Saturday, July 2, 2011

মোবাইল সমাচার

0 comments
মোবাইল ফোন প্রযুক্তি এখন কেবল আর কথা বলার কাজে ব্যবহৃত হয় না। এ প্রযুক্তি এখন ইন্টারনেট ব্যবহারেরও বাহক। আর এখন বাংলাদেশে অবস্থিত সব মোবাইল ফোন অপারেটরই ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। দেশের পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে লিখেছেন
বি আশরাফী

গ্রামীণফোন
P1 (ব্যবহার অনুযায়ী বিল) : সব গ্রামীণফোন গ্রাহক এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতি কই ২ পয়সা (ভ্যাট বাদে)।
P2 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ৮৫০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগের সুযোগ।
P3 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। রাত ১২টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতিমাসে ২৫০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ইন্টারনেট উপভোগের সুযোগ রয়েছে এ প্যাকেজে।
P4 : শুধু প্রিপেইড গ্রাহকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P5 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ৩এই ৭০০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P6 : প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহক এ প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ১এই ৩০০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P7 : শুধু প্রিপেইড গ্রাহকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ১৫ দিনে ১৫ গই ২৯ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
P9 : শুধু প্রিপেইড গ্রাহকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ১৫ দিনে ৯৯ গই ৯৯ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এ সুযোগ উপভোগ করা যাবে। বাংলালিংক
P1(ব্যবহার অনুযায়ী বিল) : এ প্যাকেজ উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বাংলালিংক গ্রাহকদের P1 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। এ প্যাকেজে প্রিপেইড গ্রাহকরা প্রতি কই ২ পয়সা এবং পোস্টপেইড গ্রাহকরা প্রতি কই ১৫ পয়সা (ভ্যাট বাদে) উপভোগ করতে পারবেন।
P2 (আনলিমিটেড প্যাকেজ) : এই প্যাকেজে বাংলালিংক গ্রাহকরা ৬৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) উপভোগ করতে পারবেন। এটি উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে P2 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
P3 (নাইট টাইম ইন্টারনেট প্যাকেজ) : এ প্যাকেজে প্রতিমাসে ৩০০ টাকা (ভ্যাট বাদে) প্রদান করতে হয়। রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এ প্যাকেজ উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বাংলালিংক গ্রাহকদের P3 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
P4 (ডেইলি প্যাক) : এ প্যাকেজটি সব প্রিপেইড গ্রাহক উপভোগ করতে পারবেন। দৈনিক ৫০ টাকায় (ভ্যাট বাদে) চার্জ বাবদ এ প্যাকেজ উপভোগ করা যায়।
P6 (১এন) : প্রতিমাসে ২৭৫ টাকায় (ভ্যাট বাদে) এ প্যাকেজ উপভোগ করা যাবে। এ প্যাকেজ উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বাংলালিংক গ্রাহকদের P6 লিখে ৩৩৪৩ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
চ৬ (মিনি প্যাক) : মাত্র ২০ টাকায় ২৪ ঘণ্টা (ভ্যাট বাদে) এ প্যাকেজের সুবিধা ভোগ করা যায়। এ প্যাকেজে গ্রাহকরা দৈনিক ১৫সন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
রবি
ভলিউম বেইস্‌ড প্যাক :1 GB – ২৭৫ টাকা (ভ্যাট বাদে)। 3 GB-৪৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে)। ৫ GB-৬৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে)। প্রতি প্যাকেজের মেয়াদ ৩০ দিন।
২০/২০ প্যাকেজ : ২০ MB ২০ টাকা (ভ্যাট বাদে)। এ প্যাকেজের মেয়াদ ৭ দিন। এ প্যাকেজ উপভোগ করতে *৮৪৪৪*২০# ডায়াল করুন। ব্যালেন্স দেখতে *২২২*৮১# ডায়াল করুন।
মান’লি আনলিমিটেড প্যাকেজ : এ প্যাকেজে ৭৫০ টাকায় (ভ্যাট বাদে) এক মাস অফুরন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ প্যাকেজটি উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে প্রথমে A1  লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন। ফিরতি এসএমএস-এ Y লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন।
নাইট ব্রাউজিং পৱ্যান : প্রতিমাসে ২৭৫ টাকায় (ভ্যাট বাদে) রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এ প্যাকেজটি উপভোগ করতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে প্রথমে A2  লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন। ফিরতি এসএমএস-এ Y লিখে ৮৫৫৫-এ সেন্ড করুন।
পে পার ইউজ : ভ্যাট বাদে ২ পয়সা KB পিক আওয়ার সকাল ৯.০১ থেকে দুপুর ১২.৫৯ পর্যন্ত। অফ পিক আওয়ার ১ পয়সা KB রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা (ভ্যাট বাদে)।
মিনিপ্যাক : ভ্যাট বাদে ১০ টাকায় ১০ MB প্রতিদিন।
এয়ারটেল
প্রিপেইড গ্রাহকদের জন্য
P4 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য দিনে ৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ১৫০MB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P5 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ৬৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ৫GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P6 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ২৭৫ টাকা (ভ্যাট বাদে) ১GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P7 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ৪৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ৩GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P9 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য দিনে ১০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ১০ GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য
