Tuesday, June 19, 2012

পাঠ - ১

0 comments

প্রশ্ন:সিলেটে প্রচুর চা জন্মাবার কারণ কী?


উত্তর: পাহাড় ও প্রচুর বৃষ্টি


প্রশ্ন:বাংলাদেশে প্রথম রাবার চাষ আরম্ভ হয় কবে?


উত্তর: ১৯৫৫ সালে


প্রশ্ন:জুলি ও কুরি বিশ্ববিখ্যাত কী? উত্তর: বৈজ্ঞানিক


প্রশ্ন:ইসলামের প্রথম খলিফার নাম কী? উত্তর: হযরত আবু বকর (রাঃ)


প্রশ্ন:কোথায় দিন রাত্রি সর্বদা সমান ? উত্তর: নিরক্ষরেখায়


প্রশ্ন:বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সসাইডের পরিমান কত?


উত্তর: ০.০৩%


প্রশ্ন:রুপাইয়া কোন দেশের মুদ্রার নাম?


উত্তর: ইন্দোনেশিয়া


প্রশ্ন:কান্তজীর মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত?


উত্তর: দিনাজপুর


প্রশ্ন:স্ট্যাচু অব লিবার্টি কোথায় অবস্থিত?


উত্তর: নিউইর্য়কে


প্রশ্ন:সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে শিক্ষিতের হার সর্বাধিক কোন দেশে?


উত্তর: শ্রীলংকায়


প্রশ্ন:ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্য কত?


উত্তর: ২২ গজ


প্রশ্ন:মনপুরা-৭০ কী?


উত্তর: একটি চিত্রশিল্প


প্রশ্ন:ইরাটম কী?


উত্তর: উন্নত জাতের ধান


প্রশ্ন:স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট কে পেশ করেন?


উত্তর: তাজ উদ্দিন আহমেদ


প্রশ্ন:বাংলাদেশ WTO- এর সদস্যপদ লাভ করে কত সালে? উত্তর: ১৯৯৫ সালে


প্রশ্ন:ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা কয়টি? উত্তর: ৩২টি


প্রশ্ন:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রানালয় গঠিত হয় কত সালে?


উত্তর: ২০০১ সালে


প্রশ্ন:বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটলি টেলিফোন ব্যবস্থা কবে চালু হয়? উত্তর: ৪, জানুয়ারি ১৯৯০


প্রশ্ন:বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপের নাম কী?


উত্তর: মহেশখালি


প্রশ্ন:গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল কী?


উত্তর: মিয়ানমার-লাওস-থাইল্যান্ডের মধ্যকার মাদকদব্য উত্পাদনকারী অঞ্চল


প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগর ও মান্নার উপসাগরকে সংযুক্ত করেছে কোন প্রনালী?


উত্তর: পক প্রনালী


প্রশ্ন:টিয়ার্স অব ফায়ার্স কী?


উত্তর: মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক তথ্য চিত্র


প্রশ্ন:রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি আছে সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে?


উত্তর: ৮ নং


প্রশ্ন: দেশে বর্তমানে চা বাগান আছে কয়টি?


উত্তর: ১৬৩টি


২৫. বাংলাদেশের একমাত্র মাত্স্য মিউজিয়াম কোথায় অবস্থিত?


উত্তর: বাকৃবি (ময়মনসিংহ)


► বৃহত্তম সৌরশক্তিচালিত নৌকার নাম? এম টুরানোর প্লানেট সোলার
► পাকিস্তান প্রথম বারের মতো কোন কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপন করে? পাকসটি-১
► বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও গেমস মেলা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? কোলন, জার্মানি
► দ্যা গুড মুসলিম উপন্যাসের লেখক কে? তাহমিমা আনাম
► দ্য লাকুনা উপন্যাসের লেখক কে? বারবারা কিংসলভার , যুক্তরাস্ট্র
... ► বিশ্ব বানিজ্য রিপোর্ট প্রকাশ করে কোন সংস্থা? বিশ্ব বানিজ্য সংস্থ্যা
► বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস? ৩০ জুলাই
► বিশ্বের বনভুমির পরিমান সবচেয়ে বেশি? রাশিয়া
► আদিবাসী সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে? ২০১৪ সালে


► বিশ্বের একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘরটি অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়।
► বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কম্পিউটারের নাম 'IBM 1620'.
► বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে।
► ফটোকপি মেশিন কাজ করে পোলারয়েড ফটোগ্রাফী পদ্ধতিতে।
► মানবদেহে শতকরা ৪% খনিজ লবন থাকে।
► আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম হাইগ্রোমিটার।
► সমুদ্রে তেল অপসারণের কাজে ব্যবহৃত হয় সুপার বাগ।
► OMR এর পূর্ণরুপ Optical Mark Reader.
► আমলকিতে থাকে অক্সালিক এসিড।
► আঙ্গুরে থাকে টারটারিক এসিড।
► ২৬ জানুয়ারী ২০১২ কোন স্থাপনাটির ১২৫তম বর্ষপূর্তি হয়? - আইফেল টাওয়ার।
► ট্রাফালগার স্কয়ার কোথায় অবস্থিত? - লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
► ৩০ মার্চ ২০১২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন অঙ্গরাজ্যের সিনেটে ২৬ মার্চকে "বাংলাদেশ ডে" হিসেবে পালনের জন্য বিল পাশ হয়? - নিউইয়র্ক।

দই

0 comments
দধি বা দই হলো এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। মানুষ ৪৫০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে এবং তা খেয়ে আসছে। সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম রয়েছে। ডেজার্ট কিংবা নরমাল খাবার হিসেবেও দইয়ের তুলনা নেই। চলুন জেনে নিই দইয়ের গুণাগুণ।
Yoghurt


++ দইয়ের ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাক্টেরিয়া কোলনের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে উদ্দীপিত করে ফলে পেট পরিষ্কার থাকে।

++ দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া শরীরে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গ্রহণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি১২ রক্তকোষের গঠনে সাহায্য করে। দই ‘এ’ ভিটামিন তৈরিতে সাহায্য করে।

++ দইয়ের উপাদান ভালো ব্যাক্টেরিয়াকে উদ্দীপিত করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ডায়েটে দই রাখুন।

