লাখ লাখ বছর ধরে যে চূড়াটি মানুষের কাছে রহস্যময়তার স্বাক্ষর বহন করে চলেছে তার নাম অ্যাডাম পিক্ বা আদম চূড়া। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের শ্রীপাডা নামক প্রদেশে এই চূড়াটি অবস্থিত ।
খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম_ এই চার ধর্মের অনুসারীদের কাছে অতি পবিত্র এই চূড়াটি ।এই চূড়াতেই মানুষের আদি পিতা হজরত আদম (আ.) বেহেশত থেকে সরাসরি পতিত হয়েছিলেন।সেই থেকে শুরু আজ অবধি শ্রীলংকার,‘অ্যাডাম পিক’ তথা ‘আদমচূড়া’ মানুষের কাছে এক বিস্ময়! গভীর রহস্যময়!
এই চূড়ায় একটি পায়ের ছাপ আছে।বৌদ্ধ দের ধারনা পায়ের ছাপ টি বুদ্ধের। বৌদ্ধদের কাছে এই চূড়াটি তাদের অস্তিত্তের প্রতীক। হিন্দুদের ধারনা ছাপ টি শিবের। আর মুসলিম এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রা একে আদম (আঃ) এর পায়ের ছাপ বলে মনে করেন। আর সেই কারনেই এর নাম অ্যাডাম পিক।চূড়াটিতে যে পায়ের ছাপ আছে তার দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি।
লাখ লাখ বছর ধরে চলে আসা যে রহস্য ভেদ আজও মানুষ জানতে পারেনি তা হলো_ চূড়ার যে স্থানে আদম (আ.) এর পায়ের চিহ্ন সেই স্থানে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূর্যের আলো, আর মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মেঘের ঘনঘটা বা বৃষ্টি পড়ে না। এমন আরও অনেক রহস্য আছে এই চূড়াটিকে কেন্দ্র করে।সে রহস্যে মানুষ আজও বিস্মিত!
চূড়াটির চারদিকে সবুজের বিপুল সমারোহ, মাঝেমধ্যে পাহাড়ি উঁচু-নিচু টিলা। পাহাড়ি চূড়ার আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ছো্ট নদী ও পাহাড়ি ঝরনা।
যুগ যুগ ধরে শত শত পর্যটক পরিভ্রমণ করেছে চূড়াটিতে।
তবে এই চূড়াতে যাওয়া সহজ নয়। প্রথমে নৌকায়, এরপর উঁচু নিচু পাহাড় বেয়ে উঠা।
সেখান থেকে অনেক কষ্টের মাধ্যমে চূড়ায় উঠতে হয়। তবে এরই মধ্যে ঘটতে পারে নানা ধরনের বিপত্তি। সাপ, বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের কামড়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে অনেকের। অতি চমৎকার এই চূড়াটি বছরের পর বছর অবিকল রয়ে গেছে। এর সৌন্দর্য এতটুকু হ্রাস পায়নি। এ কারণে চূড়াটি বিশ্বের মানুষের কাছে পবিত্র বলে পরিচিত।
More Image in Wiki Media

Had Goutam visited towards South
ReplyDelete���� ever? Is it mentioned
in ancient history?