Thursday, July 19, 2012

মাস্টারদা সূর্যসেন

0 comments
ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর যোদ্ধা হলেন মাস্টারদা সূর্যসেন। এ দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি বিপ্লবীদের সংগঠিত করেছেন, সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ইংরেজদের বিতাড়িত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুট করে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। ঐতিহাসিকরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের এ ঘটনাকে 'ভারতের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে সাহসিকতাপূর্ণ কাজ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অস্ত্র লুট করে মাস্টারদা ও তাঁর সাথীরা জালালাবাদ পাহাড়ে অবস্থান নেন। ২২ এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবীদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন নিহত হয়। যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে ব্রিটিশ বাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যা ছিল দেড় শ বছরের ইতিহাসের মধ্যে ইংরেজদের জন্য খুবই অপমানজনক ঘটনা। সূর্যসেনকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার প্রচুর টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সময় সূর্যসেনকে আত্মগোপনে থাকতে হয়। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পটিয়ায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। নগেনসেন নামের এক বিশ্বাসঘাতক এ খবর ব্রিটিশ পুলিশের কাছে পেঁৗছে দেয়। পুলিশ এখান থেকেই গ্রেপ্তার করে মাস্টারদাকে।
বর্বর অত্যাচার চালিয়ে সূর্যসেনকে ২০ ফেব্রুয়ারি জেলে পাঠায়। প্রহসনের বিচার শেষে মাস্টারদা ও আরেক বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন এবং তাঁর সহযোদ্ধা তারকেশ্বর দস্তিদার দেশের জন্য ফাঁসির রজ্জুতে হাসিমুখে জীবন বিসর্জন দেন।


0 comments:

Post a Comment