P1: এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য ৩ মাসে ৭৫০ টাকা (ভ্যাট বাদে) ৩ GB ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P3 (নাইট টাইম অফার) : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রতিমাসে ১এই ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
P8 : এ প্যাকেজ উপভোগের জন্য প্রতিমাসে ৩০০ টাকা ১এই (ভ্যাট বাদে) ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
সিটিসেল
সিটিসেল Zoom Ultra  মডেমসহ সংযোগ
ZTE AC ২৭২৬ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৪৯০ টাকা। ZTE AC ২৭২৬ ও পোস্টপেইড সংযোগ ১৯৯০ টাকা। Huawei EC ১২২ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৪৯০ টাকা। Huawei EC  ১২২ ও পোস্টপেইড সংযোগ ১৯৯০ টাকা। Huawei EC ১৬৭ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৮৯০ টাকা। Huawei EC ১৬৭ ও পোস্টপেইড সংযোগ ২৩৯০ টাকা। ZTE AC ৬৮২ ও প্রিপেইড সংযোগ ১৪৯০ টাকা। ZTE AC ৬৮২ ও পোস্টপেইড সংযোগ ১৯৯০ টাকা।
১৫০ Kbps প্রতিমাসে ১ GB ২৭৫ টাকা, ২ GB ৪৫০ টাকা, ৩ GB ৬০০ টাকা, ৫ GB ৭০০ টাকা, আনলিমিটেড ১৫০০ টাকা।
৩০০ Kbps প্রতিমাসে ১ এই ৬০০ টাকা, ২ GB ৮৫০ টাকা, ৩ এই ১১০০ টাকা।
৩০০ Kbps প্রতিমাসে ২ এই ২২০০ টাকা, ৫ GB ৩৫০০ টাকা।
অপারেটরদের নতুন অফার
২০০০ প্রতিবেদন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গ্রাহকদের নিত্যনতুন চাহিদা আর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে তাদের আকৃষ্ট করতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো নানা সময় নানা অফার ঘোষণা করে। এসব অফার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যাপকভাবে প্রচার হয় পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও বিলবোর্ডে। অপারেটরদের চলমান অফারগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।
গ্রামীণফোন
ক্যাশব্যাক অফার
অন্যান্য অপারেটর কোম্পানি আগেই এ ক্যাশব্যাক অফার নিয়ে এসেছে। এবার দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল কোম্পানি নিয়ে এলো এ ক্যাশব্যাক অফার। ১০ টাকার কথা বললেই ২ টাকার কথা ফেরত। গ্রামীণফোনের সব প্রিপেইড (সহজ, বন্ধু, আপন), স্মাইল, ডিজুস, বন্ধন, বিজনেস সলুশন প্রিপেইড ও একতার গ্রাহকরা ১৭ জুন থেকে ১৪ দিন এই অফার ভোগ করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে ‘start i’ লিখে পাঠাতে হবে ৯৯৯৯ নম্বরে।
বাডি ট্র্যাকার
আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে খুঁজছেন? আর চিন্তার কারণ নেই। গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে নতুন অফার ‘বাডি ট্র্যাকার’। যাতে সহজেই আপনি আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের অবস্থান জানতে পারবেন। বন্ধুকে খুঁজতে টাইপ করুন আপনার অবস্থান। স্পেস দিয়ে লিখুন আপনার বন্ধুর নাম অথবা মোবাইল নম্বর আর পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। ফিরতি বার্তায় আপনি জেনে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত মানুষটি এখন কোথায় আছেন। কিন্তু বন্ধু খোঁজার আগে নিজে নিবন্ধিত হতে হবে। নিবন্ধনের জন্য লিখতে হবে start, তারপর স্পেস দিয়ে আপনার নাম লিখে পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। বন্ধুকে সংযুক্ত করতে add লিখে স্পেস দিয়ে বন্ধুর নম্বর স্পেস বন্ধুর নাম লিখে পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। বন্ধু আপনাকে গ্রহণ করলেই কেবল তার অবস্থান জানার জন্য আপনি এ অফার কাজে লাগাতে পারবেন। বন্ধুর আবেদন গ্রহণ করতে অথবা গ্রহণ না করতে লিখে স্পেস দিয়ে অটো জেনারেটেড কোড লিখে পাঠিয়ে দিন ৩০২০ নম্বরে। ২৪ জুন পর্যন- এ অফার একদম ফ্রি।
বাংলালিংক
এবার লড়াই হবে এসএমএসে
বাংলালিংক নিয়ে এসেছে ‘আনলিমিটেড এসএমএস’ অফার। এ অফারে বাংলালিংক প্রিপেইড ও ‘কল অ্যান্ড কন্ট্রোল’ গ্রাহকরা প্রতিদিন ২ দশমিক ৯৯ টাকায় (ভ্যাট যোগ হবে) ১০০টি এসএমএস পাঠাতে পারবেন যে কোনো বাংলালিংক নম্বরে। গত ৬ জুন থেকে এ অফার চলছে। অফারটি সক্রিয় করতে ডায়াল করুন *২২২*৮# নম্বরে। প্রতিদিন ‘আনলিমিটেড এসএমএস’ অফার উপভোগ করতে কমপক্ষে ২ দশমিক ৯৯ টাকা (+ভ্যাট) রিচার্জ করতে হবে। টাকা রিচার্জ করলেই বোনাস এসএমএস পৌঁছে যাবে আপনার অ্যাকাউন্টে। এসএমএস ব্যালান্স চেক করতে ডায়াল করুন *১২৪*৩# নম্বরে।

হাজার বছরের ঘুমও ভেঙে যাবে
হাজার বছরের ঘুম ভেঙে দিতে বাংলালিংক নিয়ে এসেছে ‘এক্সাইটিং রিঅ্যাক্টিভেশন অফার’। এ অফারে ১ এপ্রিল ২০১১ তারিখের পর অব্যাহতভাবে বন্ধ থাকা বাংলালিংক দেশ, দেশ রঙ, লেডিস ফার্স্ট, এক রেট, এক রেট দারুণ, দেশ ৭ এফএনএফ ও রংধনু সংযোগ চালু করলেই সব বাংলালিংক নম্বরে ২৫ পয়সা প্রতি মিনিট এবং অন্য নম্বরে ৬৫ পয়সা প্রতি মিনিট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। যে কোনো পরিমাণ রিচার্জের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ দিনের জন্য এ অফার কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে এ অফার উপভোগ করতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে যে কোনো পরিমাণ রিচার্জ করতে হবে। কোনো সংযোগ এই অফারের আওতাভুক্ত কি না তা জানতে যে কোনো বাংলালিংক নম্বর থেকে ওই নম্বরটি লিখে ৪৩৪৩ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।
এয়ারটেল মাই এয়ারটেল মাই অফার
প্রত্যেকটি মানুষের চাহিদা আলাদা। আবার একই মানুষের একেক সময় একেক চাহিদা থাকে। এসব চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এয়ারটেল নিয়ে এসেছে ‘মাই এয়ারটেল মাই অফার’। এখানে প্রতিসপ্তাহে একজন গ্রাহক তার ইচ্ছেমতো যে কোনো অফার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন কোনো সপ্তাহে তিনি রাতে বেশি কথা বলবেন তাহলে তিনি ওই সপ্তাহে ‘নাইট টাইম অফার’ কার্যকর করতে পারবেন। আবার কোনো সপ্তাহে তিনি দেখলেন তার ইনকামিং বেশি হচ্ছে তাহলে তিনি ওই সপ্তাহে ‘ইনকামিং বোনাস’ অফার কার্যকর করতে পারবেন। এভাবে প্রতিসপ্তাহে একজন এয়ারটেল গ্রাহক নাইট টাইম অফার, ইউসেজ বোনাস, ইনকামিং বোনাস, রিচার্জ বোনাস, ইন্সট্যান্ট ক্যাশ ব্যাক ও বান্ডল অফারের মধ্যে থেকে যে কোনো একটি অফার কার্যকর করতে পারেন। অফার সম্পর্কে আরো জানতে ডায়াল করতে হবে *২২২# নম্বরে।
