Monday, August 19, 2013

বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস

0 comments
১৯ আগষ্ট ‘বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস’। ১৮৩৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১৯ আগস্ট দিনটিকে ‘বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ফটোগ্রাফির অগ্রযাত্রায় যে সকল মানুষ নিরলস কাজ করে গেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই দিনটি পালন করা হয়। বিশ্বে ১৭০ টিরও বেশী দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
মূলত আলোকচিত্র (ফটো বা ফটোগ্রাফ) বলতে কোন আলোকসংবেদী তলের উপর আলো ফেলার মাধ্যমে নির্মীত ছবিকে বোঝায়। আলোকসংবেদী তলটি ফটোগ্রাফিক ফিল্ম হতে পারে, আবার সিসিডি বা সিমস চিপের মত কোন ইলেকট্রনিক ছবি নির্মাণকারীও হতে পারে। সাধারণত ক্যামেরা দিয়ে আলোকচিত্র গ্রহণ করা হয়। ক্যামেরার লেন্স এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আলোকচিত্র গ্রহণ করার শিল্প বা কাজকে আলোকচিত্রগ্রহণ বা ফটোগ্রাফি বলে। একে আলোকচিত্র শিল্প-ও বলা যায়। গত দশ বছরে বাংলাদেশে আলোকচিত্রের ধরণটাই অনেকখানি বদলে গেছে। এখন অনেক শিক্ষিত আলোকচিত্রী এদেশের বিভিন্ন মূলধারার বাংলা এবং ইংরেজি পত্রিকায় কাজ করছে। আলোকচিত্রের গুণগত মানও বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে পত্রিকাগুলোতে বেতনভাতা এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধাও বেড়েছে আলোকচিত্রীদের। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা অংশগ্রহণ করছে এবং বিজয়ী হয়ে ফিরে আসছে। কেউ যখন আলোকচিত্রকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন, তখন তার উচিত তার আচরণ এবং ব্যবহারে আরো বেশি পেশাদার হওয়া। এক্ষেত্রে একজন আলোকচিত্রী আলোকচিত্র ধারণ করে উপার্জন করছেন এমন বিষয়কে কেবলমাত্র পেশাদারিত্ব বলা হচ্ছে তা নয়,বরং তিনি তার কাজটি করতে কি ধরণের দক্ষতা দেখাচ্ছেন সেটাও পেশাদারিত্বের মধ্যেই পড়ে।
সময়ের আবর্তে হারিয়ে যায় অনেককিছু। বাস্তবতার পর্দায় ঢেকে যায় পুরনো স্মৃতি। তারপরও জীবনের স্বর্নালী মুহুর্তকে ধরে রাখতে কার না মন চায়। যখন ক্যামেরা আবিষ্কার হয়নি, এমনি কি কাগজও,তখনও মানুষ মাটি,পাথর বা কাঠে খোদাই করে বিভিন্নভাবে চিত্র অংকন করে প্রত্যাশিত ব্যক্তি বা বস্তু, প্রকৃতরি দৃশ্য স্মৃতি ধরে রাখতো। বিজ্ঞানের অবদানে আর প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় পর্যায়ক্রমে মানুষের হাতে অত্যাধিক ক্যামেরা। সাটার টিপে দিলেই ক্লিক ক্লিক ফ্রেমে বন্দী হয় অসংখ্য ছবি। শখের শিল্পীদের হাতে আলোকচিত্র জগতে এসেছে নান বৈচিত্র। সৃজনশীল মানুষের দূলর্ভ আলোকচিত্র হৃদয় কাড়ে। তাইতো নিজের শিল্পকে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে চান অনেকে। সৃজনশীলতা বিকাশের বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টাকে সংগঠিত করে বিচ্ছিন্ন আলোকচিত্রকরদের এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পেশাদের ও শখের আলোকচিত্রকরদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি।
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: সিনিয়র সাংবাদিক

Friday, August 16, 2013

আন্তর্জাতিক বাঁ হাতি দিবস

0 comments
ছোটবেলা থেকেই আমরা বেশিরভাগই ডান হাতে সব কাজ করে অভ্যস্থ। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন যেন সবাই থমকে যায়, যখন কাউকে বাঁ হাতে কোনো কাজ করতে দেখে, বিশেষ করে লেখালেখি। এরকমও হয় বাঁ হাতে লিখার ব্যপারটাকে অনেকেই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেন না। পরিবারের ছোট শিশুটি যদি বাঁ হাতে লিখে তবে তাকে জোর করে ডান হাতে লিখতে বাধ্য করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে মার-ধরের ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যেহেতু ডান হাতি, তাই জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই বাঁ হাতিদেরকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

