কুসুম্বা দীঘির পশ্চিম পাড়ে পাথরের ধূসর বর্ণের এই মসজিদ। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের শিলালিপি থেকে জানা যায়, সুলতান গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের শাসনামলে (১৫৫৪-৬০) সালে সুলায়মান মসজিদটি নির্মাণ করেন। গৌড়ীয় স্থাপত্যরীতিতে মসজিদটি নির্মিত। দৈর্র্ঘ্যে ৫৮ ফুট, প্রস্থে ৪২ ফুট। দুই সারিতে ছয়টি গোলাকার গম্বুজ। মসজিদের গায়ে লতাপাতার নকশা। অভ্যন্তরে কালো পাথরের তিনটি মিহরাব। মিহরাবে আঙুরগুচ্ছ ও লতার নকশা খোদিত। মসজিদের ছাদ চালা ঘরের মতো ঈষৎ ঢালু। নওগাঁর বালুডাংগা বাসস্ট্যান্ড থেকে কুসুম্বা মসজিদ ৩৮ কিলোমিটার। বাস ভাড়া ২৫ টাকা। সময় লাগে দেড় ঘণ্টা।
লেখা : ফরিদুল করিম ছবি : ফিরোজ চৌধুরী
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ। প্রায় সাড়ে ৫ শত বছরের পুরানো এই ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে প্রতিদিন এখানে আসে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। নওগাঁ সদর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দুরে মান্দা উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এখানে আসছে হাজার হাজার দর্শনার্থী। শুক্রবার দর্শনাথীদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়। দুর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন মানত দিতে আসা দর্শনার্থীরা চুলায় রান্না করে তবারক বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্থানটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তিত পুরাতন ৫ টাকার নোটে কুসুম্বা মসজিদের মেহরাবের ছবি এবং নতুন ৫ টাকার নোটে কুসুম্বা মসজিদের পুরো ছবি ছাপা হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবী ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী জামে মসজিদ চত্বরকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার। সচ্ছ সলিলা দীঘির পশ্চিম পাড়ে ধূসর বর্ণের পাথরের কুশম্বা মস্জিদ। কথিত আছে যে, দীঘির পানিতে পারদ মিশ্রিত থাকার কারনে কোন আগাছা জন্মে না। মসজিদের দু’টি শিলালিপি থেকে প্রমানিত হয় যে এই মসজিদ ১৫৫৮ সালে শের শাহের বংশধর আফগান সুলতান প্রথম গিয়াস উদ্দিন বহাদুর শাহের শাসনামলে নির্মিত।

No comments:
Post a Comment