ইন্সট্যান্ট সেলিব্রেশন
এয়ারটেলের নতুন প্রিপেইড সংযোগ কিনলেই এখন গ্রাহক পাচ্ছেন ৫০০ মিনিট টকটাইম এবং ৫০০ এসএমএস একদম ফ্রি। আর সংযোগের মূল্য পড়ছে ১৪৯ টাকা। ফ্রি টকটাইম ও এসএমএস কার্যকর রাখতে সংযোগ সক্রিয় হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এছাড়া লোড করার আগেই ২০ টাকা টকটাইম পাওয়া যাবে এ সংযোগ কিনলে। এই সংযোগ থেকে যে কোনো এয়ারটেল নম্বরে প্রতি সেকেন্ড ১ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে প্রতি সেকেন্ড ২ পয়সা কলরেটে কথা বলা যাবে। বোনাস সম্পর্কে জানতে ডায়াল করতে হবে *৭৭৮*৫# এবং *৭৭৮*২# নম্বরে।
রবি নিবেদিত ‘কে হতে চায় কোটিপতি’
বিশ্ববিখ্যাত রিয়েলিটি শো ‘হু ওয়ান্ট্‌স টু বি মিলিয়নিয়র’-এর বাংলা ভার্সন ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এই বিগ টেলিভিশন গেম শো নিবেদন করছে রবি। এ শোতে অংশ নিতে হলে আপনার একটি রবি সংযোগ থাকতে হবে এবং সেই সংযোগ থেকে ডায়াল করতে হবে ৭৭৭৭ অথবা *১৪০*৭৭# নম্বরে। প্রতিটি এসএমএসের জন্য খরচ হবে ৬ টাকা (+ভ্যাট), ভয়েস কলের জন্য প্রতি মিনিট ৬ টাকা (+ভ্যাট)।
রবি কথাবার্তা উৎসব
প্রতি শুক্র ও শনিবার মানুষ ছুটি কাটায়। প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এ সময় মানুষের হাতে থাকে প্রচুর সময়। আর এ সময় প্রিয়জনদের সঙ্গে একটু বেশি কথা বলার সুযোগ দিতেই রবি নিয়ে এলো ‘কথাবার্তা উৎসব’। এ দুদিন কোনো ঝামেলা ছাড়াই সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কম খরচে কথা বলতে পারবেন রবি প্রিপেইড ‘রবি ক্লাব’, ‘সরল’, ‘স্বচ্ছ’ ও ‘সাশ্রয়ী’ প্যাকেজের গ্রাহকরা। প্রথম মিনিট ১ টাকার পর দ্বিতীয় মিনিট থেকে রবি নম্বরে ২৫ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে ৬৫ পয়সা প্রতি মিনিট। এছাড়া ৫ টাকায় ২০ মেগাবাইট পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা তো থাকছেই। এ সময় এফএনএফ ও প্রিয় নম্বরের সুবিধা কার্যকর থাকবে। দিনের অন্য সময় কলচার্জ অপরিবর্তিত থাকবে।
সিটিসেল মিস্‌ড কল অ্যালার্ট একদম ফ্রি
সিটিসেল নিয়ে এলো মিস্‌ড কল অ্যালার্ট সুবিধা। মোবাইল বন্ধ থাকলেও মোবাইল ব্যবহারকারী মিস করবেন না কিছুই। মিস্‌ড কল অ্যালার্ট সার্ভিসটি চালু করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে START টাইপ করে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬২২২ নম্বরে। আর সার্ভিস বন্ধ করতে ঝঞঙচ টাইপ করে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬২২২ নম্বরে। সার্ভিস সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য টাইপ করে পাঠিয়ে দিন ২৬২২২ নম্বরে। অফারটি উপভোগ করতে রেজিস্ট্রেশন চার্জ ১০ টাকা (+ভ্যাট) এবং মাসিক চার্জ ১০ টাকা/মাস (+ভ্যাট) প্রদান করতে হবে। প্রতি মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে এ মাসিক চার্জ কেটে নেওয়া হবে। সার্ভিসটি ৩০ জুন পর্যন্ত একদম ফ্রি।
বিদেশ থেকে টাকা পেতে সিটিসেল
বিদেশ থেকে পাঠানো প্রিয়জনের টাকা সহজে পাওয়ার জন্য সিটিসেল নিয়ে এসেছে ‘মানিব্যাগ রেমিট্যান্স’ অফার। এখন রেমিট্যান্স গ্রাহকরা তাদের প্রবাসীদের পাঠানো টাকা অতি সহজে সিটিসেলের নির্ধারিত কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রাহককে ট্রানজেকশন রেফারেন্স নম্বর (টিআরএন), টাকার পরিমাণ, ব্যাংকের নাম, পাসপোর্টের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে কাস্টমার কেয়ার পয়েন্টে যেতে হবে। এ সার্ভিস শুধু এবি ব্যাংক প্রদত্ত ‘এক্সপ্রেস মানি’ ও ‘ইন্সট্যান্ট ক্যাশ’-এর রেমিট্যান্স সেবার জন্য প্রযোজ্য।
এছাড়া সিটিসেল মানিব্যাগের মাধ্যমে এখন সিটিসেল গ্রাহকরা ডেসকো ও ঢাকা ওয়াসার বিল পরিশোধ করতে পারেন।

মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট
সোহাগ আশরাফ
দিন দিন প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক কাজ সহজ হয়ে গেছে। যেমন ইন্টারনেটে ওয়েব সার্ফিং বা ই-মেইল চেক করে দেখার জন্য কম্পিউটার অবশ্যই প্রয়োজন, তা বলা যাবে না। কেননা অনেক কিছুই এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। ইন্টারনেটে আমাদের সবচেয়ে জরুরি কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব সার্ফিং, ডাউনলোড, ই-মেইল চেক ইত্যাদি। এগুলোর চেয়ে একটি বড় কাজ আমাদের দৈনন্দিন ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা বাড়িয়ে চলেছে। সেটি হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। অনেকেই যোগাযোগের জন্য প্রধান মাধ্যম হিসাবে সম্প্রতি ইন্টারনেটকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগে খরচ অনেক কম।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে ৪০ কোটির বেশি মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩১৫ কোটি। সুইডেনের মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মোবাইল ফোনে কথা বলার তুলনায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার। মোবাইল ফোনে সহজেই যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ থাকায় ভবিষ্যতে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
মোবাইল ফোনে ফেসবুক
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক কম্পিউটারে ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইল ফোন থেকেও ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয় না। অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীরা এসব নোটিফিকেশন ই-মেইলের পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও পেয়েছেন এতদিন। এবার আমাদের দেশেও এসেছে এ সুযোগ। সমপ্রতি বাংলাদেশের দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক তাদের গ্রাহকদের জন্য এ সুবিধা চালু করেছে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও এখন স্ট্যাটাস আপডেট, কারো ওয়ালে পোস্ট করা এবং নোটিফিকেশন মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে দেখার সুবিধা রয়েছে।
কীভাবে এ সেবা পাবেন?