++ দইয়ে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন রয়েছে। তাই দইতে পাওয়া যায় অত্যাবশ্যক অ্যামিনো এসিড। দুধের প্রোটিন থেকে দইয়ের প্রোটিন সহজে হজম হয়। খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর দুধের মাত্র ৩২% যেখানে হজম হয়, সেখানে দইয়ের ৯০% হজম হয়।

++ রক্তে কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।

++ ডায়রিয়া ও কনস্টিপেশনের সমস্যা কমায়।

++ ঘুমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

++ প্রতিদিন কিছুটা দই খেলে জন্ডিস, হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করা যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম দইয়ে :ক্যালসিয়াম-১৫০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ-১০২ আইইউ, প্রোটিন-৩ গ্রাম, ফ্যাট-৪ গ্রাম, ময়েশ্চার-৯০ গ্রাম, ক্যালোরি ভ্যালু-৬০ কিলো ক্যালোরি।

মাদাগাস্কার, আফ্রিকা

0 comments
রহস্য কি কখনো সৌন্দর্য হতে পারে? সেই তর্কের ফলাফল যাই হোক না কেন, বিষয়টি যখন মাদাগাস্কার, তখন একে অপরূপ সৌন্দর্যের রহস্য না মেনে উপায় নেই। এই দ্বীপটি কেবল দ্বীপই নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র। আগে মাদাগাস্কারের নাম ছিল মালাগাছি। কিন্তু আগের সেই নাম অনেক আগেই বাতিল হয়ে গেছে। এখন এর পুরো নাম 'দ্য রিপাবলিক অব মাদাগাস্কার'। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ দেশটি ভারত মহাসাগরের পাশে ও আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত মাদাগাস্কারের আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। আর এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র। এর চেয়ে বড় দ্বীপরাষ্ট্র তিনটি হলো_ গ্রিনল্যান্ড, নিউ গায়ানা আর বোর্নিও।

মাদাগাস্কার বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হচ্ছে এর অসাধারণ আর অদ্ভুতুড়ে জীববৈচিত্র্যের কারণে। অসংখ্য প্রাণী আর উদ্ভিদে ভরপুর এ দ্বীপটির জীববৈচিত্র্যের কথা শুনলে অবাক হতে হয়। আরও মজার ব্যাপার হলো_ মাদাগাস্কারের জীবজন্তুর ৮০ ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। অর্থাৎ এসব জীব দেখতে হলে মাদাগাস্কারে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর এর কারণ হচ্ছে দেশটির ভৌগোলিক বৈচিত্র্য। দেশটির পূর্ব এবং মধ্য-দক্ষিণে আছে রেইন ফরেস্ট। আবার পশ্চিমে আছে ড্রাই ফরেস্ট। আবার একই দ্বীপে দুই বনের পাশে দক্ষিণ দিকেই আছে মরুভূমি। এমন দ্বীপ পৃথিবীতে বিরল। আর সে জন্যই এখানকার জীববৈচিত্র্যও বিরল।
মাদাগাস্কারে প্রায় ৬০০ প্রজাতির জীব আছে। জীব বলতে আবার শুধু পশুপাখি ও পোকামাকড় আর মাছ নয়। মাদাগাস্কারে অদ্ভুতুড়ে গাছের সংখ্যাও কম নয়। এই দ্বীপে ৬০০ প্রজাতির জীবের মধ্যে নানারকম গাছপালা ৩৮৫ প্রজাতির, কীটপতঙ্গ আছে ৪২ প্রজাতির, মাছ আছে ১৭ প্রজাতির, উভচর প্রাণী আছে ৬৯ প্রজাতির, সরীসৃপ আছে ৬১ প্রজাতির আর স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে ৪১ প্রজাতির।

বিজ্ঞানীদের হিসাবমতে, মাদাগাস্কারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লাখ প্রাণী এবং গাছ আছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় লাখই পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫ প্রজাতির লেমুর, ৩৬ প্রজাতির পাখি এবং আরও অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত সব প্রাণী। আবার মাদাগাস্কারের অসংখ্য ব্যাঙের শতকরা ৯৫ ভাগই শুধু মাদাগাস্কারেই দেখা যায়। তবে অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া না গেলেও এসব প্রাণীর কিছু কিছু জাতভাই অবশ্য দক্ষিণ আমেরিকা আর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।
মাদাগাস্কারে প্রায় ৩০০ প্রজাতির সরীসৃপের আবাসস্থল। এখানে প্রায় সব ধরনেরই সরীসৃপই আছে। কেননা, পৃথিবীর প্রায় ৯০ ভাগ সরীসৃপই শুধু মাদাগাস্কারে থাকে। মাদাগাস্কারকে রীতিমতো সরীসৃপদের স্বর্গ বলা যায়। এখানকার সরীসৃপদের অন্যতম হচ্ছে গিরগিটি, সাপ, কুমির ইত্যাদি। তবে দুর্লভ হলেও এদের সবগুলোই যে পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না এমন নয়। যেমন অজগর সাপ মাদাগাস্কার ছাড়াও আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি বাংলাদেশেও দেখা যায়। অজগর ছাড়াও আছে 'ইগুনাইড গিরগিটি' আর 'বোয়া' (অজগরের মতোই এক ধরনের বিশালাকৃতির সাপ)। এদের আবার মাদাগাস্কার ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকায়, বিশেষ করে মহাবন আমাজনে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

আরেকটি দীর্ঘায়ু প্রাণীর নাম কচ্ছপ। শক্ত খোলসের ভেতরে বসবাসকারী এ প্রাণীটি কিন্তু সত্যিই বেশ অদ্ভুত আর মজার। মাদাগাস্কারে এ কচ্ছপ আছে প্রায় ৪ প্রজাতির। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত আর বড় আকারের কচ্ছপটির নাম হচ্ছে 'প্লোশেয়ার কচ্ছপ'। এরা কিন্তু দুর্লভ প্রজাতির। আর আশঙ্কার কথা হচ্ছে সেখানকার কচ্ছপের সব প্রজাতিই বিলুপ্তপ্রায়।


