Saturday, September 20, 2014

বাংলাদেশে হেলিকপ্টার ভাড়া

1 comments
সবার হেলিকপ্টারে জদিও চড়া হয়না তবে অনেক সময় হেলিকল্পটারের ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক বিসয় সমুহ জানা থাকলে নিজেকেই আপডেট রাখা যায়। তাই আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন দেশে হেলিকপ্টার সেবা দেয়া কোম্পানি সমূহের ভাড়ার তালিকা সহ বিস্তারিত।

বাংলাদেশে এখন অনেক কারণেই হেলিকপ্টারে করে জরুরী যাত্রার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে হেলিকপ্টারে ভ্রমন কিংবা যাতায়াত করতে আপনাকে কেমন ভাড়া গুনতে হবে কিংবা কোথায় থেকে কোথায় কত ভাড়া দিতে হবে তা নিশ্চয় আপনার অজানা! চলুন জেনে নিন-

সাধারণত বাংলাদেশে কয়েকটি হেলিকপ্টার কোম্পানি যাত্রী সেবা সহ আরও কিছু সেবা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকে বুকিং দিতে হবে এবং নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। এসব কোম্পানির বিসয়ে নিচে বিস্তারিত দেয়া হল।

স্কয়ার এয়ার লিমিটেড

স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের যে হেলিকপ্টার আছে তাতে এক সাথে ৬ জন যাত্রী বহন করা সম্ভব। এই হেলিকপ্টারের নাম বেল-৪০৭, এতে আপনি ভ্রমণ করতে চাইলে আপনাকে প্রতি ঘন্টায় গুনতে হবে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছারা স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের ৪ জন বহনে সক্ষম রবিনসন আর-৬৬ এর ভাড়া কিছুটা কম এটা ৭৫ হাজার প্রতি ঘন্টা। এছারা আপনাকে আরো কিছু বাড়তি খরচ দিতে হবে তা হচ্ছে প্রতি ঘন্টায় ভুমিতে অপেক্ষার জন্য আপনাকে দিতে হবে ৬ হাজার টাকা আর ভুমি থেকে উড্ডয়নের পর প্রতি ঘন্টায় আপনাকে দিতে হবে ২ হাজার টাকা ইনস্যুরেন্স ফি।
যোগাযোগ ঠিকানা- স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, স্কয়ার সেন্টার, ৪৮ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৩১৮৫৩৫২

সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্


সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্ দুই ভাগে সেবা দিয়ে থাকে। সাধারন এবং শুটিং/লিফলেট। সাধারণ কাজের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ৫৫ হাজার টাকা। আর সিনেমার শুটিং, লিফলেট বিতরণসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজের জন্য ভাড়া ৩০ শতাংশ বেশি দিতে হয়। এই কম্পানি থেকে ন্যূনতম ৩০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া যায়। জ্বালানি খরচ, ইনস্যুরেন্সসহ বাকি সব কিছু কম্পানিই বহন করে থাকে তবে ভুমিতে অপেক্ষার জন্য আপনাকে প্রতি ঘন্টায় দিতে হবে ৫ হাজার টাকা আর মট টাকার উপর ১৫৫ ভ্যাট।

যোগাযোগ ঠিকানা- সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্ লিমিটেড, টাওয়ার হেমলেট, ১৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ০২ ৯৮৮০৪৯৬

ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড


প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে এক লাখ টাকা দিয়ে আপনি ৬ আসনের ইসি ১৩০বি-৪ হেলিকপ্টার ভাড়া পাবেন ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড থেকে। ভুমিতে অপেক্ষার জন্য প্রতি ঘন্টায় আপনাকে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা এবং মোট ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

যোগাযোগ ঠিকানা-ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড, ৪০ শহীদ তাজউদ্দীন সরণি, তেজগাঁও, ঢাকা। ফোন: ০১৭২৯২৫৪৯৯৬

সিকদার গ্রুপ


এদের রয়েছে ৩ টি হেলিকপ্টার, রয়েছে ৭ এবং ৩ সিটের ভাড়া নেয়ার সুবিধা। ভাড়া সাত সিটের ঘণ্টায় এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। তিন সিটের ঘণ্টায় ৭২ হাজার টাকা। ভুমিতে অপেক্ষা করাতে হলে প্রতি ঘন্টায় ৭ হাজার টাকা এবং সাথে ভ্যাট।

