Wednesday, September 28, 2011

স্কুল

0 comments
School এই শব্দের মূল অর্থটা জানলে আজকের যুগের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনাই বন্ধ করে দিতে চাইবে।

School শব্দটা এসেছে গ্রিক থেকে। যার অর্থ ছিল 'অবসরযাপন'। তখন এই শব্দটা দিয়ে এমন এক সময়কে বুঝানো হতো, যখন সৈন্যদের আর যুদ্ধে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কৃষক মুক্তি পেত কৃষি কাজ থেকে। ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ, অর্থাৎ পুরোপুরি অবসরযাপন। ওই সময় স্কুলে গেলেও পড়াশোনার কোনো ঝামেলা ছিল না। বই সঙ্গে নিলেও সেটা না খুললেও চলত। এসব স্কুলে যাওয়ার সুযোগ মিলত ধনীর ছেলে-মেয়েদের। তারা ওইসময় গল্প-গুজবের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু শিখে ফেলত। পরবর্তী সময়ে তারা ভালো চাকরি পেত।

এটা দেখে অনেক মা-বাবাই চাইলেন তাদের ছেলেমেয়েরাও স্কুলে যাক। সময়ের পরিক্রমায় School হয়ে উঠল জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু, যা এক সময় ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে।

আলেকজান্দ্রিয়া বাতিঘর

0 comments
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় তৈরি হয় এ অনন্য স্থাপত্যকীর্তি। প্রথমে বন্দরের পরিচিতি চিহ্ন হিসেবে এটি তৈরি করা হলেও পরবর্তীতে বাতিঘর হিসেবে কাজ করে। বাতিঘরের মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিল ১১০ বর্গফুট। উচ্চতা ছিল ৪৫০ ফুট। ৫০ মাইল দূর থেকেও এটি দেখা যেত। দ্বাদশ শতকে প্রবল ভূমিকম্পে বাতিঘরটি ভেঙে পড়ে।
হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীতে প্রযুক্তির ব্যবহার যখন খুব সীমি...ত ছিল, তখন বিশাল এবং কঠিন কোনো স্থাপনার কাজে হাত দেওয়াটা ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। তারপরও তারা তা করেছেন। অনেক অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছেন তারা, যা ভাবতে গেলে আজো অবাক হতে হয়। প্রাচীন যুগে মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল জলপথ। জলপথ দিয়েই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। কিন্তু এই জলপথে চলাচল করা ছিল অত্যন্ত কঠিন। পদে পদে বিপদের সম্মুখীন হতে হতো। এখানে জলদস্যুর যেমন ভয় ছিল, তেমনি ঘনকুয়াশা কিংবা রাতের অন্ধকারে অথৈ জলরাশির মাঝে নাবিকদের পথ হারিয়ে ফেলা ছিল একেবারেই সাধারণ ব্যাপার। এ নিয়ে প্রাচীন শাসকরাও সবসময় থাকতেন আতঙ্কগ্রস্ত। তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় যে কোনো শাসকরা খোঁজেননি, তা কিন্তু নয়। গ্রিক সম্রাট টলেমি এ সমস্যার কথা জানতে পারলেন। তিনি ছিলেন মিসরের রানী ক্লিওপেট্রার বাবা। সমস্যার সমাধানে তিনি পথ খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে ২৭০ অব্দে ভূমধ্যসাগর উপকূলে আলেকজান্দ্রিয়ায় নির্মিত হলো একটি বাতিঘর। এ বাতিঘরটি প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। বাতিঘরটির মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিল ১১০ ফুট। উচ্চতা ছিল ৪৫০ ফুট। মূল দেহের চারদিক দিয়ে পেঁচানো ছিল সিঁড়ি। এ সিঁড়ি বেয়েই উপরে ওঠা হতো। বাতিঘরটি তৈরির সময় ৪৫০ ফুট উঁচুতে যে বিশাল অগি্নকুণ্ড জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাতিঘরটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ তাকে নিভতে দেখেনি। প্রায় ৫০ মাইল দূর থেকেও বিশাল অগি্নকুণ্ড মানুষের চোখে পড়ত। আলেকজান্দ্রিয়ার এ বাতিঘরটি বহুকাল ধরে সমুদ্রগামী হাজার নাবিককে পথ দেখিয়েছে। পথ দেখিয়েছে পৃথিবীর দেশে দেশে সমুদ্র উপকূলে বাতিঘর তৈরির। কিন্তু পৃথিবীর কোনো সৃষ্টিই চির অমর নয়। যে কোনো কারণেই হোক সব সৃষ্টিই এক সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ধ্বংস হয়েছে আলেকজান্দ্রিয়ার সেই বাতিঘরও। ১২০০ শতকে এক প্রচণ্ড ভূমিকম্পে বাতিঘরটি ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের এই নিদর্শনও।

মেনওয়িদ হিল

0 comments
সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল।এটি ইংল্যান্ড এর ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত একটি মিলিটারি বেইজ, যেটি ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত।আমেরিকা আর ইংল্যান্ড কে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এটি তৈরি করা হয়।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশান এখানেই রয়েছে।তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এতটাই জটিল সাধারণ মানুষের ওই পুরো এলাকায় ঢুকা এক্কেবারেই অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। রোমান্সপ্রিয় কেউ যদি সে সপ্ন কখনো দেখেও থাকে তা স্রেফ আকাশকুসুম কল্পনাই হবে।

