ইরানের বহুমুখী প্রতিভা খাজা নাসিরউদ্দিন তুসির মানমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন। আর এটি পাওয়া গেছে আলামুত দুর্গে। ইরানের প্রত্নতাত্তি্বক দল ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি স্থাপনা উদ্ধার করেছে। ১৩ দশকে খাজা নাসিরউদ্দিন তুসির মানমন্দির হিসেবে এ স্থাপনা ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হচ্ছে। আলামুত গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হামিদা চৌবাক বলেন, দিন শেষে দক্ষিণ-পূর্বাকাশে তারা ফুটে ওঠে এবং সেদিকে মুখ করে তিনটি গবাক্ষ এখানে পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, চারপাশে নজরদারির জন্য যে এসব গবাক্ষ ব্যবহার হতো না সে বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আলামুত দুর্গের এ উচ্চতা যে আকাশ পর্যবেক্ষণ করার উপযুক্ত স্থান তাতে সন্দেহ নেই। এছাড়া তিনি আরও বলেন, আলামুত দুর্গের কাঠামো দেখে মনে হয় এখানে অনায়াসে জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক তৎপরতা চালানো যেত। খাজা নাসিরউদ্দিন তুসি দীর্ঘকাল আলামুত দুর্গে বসবাস করেছেন। এছাড়া এখান থেকে আগে জ্যোতির্বিদ্যার কাজে ব্যবহৃত নানা যন্ত্র পাওয়া গেছে। তাতে মনে হয়, এখানে তিনি একটি মানমন্দির তৈরি করেছিলেন। পূর্ব আজারবাইন প্রদেশের মারাগেহ নগরে আবিষ্কৃত এই মানমন্দিরটি ৮০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। এ মানমন্দির দুরবিন আবিষ্কারের আগেই নির্মিত। পরবর্তীতে সমরখন্দসহ অনেক স্থানেই অনুরূপ মানমন্দির নির্মাণ করা হয়। ইরানের দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ খাজা নাসিরউদ্দিন তুসি আরবি ও ফার্সি ভাষায় জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, জীববিদ্যা ও গণিতসহ নানা বিষয়ে প্রায় দেড়শ বই রচনা করেন।
-মেহেদী হাসান বাবু

No comments:
Post a Comment