এর জন্য ফেসবুকে কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হবে। এজন্য ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটার থেকে প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করুন। এবার Account থেকে Account Settings অপশনে যান। Account Settings থেকে Mobile লেখা ট্যাবে যেতে হবে।
মোবাইল ট্যাবে গেলে নিচের একটি পেজ খুলবে। যেখানে একেবারে নিচে লেখা রয়েছে Already received a confirmation code? এ লেখাটির ওপর ক্লিক করুন। এরপর যে মোবাইল নম্বর থেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট করতে চান এবং নোটিফিকেশন পেতে চান সেটির মেসেজ অপশনে গিয়ে ভন লিখে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা ২৫৫৫ নম্বর এবং বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের ৩২৬৬৫ নম্বরে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ব্যবহারকারীকে একটি Confirmation Code পাঠানো হবে। এবার ফেসবুকের মোবাইল ট্যাবের নিচে Already received a confirmation code? লেখা বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। যে confirmation code -টি এসএমএসে এসেছে সেটি কনফার্মেশন বক্সে
লিখতে হবে। এবার Confirm-এ ক্লিক করুন। এখন কী কী নোটিফিকেশন মোবাইলে পেতে চান তার সেটিংগুলো ঠিক করে দিন। এরপর থেকে ফেসবুকের সব ধরনের নোটিফিকেশন এসএমএসের মাধ্যমে পাবেন। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো চার্জ দিতে হয় না।
মোবাইল ফোনে ডাউনলোড
যে কেউ সফটওয়্যার, ছবি, নাটক, গান ইত্যাদি নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকায় কোনো কিছু নামাতে বেশ সময় লাগে। ইচ্ছা করলে আপনি আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনসেট থেকেও এ কাজ করতে পারেন। সিম্বিয়ান বা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে এমন মোবাইল ফোনসেট ব্যবহার করে এ কাজটি করা সম্ভব। ফলে খুব সহজে যেকোনো সময়ই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য বা গান, সফটওয়্যার ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন মোবাইল ফোনসেটেই। এ জন্য প্রথমে মোবাইল ফোন থেকে www.opera.com/mini নামিয়ে নিন। অপেরা মিনি মোবাইল ফোনসেটে ইনস্টল করে নিতে হবে। এবার আপনি যা নামাতে (ডাউনলোড) চান, সেই সাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ফাইলের ঠিকানা সংগ্রহ করুন। এবার এই ঠিকানাকে একটি ফাইলে সংরক্ষণ করুন। এবার ওই ফাইল আপনার মোবাইলের ফাইল ম্যানেজার দিয়ে খুলুন। এবার অপেরা খুলুন। এর ঠিকানায় লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেসবার) ওই ঠিকানা লিখে দিয়ে Go To চাপুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্টারনেট থেকে নির্দিষ্ট গান, সফটওয়্যার, ছবি বা যেকোনো কিছুর ফাইল চলে আসবে আপনার মোবাইল ফোনে।
বিনামূল্যে কথা
বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা কি আর সহজে শেষ হয়! শুরু করলে এ আড্ডা চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। হ্যান্ডসেটে এ আড্ডার জন্য ব্যবহারকারীদের মোটা অঙ্কের বিল গুনতে হয়। তবে হ্যান্ডসেটে বিশেষ কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিনামূল্যেও কথা বলা যায়। যে কোনো মডেলের স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই বিনামূল্যে কথা বলার এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন যে কেউ।
ইন্টারনেটের জাদু
বিনামূল্যে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য আসল জাদু হচ্ছে সফটওয়্যার। তবে ফোনে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে কথা বলার জন্য সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে। এগুলোর মধ্যে ফ্রিং, নিমবাজ এবং স্কাইপ মোবাইল অন্যতম। ফ্রিং সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সমপ্রতি ভিডিও কলিং সেবাও চালু করা হয়েছে। ফলে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট (থ্রিজি) ছাড়াও এ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ভিডিও কলিং করা সম্ভব। এতে কথা বলার পাশাপাশি যার সঙ্গে কথা বলা হবে ছবিও দেখা যাবে।
মোবাইলে চ্যাট করার সফটওয়্যার
প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল ফোনে সংযুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ব্যবস্থা। আপনি যদি একটি ইন্টারনেট সুবিধা সংবলিত হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেন তাহলে চ্যাটিংয়ের জন্য পিসির প্রয়োজন পড়বে না। বেশ কিছু অ্যাপিৱকেশন আপনাকে মোবাইলেই দেবে চ্যাটিংয়ের ব্যবস্থা। আসুন জেনে নিই তেমন কিছু সফটওয়্যারের কথা যা আপনি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন।
e-Buddy Mobile Messenger
ই-বাডি মোবাইল ম্যাসেঞ্জার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চ্যাটিং প্লাটফর্ম/অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল থেকেই লগ-ইন ও চ্যাট করতে পারবেন একসঙ্গে আপনার ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে, গুগল টকে, এমএসএন ও এওএলে। এটি খুবই ছোট একটি অ্যাপ্লিকেশন যা জাভা এমআইডিপি ২.০ (যা বর্তমানের প্রায় সব হ্যান্ডসেটেই বিদ্যমান থাকে) সাপোর্ট করে। এর মাধ্যমে আপনি চাইলে ডাউনলোড না করেও আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্লায়েন্টে লগ-ইন করে চ্যাট করতে পারেন আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে সরাসরি। তবে মূল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নেয়াই ভালো। অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে আপনার মোবাইল ফোনের ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন wap.ebuddy.com এবং আপনার হ্যান্ডসেটের মডেল নম্বর সিলেক্ট করে মূল ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
Mig33
বিশ্বব্যাপী চ্যাটিংয়ের জগতে আরেকটি জনপ্রিয় নাম হচ্ছে মিগ ৩৩। এটিও আপনাকে শুধু ইয়াহু বা এমএসএন ম্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি এদের নিজস্ব চ্যাটরুমেও বিনামূল্যে চ্যাটিংয়ের সুবিধা দেবে। পাশাপাশি প্রিমিয়াম সেবার আওতায় এরা দেশ-বিদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে ভয়েস কল ও এসএমএস প্রেরণের সুবিধাও দেবে। মিগ ৩৩ বর্তমানে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের ভয়েস কল সেবা দেয় না, তবে এসএমএস প্রেরণের সুবিধা দেয়।
