পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য ও আধুনিক স্থাপত্য কারুকাজ এই কুয়েত টাওয়ার, অসাধারণ মনোরম এক সৌন্দর্যের প্রতীক এই কুয়েত টাওযার। এটি পারস্য উপসাগরের একেবারে তীর ঘেঁষে কুয়েত সিটি অঞ্চলের শার্ক নামক স্থানে অবস্থিত, এই কুয়েত টাওয়ারটি তিনটি আলাদা টাওয়ারের সন্নিবেশ ও সম্ন্বয় গঠিত।
১) ১ম ও মুল টাওয়ারটির উচ্চতা ১৮৭ মিটার, এই মুল টাওয়াটির উপর দুইটি বল আকৃতি গোলক স্থাপন করা হযেছে। এটি সর্বোচ্চ লম্বা আর উচু।
২) ২য় টাওয়াটি প্রথম টাওয়ারটির টিক পার্শ্বে অবস্থিত, এটির উচ্চতা ১৪৭ মিটার, এই ২য় টাওয়ারটি উপরেও বল আকৃতি একটি গোলক স্থাপন করা হয়েছে।
৩) ৩য় টাওয়াটি, ১ম ও ২য় টাওয়ারের পার্শ্বে অবস্থিত, এটি সরু ও লম্বা, এটি নিচের দিকে মোটা ও উপরের দিকে সুচের মত সুচালো ও চিকন।
এই কুয়েত টাওয়ারটির নিমার্ণ কাজ ১৯৭১ সালে শুরু হয়, এবং ১৯৭৬ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়, ১৯৭৭ সালের ২৬ শে ফেব্র“য়ারী কুয়েত স্বাধীনতা দিবসের দিন এই কুয়েত টাওয়ারটি আনুষ্টানিক ভাবে উদ্ধোধন করা হয়, এটি নির্মাণে সেই সময় মোট ব্যায় হয় ৪৭০০০০০ কুয়েতি দিনার বা ১৬৪৫০০০০ ইউ,এস ডলার, যা বর্তমানে বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে দাড়ায় প্রায একশত পচিশ কোটি টাকা।
প্রথম ও মুল টাওয়াটি উপরে যে দুটি বল আকৃতির গোলক রযেছে, তার মধ্যে বড় গোলকটির ভিতরে পর্যটকের প্রবেশের জন্য লিপ্ট ব্যাবস্থা আছে, ঐ গোলকের ভিতরে একটি রেষ্টুরেন্ট ও অভ্যর্থনা হল রয়েছে, ঐ গোরকের ভিতরে এক সাথে ৯০ জন মানুষ এক সাথে অবস্থান করতে পারেন, ঐ গোলকটির মানুষের অবস্থানটি একটি ঢালার ন্যায় সারাক্ষণ ঘুর্ন অবস্থায় থাকে, প্রতি ৩০ টিনিটে ঐ গোলক ঢালাটি একবার ঘুর্ণপাক খায়।
২য় মিনার বা টওয়াটি প্রথম টাওয়ারের বিদ্যুত ও লাইটিং কন্ট্রোল হিসাবে ব্যাবহার করা হয়, ২য় টাওয়াটি হতে প্রথম টাওয়ারের দিকে আলোক রশ্মি বিচ্ছুরণ করা হয়, এক এক সময় এক এক রংয়ের টাইটিং রশ্মি বিচ্ছুর করা হয় প্রথম টাওয়ারের গায়ের দিকে, তায় রাতের বেলায় এক এক সময় এক এক ভিন্ন রং ধারণ করে এই কুয়েত টাওয়াটি।
৩য় টাওয়াটি বিদ্যুত কন্ট্রোল টাওয়ার হিসাবে ব্যাবহার করা হয়, ইউপিএস, জেনারেটর, পানির পাম্প,সহ যাবতীয় ইকুইপমেন্ট যন্ত্রপাতি ইথ্যাদি ষ্টোরেজ হিসাবে ব্যাবহার করা হয়, ২য় ও ৩য় টাওয়ারের ভিতরে মানুষের প্রবেশ সুবিধা নেই।
এই কুয়েত টাওয়াটি ১৯৯১ সালে ইরাক আক্রমণের শিকার হয়, ১৯৯১ সালের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ টাওয়াটি গত ২০১২ সালে পুর্ণ নির্মাণ ও মেরামতের কাজ সম্পর্ণ হয়,এই কুয়েত টাওয়াটি নাকশা ডিজাইন করেন সুইডিশ আর্কিটেকচার, তার নাম - (মালিনী বেজরণ) এই টাওয়াটির নির্মাণ কাজ , নির্মাণ কৌশল ও যাবতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের দায়িত্বে ছিলেন একটি সুইডিশ নির্মান কোম্মানি। এই টাওয়ারের ডিজাইন নকশা পচন্দ করেন কুয়েতের তৎকালীন কুয়েত কিং-৩ (জাবের আল আহম্মদ আল জাবের আল সাবাহ)



Important Knowledge.... thanks
ReplyDelete