হাওয়াই মিঠাই

0 comments
সর্বপ্রথম হাওয়াই মিঠাইয়ের ধারণা নিয়ে আসেন উইলিয়াম মরিসন ও জন হোয়ারটন নামের দুই ভদ্রলোক। তারা আমেরিকার টেনেসিতে থাকতেন। এমনিতেও দু’জনে মজার মজার ক্যান্ডি বানাতেন, সেটাই ছিল তাদের
পেশা। ১৮৯৭ সালে তারা দু’জনে মিলে একটা মেশিন আবিষ্কার করলেন।
মেশিনটা একটা ঘুরন্ত বাটি, যার মাঝখানে থাকবে একটা ছিদ্র।
প্রথমে চিনির সিরাকে গরম করে বাটিতে রাখা হতো। বাটিটা ঘুরালেই সেই সিরা বাটির... ছিদ্র দিয়ে পালকের
মতো হালকা হয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে। এই পুরনো প্রক্রিয়াতেই কিন্তু এখনো হাওয়াই মিঠাই বানানো হয়।
প্রথমদিকে মরিসন এবং জনের এই মজার খাবার বেশি জনপ্রিয় হয়নি।
ঢালাওভাবে এর পরিচয় বাড়ে ১৯০৪ সালে। সে বছর সেন্ট লুইস নামক এক
মেলায় তারা নিয়ে আসেন এই অদ্ভুত ক্যান্ডি। প্রতিটি মাত্র ২৫ সেন্ট, তাতেই ৬৮ হাজার ৬৫৫টি হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়ে যায় এক লহমায়। তারপর সবাই হয়ে যায় এর ভক্ত। ১৯২০
সালে এর নাম রাখা হয়ে ‘কটন ক্যান্ডি’। তবে যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় ‘রেশমি মিঠাই’।

Monday, September 26, 2011

প্রতিদিন একটি কমলা

0 comments
বয়সকে বেঁধে রাখার চেষ্টা চলছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। প্রচার মাধ্যমগুলোতেও তারুণ্যকে বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে থাকছে নজরকাড়া সব বিজ্ঞাপন। এই সব ঝক্কি-ঝামেলায় মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন এক আশা জাগানিয়া তথ্য। দিনে একটি মাত্র কমলাই আপনার তারুণ্যকে ধরে রাখবে বহুদিন। এক পরীক্ষা থেকে জানা যায়, সাইট্রাস খাবার প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে পাকস্থলী, ল্যারিংক্স ও মুখের ক্যান্সার ৫০ শতাংশ কমে যাবে। আর এই সাইট্রাস খাবারের সবচেয়ে বড় উত্স কমলালেবু। বিশেষজ্ঞরা তাই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কমলালেবুকেও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন। কমলালেবুতেই আছে প্রায় ১৭০ রকমের ভিন্ন ভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতেও সাহায্য করে। কমলার এই উপাদানগুলো ধমনিতে চর্বি জমতেও বাধা দেয়। এই কমলাতেই আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় বহু গুণ। একটি মাত্র কমলায় থাকে প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এই ভিটামিনটি পানিতে দ্রবীভূত হয় বলে অপ্রয়োজনীয় অংশটুকু শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই একদিনে বেশি না খেয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে একটি কমলা খান।

দই

0 comments
সুস্থ থাকতে সবাই চাই। কিন্তু আমরা কি সবসময় সুস্থ থাকতে পারি? মনে হয়—না। কিন্তু অসুখ-বিসুখ থেকে রেহাই পেতে তো চাই। দেহ নীরোগ, সুস্থ-সবল ও কর্মঠ রাখতে হলে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি। আর এজন্য প্রয়োজন নিজের প্রতি সচেতন হওয়া এবং ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ। প্রতিদিন কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই কিন্তু নীরোগ ও কর্মঠ শরীর নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। আজ আমরা টক দই খাওয়ার উপকারিতা জানব। দই একটি দুগ্ধজাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। টক দই অত্যন্ত পুষ্টিকর, এতে আছে দরকারি ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। টক দইতে দুধের চাইতে বেশি ভিটামিন ‘বি’, ক্যালসিয়াম ও পটাশ আছে। এতে কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও ফ্যাট নেই। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে ও রোগ সারাতে সাহায্য করে।

দই খাওয়ার উপকারিতা

++ দইতে ল্যাটিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যান্সার কমায়।

++ এটি হজমে সহায়তা করে।

++ টক দইতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ আছে যা হাড় ও দাঁতের গঠনে ঠিক রাখতে ও মজবুত করতে সাহায্য করে ।

++ কম ফ্যাটযুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়।

++ দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজেচ ও কম সময়ে হজম হয়। তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন ।

++ টক দই রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে।

++ উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেয়ে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ।

++ ডায়বেটিস, হার্টের অসুখের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেয়ে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

++ টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া বা অকাল বার্ধক্য রোধ করে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

++ওজন কমাতে কম ফ্যাটযুক্ত ও চিনি ছাড়া টক দই খাবেন।

লক্ষ রাখুন

++ টক-জাতীয় খাবার গরম অবস্থায় এবং রাতে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

++ দই, পেয়ারা, শসা, ক্ষীরা, কলা, শাক ইত্যাদি রাতে কখনই খাওয়া ঠিক নয়।

++ দইয়ের পর কোনো সফ্ট ড্রিঙ্কস পান না করাই উচিত। কারণ এতে দইয়ের উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

তেল

0 comments
খাদ্যের বড় শক্তি হলো তেল। তেল ছাড়া বাঙালিদের রান্নাই হয় না। খাদ্য সামগ্রীর অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে ভোজ্যতেল। রান্না সুস্বাদু করা ছাড়াও ভোজ্যতেল শরীর সুস্থ ও সবল রাখে। তাই খাদ্য তালিকায় ভোজ্যতেল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চলতি বাজারে নানা রকমেরই তেল পাওয়া যায়। বিশেষ করে নানা রকমের ফুডস্টোরের বদৌলতে সাধারণ মানুষ নানা ধরনের তেলের নামের সাথে পরিচিত। কিন্তু ঠিক কোন তেল স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই নিরাপদ তা জেনে রাখা একান্তই জরুরি। তাই নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন নওশীন শর্মিলী

সয়াবিন

সয়াবিন হলো এক প্রকারের শুঁটিজাতীয় উদ্ভিদ। এটির আদি নিবাস পূর্ব এশিয়াতে। এটি একটি বাত্সরিক উদ্ভিদ। রান্নায় অতিরিক্ত চর্বিবিহীন সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি খাবার দেহের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের প্রাথমিক উত্স। সয়াবিন তেলের রান্না বেশি খেলে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। জাপানি একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। সয়াবিনের আইসোফ্লেবনস খাদ্যগুণ হরমোনে অ্যাস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে। সে সঙ্গে বুক ও প্রোস্টেটের হরমোন-সংশ্লিষ্ট ক্যান্সারবিরোধী উপাদানও সয়াবিনে থাকতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

সর্ষের তেল

সরিষার বীজ নিষ্পেষণ দ্বারা প্রস্তুত এই তেল। এই তেল রান্নার জন্যে এবং গায়ে মাখা বা মালিশ করার কাজে ব্যবহার হয়। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের জন্যে সর্ষের তেলের রান্নার আলাদা বিশেষত্ব আছে। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের কারণ অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট নামক একটি উদ্বায়ী সালফারযুক্ত যৌগ। সর্ষের তেল যদি জলের সংস্পর্শে না আসে তাহলে কিন্তু তাতে ঝাঁঝ হয় না। তাজা সর্ষের তেলে অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট থাকে না, থাকে সিংগ্রিন নামে তার গ্লুকোসিনোলেট যৌগ। জল বা অ্যাসিডের সাথে মিশ্রণ বা আলোড়নের ফলে মাইরোসিনেজ নামে একটি উেসচক সক্রিয় হয়ে সিংগ্রিন থেকে গ্লুকোজ আলাদা করে দিয়ে ঝাঁঝালো অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট তৈরি করে। সর্ষের তেলকে পাতন করলেও উচ্চতাপে মাইরোসিনেজ সক্রিয় হয়ে যায় ও অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট উবে যায়, পরে তাকে ঘনীভূত করে এই গন্ধ তেল (অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট) পাওয়া যায়। অ্যালাইল আইওডাইড ও পটাসিয়াম থায়সায়ানেটের রাসায়ানিক বিক্রিয়া দ্বারাও কৃত্রিমভাবে এটি প্রস্তুত করা যায়। এটিকে কৃত্রিম সর্ষের তেল বলে। এটি খাবারে সর্ষের তেলের গন্ধ দেবার জন্যে ব্যবহার হয়।

মাছের তেল

সামুদ্রিক মাছের তেলে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের হাত থেকে রক্ষা করে। সমপ্রতি বিজ্ঞানীরা এর আরও বেশ কয়েকটি উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন। সামুদ্রিক মাছ, যেমন—টুনা ও এর সমগোত্রীয় মাছগুলো যারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন খাবেন, তারা ডিমেনিশিয়া ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে বেঁচে যাবেন অনেকাংশে।

উপকারিতা

++ এটি রক্তে ট্রাই গ্লিসারাইড কমায় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়।

++ এটি ধমনিগাত্রে প্লাক জমতে দেয় না এবং রক্ত জমাটবদ্ধ হতে দেয় না। ফলে রক্তচাপ বাড়ে না, যা হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচায়।

++ এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

++ এটি রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে পারে।

++ এটি বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে বাঁচায়।

++ কিছু ক্যান্সারের হাত থেকেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সুরক্ষা দেয়।