মিগ ৩৩ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার বন্ধু যদি অফলাইনেও থাকে, তাহলে আপনি তাকে Buzz  ফিচারের মাধ্যমে এসএমএস পাঠাতে পারবেন তাকে অনলাইনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে। মিগ ৩৩ Buzzing -এর জন্য রেগুলার এসএমএস ট্যারিফের চেয়ে অনেক কম মূল্য নিয়ে থাকে। তবে এ সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার বন্ধুর ফোন নাম্বার আপনার কন্ট্যাক্ট লিস্টে যুক্ত থাকতে হবে। মিগ ৩৩ ডাউনলোড করতে হলে আপনার মোবাইল ফোনের ব্রাউজার ব্যবহার করে ভিজিট wap.mig33.com এবং আপনি যে হ্যান্ডসেট ব্যবহার করছেন, সেটির ব্র্যান্ড ও মডেল নাম্বার দিয়ে ডাউনলোড করুন মিগ ৩৩।
Nimbuzz
মোবাইল চ্যাটিংয়ের জগতে আরেকটি বিখ্যাত ও অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যারের নাম হচ্ছে নিমবাজ। বিখ্যাত এই সফটওয়্যার আপনি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করলে এর মাধ্যমে আপনি একসঙ্গে একসেস নিতে পারবেন স্কাইপ ম্যাসেঞ্জার, উইন্ডোজ লাইভ ম্যাসেঞ্জার, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, ICQ, AIM, GTalk, Jabber, মাইস্পেসসহ আরো বেশ কিছু সেবায়। নিমবাজের ভয়েস কলসহ আরো কিছু প্রিমিয়ার সেবাও রয়েছে। তবে শুধু চ্যাট বা ফেসবুক/মাইস্পেসে লগইন করার মতো সেবা আপনি পাবেন বিনামূল্যে। তবে নিমবাজ মূল ফাইলটির সাইজ একটু বড় বলে কিছু কিছু হ্যান্ডসেটে এটি ডাউনলোড করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ভালো উপায় হচ্ছে, প্রথমে পিসিতে ডাউনলোড করে ফাইলটি ব্লুটুথ বা ডাটাকেবল দ্বারা মোবাইলে ট্রান্সফার করা। তবে এর আগে আপনি একবার যাচাই করে নিতে পারেন আপনার ফোনে সরাসরি সাপোর্ট করা যায় কি না। আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন http://get.nimbuzz.com এবং আপনার ফোনের ব্র্যান্ড এবং মডেল নাম্বার সিলেক্ট করে ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করুন।
Yahoo! Go
Yahoo! Go এড় হচ্ছে ইয়াহুর নিজস্ব একটি মোবাইল অ্যাপিৱকেশন যা আপনার ইয়াহু দুনিয়াকে নিয়ে আসবে একেবারে হাতের মুঠোয়। একটি ইয়াহু গো অ্যাপিৱকেশন ব্যবহার করে আপনি আপনার ইয়াহু অ্যাকাউন্টের সব সেবায় একসেস নিতে পারবেন। যেমন ই-মেইল পড়তে পারবেন, ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করতে পারবেন, Flickr-এ সংরক্ষিত ছবি দেখতে বা নতুন ছবি আপলোড করতে পারবেন কিংবা বন্ধুদের ছবিও দেখতে পারবেন। এমনকি নির্দিষ্ট কিছু শহরের ম্যাপও আছে ইয়াহু গোতে। পাশাপাশি আপনি পৃথিবীর যে কোনো শহরের আবহাওয়া সম্বন্ধে জানতে ও পূর্বাভাস পড়তে পারবেন। মোটকথা, পুরো ইয়াহু দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে Yahoo Go. এই অ্যাপ্লিকেশনটির সাইজ প্রায় এক মেগাবাইট বা তার চেয়ে কিছু বেশি। এছাড়া এই অ্যাপ্লিকেশন প্রচুর ডাটা ট্রান্সফার করে। তাই আপনি যদি আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যানের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার না করেন, তাহলে এই সফটওয়্যার ব্যবহার না করাই ভালো। এই সফটওয়্যার মূলত আনলিমিটেড ডাটাপ্ল্যানের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি।

মোবাইলে বিলিং ও ব্যাংকিং সুবিধা
সুমাইয়া শিফাত
ব্যস্ত এই নাগরিক জীবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ইউটিলিটি বিল দেওয়া কিংবা ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ঝক্কি-ঝামেলা থেকে গ্রাহককে মুক্তি দিতে মোবাইল কোম্পানিগুলো নিয়ে এসেছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুবিধা। তারা নানান ব্যাংকিং সুবিধাও চালু করেছে। তবে রাজধানী ঢাকাতেই কেবল মোবাইল বিলিং সুবিধা সীমাবদ্ধ রয়েছে।
মোবাইল বিলিং
আজকাল মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ঘরবাড়িতে প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি যেমন পানি, বিদ্যুৎ গ্যাসের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে। বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন তাদের মনোনীত এজেন্ট পয়েন্ট থেকে গ্রাহকদের বিল দেওয়ার এ সুবিধা দিচ্ছে। এৰেত্রে গ্রাহকরা বিল বই পূরণ করে স্বাৰরসহ গ্রামীণফোন অথবা বাংলালিংকের মাধ্যমে এ বিল দিতে পারেন। এ ছাড়া মোবাইল ফোন কোম্পানি রবি, টেলিটক দিয়ে পানি ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়। সিটিসেল দিয়েও পানির বিল দেওয়া যায়।
মোবাইল কোম্পানিগুলো বর্তমানে রাজধানীতেই কেবল বিল দেওয়ার সুবিধা চালু করলেও পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই চালু করবে বলে জানিয়েছে। খুলনা জেলায় বাংলালিংকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
মোবাইল বিলিংয়ে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করার পর ফিরতি এসএমএস পান টাকা জমা হলে। ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ইউটিলিটি বিল দেওয়ার চেয়ে স্বল্প সময়েই এ পন্থায় বিল দেওয়া যায় বলে এ পদ্ধতি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মোবাইল ব্যাংকিং কী
মোবাইল ফোনে ব্যাংকিং সুবিধা আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন। মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা দিয়ে ব্যালেন্স চেক, অ্যাকাউন্ট ট্রানজেকশন, পেমেন্ট, ক্রেডিট অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্য ব্যাংকিং সুবিধাগুলো একটি মোবাইল ডিভাইস যেমন- মোবাইল ফোন কিংবা পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের (পিডিএ) মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। এটি একটি শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা যার মাধ্যমে স্বল্প খরচেই নানান আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
এ ব্যবস্থায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর দেওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক ও স্টক মার্কেট ট্রানজেকশন, অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং কাস্টমাইজড তথ্য অ্যাক্সেস সুবিধা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আন্তঃসম্পর্কিত তিনটি ধারণা হচ্ছে-
মোবাইল অ্যাকাউন্টিং
মোবাইল ব্রোকারেজ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন সার্ভিসেস
এদের মধ্যে মোবাইল অ্যাকাউন্টিং ও ব্রোকারেজ ক্যাটাগরির অধিকাংশ সেবাই মূলত লেনদেনভিত্তিক। এসব সেবা সব সময়েই ইনফরমেশন সার্ভিসগুলোর সমন্বয়ে প্রদান করা হয়। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সহায়তায় মোবাইল ব্যাংকিং বেশ কার্যকর।
প্রথমদিকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হতো এসএমএস-এর মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে এতে ওয়াপ প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় মোবাইল ওয়েব ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো
