পেনশন পৱ্যান ব্যবস্থাপনা
চেকের ওপর স্ট্যাটাস, চেকের ওপর পেমেন্ট বন্ধ
চেক বুক অর্ডার করা
অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স চেক করা
সাম্প্রতিক লেনদেন
পেমেন্ট প্রদানের তারিখ (পেমেন্ট আটকে দেওয়া, পরিবর্তন এবং মুছে ফেলার কাজ)
পিন ব্যবস্থা গ্রহণ, পিন পরিবর্তন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে রিমাইন্ডার
কার্ড বৱক করা (হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে) প্রদান, অর্থ জমা, অর্থ উত্তোলন এবং স্থানান্তর
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ফান্ড স্থানান্তর
মাইক্রো পেমেন্ট হ্যান্ডলিং
বাণিজ্যিক পেমেন্ট প্রসেসিং
মোবাইল রিচার্জিং
বিল পেমেন্ট প্রসেসিং
পিয়ার-টু-পিয়ার পেমেন্ট
ব্যাংকিং এজেন্টে অর্থ উত্তোলন
ব্যাংকিং এজেন্টে অর্থ জমাকরণ
এ ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে চেক বুক ও কার্ড রিকোয়েস্ট যাচাই, এটিএম লোকেশন, অভিযোগ পেশও ট্রাকিংসহ ডাটা মেসেজ এবং ই-মেইল আদান-প্রদানের সুবিধা দেওয়া যায়।
কনটেন্ট সার্ভিসসমূহ
আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা, সংবাদ ইত্যাদির মতো সাধারণ তথ্যাদি
বিনোদন, রশিফল, খেলার খবর, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদি তথ্য
আনুগত্য সম্পর্কিত নানান অফার
লোকেশনভিত্তিক সেবা
শেয়ারবাজার সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং
অপারেটর কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের সুবিধার্থে চালু করেছে মোবাইল ব্যাংকিং। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক এই সেবা চালু করেছে। এখন মোবাইলের মাধ্যমে যে কেউ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব, অর্থ জমা ও উত্তোলন সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন। তবে এই ব্যাংকিং পদ্ধতির ব্যবহার এখনো বেশ সীমিত। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা যেমন- টাকা জমাদান, উত্তোলন, পণ্যের মূল্য পরিশোধ, বিল পরিশোধ, বেতন/ভাতা বিতরণ, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, রেমিট্যান্স ট্রান্সফার ইত্যাদি সহজে সম্পন্ন করা যায়। কেবল মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই এসব সেবা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানির মধ্যে সবই মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে। তবে বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, সিটিসেল, রবি বেশ এগিয়েছে এ ৰেত্রে। বাংলালিংক এবং সিটিসেল সারাদেশে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে USSD বা SMS+IVR (Inter-Active voice Response) নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা লেনদেনের পর মোবাইলের বার্তা পাবেন, যার মাধ্যমে তিনি লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হবেন।
মোবাইল সেবার নয়া সংস্করণ
বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানিগুলো গত কয়েক বছরে বেশ প্রসার লাভ করেছে। এখন তারা সরকারের কিছু গুর্বত্বপূর্ণ কাজেও অংশ নিচ্ছে। এ বছর সরকারি মালিকানায় থাকা টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএস পাঠিয়ে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করার পদ্ধতি নিয়েছে সরকার। এ পদ্ধতিতে টেলিটকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কলেজটির কোড নম্বর দিয়ে ভর্তির আবেদন করতে হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি, এইচএসসির রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছর মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোনে টিকেট সার্ভিস চালু করেছে। গ্রামীণফোন, বাংলালিংকসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি এই সেবা দিচ্ছে। তবে যাত্রী হয়রানি লাঘবে এ সেবা চালু হলেও এটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।
বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্যাংকিং
বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্যাংকিং উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানি এ সুবিধা দিচ্ছে। ইরানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে পার্সিয়ান, তেজারাত, মেলাত, সাদেরাত, সেফা, এদবি এবং ব্ল্যাকমেলি। ওমনিলাইফ, ব্যানকোমার এবং এম পাওয়ার ভেঞ্চার দিচ্ছে মেক্সিকোতে। গুয়েতেমালায় এ সেবা দিয়ে থাকে ব্যানকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল। কেনিয়ার ভোডাফোন গ্র্বপের সাফারিকমের রয়েছে এম-পেসা সার্ভিস যা প্রধানত সীমিত পরিমাণে অর্থ স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়। তবে ইউটিলিটি বিল প্রদানেও মোবাইলের  ব্যবহার বাড়ছে। ২০০৯ সালে জেইন তাদের নিজস্ব মোবাইল মানি ট্রান্সফার ব্যবসা চালু করে যেটি তঅচ নামে পরিচিত। কেনিয়া ও কয়েকটি আফ্রিকান দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। তামির ব্যাংকের সহায়তায় টেলিনর পাকিস্তানে চালু করেছে ইজি পায়সা নামে মোবাইল ব্যাংকিং। ভারতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংক মিলে একো ইন্ডিয়া ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস চালু করেছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ভবিষ্যৎ
বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান জুনিপার রিসার্চ জানিয়েছে, মোবাইলযোগে ব্যাংকিং লেনদেনকারী লোকের সংখা ২০১১ সালে ১৫ কোটি অতিক্রম করবে। ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশই হচ্ছে উন্নত দেশের। মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি বেশ দ্র্বততার সঙ্গে সম্পন্ন হয় এবং এটি সময় সাশ্রয়ী। তাই বিভিন্ন দেশে এই সুবিধা দ্র্বত প্রসারিত হচ্ছে। আজকের দিনে মোবাইল ফোন এক অতিপ্রয়োজনীয় ডিভাইসে পরিণত হয়েছে এবং হ্যান্ডসেটের মাধ্যমেই তাৎৰণিক ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় এটি জীবনকে আরো সহজ ও আরামপ্রদ করছে। আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফরমা টেলিকমস অ্যান্ড মিডিয়া বলেছে, ২০১৩ সাল নাগাদ প্রায় ৪২ কোটি ৪০ লাখ ভোক্তা মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নেবে। ফরেস্টার পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং ভবিষ্যতে তর্বণদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় বিষয় হবে। কেননা তারা মোবাইল ফোনে ব্যাংকিং লেনদেন উপভোগ করেন। আর সে কারণে ভবিষ্যতে এই সেবা দ্র্বত প্রসার লাভ করবে।
মোবাইল টেকনোলজির
নতুন খবর
২০০০ প্রতিবেদন
কোকাকোলা দিয়ে চলবে মোবাইল হ্যান্ডসেট
বিজ্ঞানী-গবেষকরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছেন নতুন নতুন ধারণার মোবাইল ফোন উদ্ভাবনে। এরই ধারাবাহিকতায় উদ্ভাবিত হয়েছে পরিবেশবান্ধব নতুন মোবাইল ফোন। ব্যাটারি ছাড়াই চলবে নতুন ধারণার এই মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ব্যাটারির পরিবর্তে সফট ড্রিংকস দিয়ে চলবে। বিশেষ করে কোকাকোলা জাতীয় পানীয় ব্যবহারে মোবাইল চালানোর পদ্ধতি আবিষ্কারে প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। দাইজি জিং নামে চীনের একজন ডেভেলপার নতুন ধরনের এই মোবাইল ফোন ডিজাইন করেছেন। একটি প্রকল্পের অধীনে বিশ্বখ্যাত মোবাইল ফোন প্রস’তকারী প্রতিষ্ঠান নকিয়ার জন্য এই মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছে।
মোবাইলে ওয়ালেট সেবা চালু করছে গুগল