যোগাযোগ ঠিকানা- সিকদার গ্রুপ, রাজ ভবন, দ্বিতীয় তলা, ২৯ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা। ফোন : ৯৫৫০২৭১

এসব কোম্পানির বাইরেও আরো কিছু কোম্পানি বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার ভাড়া দিচ্ছে এরা হচ্ছে-

পিএইচপি গ্রুপ, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, বিআরবি কেব্ল্, মেঘনা গ্রুপ, ইয়াং ইয়াং (আরিয়ান) গ্রুপ, এমএস বাংলাদেশ প্রভৃতি।
তবে আপনি হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতেই হবে আর এসব নিয়ম সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একই। নিচে নিয়ম দেয়া হল-

বুকিং দেয়ার সময় হেলিকপ্টার চার্জের ৫০ ভাগ পরিশোধ করতে হয়। বাকি টাকা দিয়ে দিতে হবে হেলিকপ্টার উড্ডয়নের আগে। হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ৪৮ ঘণ্টা আগে আপনি কোথায় কেনো যাচ্ছেন তা সিভিল এভিয়েশনকে জানাতে হয়। কারণ হেলিকপ্টারের নির্দিষ্ট কোনো রুট নেই। এ কারণে কোনো হেলিকপ্টার আকাশে উড্ডয়ন করলে টাওয়ারকে প্রস্তুত রাখতে হয়, যাতে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এক্ষেত্রে অবসস কারো জরুরি হলে ৫, ১০, ১৫ মিনিট এমনকি এক ঘণ্টার মধ্যেও সিভিল এভিয়েশান অমুমতি দিয়ে থাকে।

সোর্স: দি ঢাকা টাইমস

Monday, September 15, 2014

বিমসটেক, বাংলাদেশ

0 comments
১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে জন্ম নেয় বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন। পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান যোগ দিলে এ জোটের নাম হয় বিমসটেক।

উন্নয়ন এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৪টি খাতের ওপর জোর দিচ্ছে বিমসটেক।

এই খাতগুলো হচ্ছে- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন ও যোগাযোগ, পর্যটন, মৎস্য, কৃষি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দারিদ্র দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ ও আঞ্চলিক অপরাধ দমন, এবং জলবায়ু পরিবর্তন।

২০১৪ এর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত জোটের সবশেষ সম্মেলনে ঢাকায় স্থায়ী এই সচিবালয় স্থাপনের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়।
শ্রীলঙ্কাও এ সচিবালয় স্থাপনে আগ্রহী ছিল। কিন্তু জোটের প্রথম মহাসচিব শ্রীলঙ্কা থেকে করার ব্যাপারে সদস্য দেশগুলো একমত হয়। আর ঢাকায় বিমসটেকের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশে বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় গড়তে বড় ধরনের সহযোগিতা দেয় ভারত। মিয়ানমারও ব্যয়ের ৩২ শতাংশ বহন করে।

২০১৪এর ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে (গুলশান-২ এর ৫৩ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ি) এটি যাত্রা শুরু করে।

-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Saturday, September 13, 2014