অলিভ অয়েল

যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হলো জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দুত হলো জলপাইয়ের তেল, যা অলিভ ওয়েল, আরবিতে জয়তুন, যেটাকে লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়। সেই গ্রিক সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে রন্ধন কর্মে ও চিকিত্সা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় সব গুণাবলি এই জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে। জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েলে দারুণ দারুণ সব উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দুর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে অলিভ ওয়েল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টেরল এবং গুড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হয়। ওলিভ ওয়েলের আরেকটা গুণাবলী হলো এটা স্টমাকের জন্য খুব ভালো। শরীরে অ্যাসিড কমায়, লিভার পরিষ্কার করে যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোষ্ঠ-কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ স্পুন অলিভ ওয়েল অনেক অনেক উপকারী।

তিল ও তিসিজাতীয় তেল

আজকাল আমাদের দেশে তিল ও তিসিজাতীয় তেল শস্যবীজের উত্পাদন ও ব্যবহার ক্রমাগত কমতে থাকলেও উন্নত বিশ্বে ঘটছে উলটা ঘটনা। তিল ও তিসির অসংখ্য উপকারী গুণাবলি থাকার ফলে উন্নত বিশ্বে এদের উত্পাদন ও ব্যবহার বাড়ছে ব্যাপক হারে। মূলত তিল ও তিসি থেকে পাওয়া তেলের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে যে, এতে রয়েছে কিছু উন্নতমানের ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। তিল ও তিসির মোট ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রায় ৯০ ভাগই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং যার মধ্যে আলফা লিনোলেইক অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অহিকোসাপেন্টানয়িক অ্যাসিড এবং ডকোসাহেক্রানয়িক অ্যাসিড অন্যতম। এসব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিডের রয়েছে বহুবিধ উপকারী ভূমিকা। এরা একদিকে যেমন আমাদের রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমায় একই সঙ্গে উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায় এবং এ প্রক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট লোকের রক্তচাপ কমিয়ে আনে।

চর্বি এবং কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ

খাবার পরিহার করুন

হূিপণ্ডের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবারে সম্পৃক্ত চর্বি, ট্রান্সফ্যাট (খাদ্য প্রস্তুত করতে যে চর্বি তৈরি হয়) এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি সেগুলো অবশ্যই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এ জাতীয় কোলেস্টেরল তেল-চর্বিযুক্ত খাদ্য বেশি গ্রহণ করলে চর্বির পুরো আস্তর জমে রক্তনালির ফুটো কমে যায় বা বন্ধ হয় যায়। ফলে হূিপণ্ডে রক্ত চলাচল কমে যায় কিংবা অংশবিশেষে একেবারে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে হূদরোগ এবং মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক হয়।

প্রতিদিন হূদ-বান্ধব খাবারের তালিকায় সর্বোচ্চ কতটুকু চর্বি থাকতে পারে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো—

সম্পৃক্ত চর্বি :দৈনিক গৃহীত সর্বমোট ক্যালরির ৭ শতাংশের কম হবে।

ট্রান্সফ্যাট :দৈনিক গৃহীত সর্বমোট ক্যালরির ১ শতাংশের কম হবে।

কোলেস্টেরল :সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৩০০ মি. গ্রামের কম।

যারা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করেন কিংবা যাদের রক্তে কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল বেশি তাদের ২০০ মি. গ্রামের বেশি কোলেস্টেরল গ্রহণ করা উচিত নয়।

খাবারে সম্পৃক্ত চর্বি এবং ট্রান্সফ্যাট কমাতে হলে মাখন, ঘি, মার্জারিন ইত্যাদির ব্যবহার কমাতে হবে। এ ছাড়া গরু কিংবা খাসির চর্বিযুক্ত মাংস গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। ট্রান্সফ্যাট বলতে আংশিক বিজারিত চর্বিকে বোঝানো হয়। রান্নায় একই তেল পুনরায় ব্যবহার করলে বা ব্যবহূত তেল রেখে দিলে ওটাতে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট তৈরি হওয়ার অবকাশ থাকে। অতএব প্রতিবার রান্নার সময় নতুন তেল ব্যবহার করা উত্তম; আগের দিনের ভাজাভুজির পর কড়াইয়ে রয়ে যাওয়া তেল ব্যবহার করা ক্ষতিকর। আর অবশ্যই রান্নার জন্য অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত তেল যেমন—সয়াবিন, জলপাই তেল কিংবা ক্যানোলা তেল ব্যবহার করা উচিত। বাদাম এবং সয়াবীজের তেল অসম্পৃক্ত চর্বি বেশি পরিমাণে থাকে। সম্পৃক্ত চর্বির পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত তেল ব্যবহার করলে রক্তে কোলেস্টেরল কম থাকে।

উপকারী তেল
++ জলপাইয়ের তেল

++ ক্যানোলা তেল

++ ট্রান্সফ্যাটবিহীন মার্জারিন

ক্ষতিকর তেল

++ মাখন

++ খাসি-গরুর চর্বি

++ ক্রিম সস্

++ নন-ডেয়ারি ক্রিম

++ হাইড্রোজেনেটেড মার্জারিন

++ মাখন

++ নারিকেল তেল, পাম অয়েল, তুলাবীজের তেল

মেদ ভূড়ি কি করি

20 comments

ওজন কমানোর সঠিক ফর্মুলা

লেখক: তামান্না শারমিন

ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টার অভাব নেই । স্ট্রিট ডায়েট, এক্সারসাইজের শাসন কোনো কিছুই মানতে অসুবিধা নেই। তবু ঠিক যতটা চাইছেন ততটা রোগা হতে পারছেন না। তাই এবার জেনে নিন ওজন কমানোর সঠিক পদ্ধতি। লিখেছেন তামান্না শারমিন