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৬ মে থেকে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পরিবর্তে মোবাইল ফোন থেকেই অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি, মোবাইল ওয়ালেট চালু করছে গুগল। মাস্টার কার্ড ও সিটি গ্রুপ এ কাজে গুগলকে সহায়তা করছে। গুগল জানিয়েছে, মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন ব্যবস্থার উন্নয়নকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মোবাইলের এনএফসি কানেক্টর ব্যবহার করে এই সেবা পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচনায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেশ কয়েকটি ব্যাংক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং কার্ড প্রসেসিং নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান মাস্টার ও ভিসা কার্ড বেশ কয়েক মাস ধরেই এ ধরনের সেবা চালুর চেষ্টা করে যাচ্ছে। গুগলই আনুষ্ঠানিকভাবে সেবাটি প্রথমবারের মতো চালু করছে।
ক্যাসপারেস্কি মোবাইল সিকিউরিটি পাওয়া  যাচ্ছে দেশের সর্বত্র
মোবাইলকে সব ধরনের ভাইরাস থেকে দূরে রাখতে কার্যকরি এন্টিভাইরাস, ক্যাসপারেস্কি মোবাইল সিকিউরিটি ৯ এখন পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে। এর দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৬৯৯ টাকা। এতে আছে প্রাইভেসি প্রোটেকশন, এন্টি থেফট, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, এন্টিভাইরাস, ফায়ারওয়াল এবং এনক্রিপশনের সুবিধা। এটি আপনার এন্ড্রয়েড ১ দশমিক ৬-২ দশমিক ২ ফোন, বৱ্যাকবেরি ৪ দশমিক ৫-৬ দশমিক ০ ফোন, নকিয়া স্যাম্বিয়ান ৩, স্যাম্বিয়ান সিরিজ ৬০৯ দশমিক ১-৯ দশমিক ৪ এবং উইন্ডোজ মোবাইল ৫ দশমিক ০-৬ দশমিক ৫ চালিত সব ফোনে কাজ করবে।
নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন সেন্টারসহ দেশের সব বড় মোবাইলের দোকানে এই এন্টিভাইরাস পাওয়া যায়।
এশিয়ায় সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট দেবে সিঙ্গটেল
এশিয়ার প্রথম টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হিসাবে সিঙ্গটেল মোবাইল ফোনভিত্তিক সেবায় সমগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তারহীন তথ্য বিনিময় (ওয়্যারলেস ডাটা) ব্যবস্থাপনায় এ সেবা প্রযোজ্য হবে। এ মুহূর্তে তা ভয়েস সেবায় প্রযোজ্য হবে না। সিঙ্গটেলের মোবাইল ফোনভিত্তিক সিমের মাধ্যমে নোটবুক কম্পিউটারে ইন্টারনেট উপভোগে এ দ্রুতগতির বাস্তবতা যাচাই করা যাবে।
এ পরিকল্পনায় ০ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ১ মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) গতির গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাটা স্পিড সুবিধা পাবেন, যা আগের গতির তুলনায় ৬০ ভাগ বেশি। এ মুহূর্তে প্রিমিয়াম সেবাভুক্ত গ্রাহকরা ১ দশমিক ৭ থেকে ৪ দশমিক ৮ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। অচিরেই তারা সিঙ্গটেলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২১ এমবিপিএস গতির মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করার অভূতপূর্ব সুযোগ পাবেন। সিঙ্গটেল সূত্র জানিয়েছে, গ্রাহক সেবায় এ গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে এতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। কেননা এ সিমের আওতায় বিভিন্ন প্যাকেজে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করে।
নকিয়া বানাল সোনায় মোড়ানো ফোন
ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন জায়ান্ট নকিয়া সমপ্রতি ১৮ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো নতুন একটি হ্যান্ডসেট বাজারে আনছে। অরো নামের এই হ্যান্ডসেটটি সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমে চলে। স্বচ্ছ স্ফটিক বসানো ‘কী’ এবং স্কটল্যান্ডের ক্যালেডোনিয়ান চামড়ার কাভারসহ এই হ্যান্ডসেটটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের সামপ্রতিক সংস্করণ অ্যানা।