মাদাগাস্কারে সাপ আছে মোট ৮০ প্রজাতির। এদের কোনোটিই বিষধর তো নয়ই, ভয়ঙ্করও নয়। আসলে যে প্রজাতির সাপগুলো বিষাক্ত হয়, এ যেমন ধর গোখরা, মাম্বা, ভাইপার, র্যাটল স্নেক_ এসব সাপ মাদাগাস্কারে নেই। বোয়া আর ক্লুব্রিডস সাপই এখানে বেশি দেখা যায়। একমাত্র বিষাক্ত সাপটির নাম হচ্ছে 'রেয়ার-ফেংড'। যদিও এই সাপ কামড় দিলে মানুষ মারা যায় না, বড়জোর শরীরের কিছু অংশ একটু অবশ হয়ে যায়। সে আর এমন কী। আমাদের গোখরা এক কামড় দিলেই তো নির্ঘাত মরণ। তবে সমুদ্রে দু'ধরনের খুব বিষাক্ত সাপ আছে। এদের একটির নাম হচ্ছে 'হুক-নোজড সি স্নেক' আর অন্যটি হচ্ছে 'ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক'।

পৃথিবীর সব দেশেই পাখি কমবেশি পাওয়া যায়। তবে মাদাগাস্কারে এ পাখি আছে প্রায় ২৫৮ প্রজাতির। এর মধ্যে আবার ১১৫ প্রজাতি হচ্ছে এন্ডেমিক_ অর্থাৎ পৃথিবীতে এদের একমাত্র বাসা মাদাগাস্কার। এক সময় এই দ্বীপে বিশালাকৃতির এক প্রজাতির পাখি দেখা যেত। একেকটা পাখি ওজনে ছিল প্রায় ৫০০ কেজি আর উচ্চতায় হতো প্রায় ১০ ফুট। 'এপিওরনিস' নামের এ পাখিকে তাই ডাকা হতো 'এলিফ্যান্ট বার্ড' নামেই। তবে গত কয়েকশ' বছর ধরে সব লোভী শিকারি এ পাখিটিকে এতো বেশি শিকার করেছে যে, পৃথিবী থেকে একদম বিলুপ্তই হয়ে গেছে এ দানব পাখিটি। তবে মাদাগাস্কারের বিভিন্ন স্থানে এখনো মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় এ পাখির ডিম।

অসংখ্য বিচিত্র ধরনের কীটপতঙ্গের আবাসস্থল এ মাদাগাস্কার দ্বীপে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞান একাডেমীর এক হিসাব অনুযায়ী, মাদাগাস্কারে পাওয়া মাকড়সার প্রায় ৮০% পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। মোট ৪১৮ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে ৩৭৯ প্রজাতিই এন্ডেমিক। মাকড়সাই আছে প্রায় ১০০০ প্রজাতির।

মাদাগাস্কারের সমুদ্রেও সুন্দর সুন্দর প্রচুর মাছ আছে। তবে ওখানকার অনেক মাছই আবার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাকি মাছগুলোও খুব একটা শান্তিতে নেই। ওদের বেশির ভাগই বিলুপ্ত হওয়ার পথে। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার। আর তাই মাদাগাস্কারের স্নেকহেডস, স্কুইট ফিশের মতো অদ্ভুত অদ্ভুত আর সুন্দর সুন্দর সুস্বাদু মাছের প্রায় সবই এখন বিলুপ্তির পথে।
মাদাগাস্কারে ব্যাঙ আছে প্রায় ৩০০ প্রজাতির। এর চেয়েও মজার ব্যাপার হচ্ছে_ এসব প্রজাতির মধ্যে দু'চারটি ছাড়া আর কোনোটাই অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না।

খানিকটা কুকুর এবং খানিকটা কাঠবিড়ালের মতো দেখতে অবাক প্রাণী লেমুর মাদাগাস্কারের আরেক আকর্ষণ। এ ছাড়া মাদাগাস্কারে প্রচুর প্রাইমেট প্রাণী (দুপায়ে ভর করে হাঁটা) পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় ২১ শতাংশ প্রাইমেটই এই মাদাগাস্কার দ্বীপে বাস করে। তবে এখানকার প্রাইমেটদের মধ্যে বানর, গরিলা বা শিম্পাঞ্জি খুব একটা নেই। সেখানকার বেশির ভাগ প্রাইমেটই হচ্ছে লেমুর। মাদাগাস্কারে এখনো প্রায় ১৫ প্রজাতির লেমুর পাওয়া যায়।

--জুয়েল সরকার

মার্ক অ্যান্টনি

0 comments
মার্ক অ্যান্টনি ছিলেন রোমান যুদ্ধবিশারদ এবং রাজনীতিবিদ। জুলিয়াস সিজারের সমর্থন পেয়ে তিনি খ্যাতিমান ও ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। তিনি সিজারকে সহায়তা করেন খ্রিস্টপূর্ব '৪৮ সালে ফারসেলাস যুদ্ধক্ষেত্রে রাজনৈতিক শত্রু পক্ষকে পরাজিত করার মাধ্যমে। সিজার খুন হওয়ার চার বছর পর অ্যান্টনিয়াস প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং অভিযুক্ত প্রধান গুপ্ত ঘাতক ব্রুটাস ও ক্যাসিয়াসকে ফিলিপিতে পরাস্ত করেন। রোমান সাম্রাজ্যে মার্ক অ্যান্টনি সে সময় খুবই শক্ত অবস্থানে ছিলেন। তিনি সিজার পোষ্যপুত্র অক্টাভিয়ান এবং জেনারেল ইমিলিয়াস লেপিডাসের সঙ্গে রোমান সাম্রাজ্যের শাসনভার ভাগ করে নিলেন। তিনি অক্টাভিয়ানের বোনকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে মিসরের রানী ক্লিওপেট্রার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক অ্যান্টনির জীবনে সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্লিওপেট্রার জন্য অ্যান্টনিয়াস তার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে চলে যান। বোনকে এমনি অপমান করার জন্য অক্টাভিয়ান প্রচণ্ড রাগান্বিত ও বেদনার্থ হন।

সমুদ্রপথে অ্যান্টনিয়াস ক্লিওপেট্রার কাছে যাচ্ছিলেন তা জানতে পেরে অক্টাভিয়ান তাকে অনুসরণ করে পূর্বদিকে অগ্রসর হতে থাকেন এবং হাতের নাগালে পেয়েও যান। খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালে অ্যান্টনিয়াস এবং ক্লিওপেট্রার সম্মিলিত নৌবাহিনীকে অ্যাকটিয়ামে সমুদ্রযুদ্ধে ধ্বংস করে দেন। মার্ক অ্যান্টনি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে লজ্জায় আত্দহত্যা করেন। * জেরিন আকতার