যেসব কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়

দেহের চাহিদার অতিরিক্ত খাওয়া বিশেষ করে ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ও ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি হলে ওজন বৃদ্ধি পায়। মদ্যপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ঘুম, স্টেরয়েড এবং অন্যান্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে। অতিরিক্ত আরাম-আয়েশ ও শারীরিক পরিশ্রম কম হলে দেহে চর্বি জমে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে।

ওজন হ্রাস করার কয়টি সহজ পদ্ধতি

যেহেতু ওজন বৃদ্ধি মেদ বা ভুঁড়ি প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে সেহেতু আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই ওজন বাড়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে তা প্রতিরোধ করুন। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস, অপ্রতুল কায়িক পরিশ্রম কিংবা অসুখই এর প্রধান কারণ।

অতিরিক্ত ওজন কমানোর সহজ উপায় হলো সঠিক ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ এবং প্রচুর কায়িক পরিশ্রম, ব্যায়াম করা। যারা কায়িক শ্রম বেশি করেন তাদের ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। নিয়মিত হাঁটা খুব ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটতে পারেন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, ত্রিকোণ আসন প্রভৃতি ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী।

চর্বি জাতীয় খাবার যেমন মাখন, তেল, গরু বা খাসির মাংস, বাটার প্রভৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে। শরীরের জন্য এগুলো প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে, যার কম-বেশি হলে সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য অনেক সময় দেখা যায়, ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে। এজন্য প্রয়োজন খাদ্য গ্রহণ পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল খাবেন এবং বেশি বেশি পানি পান করবেন। একবারে বেশি খাবেন না, একটু পর পর অল্প অল্প করে খাবেন। ক্ষুধা লাগলে শশা বা ফল খেয়ে নেবেন। কারণ শশা ও টকফল ওজন হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আজকাল অপারেশনের সাহায্যে ভুঁড়ি বা মেদ কমানো হচ্ছে। লাইপোসাকশন বা অ্যাবডোমিনো ফ্লিস্টর সাহায্যে মেদ কমানো হচ্ছে। কিন্তু এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে অনেক।

ওজন হ্রাসকারী খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও লোহার অভাব ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিম, কলিজা লোহার চাহিদা পূরণ করবে। চেষ্টা করবেন লবণ বর্জিত খাদ্যগ্রহণ করতে।

এ ক্ষেত্রে খাবার মেপে মেপে খাওয়ার প্রয়োজন নেই, মোটামুটি একটা হিসাব করলেই চলবে। শরবত, কোকাকোলা, ফান্টা ইত্যাদি মৃদু পানীয় সব রকম মিষ্টি, তেলে ভাঁজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনাফল, ঘি, মাখন, সর ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য ক্যালরির প্রধান উত্স। অধিক চর্বিযুক্ত কম ক্যালরির খাদ্যে স্থূল ব্যক্তির ওজন খুব দ্রুত কমে। ওজন কমাতে পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সকাল :দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, একবাটি সবজি সিদ্ধ, ১ বাটি কাঁচা শশা। শশা ওজন কমাতে জাদুর মতো কাজ করে।

দুপুর :৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগির ঝোল ১ বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক, শশার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই।

বিকাল :দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট ২টা।

রাত :আটার রুটি তিনটা, একবাটি সবুজ তরকারি, একবাটি ডাল, টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ এবং মাখন তোলা দুধ।

দৈনিক এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহে প্রোটিনের অভাব থাকে না। ৬০ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তির খাদ্য ৬০ গ্রাম প্রোটিন হলেই ভালো হয়। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপতে হবে, লক্ষ রাখতে হবে, ওজন বাড়ার হার কম না বেশি। ওজনবৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ বা ভুঁড়ি এদের অতিরিক্ত ওজন কোনোটাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয়, একথা সবসময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্য-সচেতন হবেন।

ওজন কমানোর ১০ টিপস

লেখক: প্রাঞ্জল সেলিম |
শরীরের বাড়তি ওজন কেউ চাই না। সবাই চাই বাড়তি মেদহীন সুঠাম দেহ এবং সুন্দর স্বাস্থ্য। আমরা শরীরের বাড়তি মেদের সমস্যায় যারা ভুগছি, এবার তাদের জন্য রইল, সহজ ১০ টিপস।

++ জুস, কোল্ড ড্রিংকস নয়; প্রচুর পানি পান করুন। পানি শরীরের ভেতরটা সতেজ রাখে।

++ বাইরের খাবার না খেয়ে বাসার খাবারে অভ্যস্ত হোন। এতে আপনার খাদ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী চর্বি, চিনি এবং লবণ পাবেন।

