Friday, September 7, 2012

মোবাইলের সিমকার্ড

0 comments
সিমকার্ডের ইলাবরেশন হলো সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল (SIM)।শব্দ সংক্ষেপকে যেমন বলে অ্যাব্রিভিয়েশন, ঠিক তেমনি ওই সংক্ষিত অক্ষরগুলোর পুরো লেখাকে বলে ইলাবরেশন। এই যেমন, এখানে SIM অ্যাবরিভিয়েশন আর Subscriber Identification Module  হলো ইলাবরেশন।

প্রথম সিমকার্ড কে বানিয়েছিলো সেটা বলাটা একটু কঠিনই বটে। কারণ, প্রথম সিমকার্ড তৈরি করে একটি জার্মান কোম্পানি। সেই কোম্পানির কে প্রথম সিমকার্ড বানিয়েছিলো, তা তো আর আলাদা করে বলা যায় না, তাই না? জার্মানির সেই কোম্পানিটির নাম জিসেকে অ্যান্ড ডেভ্রিয়েন্ট, সংক্ষেপে জিঅ্যান্ডডি (Giesecke & Devrient)। কোম্পানিটির হেডকোয়ার্টার জার্মানির মিউনিখ শহরে। ১৯৯১ সালে পৃথিবীর প্রথম সিমকার্ডও সেখানেই বানানো হয়।

তবে তাদের বানানো সিমকার্ড প্রথম যে কোম্পানি কেনে, সেটি কোনো জার্মান কোম্পানি নয়। ফিনল্যান্ডের কোম্পানি রেডিওলিনজা ওদের বানানো প্রথম ৩শ’টি সিমকার্ড কিনে নেয়। শুধু তাই নয়, পৃথিবীতে প্রথম এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) সেবাও ওরাই প্রথম চালু করে, ১৯৯৩ সালে। প্রথম রিংটোন কিনে ডাউনলোড করার ব্যবস্থাও করে ওরা। সেটা ১৯৯৮ সালে।
পৃথিবীর প্রথমদিকের সেই সিমকার্ডগুলো কিন্তু দেখতে এখনকার মতো ছিলো না। সে সময়ের একেকটা সিমকার্ড আকৃতিতে ছিলো এখনকার একেকটা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের সমান! সেটাকে বলা হয় ফুল-সাইজ সিমকার্ড। পরে সিমকার্ডের আকৃতি ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে। আমরা যেটা ব্যবহার করি, সেটার নাম মিনি-সিমকার্ড। এর চেয়েও ছোট আকৃতির আরো তিন ধরনের সিমকার্ড আছে- মাইক্রো-সিমকার্ড, ন্যানো-সিমকার্ড আর এমবেডেড-সিমকার্ড। 

0 comments:

Post a Comment