মোবাইল কোম্পানিগুলো যেসব ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে-
অ্যাকাউন্ট তথ্য
অ্যাকাউন্ট ইতিহাসের মিনি স্টেটমেন্ট ও চেকিং
অ্যাকাউন্ট কার্যক্রমের ওপর অ্যালার্ট
টার্ম ডিপোজিট মনিটরিং
লোন স্টেটমেন্ট অ্যাক্সেস
কার্ডং স্টেটমেন্ট অ্যাক্সেস
মিউচুয়াল ফান্ড অথবা ইক্যুয়িটি স্টেটমেন্ট
ইন্স্যুরেন্স পলিসি ব্যবস্থাপনা
পেনশন পৱ্যান ব্যবস্থাপনা
চেকের ওপর স্ট্যাটাস, চেকের ওপর পেমেন্ট বন্ধ
চেক বুক অর্ডার করা
অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স চেক করা
সাম্প্রতিক লেনদেন
পেমেন্ট প্রদানের তারিখ (পেমেন্ট আটকে দেওয়া, পরিবর্তন এবং মুছে ফেলার কাজ)
পিন ব্যবস্থা গ্রহণ, পিন পরিবর্তন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে রিমাইন্ডার
কার্ড বৱক করা (হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে) প্রদান, অর্থ জমা, অর্থ উত্তোলন এবং স্থানান্তর
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ফান্ড স্থানান্তর
মাইক্রো পেমেন্ট হ্যান্ডলিং
বাণিজ্যিক পেমেন্ট প্রসেসিং
মোবাইল রিচার্জিং
বিল পেমেন্ট প্রসেসিং
পিয়ার-টু-পিয়ার পেমেন্ট
ব্যাংকিং এজেন্টে অর্থ উত্তোলন
ব্যাংকিং এজেন্টে অর্থ জমাকরণ
এ ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে চেক বুক ও কার্ড রিকোয়েস্ট যাচাই, এটিএম লোকেশন, অভিযোগ পেশও ট্রাকিংসহ ডাটা মেসেজ এবং ই-মেইল আদান-প্রদানের সুবিধা দেওয়া যায়।
কনটেন্ট সার্ভিসসমূহ
আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা, সংবাদ ইত্যাদির মতো সাধারণ তথ্যাদি
বিনোদন, রশিফল, খেলার খবর, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদি তথ্য
আনুগত্য সম্পর্কিত নানান অফার
লোকেশনভিত্তিক সেবা
শেয়ারবাজার সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং
অপারেটর কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের সুবিধার্থে চালু করেছে মোবাইল ব্যাংকিং। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক এই সেবা চালু করেছে। এখন মোবাইলের মাধ্যমে যে কেউ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব, অর্থ জমা ও উত্তোলন সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন। তবে এই ব্যাংকিং পদ্ধতির ব্যবহার এখনো বেশ সীমিত। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা যেমন- টাকা জমাদান, উত্তোলন, পণ্যের মূল্য পরিশোধ, বিল পরিশোধ, বেতন/ভাতা বিতরণ, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, রেমিট্যান্স ট্রান্সফার ইত্যাদি সহজে সম্পন্ন করা যায়। কেবল মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই এসব সেবা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানির মধ্যে সবই মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে। তবে বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, সিটিসেল, রবি বেশ এগিয়েছে এ ৰেত্রে। বাংলালিংক এবং সিটিসেল সারাদেশে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে USSD বা SMS+IVR (Inter-Active voice Response) নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা লেনদেনের পর মোবাইলের বার্তা পাবেন, যার মাধ্যমে তিনি লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হবেন।
মোবাইল সেবার নয়া সংস্করণ
বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানিগুলো গত কয়েক বছরে বেশ প্রসার লাভ করেছে। এখন তারা সরকারের কিছু গুর্বত্বপূর্ণ কাজেও অংশ নিচ্ছে। এ বছর সরকারি মালিকানায় থাকা টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএস পাঠিয়ে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করার পদ্ধতি নিয়েছে সরকার। এ পদ্ধতিতে টেলিটকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কলেজটির কোড নম্বর দিয়ে ভর্তির আবেদন করতে হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি, এইচএসসির রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছর মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোনে টিকেট সার্ভিস চালু করেছে। গ্রামীণফোন, বাংলালিংকসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি এই সেবা দিচ্ছে। তবে যাত্রী হয়রানি লাঘবে এ সেবা চালু হলেও এটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।
বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্যাংকিং
বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্যাংকিং উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানি এ সুবিধা দিচ্ছে। ইরানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে পার্সিয়ান, তেজারাত, মেলাত, সাদেরাত, সেফা, এদবি এবং ব্ল্যাকমেলি। ওমনিলাইফ, ব্যানকোমার এবং এম পাওয়ার ভেঞ্চার দিচ্ছে মেক্সিকোতে। গুয়েতেমালায় এ সেবা দিয়ে থাকে ব্যানকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল। কেনিয়ার ভোডাফোন গ্র্বপের সাফারিকমের রয়েছে এম-পেসা সার্ভিস যা প্রধানত সীমিত পরিমাণে অর্থ স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়। তবে ইউটিলিটি বিল প্রদানেও মোবাইলের  ব্যবহার বাড়ছে। ২০০৯ সালে জেইন তাদের নিজস্ব মোবাইল মানি ট্রান্সফার ব্যবসা চালু করে যেটি তঅচ নামে পরিচিত। কেনিয়া ও কয়েকটি আফ্রিকান দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। তামির ব্যাংকের সহায়তায় টেলিনর পাকিস্তানে চালু করেছে ইজি পায়সা নামে মোবাইল ব্যাংকিং। ভারতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংক মিলে একো ইন্ডিয়া ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস চালু করেছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ভবিষ্যৎ
বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান জুনিপার রিসার্চ জানিয়েছে, মোবাইলযোগে ব্যাংকিং লেনদেনকারী লোকের সংখা ২০১১ সালে ১৫ কোটি অতিক্রম করবে। ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশই হচ্ছে উন্নত দেশের। মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি বেশ দ্র্বততার সঙ্গে সম্পন্ন হয় এবং এটি সময় সাশ্রয়ী। তাই বিভিন্ন দেশে এই সুবিধা দ্র্বত প্রসারিত হচ্ছে। আজকের দিনে মোবাইল ফোন এক অতিপ্রয়োজনীয় ডিভাইসে পরিণত হয়েছে এবং হ্যান্ডসেটের মাধ্যমেই তাৎৰণিক ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় এটি জীবনকে আরো সহজ ও আরামপ্রদ করছে। আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফরমা টেলিকমস অ্যান্ড মিডিয়া বলেছে, ২০১৩ সাল নাগাদ প্রায় ৪২ কোটি ৪০ লাখ ভোক্তা মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নেবে। ফরেস্টার পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং ভবিষ্যতে তর্বণদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় বিষয় হবে। কেননা তারা মোবাইল ফোনে ব্যাংকিং লেনদেন উপভোগ করেন। আর সে কারণে ভবিষ্যতে এই সেবা দ্র্বত প্রসার লাভ করবে।
