Sunday, June 13, 2010

চানখারপুল সিটি করপোরেশন মার্কেট

                                                                      ০০ এইচ করিম ০০
চাঁনখারপুলে একতলা ডিসিসি’র মার্কেটটি ১৩০টি দোকান নিয়ে গড়ে উঠেছে। ২০০৩ সালে ডিসিসি মার্কেটটি প্রতিষ্ঠা করে। ডিসিসি ২০০৩ সালে মার্কেট নির্মাণ করার পর এখানে এলোটি আসতে দেরি হওয়ায় প্রতিটি দোকানের সাটার ছিল অরক্ষিত। এই খোলা ঘরের ভিতরে সে সময়ে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য ছিল। দিনে-দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত। সন্ধ্যার পর সাধারণ লোকজন চলাচল করতে ভয় পেত। তখন এখানে হিরোইনসেবীদের উৎপাতে এলাকায় মানুষ ঠিকমতো চলাচল করতে পারত না। ডিসিসি আস্তে আস্তে দোকান এলোটিদের দোকান বুঝিয়ে দেয়ার পর ক্রমান্বয়ে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান হিসেবে রূপ লাভ করতে থাকে। তবে এখনও যে, মাদকসেবীদের উৎপাত নেই তা অবশ্য বলা যাবে না; তবে পরিমাণে কিছুটা কম। এ ব্যাপারে কথা হয় চাঁনখারপুল সিটি করপোরেশন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বশনের সাথে। তিনি জানান, মার্কেট যখন বন্ধ ছিল চালু হয়নি, তখন হিরোইনসেবীরা এখানে বেশ আড্ডা দিত। ছিনতাই অহরহ ঘটত। মার্কেট চালু হবার পর এখন আর তারা নেই। দোকানদাররা শান্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। তবে আমাদের কিছু সমস্যা নিয়ে চলতে হচ্ছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য- এখানকার দোকানদারদের কাছ থেকে ডিসিসি কর্তৃক যে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ছিল। এই ভাড়াকে সহনীয় পর্যায়ে আনার ব্যাপারে ডিসিসির প্রতি আবেদন জানান। তিনি বলেন, যেহেতু এখানে রাতে ও দিনে মালামাল ওঠা-নামা করে ডিসিসি কর্তৃক সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ঝুঁকির মধ্যে মালামাল ওঠা-নামা করছে। এখানে সিকিউরিটির ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ডিসিসির প্রতি আবেদন জানান। তিনি বলেন, এখানে যারা ব্যবসা করছে সবাই নিজস্ব এবং অল্প পুঁজির ব্যবসায়ী। এদের নিরাপত্তা বিধানে ডিসিসি সচেষ্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, মার্কেট অবকাঠামো তৈরির পর থেকে ডিসিসি আর কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। বছরে এই মার্কেট থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে অথচ এই মার্কেটের দিকে ডিসিসির কোনো নজর নেই। এখানে রাতে ডিসিসির কোনো সিকিউরিটির ব্যবস্থা নেই। ব্যবসায়ীদের নিজস্ব লোক দিয়ে সিকিউরিটির ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। তাও অপ্রতুল।

No comments:

Post a Comment