হাজিয়া সোফিয়া, তুরস্ক

0 comments
আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ১৯৩৪ সালে হাজিয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিবর্তিত করেন৷১৯৮৫ সালে হাজিয়া সোফিয়া ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনার তালিকায় স্থান পায়৷
৫৩২ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সম্রাট জাস্টিনিয়ান কনস্ট্যান্টিনোপলের অধিবাসীদের জন্য এমন একটি গির্জা নির্মাণের নির্দেশ দেন, যেটি আগে কখনো নির্মাণ হয়নি, এমনকি ভবিষ্যতেও হবে না৷ গির্জাটি নির্মাণে কাজ করেছিল ১০ হাজার কর্মী৷ অন্তত এক হাজার বছর ধরে বসফরাস ব্যাসিলিকাই ছিল খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় চার্চ৷
হাজিয়া সোফিয়ার নিমার্ণে জাস্টিনিয়ান প্রায় ১৫০ টন স্বর্ণ বিনিয়োগ করেছিলেন৷ এরপরও ভবনটির কিছু সংস্কার প্রয়োজন ছিল৷ কেননা গম্বুজটা ছিল একেবারে সমতল এবং ভূমিকম্পের কারণে যা কিছুটা বেঁকে গিয়েছিল৷ নির্মাণের পর থেকে হাজিয়া সোফিয়া রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হত৷ সপ্তম শতক থেকে সব বাইজেন্টাইন সম্রাটদের অভিষেক হত এখানে৷
১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে কনস্ট্যান্টিনোপলে বাইজেন্টাইনদের রাজত্ব শেষ হয়৷ এর দখল নেন অটোমান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সুলতান মোহাম্মদ এবং তখন হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন৷ প্রথমে একটি মিনার নির্মাণের মাধ্যমে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়৷ এরপর ক্রস, ঘণ্টা এবং চিত্রকর্মের পরিবর্তন করা হয়৷
আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ১৯৩৪ সালে হাজিয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিবর্তিত করেন৷ সংস্কারের সময় পুরোনো বাইজেন্টাইন স্থাপত্য মোজাইক খুঁড়ে বের করা হয়৷ তবে খুব সতর্কতার সাথে এটা করা হয়েছে, যাতে পরবর্তীতে ইসলামিক যে নিদর্শনগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়৷
হাজিয়া সোফিয়ার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো যেন এর মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হয়েছে৷ একপাশে মোহাম্মদ, অন্যদিকে আল্লাহ লেখা আবার মাদার মেরীর কোলে যীশু খ্রিষ্ট সবই আছে এখানে৷ সেই সাথে গম্বুজে ৪০টি জানালা দিয়ে আলো এসে এটিকে যেন অতিপ্রাকৃত করে তোলে৷
হাজিয়া সোফিয়ার সবচেয়ে সুন্দর শিল্পকর্মের একটি এটি৷ হাজিয়া সোফিয়া খুঁড়ে ১৪ শতকের এই নিদর্শন পাওয়া গেছে, যা গ্যালারিতে রাখা আছে৷
হাজিয়া সোফিয়াতে বর্তমানে প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ৷ ২০০৬ সালে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট যখন হাজিয়া সোফিয়াতে গিয়েছিলেন, তখন এই ব্যবস্থাপনাকে সম্মান জানিয়েছিলেন৷ তবে তুরস্কের মানুষ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল৷
হাজিয়া সোফিয়ার পাশেই অবস্থিত সুলতান আহমেদ মসজিদ যা ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদ হিসেবে বেশি পরিচিত৷ তুরস্কবাসী চান যাতে হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা হয় এবং সেখানে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়৷
কনস্ট্যান্টিনোপলে সনাতন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান যাজক প্রথম বার্থোলোমায়সও হাজিয়া সোফিয়া তাঁদের বলে দাবি করেছেন৷ বহু বছর ধরে তিনি এর পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এটাকে গির্জা হিসেবে ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷

হাজিয়া সোফিয়ার ভবিষ্যত এখনো অনিশ্চিত৷ বিরোধী দল এমএইচটি এটিকে মসজিদে রূপান্তরের জন্য এখনও দাবি জানাচ্ছে৷ এখন পর্যন্ত পার্লামেন্টে দুটি আবেদন করেছে তারা, যা নাকচ হয়েছে৷ ১৯৮৫ সালে হাজিয়া সোফিয়া ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনার তালিকায় স্থান পায়৷ 
উৎস: ডয়েচে ভেলে

Saturday, September 6, 2014

হ্যাকার ও হ্যাকিঙ

0 comments
শুরুতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ে অতি দক্ষদের বলা হতো হ্যাকার। এরা কম্পিউটার নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতা বের করে সে অনুযায়ী অনিষ্ট সাধন করত। কিন্তু এর কিছুদিন পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। কম্পিউটিংয়ে দক্ষ কিছু লোক বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেমে আঘাত হানায় বদলে যায় হ্যাকারদের সংজ্ঞা। বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেমের নিরাপত্তা ভেঙে যারা এর ক্ষতি করত তাদের বলা হতে থাকে হ্যাকার।