ইদ্রাকপুর দুর্গ, মুন্সীগঞ্জ

0 comments
একের পর এক জলদস্যুর আক্রমণে আতঙ্কিত ছিলেন রাজধানী ঢাকার সুবাদাররা। আরাকান, পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুরা সমুদ্র অঞ্চল থেকে ছিপ নৌকা নিয়ে মেঘনার বুক চিরে এগিয়ে আসত ধলেশ্বরীর দিকে। ধলেশ্বরী মোহনায় এসে ঢুকে পড়ত শীতলক্ষ্যায়। সুলতানী আমলে জলদস্যুরা লুটতরাজ করত সোনারগাঁওয়ে। ঢাকায় মোগল রাজধানী স্থাপনের পর সোনারগাঁওয়ের প্রতি আকর্ষণ কমে যায় তাদের। ঢাকার দিকে দৃষ্টি ফেরায় তারা। নদীবেষ্টিত হওয়ায় ঢাকায় প্রবেশের পথগুলো নির্ধারণ করে নেয় খুব সহজে। শীতলক্ষ্যা দিয়ে উত্তরে অগ্রসর হয়ে বালু নদীর শাখা দিয়ে বুড়িগঙ্গায় প্রবেশ করে ঢাকায় আক্রমণ ও লুটতরাজ শুরু করে তারা। এই আক্রমণ ও লুটতরাজ ঠেকাতে সুবাদার মীর জুমলা একটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সিদ্ধান্ত হয় ঢাকাকে দলদস্যুদের আক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে তিন ধাপে প্রতিরক্ষা দুর্গ তৈরি করা হবে। নদীর তীরে গড়ে তোলা এ দুর্গ জলদুর্গ নামে পরিচিত হবে। সিদ্ধান্ত হয় প্রথম দুর্গটি নির্মিত হবে বর্তমান মুন্সীগঞ্জ শহরের কাছে ইছামতি নদীর তীরে ইদ্রাকপুর অঞ্চলে। ওই সময় ধলেশ্বরী হয়ে ইছামতি বয়ে যেত ইদ্রাকপুরের পাশ দিয়ে। দুর্গের পূর্ব দেয়ালের পাশে উঁচু স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। তার ওপর ধলেশ্বরীর দিকে মুখ করে বসানো হবে কামান। চেষ্টা করা হবে শীতলক্ষ্যায় প্রবেশের আগেই জলদস্যুদের নৌকা যেন কামানের গোলার ভয়ে ফিরে যায়। কিন্তু একস্তর নিরাপত্তায় ঠেকানো যাচ্ছিল না জলদস্যুদের আক্রমণ। এবার দ্বিতীয় নিরাপত্তা দুর্গ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয় মোহনা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে শীতলক্ষ্যার পূর্ব তীরে সোনাকান্দায়। এখানে কামান বসানোর স্তম্ভ তৈরি করা হয় পশ্চিম পাশ্বর্ের দেয়ালে। জলদস্যুদের নৌকা শীতলক্ষ্যার সীমানায় প্রবেশ করলেই আঘাত হানা হতো। চূড়ান্ত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তৃতীয় নিরাপত্তা দুর্গ তৈরি করা হয় আরও ছয় কিলোমিটার উত্তরে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে, অর্থাৎ বর্তমান নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জে। এভাবেই তিনটি দুর্গ তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন সুবাদার মীর জুমলা। মুন্সীগঞ্জ শহরের কাছে এখনো দাঁড়িয়ে আছে মোগলদের সেই প্রাচীন স্থাপনা ইদ্রাকপুর দুর্গ। মীর জুমলা ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে দুর্গটি নির্মাণ করেন। দুর্গের বর্তমান অবস্থান দেওভোগ গ্রামের পূর্ব প্রান্তে ও অফিসারপাড়ার দক্ষিণে মধ্য কোটগাঁও এলাকায়। কালের বিবর্তনে এখন আর মোগল সৈন্যদের কোলাহল দুর্গে ধ্বনিত হয় না। মোগল সৈন্যদের যুদ্ধের সাংকেতিক তুর্যধ্বনিও এখন আর দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে না। নেই ইছামিত নদীর সেই অবারিত জলধারাও। বিবর্ণ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দুর্গটি। দেখার যেন কেউ নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় বর্তমানে দুর্গটি জরাজীর্ণ ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রবেশ পথে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একটি নোটিশ বোর্ড লাগিয়ে তাদের দায় শেষ করেছে।

অতি পুরনো টালি দিয়ে ছাউনির এ প্রত্নতত্ত্বের সব কক্ষের ছাদ বিনষ্ট হয়ে গেছে। ঝড়-বৃষ্টিতে খসে পড়ছে এর গায়ে লাগানো কাঠ, টালিসহ নানা উপকরণ। প্রাচীন বাংলার অন্যতম এ নিদর্শনটি এখন শুধু ধ্বংসের প্রহর গুনছে। এভাবে থাকলে হয়তো এর শেষ চিহ্নটুকুও আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাবে কালের গর্ভে। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার প্রশাসকরা রাজকীয়ভাবেই ব্যবহার করেছেন এ কেল্লাটি। কিন্তু এখন আর এর দিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং এ যেন এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়তো কারও টার্গেট হয়ে আছে কখন এটিকে গ্রাস করে নেওয়া যায় নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে। এ কেল্লাটির স্মৃতিকে ধরে রাখতে এখনই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। অন্যথায় সবার অগোচরে হারিয়ে যাবে কালের সাক্ষী এ কেল্লাটি।

