এক অপার বিস্ময়ের নাম 'ক্রপসার্কেল'। বিস্তীর্ণ শস্যভূমিতে সৃষ্ট এক ধরনের জটিল জ্যামিতিক চিত্রই হলো 'ক্রপসার্কেল' বা 'শস্যবৃত্ত'। এটা পৃথিবীর কোনো মানুষের তৈরি হতে পারে আবার সেটা বহির্জাগতিক কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর সৃষ্টিও হতে পারে। ক্রপসার্কেলের আকার-আকৃতি মোটেও সাধারন নয়। এটি কেবল জটিলই নয় রীতিমতো মহাজটিল। আর তার চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো বিজ্ঞানীদের মতে এ ধরনের ক্রপসার্কেল মানুষের পক্ষে তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। যদিও কেউ কেউ এসব ক্রপসার্কেল দেখে মাথা খাটিয়ে কিছু ক্রপসার্কেল তৈরি করেছেন, কিন্তু সেসব ক্রপসার্কেল আগের সৃষ্ট ক্রপসার্কেলগুলোর ধারে-কাছেও যেতে পারেনি। আর এর মূল কারণ হলো_ এর জটিল জ্যামিতিক প্যাটার্ন এবং খুব ভালো গাণিতিক জ্ঞানের প্রয়োগ। এ ধরনের ক্রপসার্কেল তৈরি করতে হলে একজন মানুষকে গণিত এবং জ্যামিতি সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। সে ১৯৮০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার শস্যবৃত্ত। যেগুলোর প্রতিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে জটিল সব জ্যামিতিক হিসাব-নিকাশ। প্রায় প্রতিবছরই আবিস্কার হচ্ছে নিত্যনতুন সব ক্রপসার্কেল এবং এগুলো আগের তুলনায় আরও বেশি জটিল হচ্ছে। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের এক শস্যবৃত্তে এক এলিয়েনের (বহির্জাগতিক বুদ্ধিমান প্রাণী) মুখচ্ছবি এবং তার হাতে ধরে রাখা একটি গোলক দেখা গিয়েছিল। পৃথিবীব্যাপী ক্রপসার্কেল আজও এক অনন্ত বিস্ময়ের নাম।
-মেহেদী হাসান বাবু

No comments:
Post a Comment