হ্যাকারদের কৌশল

বিভিন্ন সিনেমাতে প্রায়ই দেখা যায় হ্যাকাররা দূরবর্তী একটি স্খানে বসে কোনো ব্যাংকের বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাসওয়ার্ড চুরি করে সিস্টেমটি নিজেদের ইচ্ছামতো চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল ও টুল ব্যবহার করে তারা পাসওয়ার্ড চুরি করে। পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিংয়ের দ্রুততম কৌশল হচ্ছে ডিকশনারি অ্যাটাক। এই কৌশলে ডিকশনারির সব শব্দ একটি টেক্সট ফাইলে লোড করা হয়। তারপর এই ফাইলটি পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন যেমন L0phtCrack-এ লোড করে ইউজার অ্যাকাউন্টের বিপরীতে চালনা করা হয়। আরেকটি কৌশল হচ্ছে হাইব্রিড অ্যাটাক। ডিকশনারি শব্দের সাথে নম্বর বা সিম্বল যোগ করে ডিকশনারি অ্যাটাকের মতোই কাজ করে এটি। অনেকে পাসওয়ার্ডের শেষে নম্বর যোগ করে যেমন cat1, cat2 ইত্যাদি। তাদের পাসওয়ার্ড চুরি করার জন্যই এই কৌশল। এই দুই কৌশলে যখন কাজ হয় না, তখন হ্যাকাররা ব্যবহার করে ব্রুটফোর্স পদ্ধতি। পাসওয়ার্ডটি যত জটিল হবে এই কৌশলে সময়ও তত বেশি লাগবে। হ্যাকাররা সাধারণত ক্লায়েন্ট ও সার্ভিস এজেন্সির মাঝামাঝি একটি স্খানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ইন্টারনেট থেকে ডেটা সংগ্রহ করে। নেটওয়ার্ক থেকে ডেটা সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন নেটওয়ার্ক মনিটরিং টুল যেমন স্নাইফার প্রো বা ইথারপ্যাক ব্যবহার করে। প্রক্সি সার্ভারে অনেক সময় ব্যবহারকারীর তথ্য থাকে। হ্যাকাররা প্রক্সি সার্ভার একসেস করে হ্যাকিং করে। আরো যেসব কৌশল তারা অবলম্বন করে তার মধ্যে রয়েছে উইনগেট ও শেল অ্যাকাউন্টের ব্যবহার। উইনগেট একধরনের প্রক্সি যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এই কৌশলে হ্যাকারের আইপি ঠিকানা চিহ্নিত করা যায় না। শেল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দূরবর্তী কম্পিউটার একসেস করা যায় এবং যেকোনো কমান্ড দেয়া যায়। এ ছাড়া ব্যাকডোর, ট্রোজান, রুটকিট, এক্সপ্লয়েন্ট, বাফার ওভারফ্লো, এসকিউএল ইনজেকশান ইত্যাদি কৌশলেও হ্যাকাররা হ্যাকিং করে।

হ্যাকারদের ধরন

কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের তিন ভাগে ভাগ করা যায়। হোয়াইট হ্যাট, ব্ল্যাক হ্যাট ও গ্রে হ্যাট। হোয়াইট হ্যাটওয়ালারা ক্ষতিকর নয়। সাধারণত সিকিউরিটি প্রফেশনালরা এই দলভুক্ত। এদের হ্যাকিং ও হ্যাকারদের টুল সম্বìেধ প্রখর জ্ঞান থাকে এবং তা কাজে লাগিয়ে তারা সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে প্রতিরোধ ব্যবস্খা গড়ে তোলে। ব্ল্যাক হ্যাটদের প্রায়ই সিনেমাতে দেখা যায়। এদের প্রোগ্রামিং স্কিল খুব ভালো কিন্তু তারা সেটা ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে। এরা সাধারণত ডেটাবেজ সিস্টেম, রিমোট মেশিনের নিরাপত্তা ভেঙে দেয়া, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি করা, অবৈধ অনলাইন ট্রানজেকশান ইত্যাদি অপকর্ম করে থাকে। হোয়াইট ও ব্ল্যাক এই দুই দলের মাঝখানে রয়েছে গ্রে হ্যাটরা। এরা হচ্ছে সুবিধাবাদী। অবস্খা বুঝে এরা হোয়াইট বা ব্ল্যাক হ্যাটের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। হ্যাকারদের যেমন ধরন রয়েছে তেমনি এদের আক্রমণেরও ধরন রয়েছে। অ্যাকটিভ অ্যাটাক সাধারণত সিস্টেমের নিরাপত্তা ভেঙে এটিকে নষ্ট করার জন্য হয়ে থাকে। অপরদিকে প্যাসিভ অ্যাটাক হয়ে থাকে সিস্টেম থেকে ডেটা সংগ্রহের জন্য।