++ প্রচুর সালাদ খাবেন, সালাদের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নেবেন।

++ ফল ও সবজি বেশি খান, তাতে আপনাআপনি চর্বি ও শকরাযুক্ত খাবার কম খাওয়া হবে।

++ আপনি যদি চান, ওজন কমানোর জন্য জিমেও যেতে পারেন।

++ ছোট প্লেটে খাবার খান। এতে বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

++ বাড়তি চর্বি পোড়ানোর জন্য প্রতিদিন কিছু পরিশ্রম করতে হবে।

++ উত্সবে বিশেষ খাবার খাওয়ার সময়, আপনার ওজন কমাতে হবে,

এটা মাথায় রাখুন।

++ নিয়মিত হাঁটুন কিংবা ব্যায়াম করুন। এগুলো শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

++ আমিষ (প্রোটিন) সমৃদ্ধ খাবার যেমন—মাছ, ডাল ইত্যাদি

প্রচুর পরিমাণে খান।

প্রোটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়।

Monday, September 19, 2011

কম্পিউটার ভাইরাস

1 comments
কম্পিউটার ভাইরাসের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ভাইরাস তৈরি করে যাচ্ছে প্রোগ্রামাররা। এসব ভাইরাসের অনেক গুলোই এতটাই ক্ষতিকর যে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করেছে। ক্ষতিসাধন করেছে লাখ লাখ কম্পিউটারের, ধংস করেছে মুল্যবান অনেক তথ্য। এমনি কিছু ভাইরাসের ইতিহাস সম্পর্কে চলুন আজ জানা যাক।

CIH বা চেরনোবিল ভাইরাস

৯৯ এর ২৬শে এপ্রিল বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার CIH বা চেননোবিল নামক ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয়। টাইম বোমার মতো নির্দিষ্ট সময়ে এ ভাইরাসটি কম্পিউটারকে আক্রমণ করে। একই সময়ে সারাবিশ্বে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এটাই সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। কম্পিউটার সিস্টেমে সময় ও তারিখের জন্য ঘড়ি সেট করা আছে। ঘড়ির কাটায় ২৬শে এপ্রিল, ১৯৯৯ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারে লুকায়িত সিআইএইচ ভাইরাস বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে। পশ্চিমাদেশগুলোর তুলনায় এশিয়ার বিপর্যয়ের মাত্রা অনেক ভয়াবহ। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উদাসীনতার ফলে এই বিপর্যয় ঘটেছে।

অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যাপক প্রচারনার ফলে যথাসময়ে এন্টিভাইরাস আপগ্রড কারায় কর্পোরেট হাউজগুলো এই বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে। পিটার্স বুর্গের মেলোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের মুখপাত্র বিল পোলক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২৩৮২টি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে”।

সারা চীনে ১ লাখেরও বেশি কম্পিউটার CIH ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয।চীনের বৃহত্তম এন্টিভাইরাসের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রুইজিন কোম্পানীর জিএম লিউ জু একে মহাবিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। দক্ষিন কোরিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আন বিউং-ইয়প ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমরা এই ভাইরাসটির ধ্বংশ ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম এবং বিষয়টির প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেইনি”। তিনি বলেছেলেন, “কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে ও সর্তকতা পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে”। সরকারী সূত্রমতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ লক্ষ কম্পিউটার CIH ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো দাবি করেছে, ৬ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

তুরষ্কের র‍্যাডিকেল পত্রিকা জানিয়েছে, বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও, কেউই বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। প্রচুর কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অচল হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপি সবাই চেষ্টা করে এ বিপর্যায় কাটিযে উঠার জন্য। এই ভাইরাসটি ২৬শে এপ্রিল, ২৬শে জুন ও প্রতি মাসের ২৬ তারিখে আক্রমণ করতে দেখা যায়। এই ভাইরাসের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই সর্তক থাকুন।

CIH ভাইরাসের লক্ষণঃ

১. কম্পিউটারের প্রোগ্রাম রান করে না। CIH ভাইরাসের একটি ভার্সন এর জন্য দায়ী। এই ভাইরাস প্রোগ্রামের .exe ফাইলের নাম পরিবর্তন করে ফেলে।

২. কম্পিউটার অন হচ্ছে কিন্তু সি ড্রাইভ পাওয়া যাচ্ছে না।

৩. কম্পিউটার অন করলে কিছুই দেখা যায় না।

ক্ষতিঃ এটি মাদারবোর্ডের বায়োস নষ্ট করে দেয়। হার্ডডিস্কের পার্টিশন মুছে দেয়।

CIH ভাইরাসের ইতিহাসঃ

১৯৯৮ এর জুনের শুরুতে তাইওয়ানে প্রথম সিআইএইচ ভাইরাস দেখা যায়।ভাইরাসের নির্মাতা একে স্থানীয় ইন্টারনেট কনফারেন্সে পাঠায়। তারপর তা ইন্টারনেটে বিশ্বব্যাপি ছড়ায়।

