প্রাচীন পৃথিবীর গোষ্ঠী বা জাতিগুলোর মধ্যে ফিনিশীয় জাতি বলে এক গোষ্ঠীর কথা প্রায়ই শোনা যায়। যদিও তারা সংখ্যায় বেশি ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগরের তীরে 'তির' নামে একটি সমৃদ্ধ নগরী গড়ে তুলেছিল তারা। ফিনিশীয়রা ব্যবসা-বাণিজ্যে পারদর্শী ছিল। এছাড়াও তারা দক্ষ নাবিক ও ভালো জাহাজ নির্মাতা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছিল। ফিনিশীয়রাই প্রথম সওদাগরি শুরু করে। মধ্যপ্রাচ্যে জিনিসপত্রের বিনিময়ে তারা স্থানীয় জিনিসপত্র কিনত। ফিনিশীয়দের বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ ছিল দাস কেনাবেচা। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কৃষি, পশুপালন ও হস্তশিল্প বিকশিত হয়ে ওঠায় তারা বাণিজ্যিক লেনদেনও শুরু করে।
বর্তমান পৃথিবীর জন্য ফিনিশীয়দের বেশকিছু অবদান রয়েছে, যা আজো আমাদের অবাক করে। ফিনিশীয়রাই প্রথম বর্ণমালা আবিষ্কার করেছিল। তাদের ভাষায় বর্ণমালা ছিল মোট ২২টি। যে বর্ণমালা থেকে পরবর্তীতে ইংরেজি বর্ণমালা তৈরি হয়েছে। এর আগে ছবি এঁকে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করত। অবশ্য ফিনিশীয়রা যেসব অক্ষর বা বর্ণ ব্যবহার করত আমরা এখন তা ব্যবহার করি না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাদের কিছু কিছু অক্ষর আজ তিন হাজার বছর পরও প্রায় ইংরেজি অক্ষরের মতো। ফিনিশীয়রা ঈশ্বরে বিশ্বাস করত না। তারা সূর্যের দেবতাকে বিশ্বাস করত। ফে-ফি-ফো-ফোম নামক এক মূর্তি ছিল। আর এ মূর্তির উদ্দেশ্যে ফিনিশীয়রা জীবন্ত শিশু বলি দিত। ফিনিশীয়রা ছিল হিসাবি ও ব্যবসায়ী জাতি। তারা শুধু অর্থ ও সম্পদ নিয়েই ভাবত। তারা সুন্দর সুন্দর কাপড়, মাটির পাত্র, সোনা, রুপা ও হাতির দাঁতের জিনিসপত্র বানাতে জানত। তারা এগুলো তৈরি করে কাছে ও দূরের দেশে বিক্রি করত। তির ও মিডন ফিনিশীয়ার দুটি প্রধান শহর ছিল। আর এ শহর দুটো খুব জমজমাট ও কর্মব্যস্ত শহর ছিল। ফিনিশীয়রা জাহাজে করে ভূমধ্যসাগরের সর্বত্র বিচরণ করত। এমনকি সাগর ছেড়ে মহাসাগরেও চলে আসত তারা। সমুদ্রপথে তারা কোনো ভয় করত না। আর তাই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা সেরা নাবিক ও সেরা বণিক হয়ে উঠেছিল? ফিনিশীয়রা যেখানেই জাহাজ ভিড়াত সেখানেই নতুন নতুন শহর গড়ে তুলত। সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে বাণিজ্য করত। স্থানীয় অধিবাসীরা ছিল সরল ও বোকা। তাদের কাছ থেকে সামান্য কাচের মালা বা এক টুকরা রঙিন কাপড়ের পরিবর্তে ফিনিশীয়রা পেত মূল্যবান সোনা, রুপা ও অন্যান্য জিনিস। আফ্রিকার উপকূলে ফিনিশীয়দের প্রতিষ্ঠিত শহরের মধ্যে একটি শহরের নাম কার্থেজ। পুরনো ইতিহাসের পাতায় বার বার এ শহরের লোকদের কথা আসবে। ফিনিশীয়রা বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল বলেই জাতি হিসেবে তারা বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু তারা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে বহুদূর।
প্রীতম সাহা সুদীপ
Very nice picture of you and your blog as a whole is regarded as a nice and readable. Come take a look Teuvo images www.ttvehkalahti.blogspot.com blog and tell your friends Teuvo pictures blog. Very good and pleasant autumn scenic roads. Teuvo Vehkalahti Suomi Finland
ReplyDelete