হ্যাকিংয়ের শুরু

শুরুটা ১৯৬০ সালে, বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগারে একদল কিশোরের হাতে। টাইম শেয়ারিং কম্পিউটার তৈরি করার জন্য এমআইটি একটি গবেষণা প্রকল্প চালু করে। হ্যাকার সংস্কৃতির উৎপত্তি সেখানেই। কম্পিউটিংয়ের কাজ দ্রুত করার জন্য গবেষণাগারে কিছু ছাত্র শর্টকাট পদ্ধতি বের করে। এদের তখন হ্যাকার বলা হয় পজিটিভ অর্থে। এরপর ১৯৭০ সালে শুরু প্রকৃত হ্যাকিং। কোনো টেলিফোনে সংযোগ পেতে সাধারণত টেলিফোন সিস্টেমে একটি টোন দেয়া হয়। শিশুদের একটি খেলনা বাঁশি যা কিনা ২৬০০ হার্টজের শব্দ তৈরি করতে পারে, সেটা দিয়ে জন ড্রেপার টেলিফোন সিস্টেম হ্যাক করে বিনামূল্যে প্রচুর টেলিফোন করেন। এভাবে বিনামূল্যে কল করার জন্য জন ব্লু বক্স তৈরি করেন। ক্যাপ্টেন ক্রান্চ উপাধি পাওয়া আধুনিক হ্যাকিংয়ের জনক জন ড্রেপার গ্রেফতার হন ১৯৭০ সালে। ১৯৮৩ সালে ছয়জন টিনএজারের দল ‘৪১৪’ আমেরিকার উইসকনসিনের þেöান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টার, সিকিউরিটি প্যাসিফিক ব্যাংক এবং লস আলমোস ল্যাবরেটরির কম্পিউটার সিস্টেম নষ্ট করে দেয়। ফলাফল এফবিআই’র হাতে গ্রেফতার। ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশ হয় হ্যাকারদের ম্যাগাজিন ‘২৬০০’। ১৯৮৬ সালে আমেরিকায় হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে আইন হয়। এ আইনে অবৈধভাবে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক নষ্ট করে দেয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৭ সালে হার্বাট জিন নামের ১৭ বছর বয়সী হাইস্কুল ছাত্রকে ১৯৮৬ সালের হ্যাকিং আইনে গ্রেফতার করা হয় এটিঅ্যান্ডটি ল্যাবের তথ্য চুরির অভিযোগে। একই আইনে ১৯৮৮ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটির ছাত্র রবার্ট মরিসকে ৬ হাজার কম্পিউটার সিস্টেম নষ্ট করার অভিযোগে শাস্তি দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ক্লিফোর্ড স্টলের সহযোগিতায় গ্রেফতার হয় পশ্চিম জার্মানির পাঁচ জন সাইবার স্পাই যারা আমেরিকার সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারের তথ্য ও সফটওয়্যার তৎকালীন সোভিয়েত কেজিবি’র কাছে বিক্রি করছিল। একই বছর গ্রেফতার হয় লিজিয়ন অব ডোন নামে চার সদস্যের হ্যাকারের একটি দল। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা যুক্তরাষ্ট্রের ইমারজেন্সি টেলিফোন নেটওয়ার্ক ৯১১ বìধ করার অপচেষ্টা চালায়। বেল কর্তৃপক্ষ আরো অভিযোগ করে এই দলটি ৯১১-এর পাসওয়ার্ড, কানেকশান অ্যাড্রেস হ্যাক করেছে। আইন অনুযায়ী এদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত হয় অপারেশন সানডেভিল যার উদ্দেশ্য ছিল হ্যাকারদের ধরা। এ অপারেশনে ১৪ শহর থেকে ক্রোক হয় হ্যাকিংয়ের মূল্যবান যন্ত্রপাতি। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস একটি রেডিও স্টেশন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যেখানে বলা হয় ১০২তম ফোনকারীকে তারা গাড়ি পুরস্কার দেবে। ফেভিন পলসেন রেডিও স্টেশনের টেলিফোন সিস্টেমে হ্যাক করে এমন ব্যবস্খা করেন যাতে তার ফোন ছাড়া অন্য কারো ফোন যেন রিসিভ না হয়। ফলাফল তিনি ঠিকই গাড়ি জিতে নেন। কিন্তু প্রতারণার দায়ে খাটতে হয় ৫১ মাসের জেল। ১৯৯৫ সালে গ্রেফতার হন সিরিয়াল কম্পিউটার ক্রিমিনাল কেভিন মিটনিক। ২০ হাজার ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরির দায়ে চার বছরের জেল হয় তার। একই বছর রাশিয়ান হ্যাকার ভöাদিমির লেভিন নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে তার অ্যাকাউন্টে ১০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেন। ২০০০ সালের ড্যানিয়াল অব সার্ভিস অ্যাটাক করে হ্যাকাররা। ইয়াহু!, আমাজন, ই-বে, সিএনএন’র ওয়েবসাইটকে ওভারলোড করে ফেলে তারা।

