Tuesday, February 8, 2011

জব্বারনগর, ময়মনসিংহ

0 comments
একসময়ে যে গ্রামে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে তাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করত এলাকাবাসী। আজ ভাষা শহীদের সেই নিজ গ্রামেই তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার। এছাড়াও শহীদ জব্বার স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার, জব্বার তোরণ, জব্বার পাকা সড়ক, জব্বার চত্বর, জব্বার মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়েছে তাকে স্মরণীয় করে রাখতে। একসময়ের ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রাম এখন হয়ে উঠেছে জব্বারনগর। অগণিত ভিআইপি ব্যক্তির পদচারণায় এ গ্রামের মাটি হয়ে উঠেছে ধন্য। পাশাপাশি ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা ঘুরে দেখেও অনেকে হচ্ছেন মুগ্ধ। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি জব্বারনগরের আশপাশসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এসে এই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সচেতন মানুষ, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'_ এই গানে আর সুরে প্রভাতফেরির মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়াও দিনভর আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা আর চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে নানা বয়সী পুরুষ-মহিলাদের ভিড়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে জব্বারনগর। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার কারণেই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা বিশ্বদরবারে পরিচিত একটি নাম। আর এই পরিচিতি এনে দিয়েছে গফরগাঁওয়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান '৫২-র ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার। গফরগাঁও উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে রাওনা ইউনিয়নে অবস্থিত জব্বারনগর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার পাঠাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে একজন লাইব্রেরিয়ানসহ একজন কেয়ারটেকার রয়েছেন। লাইব্রেরিয়ান জানান, পাঠাগারে সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছে সাড়ে তিন হাজার বই, কম্পিউটার, টেলিভিশন, আসবাবপত্র এবং কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা। ফলে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা সুযোগ পাচ্ছে পড়ার।

আশরাফ উদ্দিন, গফরগাঁও

0 comments:

Post a Comment