* লাবলু মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ

নাজিমগড় রিসোর্ট, সিলেট

0 comments
সীমান্তের ওপারেই ঘন সবুজ খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে আছে সবুজের গালিচা। ভেসে বেড়াচ্ছে শিমুল তুলার মতো রাশি রাশি মেঘমালা। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে ঝরনা। জলরাশির উপর সূর্যের আলো চিকচিক করছে। এই বর্ষায় এমন দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারোরই। কিন্তু প্রকৃতির এ রূপ দেখতে হলে তো থাকতে হবে! সে ব্যবস্থাও আছে। সীমান্তের ওপারে ছোট ছোট টিলার ওপর গড়ে উঠেছে অপূর্ব সুন্দর এক রিসোর্ট। নাম নাজিমগড়। নাজিমগড় রিসোর্টে বসেই দেখতে পারেন সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে ঠেস দিয়ে বসা মেঘ কিংবা ঝরনার জলরাশি। এ বর্ষায় পর্যটকদের সিলেটে স্বাগত জানাচ্ছে নাজিমগড় রিসোর্ট।

কেবল বর্ষা নয়, শীতে আরেক অপার্থিব সৌন্দর্যে ফুটে ওঠে নাজিমগড়। নাজিমগড় রিসোর্টের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীটির জল তখন ধারণ করে পান্না সবুজ রং। আকাশ নীল। ওপারে পাহাড়। এপারে চা বাগান। সে আরেক নয়নাভিরাম দৃশ্য। ফলে শীত কিংবা বর্ষা- সব সময়ই নাজিমগড় হয়ে উঠতে পারে বেড়ানোর উত্তম স্থান। পাহাড়, মেঘ, ঝরনা, নদী, চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, পানপুঞ্জি- এক জায়গা থেকে সবকিছু দেখার সুযোগ আর কোথায় পাবেন?

সিলেট-জাফলং সড়কের পাশে খাদিমনগরে নাজিমগড় রিসোর্টের অবস্থান। নগরী থেকে গাড়িতে ১৫ মিনিটের রাস্তা। অথচ নাগরিক সব কোলাহল থেকেই মুক্ত সবুজঘেরা এ রিসোর্টটি। অপূর্ব নির্মাণশৈলী, চারপাশের প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের কারণে অন্যতম সেরা রিসোর্টে পরিণত হয়েছে নাজিমগড়। প্রায় ছয় একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা এই রিসোর্টে রয়েছে দুই শতাধিক লোকের খাওয়া-দাওয়াসহ রাত যাপনের সুবিধা। রিসোর্টটি সব বয়সীদের জন্যই উপযোগী। নাজিমগড়ে রয়েছে মোট ১৫টি কটেজ। রয়েছে বিশাল বাগান, সুইমিং পুল, পিকনিক ও ক্যাম্পিং স্পট, নদীতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিজস্ব স্পিডবোট। স্পিডবোটে চড়ে সারি নদী হয়ে লাল খাল ভ্রমণ_ যে কোনো পর্যটকের জন্যই লোভনীয় অফার। লাল খালে রয়েছে নাজিমগড়ের আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্ট, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও ওপারের মেঘালয় পাহাড় দেখার জন্য পাহাড়ের উপরে ওয়াচ টাওয়ার। রয়েছে বারবিকিউ পার্টি করার জন্য টেন্ট সাইট আর সারি নদীতে কায়াকিংয়ের (বিশেষ ধরনের ছোট নৌকা) ব্যবস্থা। নুড়ি পাথরের রাজ্য জাফলংয়েও নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে নাজিমগড়ের। নদীর ওপারে ঝুলন্ত সেতু, এপারে নাজিমগড়ের রেস্টুরেন্ট। পাশেই খাসিয়া পল্লী, পান বরজ। নদীতে চলছে পাথর উত্তোলন। এ সৌন্দর্য উপভোগ করা থেকে কে বঞ্চিত থাকতে চায়। নাজিমগড়ে রয়েছে তিন ধরনের কটেজ। টেরেস, ভিলা ও বাংলো। রিসোর্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর কটেজ হলো টেরেস। এখানে প্রায় ৩৫টি ডিলাঙ্ রুম রয়েছে। যার প্রতিটিতেই আছে আলাদা বারান্দা। যেখান থেকে দুই চোখ ভরে দেখা যায় সবুজ পাহাড়। নাজিমগড় দেখে মনে হবে এটি যেন শুধু সবুজে ঘেরা নয়, সবুজেই তৈরি। এখানে রয়েছে চার হাজার বর্গফুটের নান্দনিক ডিজাইনের খোলা লবি। ভিলাও দারুণ সুন্দর কটেজ। এর রয়েছে দুটি প্রিমিয়ার সুইট, পাঁচটি ডিলাঙ্ রুম ও একটি এক্সিকিউটিভ সুইট। রয়েছে আলাদা ব্যালকনি। আর বাংলো দেখতে কলোনির মতো। এটি একটি আলাদা বিল্ডিং। এর আছে ছয়টি প্রিমিয়ার রুম। নাজিমগড়ের তিন ধরনের কটেজেই রয়েছে অসাধারণ নির্মাণশৈলী, নান্দনিক ও আরামদায়ক ফার্নিচার, নিজস্ব ড্রয়িং কাম ডাইনিং রুম রয়েছে, আছে টিভি লজ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, গরম ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা, রঙিন টেলিভিশন ও ডিশ সংযোগ, ফ্রিজ, টেলিফোন, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ইন্টারনেট সুবিধা।

--শাহ দিদার আলম নবেল

Monday, June 18, 2012

শবে মিরাজ

0 comments
শবে মিরাজ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনের অন্যতম তাত্পর্যপূর্ণ দিন। এই দিনেই বিশ্বনবী মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। আল্লাহর সঙ্গে দেখা করে মহানবী (সা.) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ বিভিন্ন ইসলামি বিধি-বিধান পৃথিবীতে নিয়ে আসেন।

‘মিরাজ’ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতেই আল্লাহ-প্রদত্ত বাহনে চড়ে ঊর্ধ্বে গমন করে আল্লাহ-রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। এই সফরে সপ্তম আসমান পর্যন্ত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)। সপ্তম আসমানের পর রাসুল (সা.) ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-কে রেখে আল্লাহ প্রদত্ত আরও একটি বাহনে চড়ে আল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে যান। আল্লাহর সঙ্গে মহানবীর অনেক কথা-বার্তা হয়।
মিরাজে গমনের পথে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে অনেক পূর্ববর্তী নবী-রাসুলের সাক্ষাত্ হয়েছিল। বায়তুল মোকাদ্দেসে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেছিলেন অন্যসব নবী-রাসুল।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজ থেকে ফিরে হজরত আবু বকর (রা.)-কে এই ঘটনা সম্পর্কে বলেছিলেন।

