পার্বতীপুর উপজেলা শহর থেকে ৮ কি.মি দক্ষিণে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ি রাস্তার পাশে হাবড়ায় প্রাচীন আমলের ধ্বংসপ্রাপ্ত বেশকিছু দালানকোঠা, বৃক্ষরাজি চোখে পড়ে। এসব হাবড়ার প্রাচীন আমলের কীর্তি। সম্ভবত ১২২১ বঙ্গাব্দে অর্ধ বঙ্গেশ্বরী নামে খ্যাত রানী রাশমনি এখানে বিশাল জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন স্থানটি যথেষ্ট চাকচিক্য ও জাঁকজমক ছিল। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রূপলাবণ্য হারিয়ে হাবড়ার আজ মলিন ও শ্রীহীন অবস্থা। বর্তমানে এখানে সপ্তাহে দু'টি হাট বসে। রাস্তা পাকা হওয়ায় যোগাযোগ সহজ হয়েছে। বর্তমানে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ক্ষুদ্র একটি ইউনিয়ন হলেও ১৮০০ ইংরেজি সালের দিকে হাবড়া থানার প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টার ছিল।
মন্টোগোমারি মার্টিনের ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (প্রকাশকাল, লন্ডন ১৮৩৬) গ্রন্থের বিবরণ, কবি জামাল উদ্দিনের প্রেমরত্ন কাব্য (১২৩০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত) সর্বোপরি পুরনো দলিল দস্তাবেজে হাবড়া থানার পরিচয় মেলে। এখানে ৮/১০ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে স্তূপ ও প্রাচীন ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টিগোচর হয়। তবে তা থানা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের নয়। তার ইতিহাস অতি প্রাচীন।
-মঞ্জুরুল হক, পার্বতীপুর; দিনাজপুর

No comments:
Post a Comment