মোবাইল টেকনোলজির
নতুন খবর
২০০০ প্রতিবেদন
কোকাকোলা দিয়ে চলবে মোবাইল হ্যান্ডসেট
বিজ্ঞানী-গবেষকরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছেন নতুন নতুন ধারণার মোবাইল ফোন উদ্ভাবনে। এরই ধারাবাহিকতায় উদ্ভাবিত হয়েছে পরিবেশবান্ধব নতুন মোবাইল ফোন। ব্যাটারি ছাড়াই চলবে নতুন ধারণার এই মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ব্যাটারির পরিবর্তে সফট ড্রিংকস দিয়ে চলবে। বিশেষ করে কোকাকোলা জাতীয় পানীয় ব্যবহারে মোবাইল চালানোর পদ্ধতি আবিষ্কারে প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। দাইজি জিং নামে চীনের একজন ডেভেলপার নতুন ধরনের এই মোবাইল ফোন ডিজাইন করেছেন। একটি প্রকল্পের অধীনে বিশ্বখ্যাত মোবাইল ফোন প্রস’তকারী প্রতিষ্ঠান নকিয়ার জন্য এই মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছে।
মোবাইলে ওয়ালেট সেবা চালু করছে গুগল
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৬ মে থেকে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পরিবর্তে মোবাইল ফোন থেকেই অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি, মোবাইল ওয়ালেট চালু করছে গুগল। মাস্টার কার্ড ও সিটি গ্রুপ এ কাজে গুগলকে সহায়তা করছে। গুগল জানিয়েছে, মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন ব্যবস্থার উন্নয়নকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মোবাইলের এনএফসি কানেক্টর ব্যবহার করে এই সেবা পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচনায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেশ কয়েকটি ব্যাংক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং কার্ড প্রসেসিং নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান মাস্টার ও ভিসা কার্ড বেশ কয়েক মাস ধরেই এ ধরনের সেবা চালুর চেষ্টা করে যাচ্ছে। গুগলই আনুষ্ঠানিকভাবে সেবাটি প্রথমবারের মতো চালু করছে।
ক্যাসপারেস্কি মোবাইল সিকিউরিটি পাওয়া  যাচ্ছে দেশের সর্বত্র
মোবাইলকে সব ধরনের ভাইরাস থেকে দূরে রাখতে কার্যকরি এন্টিভাইরাস, ক্যাসপারেস্কি মোবাইল সিকিউরিটি ৯ এখন পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে। এর দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৬৯৯ টাকা। এতে আছে প্রাইভেসি প্রোটেকশন, এন্টি থেফট, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, এন্টিভাইরাস, ফায়ারওয়াল এবং এনক্রিপশনের সুবিধা। এটি আপনার এন্ড্রয়েড ১ দশমিক ৬-২ দশমিক ২ ফোন, বৱ্যাকবেরি ৪ দশমিক ৫-৬ দশমিক ০ ফোন, নকিয়া স্যাম্বিয়ান ৩, স্যাম্বিয়ান সিরিজ ৬০৯ দশমিক ১-৯ দশমিক ৪ এবং উইন্ডোজ মোবাইল ৫ দশমিক ০-৬ দশমিক ৫ চালিত সব ফোনে কাজ করবে।
নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন সেন্টারসহ দেশের সব বড় মোবাইলের দোকানে এই এন্টিভাইরাস পাওয়া যায়।
এশিয়ায় সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট দেবে সিঙ্গটেল
এশিয়ার প্রথম টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হিসাবে সিঙ্গটেল মোবাইল ফোনভিত্তিক সেবায় সমগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তারহীন তথ্য বিনিময় (ওয়্যারলেস ডাটা) ব্যবস্থাপনায় এ সেবা প্রযোজ্য হবে। এ মুহূর্তে তা ভয়েস সেবায় প্রযোজ্য হবে না। সিঙ্গটেলের মোবাইল ফোনভিত্তিক সিমের মাধ্যমে নোটবুক কম্পিউটারে ইন্টারনেট উপভোগে এ দ্রুতগতির বাস্তবতা যাচাই করা যাবে।
এ পরিকল্পনায় ০ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ১ মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) গতির গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাটা স্পিড সুবিধা পাবেন, যা আগের গতির তুলনায় ৬০ ভাগ বেশি। এ মুহূর্তে প্রিমিয়াম সেবাভুক্ত গ্রাহকরা ১ দশমিক ৭ থেকে ৪ দশমিক ৮ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। অচিরেই তারা সিঙ্গটেলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২১ এমবিপিএস গতির মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করার অভূতপূর্ব সুযোগ পাবেন। সিঙ্গটেল সূত্র জানিয়েছে, গ্রাহক সেবায় এ গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে এতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। কেননা এ সিমের আওতায় বিভিন্ন প্যাকেজে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করে।
নকিয়া বানাল সোনায় মোড়ানো ফোন
ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন জায়ান্ট নকিয়া সমপ্রতি ১৮ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো নতুন একটি হ্যান্ডসেট বাজারে আনছে। অরো নামের এই হ্যান্ডসেটটি সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমে চলে। স্বচ্ছ স্ফটিক বসানো ‘কী’ এবং স্কটল্যান্ডের ক্যালেডোনিয়ান চামড়ার কাভারসহ এই হ্যান্ডসেটটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের সামপ্রতিক সংস্করণ অ্যানা।
জানা গেছে, নকিয়ার অরো নামের এই হ্যান্ডসেটটিতে আরো রয়েছে পেন্টাব্যান্ড রেডিও, থ্রিজি, ওয়াই-ফাই সংযোগ। এ ছাড়াও ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপেৱর এই মোবাইল ফোনটির ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। এতে ৭২০ পিক্সেলে ভিডিও করা যায়। এতে রয়েছে ৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরিসহ মাইক্রোএসডি কার্ড সৱট। নকিয়া রাশিয়ার জেনারেল ম্যানেজার গ্যাব্রিয়েল স্পেরাটি জানিয়েছেন, ১৮ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো এই হ্যান্ডসেটটির কভার দাগ বা আঁচড় প্রতিরোধী। এটির ‘কী’ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্বচ্ছ ক্রিস্টাল। ফলে একে স্বচ্ছ কাচের চেয়েও ৮ গুণ ঝকঝকে দেখায়। জানা গেছে, নকিয়া অরো হ্যান্ডসেটটি এ বছরেই ইউরোপ, চীন, মধ্যপ্রাচ্যে পাওয়া যাবে। হ্যান্ডসেটটির দাম পড়বে ৮০০ ইউরোরও বেশি।
মোবাইল ফোনে সৌরবিদ্যুৎ
এবার মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মোবাইল ফোনে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার। চার্জারের পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেই মোবাইল ফোনটি চার্জ হয়। তবে এ মোবাইল ফোনের দাম অত্যন্ত বেশি। চীনা কোম্পানি জেডটিই এবার সস্তায় সোলার পাওয়ারড মোবাইল ফোন বাজারে ছেড়েছে যার দাম পড়বে ৩২ ইউরোর কম। অর্থাৎ তিন হাজার টাকার মতো। নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ‘ওয়াচ ফোন’ Bildunterschrift : Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift : নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ‘ওয়াচ ফোন’।