গ্রেট হ্যাকারস

কেভিন মিটনিককে বলা হয় হ্যাকারদের গুরু। গ্লেন কেজ উপাধি পাওয়া এই হ্যাকার গুরু ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন। অভিযোগ, ২০ হাজার ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি এবং মটোরোলা, নকিয়া, সান মাইক্রোসিস্টেম, ফুজিৎসু ও নোভেলের সিস্টেম হ্যাক করে তাদের সফটওয়্যার চুরি করা। ২০০০ সালে কেভিন মুক্তি পান, তবে শর্ত ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার, সেল ফোন এবং ইন্টারনেটযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। ২০০১ সালে এই হ্যাকার গুরু এলিয়াস মুভিতে অভিনয় করেন কিন্তু প্রযোজক তাকে একটি ডামি কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেন। মিটনিকের ব্যতিক্রমী এবং শক্তিশালী হ্যাকিং কৌশলের জন্য হ্যাকার জেনারেশনের আদর্শ হয়ে আছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিকিউরিটি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। হ্যাকিং জগতে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি করেন রাশিয়ান গণিতবিদ ভöাদিমির লেভিন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বসে তিনি নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংক থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ইংল্যান্ডের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন এবং তিন বছর জেল খাটেন। হ্যাকিং দুনিয়ার অন্যতম বস হচ্ছেন স্কটল্যান্ডের গ্যারি ম্যাককিনন। ধরা হয়, একটি মিলিটারি সিস্টেমে হ্যাক করে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হ্যাকিংটি তিনিই করেছেন। ২০০০ ও ২০০১ সালে তিনি নাসা ও পেন্টাগনের ইনফরমেশন সিস্টেমে অ্যাটাক করেন। বর্তমানে তার ইন্টারনেটযুক্ত কোনো কম্পিউটার ব্যবহার নিষেধ। নিউইয়র্কভিত্তিক সাইবার গ্যাং মাস্টার অব ডিসেপশান ছিল অন্যতম সেরা হ্যাকার গ্রুপ। ৯০-এর দশকে এ দলটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন টেলিফোন নেটওয়ার্ক, কম্পিউটার সিস্টেম এবং কমিউনিকেশন সিস্টেম অবৈধভাবে একসেস করে। দলটি অপর একটি হ্যাকিং গ্রুপ লিজিয়ন অব ডোমের সাথে সাইবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ফাইবার অপটিক খ্যাত ১৯ বছর বয়সী মার্ক এবেন ছিলেন এই দলের প্রধান। মাফিয়া বয় ছদ্মনামে কানাডার ১৬ বছর বয়সী ছাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাঘা বাঘা ওয়েবসাইটে অ্যাটাক করে বিস্ময় সৃষ্টি করেন। ২০০০ সালে তার এই অপকর্মে ক্ষতি হয় আনুমানিক ১ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এ-তো গেল ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের কথা। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত সুতুমু শিমুমোরা। ১৯৯৪ সালে সানডিয়েগো সুপার কম্পিউটার সেন্টারে রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করার সময় একজন হ্যাকার তার কম্পিউটার থেকে গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চুরি করেন। সেই হ্যাকারটি কেভিন মিটনিক। এরপর ১৯৯৫ সালে ট্রেস ডায়ালিং কৌশল এবং টেলিফোন লুপ সিগন্যাল ব্যবহার করে মিটনিকের অবস্খান চিহ্নিত করে এফবিআই’র হাতে ধরিয়ে শিমুমোরা প্রতিশোধ নেন।

