মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সাধারণ ভোটাররা। কিন্তু তাদের
সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন না প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাধারণ
ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে। জনসংখ্যার
ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট রয়েছে
৫৩৮টি। যে রাজ্যে যে প্রার্থী সাধারণ ভোটে জয়ী হন, তিনি সেই রাজ্যের সব কটি
ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পান। এ প্রক্রিয়ায় যে প্রার্থী অন্তত ২৭০টি
ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পান তিনিই নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন। সাধারণ
ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিলেও তাদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন
না প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে। তবে
এটি কোনো লেখাপড়ার কলেজ নয়, নেই কোনো ছাত্র বা শিক্ষকও।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্টসংখ্যক
নির্বাচকমণ্ডলী বা ইলেকটোরাল কলেজ থাকে। যেমন ক্যালিফোর্নিয়াতে জনসংখ্যা
সবচেয়ে বেশি, তাই ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যাও সর্বাধিক, ৫৫টি। অন্যদিকে,
ভারমন্ট, আলাস্কা, নর্থ ও সাউথ ড্যাকোটায় জনসংখ্যা কম বলে ইলেকটোরাল কলেজের
সংখ্যা মাত্র তিন। বিজয়ী সব পাবেন নীতি অনুযায়ী_ যে প্রার্থী যে রাজ্যে
সাধারণ ভোট বেশি পাবেন তিনি সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোটই পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের এই ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৩৮টি। একজন
প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হলে পেতে হবে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। কাজেই
প্রচারণার ক্ষেত্রে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট বেশি আছে, এমন রাজ্যই প্রার্থীদের
কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
রাজ্যে রাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য জয়পরাজয় জনমত জরিপ
অনুযায়ী- বারাক ওবামা এ পর্যন্ত ২৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে পারেন, রমনির
ভাগে রয়েছে ২০৬টি। দোদুল্যমান আটটি রাজ্যে রয়েছে বাকি ৯৫টি ভোট। এগুলো হলো
কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ভার্জিনিয়া, উইসকনসিন
এবং ওহাইও। তাই ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে শেষ মুহূর্তে দুই
প্রতিদ্বন্দ্বীরই সবটুকু নজর এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে।
* রকমারি ডেস্ক

No comments:
Post a Comment