Saturday, March 19, 2011

পরকীয়ার জের ধরে যুবক খুন

0 comments
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পরকীয়ার কারণে মাসুদ আলম রানা (৩২) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। নিহত মাসুদ আলম রানার বাড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন হীরাপুর গ্রামের তার পিতার নাম মৃত এস্কান্দার মৌলভীর। সে স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো। ছেলে রানার ২ পুত্র সন্তান রয়েছে। খুন হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি ডোবা থেকে মাসুদের গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানাগেছে, মাসুদ গত ১৪ মার্চ তার চৌমুহনীর কর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মাসুদ আলম রানা ৬ মাস আগ লুবনা নামের একজনের সাথে মোবাইলে মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। লুবনা একই উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার নুর জাহান আক্তারের মেয়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে রানার সংসারে অশান্তি নেমে আসে। লুবনার প্রবাসী স্বামীও বিষয়টি জানতে পেরে তাকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে এলাকায় ও থানায় একাধিক সালিশ দরবারের পর পরকীয়া থেকে ফিরে আসে রানা। তাই বেশকিছু দিন ধরে তার লুবনার সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এতে ক্ষিপ্ত লুবনা কৌশলে রানাকে তাদের এলাকায় ডেকে নিয়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডোবায় একটি কুকুর লাশের পা নিয়ে টানাটানি করলে এক কৃষক বিষয়টি দেখে এলাকাবাসীকে জানায়।
পরে এলাকাবাসী সোনাইমুড়ি থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের দুই গালের চোয়াল কাটা, হাত-পা বাঁধা, গলায় রশি পেঁচানো ছিল।
এদিকে, গত ১৪ মার্চ থেকে রানা বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের করিমপুর রোডস্থ আমানিয়া গ্লাস হাউজ থেকে নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে ১৭ মার্চ দোকানের মালিক মোহাম্মদ তৌফিক বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। যার নং-৮২২।
নিহতের ভাই ইলিয়াস জানান, আমর ভাইয়ের কোনো শত্র“ ছিল না। তবে মেম্বারের মেয়ের সাথে পরকীয়ার বিষয়টি সবাই জানতো। এ কারণে তার ভাইকে হত্যা করা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। সোনাইমুড়ী থানার এসআই শরিফ জানান, লাশের অবস্থা দেখে বুঝা যায় রানা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে, তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে তিনি জানান।


Source:UKBD News

0 comments:

Post a Comment