হ্যাংকিং থেকে বাঁচতে সতর্কতা

হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ফায়ারওয়াল অত্যন্ত কার্যকরী। কম্পিউটার ইন্টারনেটে সংযুক্ত অবস্খায় ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার কম্পিউটার থেকে বাইরে বা বাইরে থেকে কম্পিউটারে কোনো আনঅথোরাইজড একসেস প্রতিরোধ করে। অনেকে কম্পিউটারেও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। পাসওয়ার্ড শব্দ, নম্বর ও সিম্বলের সংমিশ্রণে তৈরি করা উচিত এবং ১-২ মাস অন্তর তা বদলানো উচিত। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার এবং নিয়মিত এটি আপডেট করা উচিত। অপারেটিং সিস্টেমের নিয়মিত আপগ্রেড করলে হ্যাংকিংয়ের আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। বিভিন্ন সফটওয়্যারের প্যাঁচ বা নতুন সংস্করণগুলো ব্যবহার করলে এদের মাধ্যমে আক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। কোনো সিস্টেম ইনস্টল করার সময় অপ্রয়োজনীয় অপশন ডিজএবল করে রাখা ভালো। ই-মেইলের মাধ্যমে হ্যাকিং আশঙ্কা অনেক বেশি। ইমেইল ফিল্টারিং সার্ভিস ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা যায়। অ্যাডওয়্যার, স্প্যাম ও স্পাইওয়্যার নিয়মিত দূর না করলে হ্যাংকিংয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কাজের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার পাওয়া যায়। অ্যাডওয়্যার থেকে বাঁচার জন্য অ্যাডওয়্যার৬ ডাইনলোড করা যাবে http://www.lavasoftusa.com থেকে। স্প্যামঅ্যারেস্ট নামে সফটওয়্যারটির ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড করা যাবে http://new.spamarrest.com সাইটটি থেকে। স্পাইওয়্যার দূর করার জন্য স্পাইবট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে http://security kolla.de থেকে। কোনো অনলাইন অ্যাকউন্ট থেকে বের হয়ে আসার সময় খেয়াল রাখতে হবে ঠিকমতো লগ বা সাইন আউট হয়েছে কি না। এ ক্ষেত্রে অসতর্কতা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। হ্যাকারদের ভয়ে ডেটা বা তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে আজকাল সবাই চিন্তিত। যত নতুন সিস্টেম আসছে হ্যাকাররা তার দুর্বলতা বের করে

মুহাম্মাদ শাহিদ শিলন রেহমান

Tuesday, September 2, 2014

নাক দেখে যায় চেনা

0 comments
লোকটি মানুষ হিসেবে কেমন হবে তা তার নাক দেখে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। মানুষের নাক দিয়েও লোক চেনা যায়, বিশেষত নারীদের। নারীদের স্বভাব ও ব্যক্তিত্ব তাঁর নাক দেখেই জানা যায়। এমনটাই বলা হয়েছে সমুদ্রশাস্ত্রে।
কেমন নাকের মানুষ কেমন হয়, দেখা যাক সমুদ্রশাস্ত্রে কী বলা আছে। ব্যবহার কুশল এবং ভালো মনের মানুষ হন যাঁদের নাক সোজা এবং লম্বা। যাঁদের নাক টিয়া পাখির মতো নীচের দিকে ঝুঁকে থাকে, তাঁরা বুদ্ধিমান এবং ভাগ্যবান হন। এমন ব্যক্তি নিজের যোগ্যতা এবং জ্ঞান অনুযায়ী জীবনের সমস্ত সুখ লাভ করেন।