জানা গেছে, নকিয়ার অরো নামের এই হ্যান্ডসেটটিতে আরো রয়েছে পেন্টাব্যান্ড রেডিও, থ্রিজি, ওয়াই-ফাই সংযোগ। এ ছাড়াও ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপেৱর এই মোবাইল ফোনটির ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। এতে ৭২০ পিক্সেলে ভিডিও করা যায়। এতে রয়েছে ৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরিসহ মাইক্রোএসডি কার্ড সৱট। নকিয়া রাশিয়ার জেনারেল ম্যানেজার গ্যাব্রিয়েল স্পেরাটি জানিয়েছেন, ১৮ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো এই হ্যান্ডসেটটির কভার দাগ বা আঁচড় প্রতিরোধী। এটির ‘কী’ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্বচ্ছ ক্রিস্টাল। ফলে একে স্বচ্ছ কাচের চেয়েও ৮ গুণ ঝকঝকে দেখায়। জানা গেছে, নকিয়া অরো হ্যান্ডসেটটি এ বছরেই ইউরোপ, চীন, মধ্যপ্রাচ্যে পাওয়া যাবে। হ্যান্ডসেটটির দাম পড়বে ৮০০ ইউরোরও বেশি।
মোবাইল ফোনে সৌরবিদ্যুৎ
এবার মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মোবাইল ফোনে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার। চার্জারের পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেই মোবাইল ফোনটি চার্জ হয়। তবে এ মোবাইল ফোনের দাম অত্যন্ত বেশি। চীনা কোম্পানি জেডটিই এবার সস্তায় সোলার পাওয়ারড মোবাইল ফোন বাজারে ছেড়েছে যার দাম পড়বে ৩২ ইউরোর কম। অর্থাৎ তিন হাজার টাকার মতো। নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ‘ওয়াচ ফোন’ Bildunterschrift : Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift : নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ‘ওয়াচ ফোন’।
চার্জারে নতুন চমক
মোবাইল ফোনের চার্জার একটি বেশ ঝক্কির বিষয়। একেক মোবাইল ফোনের চার্জার একেক রকম হওয়ায় ব্যবহারকারীরা মাঝে মধ্যেই সমস্যার মধ্যে পড়েন। এবার সে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। তারা জানিয়েছে, ২০১২ সালের মধ্যে তারা উদ্ভাবন করতে যাচ্ছে এমন চার্জার, যা যে কোনো মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে।

আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোন
মুনীর মমতাজ
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার যোগাযোগের ৰেত্রে বিস্ময়কর অর্জন। তারের সংযোগ ছাড়া পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়াটা কিছুটা অবাকই করে দেয় সমসাময়িক মানুষকে। তবে তাদের এ ঘোর কাটতে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি। মোবাইল ফোনের আবিষ্কার পর্ব শেষ হলে চলতে থাকে এর উৎকর্ষ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা। প্রথম দিকে তৈরি হতো ঢাউস আকারের সব মোবাইল ফোন সেট, সঙ্গে লম্বা একটা এন্টেনা। যেটির পরিবহন ছিল ঝামেলাপূর্ণ। সেই ত্র্বটি কাটিয়ে উঠতে খুব একটা সময় লাগেনি। স্বল্প সময়ের মধ্যেই নতুন নতুন ধারণা যোগ হতে থাকে এর সঙ্গে। কমতে শুর্ব করে মোবাইল ফোনের আকার-আকৃতি, সঙ্গে বাড়তে থাকে এর নানা কার্যপরিধি। মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পর ইতিমধ্যে চারটি প্রজন্ম অতিবাহিত হয়ে গেছে। থেমে নেই এর অগ্রগতি। এখনো পরিকল্পনা চলছে মোবাইল ফোনে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করার।
বর্তমান প্রজন্মের কয়েকটি আধুনিক মোবাইল ফোন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
থ্রি-জি মোবাইল ফোন
থ্রি-জি বা থার্ড জেনারেশন অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন। ২০০১ সালের মে মাসে সর্বপ্রথম জাপানে এ ধরনের মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুর্ব হয়। ওই বছরের অক্টোবরে শুর্ব হয় বাণিজ্যিক ব্যবহার। থ্রি-জি মোবাইল হচ্ছে টু-জি মোবাইল ফোনের বর্ধিত সংস্করণ। এ ধরনের মোবাইল ফোনে স্বতন্ত্র রেডিও থ্রি কোয়েলিস ব্যবহৃত হয়। এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল থেকে বেশি ৰমতাসম্পন্ন । এতে আছে আন্তর্জাতিক রোমিংয়ের সুবিধা। উচ্চগতি এবং বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখেই থ্রি-জি মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছে। এতে উচ্চৰমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট ওয়্যারলেস সুবিধা রয়েছে। আদর্শ থ্রি-জি মোবাইল ফোনে আছে তারবিহীন ভয়েস ক্যাপাসিটি, ওয়্যারলেস ভিডিও, ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ডাটা ক্যামেরা, মিউজিক পেৱয়ার, স্মার্ট কার্ড ইনসার্ট, ওয়েব ব্রাউজারসহ নানান সুবিধা। তবে থ্রি-জি মোবাইল ফোন অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় এর ব্যবহার এখনো সর্বস্তরে এসে পৌঁছায়নি।
