বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়া যায় না। এর পাশাপাশি জানতে হয় কিছু আদব-কায়দা ও আচার-ব্যবহার। কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক পরিমণ্ডলে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় সুচারুরূপে। রেস্টুরেন্ট ম্যানার্স এরকম একটি বিষয়। রেস্টুরেন্টে আচার-ব্যবহার কি রকম হবে তা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
পোশাক-আশাক : কি ধরনের রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কি পরবেন। যদি কোনো হোটেল প্লাস রেস্টুরেন্টে যান, তাহলে ওয়েল ড্রেস হয়ে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয়। সে ক্ষেত্রে পার্টি ড্রেস হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। সঙ্গে মানানসই জুতা আর টাই আপনার লুককে কমপ্লিট করবে। পাশাপাশি ছেলেরা ফর্মাল কর্পোরেট ড্রেস পরতে পারেন। মেয়েরা ওপেন জুতা না পরে ক্লোজড জুতা পরুন।
এমনিতেই রেস্টুরেন্টের জন্য ক্যাজুয়াল ড্রেস আদর্শ। জিন্স, ট্রাউজারের সঙ্গে শর্ট বা টপ, এমনকি শর্ট ড্রেসে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। অ্যাক্সেসরিজ যত কম থাকে ততই ভালো। মেক-আপেও ন্যাচারাল লুক মেনটেইন করুন। ছেলেরা ডেনিম, টি-শার্ট এবং পায়ে কিটোজ বা স্লিকার্স পরতে পারেন। হাতে বড় ডায়ালের ঘড়ি বা স্পোর্টস ওয়াচ ভালো মানাবে।
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন সময় রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন, সেটা মাথায় রাখা জরুরি। যদি ছুটির দিন হয় আর আপনি রিল্যাক্স মুডে থাকেন তা হলে যে পোশাকে আপনি নিজেকে আরামদায়ক মনে করবেন সে পোশাকই বেছে নিন।
মেয়েদের ক্ষেত্রে হালকা সুতির চুড়িদার সালোয়ার-কামিজ হতে পারে প্রথম পছন্দ। সাদা বা প্যাস্টেল শেডের পোশাক এ ক্ষেত্রে একেবারে পারফেক্ট। খোলা চুল বা উঁচু পনিটেল আর চোখে সানগ্লাস আপনার লুককে আরও ডিফাইন করবে।
অনেক রেস্টুরেন্টে একই সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়_ তা সে জন্মদিনের পার্টি হোক বা বিবাহবার্ষিকীর সেলিব্রেশন। চেষ্টা করবেন মানানসই পোশাক পরতে। যাতে অন্য কেউ কটূক্তি করতে না পারে। অনুষ্ঠানে যদি কোনো ড্রেস কোড থাকে, তাহলে তা মেলে চলুন। না হলে অনুষ্ঠানের উপলক্ষ্য বুঝে পোশাক বেছে নিন। মেয়েরা ওয়েস্টার্ন না পরে বাঙালি পোশাক ট্রাই করতে পারেন।
আচার ব্যবহার : রেস্টুরেন্টে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। হতে পারে আপনি অনেকের সঙ্গে এনজয় করতে এসেছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই হাসিঠাট্টা হবেই, কিন্তু কোনোকিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। মনে রাখবেন আপনি ছাড়াও অনেকেই সেখানে উপস্থিত আছেন। তারা আপনার ব্যবহারে বিরক্ত হতে পারেন।
ওয়েটারদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, তারা আপনাকে খাবার সার্ভ করার মতো জরুরি কাজ করেন। ফলে তাদের কোনোভাবেই অসম্মান করবেন না।
কোনো কারণে টেবিল ছেড়ে উঠতে হলে বা বাথরুমে যেতে হলে নিজেকে এক্সকিউজ করে তারপর উঠুন। স্মোকিং জোন না হলে ধূমপান করবেন না।
ইটিং এটিকেট : খাবার দিতে দেরি হলে চেঁচামেচি করবেন না। ওয়েটারকে ডেকে কারণ জিজ্ঞাসা করুন। খাবার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামলে পড়বেন না। সবার সঙ্গে খাওয়া শুরু করুন।
খেতে শব্দ করবেন না। মুখে খাবার নিয়ে কথা বলবেন না। একবারে পরিমাণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। মুখ বন্ধ করে খাবার চাবাবেন।
খাবার যতই ভালো লাগুক, টেবিলে বসে আঙ্গুল চাটবেন না। চেষ্টা করবেন জোরে ঢেঁকুর না তুলতে। টেবিলে টুথপিক ব্যবহার না করাই ভালো। দাঁতে যদি কিছু আঁটকে যায়, বাথরুমে গিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন।

No comments:
Post a Comment