যাঁদের নাক লম্বা এবং মোটা, তাঁদের মধ্যে কাম-ভাবনা প্রবল। এঁরা খুব বিলাসী। কিন্তু যে মহিলার নাক ছোট এবং সামনের দিকে মোটা, তাঁরা খুব রোম্যান্টিক হন। এঁরা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের পরিবর্তে লাভ ম্যারেজ করে থাকেন।

আবার সমুদ্রশাস্ত্রে এ-ও বলা হয়েছে, যে স্ত্রীর নাক লম্বা, তাঁরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। কিন্তু যে নারীর নাক ছোট, তাঁদের জীবন খুব কঠিন।

পুরুষদের মধ্যে তাঁরা খুব ভাগ্যবান হন, যাঁদের নাকের ছিদ্র ছোট।

পায়ের জ্বালায় অবহেলা নয়

0 comments
পায়ের পাতা দু’টি যেন মাঝেমধ্যে মরিচ লাগার মতো জ্বলে। কখনও সুঁচ ফোটার মতো বিঁধে। ঝিম ঝিম করে বা অবশও হয়ে যায়৷ প্রায়ই এই ধরনের অনুভূতির কথা শোনা যায় রোগীদের মুখে। এ এক বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এমনটা ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি’।

নিউরোপ্যাথির একটি বড় কারণ হল, অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে পায়ের স্নায়ুগুলোকে ধ্বংস করে এই ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে। কিডনি ও থাইরয়েড সমস্যায়, ভিটামিন বি ১২ ও বি ১-এর অভাব, মদ্যপান, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস ইত্যাদি রোগেও পায়ের স্নায়ুতে সমস্যা হয়। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় পায়ে জ্বালা-পোড়া হতে পারে৷

তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, যক্ষ্মা রোগে ব্যবহৃত আইসোনিয়াজিড, হৃদরোগে ব্যবহৃত এমিওড্যারোন, কেমোথেরাপি প্রভৃতি৷ তবে, সব সময় পায়ে যন্ত্রণা বা জ্বালা-পোড়া মানেই যে স্নায়ুতে সমস্যা, তা নয়। আরও কিছু কারণে এই ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ, পায়ে রক্ত চলাচলে সমস্যা, মহিলাদের মেনোপোজের পর, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ।
কী করবেন?

জ্বালা-পোড়া হঠাৎ শুরু হয়ে খারাপের দিকেই যাচ্ছে বা এর সঙ্গে পায়ের আঙুল বা পাতায় অনুভূতি কমে যাচ্ছে, অবশ মনে হচ্ছে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে অবহেলা করবেন না। আপনার পায়ের স্নায়ু ঠিক আছে কি না, তা বোঝার জন্য অনেক সময় কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষারও প্রয়োজন নেই।

চিকিৎসক একটি আলপিন বা একটি টিউনিং ফর্ক ব্যবহার করেই পায়ের অনুভূতিগুলো যাচাই করে নিতে পারবেন।

ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, পায়ের যত্ন নিতে শিখুন। যাদের পায়ের স্নায়ু সমস্যা আছে, তারা পায়ের যেকোনও ক্ষতের দ্রুত চিকিৎসা করুন। পায়ে গরম সেঁক নিতে, নখ কাটতে, জুতা বাছাই করতে সাবধান হোন। পায়ের সমস্যার জন্য সব সময় যে ভিটামিনের অভাবই দায়ী, তা কিন্তু নয়।

তাই সব ধরনের সমস্যায় ভিটামিন-বি খেয়ে উপকার পাওয়া যাবে না। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো নিয়মিত খেতে পারেন৷