লিখেছেন: উজ্জল
রিকশার দেশ ভারত ও বাংলাদেশ। রিকশার কথা এলেই মনে পড়ে এই দুটি দেশের কথা। এ ছাড়া কমবেশি রিকশা চালানো হয় আরও বেশ কয়েকটি দেশে। আধুনিক প্রযুক্তির দেশ ব্রিটেনেও চোখে পড়ছে মনুষ্যচালিত এ যান। সে দেশের অনেক রাস্তায় এখন নিয়মিত রমরম করে চলছে রিকশা। দেশটির উপকূলবর্তী শহরগুলোয় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ যান।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ব্রাইটন, ওরসেস্টারশায়ার ও লিসেস্টারে রিকশা জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠছে। বেকার যুবকদের দুঃখ লাঘব করছে এ যান। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরি হারিয়ে সেখানকার অনেকেই রিকশার দ্বারস্থ হয়েছে। এতে উপার্জনও নেহাত কম নয়। তাই যুবকদের কাছে কর্মসংস্থানের একটি উৎস হয়ে উঠছে এ যান।
পূর্ব ইংল্যান্ডের উপকূলীয় শহর গ্রেট ইয়ারমাউথে ইতিমধ্যে রিকশা চালু হয়ে গেছে। সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন লন্ডনের বাসিন্দা কিল হিয়ারনি। কী আর উপায়? গ্রেট ইয়ারমাউথে গিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেছেন তিনি। উপার্জন ভালো দেখে তিনি এখন একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে রিকশার ব্যবসা করতে চান। প্রতিষ্ঠানের নামও ঠিক করেছেন ২৩ বছর বয়সী হিয়ারনি। এর নাম ‘পেডাল পডস’ দিয়েছেন তিনি।
ব্রিটেনে পর্যটকদের কাছে তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় রিকশা। তাই হিয়ারনি কেবল গ্রেট ইয়ারমাউথে নয়, শহরজুড়েই রিকশা চালানোর পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু এ জন্য তাঁকে ট্যাক্সিচালকদের মতো লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য বসতে হবে পরীক্ষায়। এতে সাফল্য পেলে আরও একটি রিকশা নিতে চান তিনি। তার পর শুরু করতে চান পুরোদমে ব্যবসা।

No comments:
Post a Comment