বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে কলকাতার বেকার হোস্টেলে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। হোস্টেলের প্রবেশপথে বসানো হচ্ছে এই হোস্টেলের এক সময়ের আবাসিক ছাত্র শেখ মুজিবের স্মৃতিফলকও। তাতে লেখা থাকবে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, প্রাণ পুরুষের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কর্মকাণ্ড।
আজ ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের শোকের দিন, জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশের মত কলকাতায়ও উপ-দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে শোকসভা, আলোচনা চক্র। রবিবার সকালে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে শেখ মুজিবের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর আলোচনা সভা। বেকার হোস্টেলে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করবেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, মওলানা আজাদ কলেজ কর্তৃপক্ষসহ অন্যরা।
১৯৪৫ সালে অবিভক্ত বাংলার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে কলকাতায় পড়তে যান শেখ মুজিবুর রহমান। ভর্তি হন ইসলামিয়া কলেজে (এখন মওলানা আজাদ কলেজ)। দুই বছর পড়াশোনা করেন এখানে। ১৯৪৬ সালে তিনি কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্র জীবনে কলকাতায় বসবাসকালে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ। অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী এই কক্ষ দুইটি। প্রয়াত ছাত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে আগেই হোস্টেলের কক্ষ দুইটি শেখ মুজিব স্মৃতিকক্ষ হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। চালু করা হচ্ছে গ্রন্থাগার ও মিউজিয়াম। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে হোস্টেলের তিনতলার বারান্দায় ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ দুইটির সামনে স্থাপন করা হয়েছে কলকাতার শিল্পীর তৈরি শেখ মুজিবের আবক্ষ ভাস্কর্য।
মার্কানা মার্বেলের ভাস্কর্য তৈরির কাজ শেষ। তৈরি করেছেন রবীন্দ্রভারতীর এক প্রাক্তন ছাত্র। হোস্টেলের বারান্দায় ভাস্কর্য বসানো হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ পর্বের তুলির টান। আর অপেক্ষা উদ্বোধনের। সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে তিনতলার বারান্দা। চলছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিফলক তৈরির কাজও। ভারত এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হবে।
০০ তারিক হাসান, কলকাতা থেকে
No comments:
Post a Comment