ফোর-জি মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোনের জগতে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ পর্যায়টি হচ্ছে ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন। উচ্চ প্রযুক্তির ওয়াইম্যাক্স সুবিধা প্রদান এর অন্যতম লৰ্য হলেও এর সঙ্গে আছে বাড়তি কিছু সুবিধা। ফোর-জি মোবাইল ফোন নামটি বেশ পরিচিতি লাভ করেছে এরই মধ্যে। তারপরও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি ফোর-জি মোবাইলে প্রকৃতপক্ষে কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
ফোর-জি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে থাকা দুটি ফোর-জি মোবাইলের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের হার হবে অন্তত ১০০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড। এতে আছে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সুবিধা, ইন্টারন্যাশনাল রোমিং, রিয়েল টাইম অডিও, উচ্চ গতিসম্পন্ন তথ্যপ্রদান ক্ষমতা, এইচডি টিভি, ভিডিও সেন্টার, মোবাইল টিভি প্রভৃতি। এ ছাড়াও থাকছে সব ধরনের প্যাকেট সুইচড নেটওয়ার্ক।
চলতি বছরের প্রথম দিকে যে কয়েকটি প্রধান মোবাইল ফোন কোম্পানি ফোর-জি নামে মোবাইল ফোন বাজারজাত করেছে তাদের মধ্যে মোটোরোলা, এইচটিসি ও স্যামস্যাং উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে আরো  কয়েক প্রকার মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। যেমন-
আই ফোন
আই ফোন সর্বপ্রথম বাজারে আসে ২০০৭ সালের দিকে। ওই বছর জুন মাসে এটি প্রথম বাজারজাত করা হয়। তবে বর্তমানে আই ফোনের উৎপাদন বন্ধ আছে। থ্রি-জি মোবাইলের সব ধরনের সুবিধা আছে এতে। এ ছাড়া আছে ফেস টাইম, ভিডিও কলিং, রেটিনা ডিসপেৱ, মাল্টিটাচ স্কিন, এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং।
কার ফোন
কার ফোন আসলে এক ধরনের মোবাইল ফোন। তবে এর সুবিধা হলো এটি সাধারণত যানবাহনে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের মোবাইল ফোনে যুক্ত থাকে উচ্চৰমতাসম্পন্ন  ট্রান্সমিটার, বহিস’ এন্টেনা ও লাউড স্পিকার। সাধারণ নেটওয়ার্কের আওতায় এসব মোবাইল ফোন সংযুক্ত থাকে বলে গাড়ি চালানোর সময়ও এটি ব্যবহার করতে পারে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং  জর্বরি প্রয়োজনের ৰেত্রে এ ধরনের ফোন ব্যবহার করা হয়।
রেডিও ফোন
রেডিও ফোন মূলত এক ধরনের রেডিও। তারপরও মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এর জন্য প্রয়োজন একটি প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র এবং অপারেটরের, যা নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করবে ফোন কলকে পিএসটিএন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করাই এর কাজ।
স্যাটেলাইট ফোন
এ ধরনের মোবাইল ফোন সাধারণত কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এ ধরনের মোবাইল ব্যবহারের জন্য একটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে বিশাল এলাকা কাভার করা হয়ে থাকে, যা টেরিস্ট্রিয়াল স্টেশনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। স্যাটেলাইট ফোন অত্যধিক ব্যয়বহুল হওয়ায় সব ৰেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সাধারণত পর্বতারোহী, সমুদ্রাভিযান ও দুর্গম মর্বভূমির মতো জায়গায় স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করা হয়।