এসব সমস্যা ও বাঁ হাতিদের বিশেষত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে ১৯৭৬ সাল থেকে ১৩ আগস্ট উদযাপিত হয়ে আসছে “আন্তর্জাতিক বাঁ হাতি দিবস “ ।

পুরো বিশ্বের যেখানে ৭ থেকে ১০ % মানুষ বাঁ হাতি, সেখানে আজো তারা নানা রকম বৈষম্যের শিকার। অনেক সময় দেখা যায় স্কুলে কিছু সিংগল চেয়ার থাকে যা হয়তো শুধু ডান হাতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তৈরি। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করতে যে বাঁ হাতি একজন শিক্ষার্থীর সমস্যা হতে পারে তা ভাবাও হয় না। এমনকি গাড়ি ড্রাইভ করার সময়-ও অনেক দেশে তাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে বাধ্য করা হয়।

বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিই বাঁ হাতি। আমেরিকার ৬ জন প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাঁ হাতি- জেমস এ গারফিল্ড , হার্বার্ট হুবার, হ্যারি এস ট্রুম্যান ,জেরাল্ড ফোর্ড ,রোনাল্ড রিগ্যান ,জর্জ বুশ সিনিয়র ,বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা।

এইচ জি ওয়েলস, রিচার্ড কণ্ডনের মত অনেক নাম করা সাহিত্যিক, বিশ্ব-মাতানো ব্যান্ড দল বিটলস এর ম্যাক কার্টনি, ফুটবলের বরপুত্র পেলে, অভিনেত্রী এঞ্জেলিনা জোলি বা অভিনেতা আমির খান, ক্রিকেটার এলান বোর্ডার, গ্যারি সোবার্স সহ আরো অনেকেই আছেন যারা বাঁ হাতি।

এতো গেল আমাদের যুগের কথা। ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি চলুন। পরাক্রমশালী দুই সম্রাট আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ও জুলিয়াস সিজার- দু’জনেই ছিলেন বাঁ হাতি। ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়া, সম্রাট ২য় ও ৭ম জর্জ এবং “মোনালিসা “ ছবির জন্য পুরো বিশ্বে পরিচিত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ছিলেন বাঁ হাতি।

এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে ও বাঁ হাতিদের ব্যপারে মানুষের ভুল ধারণা তু্লে করতে ১৯৯০ সালে গঠিত হয়েছে বিশ্বব্যপী বাঁ হাতিদের একটি সমন্বিত ক্লাব। যে কেউ অনলাইনে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে এর সদস্য হতে পারবেন।
লিখেছেন: জুলকারনাইন মেহেদী