CIH ভাইরাস তৈরি করেন চেন ইং হাও –এর নামের অদ্যাক্ষর অনুযায়ী ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। এ ভাইরাসকে চেরনোবিল ভাইরাসও বলা হয়। এটি ২৬শে এপ্রিল বিপর্যয় ঘটায়। ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল রাশিয়ার চেরনোবিলে মারাত্মক পারমাণবিক বিষ্ফরণ ঘটেছিল। চেরনোবিলের ২৬শে এপ্রিলের ঘটনাকের স্মরণ করে এ ভাইরাস ২৬শে এপ্রিল কার্যকর হয় বলে একে চেরনোবিল ভাইরাস বলা হয়। একে ‘স্পেস ফিলার’ও বলে। কারণ এটি ফাইলের ভিতরের খালি জায়গা দখল করে। এর কারণে এন্টিভাইরাস ভাইরাসটি ধরতে পারেনা।

সারা বিশ্বের হাজার হাজার কম্পিউটারে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী CIH ভাইরাসের সৃষ্টিকারী হলেন, তাইওয়ানের ‘তাতং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ছাত্র ‘চেন ইং হাও’। চেনের নাম অনুসারে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়। ‘তাতং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র ছাত্র বিষয়ক ডিন ‘লি চে চেন’ জানান, গত বছর (১৯৯৮) এপ্রিলে ভাইরাসটি আন্তঃকলেজ ডেটা সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করলে চেনকে লঘু শাস্তি দেয়া হয়। ঐ সময়ের সিনিয়র ছাত্র চেনকে কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারের মতো কঠিন শাস্তি দেয় নি কারণ, সে অন্য ছাত্রদের ভাইরাসটির বিস্তার ঘটাতা নিষেধ করেছিল। কিন্তু চেন ভাইরাসবিরোধী কোন প্রোগ্রাম তৈরির উদ্যোগ নেননি। লি বলেন, এক বছরের মাথায় ভাইরাসটি কেমন করে এমন বিপর্যয় ডেকে আনল সে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন না।

কেন তিনি এ ভাইরাস সৃষ্টি করেন? আত্মম্ভরিতা থেকেই চেন ইং হাও এটি করেছেন। কিন্তু এই ভাইরাস যে বিশ্বব্যাপী এমন বিপর্যয় ডেকে আনবে তা চেন কখননোই ভাবেনি। এ ভাইরাসটি সৃষ্টির কারণ হিসেবে চেন বলেন, অযোগ্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রোভাইডারদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি এ কাজ করেন। কলেজে থাকার সময় ইন্টারনেট থেকে গেম ও সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে গিয়ে চেন প্রায়ই প্রযুক্তিগত বিপত্তির মুখে পড়তেন। তখনই চেন সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞদের বোকা বানানোর জন্য এই ভাইরাসটির জন্ম দেন। এই ভাইরাসটি এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।

ডেটা রিকভারী করাঃ

CIH ভাইরাসের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে এটি হার্ডডিস্কের পার্টিশন তুলে দিয়ে ডেটা আনরিডেবেল করে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র মনিরুল ইসলাম শরীফ চেনরোবিল ভাইরাসে বিপর্যস্ত কম্পিউটার ঠিক করার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন। সি ল্যাংগুয়েজে করা এ সফটওয়্যারটির নাম MRecover1.7। এই সফটওয়্যার দিয়ে মুছে যাওয়া ডেটা পুনরুদ্ধার করা যায়।
ব্রেইন ভাইরাস

১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ডেলোয়ারে পৃথিবীর সর্বপ্রথম ভাইরাস ধরা পড়ে। এটি যে ডিস্কে আক্রমণ করে সে ডিস্কের FAT নষ্ট করে ফেলে এবং ডিস্ক লেভেল হিসেব ব্রেইন শব্দ লিখে। পাকিস্তানের লাহোরের ব্রেইন কম্পিউটার সার্ভিসেস নামক এক প্রতিষ্ঠানের মালিক দুই ভাই বাসিত আলভি ও আমজাদ আলভী এই ভাইরাস তৈরী করেন। অবৈধ সফটওয়্যার নকলকারদের সায়েস্তা করার জন্যই ফ্লপি ডিস্কে ভাল প্রোগ্রামের পাশাপাশি এই সফটওয়্যার সরবারাহ করে তারা।

বেড বয় ভাইরাস

এটি একটি মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস। এটি .com ফাইলকে আক্রান্ত করে। এর ফাইল Growth 1001 bytes. এ ভাইরাসটি Encrypted এ ভাইরাসে আক্রান্ত পিসিতে নিন্মের বার্তা দেখায়ঃ

The bad boy halt jour system…

and

The Bad Boy virus. Copyright © 1991.

ব্যাটম্যান

এটি একটি ফাইল ভাইরাস। এটিও .com ফাইলসমূহকে আক্রান্ত করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হার্ডডিস্ক কোন ব্যাচ ফাইল পরিচল করিয়ে দেয়। যেমন: INF.BAT তেঃ

@each off

rem

INF

del.INF.COM

ব্যচ ফাইলটি যখন রান করে তখন এ ভাইরাস .com ফাইলকে রিনেম করে।

বিগ জোক ভাইরাস

এটি একটি ফাইল ভাইরাস যা command.com ছাড়া অন্য সব .com ফাইলকে আক্রমণ করে। এটি Growth 1068 bytes সিস্টেমের ক্লক সেকেন্ড কাউন্টার 0 এবং 4 সেকেন্ডের মধ্যে অবস্থান করলে এ ভাইরাস রান করলে পর্দায় প্রদর্শন করেঃ

At last…ALIVE!!!!!