চার্জারে নতুন চমক
মোবাইল ফোনের চার্জার একটি বেশ ঝক্কির বিষয়। একেক মোবাইল ফোনের চার্জার একেক রকম হওয়ায় ব্যবহারকারীরা মাঝে মধ্যেই সমস্যার মধ্যে পড়েন। এবার সে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। তারা জানিয়েছে, ২০১২ সালের মধ্যে তারা উদ্ভাবন করতে যাচ্ছে এমন চার্জার, যা যে কোনো মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে।

আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোন
মুনীর মমতাজ
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার যোগাযোগের ৰেত্রে বিস্ময়কর অর্জন। তারের সংযোগ ছাড়া পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়াটা কিছুটা অবাকই করে দেয় সমসাময়িক মানুষকে। তবে তাদের এ ঘোর কাটতে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি। মোবাইল ফোনের আবিষ্কার পর্ব শেষ হলে চলতে থাকে এর উৎকর্ষ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা। প্রথম দিকে তৈরি হতো ঢাউস আকারের সব মোবাইল ফোন সেট, সঙ্গে লম্বা একটা এন্টেনা। যেটির পরিবহন ছিল ঝামেলাপূর্ণ। সেই ত্র্বটি কাটিয়ে উঠতে খুব একটা সময় লাগেনি। স্বল্প সময়ের মধ্যেই নতুন নতুন ধারণা যোগ হতে থাকে এর সঙ্গে। কমতে শুর্ব করে মোবাইল ফোনের আকার-আকৃতি, সঙ্গে বাড়তে থাকে এর নানা কার্যপরিধি। মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পর ইতিমধ্যে চারটি প্রজন্ম অতিবাহিত হয়ে গেছে। থেমে নেই এর অগ্রগতি। এখনো পরিকল্পনা চলছে মোবাইল ফোনে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করার।
বর্তমান প্রজন্মের কয়েকটি আধুনিক মোবাইল ফোন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
থ্রি-জি মোবাইল ফোন
থ্রি-জি বা থার্ড জেনারেশন অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন। ২০০১ সালের মে মাসে সর্বপ্রথম জাপানে এ ধরনের মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুর্ব হয়। ওই বছরের অক্টোবরে শুর্ব হয় বাণিজ্যিক ব্যবহার। থ্রি-জি মোবাইল হচ্ছে টু-জি মোবাইল ফোনের বর্ধিত সংস্করণ। এ ধরনের মোবাইল ফোনে স্বতন্ত্র রেডিও থ্রি কোয়েলিস ব্যবহৃত হয়। এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল থেকে বেশি ৰমতাসম্পন্ন । এতে আছে আন্তর্জাতিক রোমিংয়ের সুবিধা। উচ্চগতি এবং বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখেই থ্রি-জি মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছে। এতে উচ্চৰমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট ওয়্যারলেস সুবিধা রয়েছে। আদর্শ থ্রি-জি মোবাইল ফোনে আছে তারবিহীন ভয়েস ক্যাপাসিটি, ওয়্যারলেস ভিডিও, ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ডাটা ক্যামেরা, মিউজিক পেৱয়ার, স্মার্ট কার্ড ইনসার্ট, ওয়েব ব্রাউজারসহ নানান সুবিধা। তবে থ্রি-জি মোবাইল ফোন অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় এর ব্যবহার এখনো সর্বস্তরে এসে পৌঁছায়নি।
ফোর-জি মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোনের জগতে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ পর্যায়টি হচ্ছে ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন। উচ্চ প্রযুক্তির ওয়াইম্যাক্স সুবিধা প্রদান এর অন্যতম লৰ্য হলেও এর সঙ্গে আছে বাড়তি কিছু সুবিধা। ফোর-জি মোবাইল ফোন নামটি বেশ পরিচিতি লাভ করেছে এরই মধ্যে। তারপরও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি ফোর-জি মোবাইলে প্রকৃতপক্ষে কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
ফোর-জি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে থাকা দুটি ফোর-জি মোবাইলের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের হার হবে অন্তত ১০০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড। এতে আছে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সুবিধা, ইন্টারন্যাশনাল রোমিং, রিয়েল টাইম অডিও, উচ্চ গতিসম্পন্ন তথ্যপ্রদান ক্ষমতা, এইচডি টিভি, ভিডিও সেন্টার, মোবাইল টিভি প্রভৃতি। এ ছাড়াও থাকছে সব ধরনের প্যাকেট সুইচড নেটওয়ার্ক।
চলতি বছরের প্রথম দিকে যে কয়েকটি প্রধান মোবাইল ফোন কোম্পানি ফোর-জি নামে মোবাইল ফোন বাজারজাত করেছে তাদের মধ্যে মোটোরোলা, এইচটিসি ও স্যামস্যাং উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে আরো  কয়েক প্রকার মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। যেমন-
আই ফোন
আই ফোন সর্বপ্রথম বাজারে আসে ২০০৭ সালের দিকে। ওই বছর জুন মাসে এটি প্রথম বাজারজাত করা হয়। তবে বর্তমানে আই ফোনের উৎপাদন বন্ধ আছে। থ্রি-জি মোবাইলের সব ধরনের সুবিধা আছে এতে। এ ছাড়া আছে ফেস টাইম, ভিডিও কলিং, রেটিনা ডিসপেৱ, মাল্টিটাচ স্কিন, এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং।
কার ফোন
কার ফোন আসলে এক ধরনের মোবাইল ফোন। তবে এর সুবিধা হলো এটি সাধারণত যানবাহনে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের মোবাইল ফোনে যুক্ত থাকে উচ্চৰমতাসম্পন্ন  ট্রান্সমিটার, বহিস’ এন্টেনা ও লাউড স্পিকার। সাধারণ নেটওয়ার্কের আওতায় এসব মোবাইল ফোন সংযুক্ত থাকে বলে গাড়ি চালানোর সময়ও এটি ব্যবহার করতে পারে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং  জর্বরি প্রয়োজনের ৰেত্রে এ ধরনের ফোন ব্যবহার করা হয়।
রেডিও ফোন
রেডিও ফোন মূলত এক ধরনের রেডিও। তারপরও মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এর জন্য প্রয়োজন একটি প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র এবং অপারেটরের, যা নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করবে ফোন কলকে পিএসটিএন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করাই এর কাজ।
স্যাটেলাইট ফোন
এ ধরনের মোবাইল ফোন সাধারণত কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এ ধরনের মোবাইল ব্যবহারের জন্য একটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে বিশাল এলাকা কাভার করা হয়ে থাকে, যা টেরিস্ট্রিয়াল স্টেশনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। স্যাটেলাইট ফোন অত্যধিক ব্যয়বহুল হওয়ায় সব ৰেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সাধারণত পর্বতারোহী, সমুদ্রাভিযান ও দুর্গম মর্বভূমির মতো জায়গায় স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করা হয়।