Wednesday, August 7, 2013

সাংবাদিক হতে হলে - এসএম মাহফুজ

0 comments
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে মানুষের মনমানসিকতার। সময় সচেতন মানুষ সময়োপযোগী পেশা বেছে নিতে অনেক তৎপর। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম পছন্দের। কারণ সাংবাদিকতার মাঠ এখন অনেক বিস্তৃত। একটা সময় ছিল যখন সাংবাদিকতা শুধু খবরের কাগজের গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতা তার আগের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এখন খবরের কাগজের স্থান কিছুটা হলেও দখল করে নিয়েছে টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেলগুলো। অবশ্য তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় খবরের কাগজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন এডিশন বের করছে। পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি সাংবাদিকতার সুযোগ রয়েছে রেডিওতেও। এখানে রয়েছে অনেক সম্মান। সম্মানীও কম নয়। সৃজনশীল ব্যক্তিরা টিকে থাকতে পারেন এ পেশাতে।
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রসমূহ
সাংবাদিকতার প্রধান ক্ষেত্র সংবাদপত্র। দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংবাদপত্র। বাড়ছে সাংবাদিকের চাহিদা। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক সংবাদপত্রের সংখ্যা অগুনিত। এ সংবাদপত্র আবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ছাড়াও রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে। অনেকে মনে করছেন টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল বৃদ্ধির সাথে সাথে সংবাদপত্রের গুরুত্ব লোপ পেতে পারে। আসলে এটা ঠিক নয়। সংবাদের গ্রহণযোগ্যতা ও পেছনের ভূমিকা উপস্থাপন এবং সংবাদের পেছনের সংবাদ খুঁজতে সংবাদপত্রের বিকল্প নেই। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সংবাদপত্রই উৎকৃষ্ট স্থান। সংবাদপত্রে যারা কাজ করেন তারা হলেন সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, নগর ও বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র রিপোর্টার, বৈদেশিক সংবাদদাতা, মফস্বল সংবাদদাতা, সাব এডিটর, ক্রীড়া সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক, চীফ মেক আপমেন এবং গ্রুফ রিডার।
টেলিভিশন :
সাংবাদিকতার অন্যতম ক্ষেত্র হলো টেলিভিশন বা চ্যানেল। টিভি বা চ্যানেল সাংবাদিক হওয়ার মাধ্যমে স্টার হওয়া সম্ভব টিভি সাংবাদিকতা আর সংবাদপত্রের সাংবাদিকতার মুল কাজ এক হলেও টিভি সাংবাদিতার ধরণ ভিন্ন। এখানে সাংবাদিককে ঘটনাস্থল থেকে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়। সাংবাদিক এখানে খবরের বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সোর্ফ তৈরি করেন এবং খবর জন্ম দেয় এমন লোকও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এসব কাজের জন্য সংবাদ সংস্থা পরিবেশিত খবর, বিভিন্ন সাময়িকীসহ তথ্যের বিভিন্ন উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহের কাজ সাংবাদিকরা করেন। এরপর তারা চলমান ছবি ব্যবহার করে নিজের কণ্ঠে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কখনো কখনো তাদের ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই সংবাদ পরিবেশন করতে হয়। কোনো কোনো সাংবাদিক সংবাদ পাঠকের কাজও করে থাকে।
রেডিও :
বর্তমানে রেডিও সাংবাদিকতার একটি অন্যতম ক্ষেত্র। মোবাইল সেটে এফ এম রেডিওর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। ক্লাসের ফাঁকে, আড্ডায়, হাঁটতে, চলতে মোবাইলে বাজছে রেডিও। রেডিওর এ জনপ্রিয়তা শুধু গান দিয়েই নয়। প্রত্যেক ঘণ্টায় নিউজ আপডেটের মাধ্যমেও। বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও বর্তমান ৫/৬টি রেডিও চ্যালেনের মধ্যে রেডিও ফুর্তি এবং এবিসি প্রত্যেক ঘণ্টায়ই সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। অন্যান্য রেডিও এফএম চ্যানেলগুলোও শীঘ্রই তাদের শিডিউলে আনবে নিউজ । এ নিউজ সংগ্রহ, উপস্থাপন সাংবাদিকদের মাধ্যমেই হবে। রেডিও সাংবাদিকতায় কণ্ঠের গুরুত্ব একটু বেশি।
সংবাদ সংস্থা :
