Friday, January 21, 2011

মেহেরজান

0 comments
পঁচিশে মার্চ ১৯৭১।

হলিক্রস কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মেহেরজান। পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সময় মেহের তার মা-বাবার সাথে আশ্রয় নেয় গ্রামে, নানার বাড়িতে।

নানা খাজা সাহেব এককালে মুসলিম লীগের ডাকসাইটে নেতা ছিলেন। কিন্তু প্রগতিবাদী রাজনীতির সমর্থন করা ও কমিউনিস্টদের সাথে মিলেমিশে কাজ করার জন্য মুসলিম লীগের রক্ষণশীল নেতৃত্বের ষড়যন্ত্র আর প্ররোচনায় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্নপ্রায় তিনি। সাতচল্লিশের দেশভাগের সময় কলকাতা থেকে চলে আসা একজন বনেদি মুসলিম। যেকোনো মূল্যে গ্রামে রক্তপাত ঠেকাতে চান তিনি। এদিকে খাজা পরিবারের অন্দরমহলে ঢুকেছে যুদ্ধের প্রভাব।

নানার চার মেয়ে। বড় মেয়ে সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার দায়ে পাক আর্মি হত্যা করে বড় মেয়ের জামাইকে। বড় মেয়ের কন্যা নীলাকে পাক আর্মিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মেঝ মেয়ে ও তার ছেলে সামি, আমেরিকায় যার পড়তে যাবার কথা, যুদ্ধের ডামাডোলে নানার গ্রামে আশ্রয় নেয়। নানার সবচেয়ে আদরের ছোট মেয়ে মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ। সে বাচ্চাদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে।

বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এসে আশ্রয় নিতে থাকে নানার গ্রামে। আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে পলাতক একজন আহত বেলুচ সেনা নানার গ্রামে। খাজা সাহেবের বড় নাতনি নীলা আর্মি ক্যাম্পে ধর্ষণের শিকার হয়ে যুদ্ধে যায়। এদিকে কিশোরী মেহের সবকিছু ছাপিয়ে প্রেমে পড়ে দলত্যাগী বেলুচ সেনা ওয়াসিমের।

মূল গল্পের সময়কাল ১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে নভেম্বর ২২ তারিখ পর্যন্ত।

0 comments:

Post a Comment