I guess your PC is infected by The Big Joke Virus

Release 4/4-91

Lucky you, this is the kind version

Be more careful while duplicating in the future

The Big Joke Virus, Killer Version, will strike harder

The Big Joke rules forever,

ক্রেজি ভাইরাস

এটি একটি ট্রোজন ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ফাইল রান করলে একটি জীবন্ত চেহারা পর্দার উপরে বাম কোণায় প্রর্দশিত হয়। তখন কোন কী চাপলে প্রদর্শিত হয়ঃ

Hi, I’m Crazy Daizy! I’m format your harddisk! Say goodbye to Your files!Formating….

এ অবস্থায় হার্ডডিস্কের লাইট প্রদীপ্ত হয়। এ ট্রোজন ভাইরাস ২০০-৪০০ কেবির বৃহৎ বৃহৎ ফাইল ইচ্ছামতো নামে বিভিন্ন লেখাসহ তৈরি করে। অতঃপর প্রদর্শিত হয়ঃ

ERROR: No SYSTEM found! No files on drive C: Insert SYSTM disk in drive A: and push any key!

নির্দেশ মতো কাজ করলে ভাইরাস সব .exe ফাইলকে Patches করে। Patched প্রোগ্রাম রান করে। কোন কী চাপা হলে দেখায়ঃ

Pretty day today – isn’t it?

Don’t worry – sing a song!

Life isn’t easy!

Don’t hate your PC! Lets be friend!

উৎসঃ প্রযুক্তি ব্লগ

Sunday, September 18, 2011

মমি

0 comments
মমি হলো একটি মৃতদেহ যা জীবের শরীরের নরম কোষসমষ্টিকে জলবায়ু (বায়ুর অভাব অথবা অনাবৃষ্টি অথবা মৌসুমীয় অবস্থা) এবং ইচ্ছাকৃত কারণ (বিশেষ দাফন প্রথাগুলো) থেকে রহ্মা করে। অন্যভাবে বলা যায়, মমি হলো একটি মৃতদেহ যা মানবিক প্রযুক্তির মধ্যে অথবা প্রাকৃতিকভাবে ধ্বংস এবং হ্ময়প্রাপ্ত হওয়া থেকে রহ্মা করে। মমি শব্দটি মধ্যে যুগের লাতিন শব্দ "Mumia" থেকে এসেছে, একে পারস্য ফার্সি ভাষা mūm (موم) থেকে আনা হয়েছে ...যার অর্থ বিটুমান (bitumen)।
মমি শব্দটার উৎপত্তি পারস্য দেশে । পারস্যে যা মমি, বাংলায় তা হল মোম। মোম দিয়ে মৃতদেহকে আবৃত করার পদ্ধতিকে বলা হত মমি । এই মমি তৈরির প্রণালীটা প্রায় ৫ হাজার বছর পুরনো । প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন যে দেহ যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার আত্মাও নষ্ট হয়ে যাবে । তাই কারও দেহ মমিফিকেশন করে রাখলে দেহের মালিক আবার জন্ম নিবে ।
তারা একটি দেহকে মমি করতে প্রথমেই মৃতদেহটির ভেতরের সবকিছু বের করে ফেলত, অদ্ভুদ কায়দায় ম্যানুয়ালি পাকস্থলী, কিডনি, মস্তিষ্ক বা ব্রেন নাক ও মুখ দিয়ে বের করত বিশেষ হুকারের সাহায্যে । তারপর ফাঁপা দেহটাকে ন্যাট্রেনে ( সোডিয়াম ও কার্বনের মিশ্রণ) ৪০ দিন ধরে রেখে দিত। ফলে দেহ থেকে অবশিষ্ট পানি বেরিয়ে দেহ শুকিয়ে যেত । এরপর বিশেষ বিশেষ গাছপাতা ও রজনে ভেজানো তুলো ফাঁপা দেহটিতে ভর্তি করে দিত। তারপর মমি বিশেষজ্ঞরা দেহটাকে মোমে চোবানো ব্যান্ডেজে মুড়ে ফেলত । এইভাবে মমি তৈরি হয়ে গেলে পবিত্র কফিনের মধ্যে রেখে দিত । যাকে বলা হত ম্যাক্রোফ্যাগাস ।

পিরামিড

0 comments
পিরামিড, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। প্রাচীন মিশর শাসন করতেন ফারাও রাজারা। তাদের কবরের উপর নির্মিত সমাধি মন্দিরগুলোই পিরামিড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মিসরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষনীয় হচ্ছে গিজা'র পিরামিড যা খুফু'র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল... ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল ১ লাখ। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে এমনভাবে পিরামিড তৈরি করা হত যে, একটি পাথর থেকে আরেকটি পাথরের মাঝের অংশে একচুলও ফাঁক থাকত না।