Saturday, June 16, 2012

সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, মৌলভীবাজার

0 comments
বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে বন-জঙ্গল ছেড়ে পশু-পাখী লোকালয়ে আসছে। সেই সব পশু-পাখীদের সেবা-শুরুষা ও সংরক্ষন করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭২ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সৌখিন প্রানী সংরক্ষক সিতেশ রঞ্জনদেব বন্যপ্রানী সেবাশ্রম গড়ে তুলেন। স্থানীয় ভাবে এটি মিনি চিড়িয়াখানা হিসেবে পরিচিত। এই সেবাশ্রমে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণীসহ বর্তমানে দেড়’শ প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এখানে বেড়াতে আসেন।

বিলুপ্ত প্রাণীদের মধ্যে ১টি সাদা বাঘ, ২টি সোনালী বাঘ, পাহাড়ী বক,নিশি বক, সোনালী কচ্ছপসহ অসংখ্যক বিরল প্রজাতির প্রানী রয়েছে এখানে। এর মধ্যে সাদা বাঘটি বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। এদের পরিচর্যা করার জন্য রয়েছে দুইজন কর্মচারী। তারা সার্বক্ষনিক সংরক্ষিত প্রানীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতিদিন এতসব প্রানীদের খাবারের জন্য সিতেশ বাবুর ব্যায় হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যের কারনে সেবাশ্রমটি পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। অথচ বছর দুয়েক আগে একটি নতুন প্রাণী এলে যতটা খুশী হতেন এখন তার আগ্রহে অনেকটা ভাটা পড়েছে।

Sunday, June 10, 2012

হালদা নদী, চট্টগ্রাম

40 comments
নদীমাতৃক বাংলাদেশের রয়েছে ছোট বড় মিলে প্রায় ৭৫০টি নদী। তম্মধ্যে ৫৭ টি নদী আন্তর্জাতিক, ৫৪টি ভারতের সাথে এবং ৩টি মায়ানমারের সাথে। এসব নদনদীতে রয়েছে বহু প্রজাতির মূল্যবান মৎস্যসম্পদ। মিঠাপানিতে সর্বাধিক চাষকৃত, বাণিজ্যিক গুরুত্ববহুল, অধিক চাহিদাপূর্ণ, সুস্বাদু মাছ হল নদীর ইনহেবিট্যান্ট মেজরকার্প বা রুই-কাতলা। বাংলাদেশের জলসীমায় ৪টি মেজর কার্পের (রুই-কাতলা-মৃগেল-কালিবাউশ) স্টক থাকলেও ৩টি স্টক (ব্রহ্মপুত্র-যমুনা স্টক, গঙ্গা-পদ্মা স্টক, বারাক-মেঘনা স্টক) ডিম ছাড়ে উজান এলাকায় ইন্ডিয়াতে। বাংলাদেশ সীমানার বেশ কিছু নদীতে রুই-কাতলাসহ অন্যান্য মাছের মিশ্র পোনা আহরণ করা হয়। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-হালদা স্টক ব্রীড করে বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে চট্টগ্রামের টাইডাল নদী হালদাতে। হালদা থেকে রুই-কাতলার শুধু ডিম আহরণ করা হয়। যা যুগ যুগ ধরে স্থানীয় জ্ঞানে নদীর তীরে মাটির কুয়ায় ফুটায়ে রেণু করা হয়।
Halda river
টাইডাল নদী থেকে ডিম আহরণের নজীর বিশ্বের আর কোথাও নেই। এ কারনেই হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষনা করা সময়ের দাবী। স্পনিং গ্রাউন্ড তথা ডিম পাড়ার স্থান মুলত: হালদা নদীর বাঁকগুলি। ১৯২৮ সাল থেকে অদ্যবধি হালদা নদীর ৭টি বাঁক কেটে ফেলা হয়েছে। এতে নদীর দৈর্ঘ্য কমেছে প্রায় ২৫ কি.মি.। তারপরও মেজর কার্প বর্ষা মওসুমে (এপ্রিল-জুন) হালদায় ডিম ছাড়ে। ডিমের পরিমান মারাত্বক ভাবে কমে গিয়েছে। ১৯৪৫ সালে যেখানে উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২৫০০ কেজি রেণু, সেখানে ২০০৭ সালে হয়েছে ৩৫০ কেজি মাত্র। তারপরেও— অযত্নে অবহেলায় বাংলাদেশের নিজস্ব মেজর কার্প তথা রুই-কাতলা এবং তার জিন ব্যাংক হালদা নদী এখনও বেঁচে আছে।
সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন এবং বাস্তবায়ন করলে এখনও সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এদেশের উর্বর মাটি, পানি ও অতি বর্ধনশীল দেশীয় মাছ, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল মানুষের অপুষ্টি দূর করে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। বিগত তিন দশক ধরে হালদা নদী নিয়ে আমার গবেষণালদ্ধ তথ্যের আলোকে অত্র প্রবন্ধে হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ, উন্নয়ন, প্রজনন সমস্যার উৎস ও তার প্রতিকারের দিক নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

হালদা নদীর উৎপত্তি ও পানির প্রদান উৎসসমূহ:

বাংলাদেশ সীমানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জিলার সর্বউত্তরের সীমানা বদনাতলীর পাহাড় থেকে হালদার উৎপত্তি। হালদা কর্ণফুলীর একটি উপনদী। খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারীর ছোট বড় প্রায় অর্ধশত পাহাড়ী ঝর্ণা হালদার পানির উৎস। হালদার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০-৮৫ কি.মি.। প্রশস্ততায় উজান (আপ) এবং ভাটিতে (ডাউন) ৪০-৩০০ মিটার। হালদার সাথে সংযুক্ত রয়েছে কর্ণফুলী, শিকলবাহা, চাঁদখালী ও সাঙ্গু নদী।


হালদা নদী কেন গুরুত্বপূর্ণ?

দেশীয় মাছ রুই-কাতলার নিষিক্ত ডিম আহরণ ও সেই ডিম নদীর তীরে স্থানীয় প্রাচীন জ্ঞানে মাটির কুয়ায় ফুটায়ে রেণু করে সেই রেণু পুকুরে চাষের নিমিত্তে সরবরাহের জন্যে হালদা নদী গুরুত্বপূর্ণ । বিশ্বের আর কোন টাইডাল নদী থেকে ডিম আহরণের নজির নেই। পোনা আহরণের নজির আছে। এটা একটা ইউনিক নজির, তাই এটা শুধু বাংলাদেশের নয় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হওয়ার যোগ্যতা রাখে

হালদায় কেন রুই-কাতলা জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে?

খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারীর ছোট বড় প্রায় অর্ধশত পাহাড়িয়া ঝর্ণার পানিতে হালদা হয়েছে এক নির্মল চলমান জলরাশি। নদীর অনেকগুলো বাকেঁ বাকেঁ রয়েছে কুম (গভীর এলাকা) যেখানে পানির প্রবল ঘূর্ণনে কার্পমাছের ডিমারসেল (ডুবন্ত) ডিমকে ভাসাতে ও ঘূর্ণনের মাধ্যমে এরিয়েশনের (অক্সিজেন সরবরাহ) দ্ধারা ফুটাতে সাহায্য করে। রয়েছে প্রত্যহ জোয়ার-ভাটার প্রভাব। গবেষণা রিপোর্ট থেকে জানা যায় বাংলাদেশের অন্যান্য নদ-নদী থেকে হালদার পানির বৈশিষ্ট্য ভিন্নতর। এই বৈশিষ্ট্য ভৌতিক এবং রাসায়নিক উভয় দিক দিয়েই। বিশেষ করে বর্ষাকালে (এপ্রিল-জুন) প্রজনন সময়ে ভৌতিক এবং রাসায়নিক গুনাগুনের মধ্যে রয়েছে টানা ২/৩ দিন প্রবল বর্ষন, বজ্রপাত, আমাবশ্য- পূর্ণিমার প্রভাবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, তুলনামুলক কম তাপমাত্রা , তীব্রস্রোত ,অতি ঘোলাত্ব , কম স্বচ্ছতা , কম কনডাক্টটিভিটি , সহনশীল দ্রবীভুত অক্সিজেন , মডারেট পি.এইচ. , কম হার্ডনেস , ও কম এলক্য।। প্রজননত্তোর নদীর দুইকুলের নীচু এলাকায় তৈরী হয় নার্সারী গ্রাউন্ড, যেখানে রয়েছে পোনার খাবার হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমান ফাইটো ও জুপ্লাংটন, রয়েছে সমৃদ্ধ বেনথোস (তলার খাবার)। হালদার এ অনন্য ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক বৈশিষ্ট্যর জন্য রুই-কাতলা হালদায় ডিম ছাড়ে। তাই হালদার নিজস্ব রুই জাতীয় মাছ ছাড়াও পার্শ¦বর্র্তী অন্যান্য নদী (সাঙ্গু, চাদঁখালী, শিকলবাহা, কর্ণফুলী) থেকেও রুই-কাতলা হালদায় ডিম ছাড়তে আসে।

হালদা নদীর ফিশারী:

হালদা নদীর বিশ্বখ্যাত প্রধান ফিশারী হল মেজর কার্পের স্পন বা ডিম আহরণ ও রেণু উৎপাদন ফিশারী। ডিম ও রেণু উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে গিয়েছে। ২০১২ সালে ৯৯ মেট্রিক টন যা ২৪৭০ কেজি রেণু উৎপাদন হয়েছে তার দাম দাঁড়ায় ৭ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা সঠিক পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় সরকারী তত্ত্ববধান থাকলে হালদার রেণু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারতো

হালদা নদীর ফিডিং উপখালসমূহ:

হলদা নদীর পানির উৎস হল হালদার উপখালসমূহ যা’ মূলত: পাহাড়ী ছড়া। বর্ষা মওসুমে বর্ষনের ফলে হালদার দুইকুল ভেসে যায় আবার শীতের সময় হালদার পানি হালদার তলায় ফিরে আসে। বর্ষার সময় নদীর দুইকুলে পানির সম্প্রসারণ এবং শীতের সময় সংকোচন একে বলা হয় নদীর হার্ট বিট বা হৃদ স্পন্দন। ১৯৭৫-৭৬ এবং ১৯৮২-৮৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সেঁচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন প্রকল্পের অধিনে লোয়ার হালদার ১২টি বড় উপখালে ’ফিশ পাশ’ ছাড়া ১২টি স্লুইজ গেট এবং নদীর কুলে ৪৭ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ করে হালদা নদীর নরম্যাল হার্ট বিট এর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। নদীর ফিডিং খালের সাথে মূল খালের সরাসরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে নদীর গতিবেগ কমে গিয়েছে, মাছের ও চিংড়ির লোকাল মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, যা মাছের সুষ্ট প্রজননে বাধাঁর সৃষ্টি করেছে। এতে করে একদিকে খাল সমূহ ভরাট হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে বদ্ধ পানিতে কচুরিপানা জম্মানোর ফলে খালসমূহের ইকোসিস্টেমও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। যার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদনও কমে গিয়েছে।

হালদা নদীর মৎস্য প্রজাতিসমূহ:

হালদা নদীতে মেজর কাপের চারটি প্রজাতি কাতলা,রুই, মৃগেল ও কালিবাউশ ছাড়াও আরও অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বর্তমানে হালদা নদীতে ১৪টি বর্গের ৮২ প্রজাতির ফিন ফিশ, ৯ প্রজাতির শেল ফিশ এবং ১ প্রজাতির রিভার ডলফিন (শুশুক) পাওয়া যায়। স্পন ফিশারীর পরে বর্তমানে গলদা ও কাচকি হল হালদার মূল ফিশারী। ১৯৭৭ সালে হালদায় (পুকুর, ডোবার মাছ সহ) ১২ টি বর্গের ৩৩ টি গোত্রের ৯৯ প্রজাতির মাছের রেকর্ড দখা যায় ।

হালদা নদীর জলযান:

