Friday, August 12, 2016

তিন গম্বুজ শাহী মসজিদ, রাজশাহী

0 comments
রাজশাহী শহরের কোলাহল ঠেলে চলে যেতে হবে উত্তরের দিশায়। ১৫ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বাগধানী কাচারীপাড়া। আর সেখানেই রয়েছে ২২৩ বছর পুরোনো তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ। এখন পর্যন্ত রাজশাহী জেলার যে ক’টি প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি।


মসজিদের একপাশ দিয়ে চলে গেছে সবুজ বেষ্টনীর রাজশাহী-তানোর সড়ক। অন্যপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বারনই নদী। উন্নত যোগাযোগের জন্য এর উপর দিয়ে সংযোগ সেতুও নির্মিত হয়েছে। এমন সতেজ-শ্যামল প্রান্তরে প্রাচীন আমলের দৃষ্টি নন্দন তিন গম্বুজ মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে।

ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির দৃষ্টিনন্দন নির্মাণ শৈলী যে কোনো পর্যটককে বিমোহিত করবে। মসজিদটির ভেতরে ঢুকতেই সদর দরজার শিলা লিপিতে চোখে পড়বে ফার্সি হরফের লেখা। যেখানে কালো অক্ষরে লেখা আছে মুন্সি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ বাংলা ১২শ’ সালে এ মসজিদটি নির্মাণ করেছেন।

যারা নান্দনিক সৌন্দর্যের খোঁজে দেশের আনাচে-কানাচে চষে বেড়ান, তাদের পিপাসা মেটাবে এই মসজিদ। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ৪০ ফুট। আয়তন হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট।

মসজিদটির চার কোনায় নকশা খচিত গম্বুজ আকৃতির মনোরম পিলার রয়েছে। মসজিদটিতে তিনটি মেহেরাব, তিনটি দরজা, দু’টি জানালা ও একটি মিনার রয়েছে। এছাড়াও মসজিদের চারপাশের দেয়ালের বাইরে ও ভেতরে চিনামাটি খচিত নকশা রয়েছে। যা এক পলকেই ভালো লাগবে পর্যটকদের।

একটা সময় ছিল যখন বারনই নদীই একমাত্র পথ ছিল বাগধানী গ্রামের। তখন এই মসজিদের পাশে ঘাট ছিল। নদী তীরের এই ঘাট ঘেঁষে সপ্তাহে দু’দিন করে হাটও বসতো। এটাই ছিল পবার সবচেয়ে পুরোনো হাট। এখন সেই জমজমাট অবস্থা নেই। তবে শুক্র ও মঙ্গলবার এখনও হাট বসে সেখানে।

0 comments:

Post a Comment