Tuesday, September 25, 2012

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী

0 comments
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বরের পাশেই শিশু একাডেমী অবস্থিত। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে সুলতানুল ইসলামের বানানো একটি ভাস্কর্য রয়েছে যার নাম দুরন্তপনার প্রতীক। ১৯৭৬ সালে যখন শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হলো তখনো কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের জন্য এত কিছু শুরুই হয়নি। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১৩ বছর পর ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ থেকে শিশু অধিকার আইনের ঘোষণা দেওয়া হয়। শিশু একাডেমী স্বায়ত্তশাসিত বলে মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। ১৯৮০-৯৭ সালের মধ্যে দেশের ৪৪টি জেলায় এর অফিস বানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঠিক পরের বছর থেকেই 'শিশু' নামের একটি ছোটদের পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে শিশু একাডেমী; যেখানে ছোটদের উপযোগী লেখা এবং ছবিও ছাপানো হয়ে থাকে। বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলার একেবারে শুরু থেকেই অংশগ্রহণ করে আসছে শিশু একাডেমী। শিশু একাডেমী নানা বিষয়ের প্রশিক্ষণ এবং এর সঙ্গে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা সম্পর্কিত কার্যক্রমও আয়োজন করে থাকে। শিশু একাডেমী শিশুদের নিয়ে অংশ নেয় নানা আন্তর্জাতিক উৎসবেও। বাংলাদেশের শিশুরা শিশু একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সময়ে চীন, জাপান, উত্তর কোরিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্যসহ নানা দেশ ঘুরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করে। শিশু একাডেমীর শিশুদের দল এরই মধ্যে অনেক স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদক, ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে। শিশুদের অংশগ্রহণে শিশু একাডেমী বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসও পালন করে। শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিশু একাডেমী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। ওরা দেশের দরিদ্র পরিবারের ছোট ছোট শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা এবং ছোট শিশুদের নিয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন করছে। প্রতিবছর জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রায় তিন লাখ শিশু অংশগ্রহণ করে।


গ্রন্থনা : সাবরিনা করিম

0 comments:

Post a Comment