১৯৮৫-১৯৯০ পর্যন্ত চট্টগ্রামের সাম্পানই ছিল হালদা নদীতে চলাচলের একমাত্র জলযান। ১৯৮৫-৯০ সালের দিকে আস্তে আস্তে সাম্পানগুলোতে ইঞ্জিন লাগানোর ফলে মটর জলযানে পরিণত হয়। বর্তমানে এ রকম বিভিন্ন রুটে ১৩৪টি মটর জলযান হালদায় আছে। বাণিজ্যিকভাবে হালদার বিভিন্ন জায়গায় বালি উত্তোলন করা হয়। যা পরোক্ষভাবে হালদাকে ড্রেজিং এর কাজে সাহায্য করে। বালি উত্তোলনের জন্য রয়েছে কিছু বড় ইঞ্জিন নৌকা। ইঞ্জিনযুক্ত সাম্পান ও বালি উত্তোলনের ইঞ্জিন নৌকার শব্দ দূষনের ফলে ব্রিডিং এর সময় সুষ্ট ব্রিডিং এর ব্যাঘাত ঘটায়।

হালদা নদীতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য:

হালদা নদীর পানিতে ও তলায় রয়েছে মাছ ও মাছের পোনার বিপুল প্রাকৃতিক খাদ্য সম্ভার। প্রচুর সবুজ উদ্ভিদ কণা (ফাইটো প্লাংটন), প্রাণিজ কণা (জু-প্লাংটন) এবং বেনথোস (তলার জীব) রয়েছে হালদায়। হালদাতে রয়েছে ১৯ প্রজাতির ফাইটো প্লাংটন এবং ১৪ প্রজাতির জু-প্লাংটন (চধঃৎধ ধহফ অুধফর ১৯৮৭)। হালদার তলার (বেনথোস) সম্ভারে রয়েছে প্রচুর ক্রাসটেসিয়া (এম্পিপোডস, ডেকাপোডস, মাইসিডিসিয়া, কাকড়ার মেগালোপস, জ্ইুয়া), মাছ ও মাছের লার্ভি (ইল, কুকুর জিহব্বা), চেঁওয়া (মাড গোবি), অন্যান্য মাছের লার্ভি, পলিকিট এবং দ্বিখোলসযুক্ত ঝিনুক (অুধফর ১৯৭৯)।
হালদা নদীতে দূষণ?

হালদার পানি এখনও নির্মল। মেজর কার্পের ডিম পাড়া এবং গঙ্গা শুশুকের ব্যাপক উপস্থিতি তারই প্রমান। কুষি জমিতে প্রয়োগকৃত কীটনাশক ও আপদনাশক ধৌত হয়ে অন্যান্য নদীর মত হালদায়ও পড়ে। তবে নিকটবর্তী এলাকা হাটহাজারীর নন্দীর হাটে একটি পেপার মিল হয়েছে। ইদানিং অনেক কারখানার বর্জ্য হালদায় গিয়ে পড়ে। যেই উপখাল দিয়ে বর্জ্য হালদায় নামে সে খালে ব্যাপক মাছের মড়ক হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ রয়েছে।

হালদা নদীর বর্তমান মূল সমস্যাসমুহ:
নদীতে ভাটার সময় ডিম ফোটানোর কুয়াতে পানির অপ্রাপ্যতা ও ঘোলা এবং আবর্জনাযুক্ত প্রবাহবিহীন পানিতে অক্সিজেনের অভাব, ও ছত্রাক আক্রমনে মাটির কুয়ায় ডিম ও পোনার মৃত্যু হার > ৫০%। মৃত্যু হার কমানোর জন্য উন্নত পদ্ধতিতে ডিম ফোটানো এবং রেণু প্রতিপালনের জন্য সরকারী ব্যবস্থাপনা ও পৃষ্টপোষকতার অভাব।হালদা বাঁচানোর জন্য গঠিত ”হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির” আরও সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা প্রয়োজন।মৎস্য আইনের দূর্বলতা। মৎস্য আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ ও কার্যকরী ফলাফলের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোর অভাব।হালদার রেণু দিয়ে দেশের প্রত্যেক হ্যাচারীতে ব্র“ড তৈরী বাধ্যতামূলক করা, যাতে সারা দেশের হ্যাচারীসমুহ ইনব্রিডিং এর হাত থেকে রক্ষা পায়। এ কাজ সম্পন্ন হলে পুকুরে মাছের উৎপাদন বহুগুন বৃদ্ধিপাবে।

উপসংহার:
উপরোক্ত কাজগুলির সঠিক বাস্তাবায়ন হলে হালদার স্পন ফিশারীসহ হালদার আশেপাশের চট্টগ্রামের সকল নদীতে মাছে টইটুম্বুর হবে, মৎস্য উৎপাদন কয়েকগুন বেড়ে যাবে, যা জাতীয় অর্থনীতিকে মজবুত করতে সহায়তা করবে। দেশের ৭০০ এর অধিক কার্প হ্যাচারী ইনব্রিডিং এর হাত থেকে রক্ষা পাবে। পুকুরে দেশীয় রুই-কাতলার উৎপাদন বাড়বে। মায়ানমার এবং ভারতের ফরমালিনযুক্ত রুই-কাতলার আমদানী বন্ধ হবে। হালদা শুধু বাংলাদেশের নয়, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। এটা সময়ের দাবী । এ দাবী বাস্তবায়ন হউক। হালদা বাচুঁক, বাচুঁক দেশীয় মাছ, পুনরুদ্ধার হউক হালদার হারানো গৌরব, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা ।

Sunday, June 3, 2012

ট্রানজিট অব ভেনাস ওভার দ্য সান

0 comments
এটা একটা গ্রহণ, কিন্তু এই গ্রহনে সূর্য একদম ঢেকে যাবে না বরং তার গায়ে ফুটে উঠবে একটি ভয়ংকর সুন্দর চলমান কালো বিন্দু। এ রকম ঘটনা ঘটে ১০৫ বছর পর পর।
শুক্র গ্রহ তার কক্ষপথে চলার সময় যখন পৃথিবী, শুক্র ও সূর্য একই সরল রেখায় চলে আসে, তখনই চাঁদের কলঙ্কের মতো সূর্যের কলঙ্কের ঘটনা ঘটে। একে শুক্র গ্রহের ট্রানজিট বা অতিক্রমণ বলা হয়ে থাকে। সূর্যের ওপর দিয়ে যখন শুক্র চলে যাবে, তখন সূর্যের উজ্জ্বলতা কিছুটা হলেও কমবে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্য গ্রহরে অস্তিত্ব অনুসন্ধান করেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এই ঘটনায় সমুদ্রে পানির উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধির কথা বিভিন্ন উত্স থেকে বলা হয়।