সংবাদপত্র, টিভি, রেডিও ছাড়াও সাংবাদিকতার সুযোগ রয়েছে সংবাদ সংস্থায়। বর্তমানে দেশে অনেক সংবাদ সংস্থা রয়েছে। যেমন- বাসস, ইউ এনবি, বিডি নিউজ, এনএনবি, ফোকাস বাংলা ইত্যাদি। এসব সংস্থায় চাকরি করতে গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারি হতে হয়। ইংরেজি ভাষায় দখল থাকলে ভালো হয়।
সাংবাদিকতায় চাকরির সুযোগ :
সাংবাদিকতা একটি প্রফেশনাল কোর্স। অর্থাৎ সাংবাদিকতা করে খুব বেশি লোককে ঘরে বসে থাকতে হয় না। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন রকমের খবরের কাগজ এবং জনসংযোগ বিভাগে চাকরি পাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যোগ্যতা থাকলে আপনাকে চাকরি খুঁজতে হবে না আপনাকেই চাকরি খুজবে। আপনি যদি সাধারণ কোনো পত্রিকায় আপনার যোগ্যতা প্রকাশ করতে পারেন বড় বড় পত্রিকা আপনাকে ডেকে নেবে। আর দিন দিন বাড়ছে মিডিয়া। সুতরাং চাকরির নিশ্চয়তা এখানে হান্ড্রেড পার্সেন্ট। তবে সাংবাদিকরা সাংবাদিকতাকে চাকরি হিসেবে না নিয়ে নেন আনন্দ হিসেবে। একজন সাংবাদিকের কাজই হলো জনগণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরা। এটাকে তাই পেশা নয় সেবা হিসেবেই নেন সবাই।
সাংবাদিক হতে হলে :
সফল সাংবাদিক হওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন খবর সম্পর্কে বোধ ও গভীরতা। ইংরেজিতেও বলে নিউজ সেন্স। পরিবেশন করা খবর পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কী-না, তা একজন সাংবাদিকের যোগ্যতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সময়ের সাথে সমানতালে চলার মানসিকতা ও স্বচ্ছ পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি ভালো সাংবাদিক হয়ে ওঠার চাবিকাঠি।
সাংবাদিকতার কাজে দায়িত্ব অনেক বেশি। প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে কোনো খবর সংগ্রহ করতে না পারলে অন্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়। কিন্তু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কোনো ছবি একবার ধরতে না পারলে আর সুযোগ পাওয়া যায় না। তাই চব্বিশ ঘণ্টা চোখ কান খোলা রাখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ কাজ করার মত শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাও থাকা চাই। এ পেশায় রাতে ঈদের দিনও ডিউটি করতে হতে পারে।
সাংবাদিকতা বা গণযোগাযোগ বিষয় না পড়লেও সাংবাদিক হওয়া যায়। সেক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র হলে ভালো হয়। তবে লেখার হাত ও কথা বলার গুণ থাকতে হবে। শিল্পের প্রতি আগ্রহ থাকলেও এ পেশায় জায়গা করে নেয়া সম্ভব। অনেক সংবাদপত্র বা টিভিতে পরীক্ষার মাধ্যমে সাংবাদিক নেয়া হয়। বেসরকারি সংস্থায় বিজ্ঞাপন দিয়েও লোক নেয়া হয় বটে, তবে বিজ্ঞাপন বের না হলেও আবেদনপত্র বা সিভি জমা দেয়া যায়।
বর্তমানে দেশে বেসরকারি মিডিয়া আছে। এসব মিডিয়ার পত্র-পত্রিকা বা চ্যানেলে সাংবাদিকতা করতে চাইলে, কর্মরত সাংবাদিক বা যেকোনো ধরনের কর্মকর্তার সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। সাংবাদিকতার অধিকাংশ জনশক্তিই এ যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এজন্য যাদের আগ্রহ আছে আজ থেকে সখ্যতা গড়ুন যেকোনো সাংবাদিকের সাথে।
সম্মানী কেমন :
সাংবাদিকতা অনেকের কাছে স্বপ্নের মত। সাংবাদিকতা করে একদিকে পাওয়া যায় ব্যাপক পরিচিতি, সম্মান অন্যদিকে আছে স্বচ্ছল জীবনের হাতছানি। এখানে প্রথমদিকে হয়তো আয়ের পরিমাণটা কম। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আয় রোজগার। দেশে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সম্মানী ১০-৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তবে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এ অঙ্ক বাড়তে পারে। আর যদি সাংবাদিকতার মাধ্যমে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সাংবাদিক হওয়া যায় তাহলে সম্মানী এর দ্বিগুণও হতে পারে।
পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ :
আমাদের দেশে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করা য়ায়। পিআইবি থেকে ১ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স ডিগ্রি নেয়া যায়। এছাড়া দেশের ৬/৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও অনার্স মাস্টার্সের সুযোগ রয়েছে।

--এসএম মাহফুজ

স্বার্থপর মানুষদের বেঁচে থাকতে অপরের সহযোগিতা দরকার

0 comments
সম্প্রতি nature.com এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে স্বার্থপর বা সেলফিশ মানুষদের পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে অন্য মানুষের সাহায্য বেশী প্রয়োজন। আরও দেখা গেছে, স্বার্থপর মানুষদের থেকে সহযোগিতার মানসিকতাপূর্ণ মানুষরা জীবনে সাফল্য পান বেশী।

স্বার্থপর মানুষ এবং সহযোগিতার মানসিকতাপূর্ণ মানুষের ক্ষেত্রে কারা জীবনে সফল হন সে বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার গেমের সাহায্য নেন। গবেষকরা সূক্ষ্মভাবে ঐ সব প্লেয়ারদের উপর নজর রাখেন যারা “zero determinant” কৌশলে খেলেন অর্থাৎ এরাই সেলফিশ বা স্বার্থপর হিসেবে চিহ্নিত। যদিও এ সেলফিশ কৌশল তাদের প্রাথমিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যায়, তবে শেষে কিন্তু অন্য কারোর সাহায্যের তাদের প্রয়োজন হয়।

গবেষকরা “প্রিজনারস ডাইলেমা” নামে এক গেমস এ দেখেন দু’জন বন্দী কারাগার থেকে মুক্ত হতে চায়। এক্ষেত্রে তারা একে অপরকে সাহায্য না করলে কেউই মুক্ত হতে পারবে না, অথবা একে অপরকে বিষয়টি না জানালে তারা তাদের মুক্ত হওয়ার ইচ্ছার কথাও জানতে পারবে না। অতএব যৌথ প্রচেষ্টা সব ক্ষেত্রেই লাগবেই।

গবেষক দলের একজন সদস্য আদামী বলেন, ” আমরা গবেষণায় দেখেছি আপনি যদি স্বার্থপর হন তবে বিবর্তন আপনাকে শাস্তি দিবেই। একজন স্বার্থপর মানুষ প্রাথমিকভাবে হয়ত সুবিধা পায়, তবে তিনি কখনই এককভাবে সাফল্য পাবেন না – তাকে কারো না কারো সাহায্য এবং যৌথ প্রচেষ্টায় সামনে এগোতে হবেই।”

যৌথ প্রচেষ্টা মানুষ এবং সকল প্রজাতির জন্য বেঁচে থাকতে বা টিকে থাকতে বিশেষ প্রয়োজনীয়। যদি কেউ ভাবে যে তিনি সেলফিশ বা স্বার্থপর ভাবে টিকে থাকবেন, তবে এটা তার জন্য অনেক কঠিন একটি কাজ হবে – এক্ষেত্রে তিনি বিফল হতে পারেন।

সূত্রঃ দি টেকজার্নাল

Saturday, August 3, 2013

সহজেই সুগঠিত করুন হিপ এবং থাই

0 comments
লাইফস্টাইলের অংশ হিসাবে এই সময়ে মেয়েদের যেই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায়, তা হলো অস্বাভাবিক হিপ এবং থাই। এগুলো সুগঠিত করার জন্য অনেক ধরনের ব্যয়ামই আছে। আজকে এরকম দুটি কার্যকর ব্যয়াম নিয়ে আলোচনা করবো। এগুলো আপনি ঘরে বসে কোন যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই করতে পারবেন। বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে কায়িক পরিশ্রমের পরিমান অনেক কমে গেছে। খেলাধুলা, পায়ে হেটে ঘোরাফেরা- সে তো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ওপর অফিস এবং যানযটে দীর্ঘ সময় বসে থাকা। এই অবস্থার সাথে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া যোগ হয়ে আমাদের শরীরের ফিটনেস্‌ যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গ্লুট স্ট্রেচঃ

১. প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর ডান পা বাঁকিয়ে বাম পায়ের হাটুর ওপর রাখুন। এই অবস্থায় শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখুন।
২. পা দুটি আগের অবস্থায় রেখে কোমড় থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে একটু ঝুকিয়ে রাখুন। লক্ষ্য করুন যেন পিঠ এবং ঘাড় সোজা থাকে।
৩. এই অবস্থায় প্রায় ২০ সেকেন্ড থাকুন। এবার বাম পা বাঁকিয়ে পূণরায় একইভাবে করুন।
৪. এই ব্যায়ামটি ৫ বার করে দৈনিক দুবার করুন।

হিপ এক্সটেনশনঃ

১. হাত দুটি দিয়ে মাটিতে স্পর্শ করিয়ে, হাটু গেরে থাকুন।
২. এই অবস্থায় আপনার ডান পা পেছনের দিক থেকে ওপরে উঠান (আনুমানিক ৯০ ডিগ্রি কোণে)। আপনার হাটু থেকে পা সোজা ছাদ বরাবর থাকবে।
৩. এখন আপনার ডান পা টি ছাদের দিকে আরেকটু ওঠানোর চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় ২ সেকেন্ড ধরে রাখুন। আবার আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে এনে পা নামিয়ে ফেলুন।
৪. একইভাবে বাম পায়ের জন্য পুনরায় করুন।
৫. এই ব্যায়ামটি ৩ বার করে দৈনিক দুবার করুন।