লিখেছেনঃ কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান
কথা হচ্ছিল পেশাদার আর্ট থেরাপিস্ট রেচেলের সঙ্গে। ব্রিটেনের একটি ক্যানসার হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। ক্যানসার রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে পেইন্টিং সেশন করেন রেচেল। চিকিত্সার অংশ হিসেবে রোগীরা ছবি আঁকে। ছবি আঁকার অভিজ্ঞতা রোগীর জীবনীশক্তি বাড়ায়, রোগযন্ত্রণা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। কখনো বা রোগীদের জন্য মাল্টিমিডিয়ায় বিশ্বসেরা পেইন্টিংয়ের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রেচেল বলছিলেন, একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীও আর্ট থেরাপির মাধ্যমে একটি নান্দনিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
রেচেলের কথা শুনতে শুনতে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। রোগীর ন্যূনতম ওষুধ জোগাড় করতে যেখানে আমাদের হাসপাতালগুলোর নাভিশ্বাস উঠছে, সেখানে মৃত্যুকে নান্দনিক করার ভাবনা বিলাসিতা বলেই মনে হবে নিঃসন্দেহে। তবে পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত বহু দেশেই এখন চিকিৎসায় সংগীত, চিত্রকলাসহ অন্য শিল্পকলার ব্যবহার হচ্ছে। ব্যাপারটি যে খুব ব্যয়সাপেক্ষ তা নয়, প্রশ্ন চিকিত্সা পরিমণ্ডলে এর গ্রহণযোগ্যতার। ইউরোপ এবং আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপশাখা হিসেবে আর্ট এবং মিউজিক থেরাপিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। পাশের দেশ ভারতেও মিউজিক থেরাপির ওপর উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।
বিশেষভাবে সংগীত চিকিত্সার কথা উল্লেখ রয়েছে পৃথিবীর প্রাচীন নানা শাস্ত্রে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে সংগীত চিকিত্সার কথা বলা হয়েছে। হিপোক্রিটাস তার গ্রন্থে একাধিকবার সংগীতের নিরাময় গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। দশম শতাব্দীতে সংগীত চিকিত্সা নিয়ে পুরো একটি বই লিখে ফেলেন প্রখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ আল ফারাবি। সংগীত চিকিত্সার কথা বলেছেন ইবনে সিনাও। সম্প্রতি আমার সিরিয়ার ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল। সেখানকার আলেপ্পো শহরে চতুর্দশ শতকে তৈরি শুধু মানসিক রোগ চিকিত্সার একটি হাসপাতাল দেখতে গিয়েছিলাম। দেখেছি, সে হাসপাতালে পৃথক সংগীতকক্ষ রয়েছে, যেখানে চিকিত্সার অংশ হিসেবে নিয়মিত রোগীদের জন্য সংগীত পরিবেশন করা হতো। জেনেছি, আরব বিশ্বে চিকিত্সায় সংগীতের ব্যবহারের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। নানা ঢোল-বাদ্যের আবহে চিকিত্সার ব্যাপারটি আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ভারতের আদিবাসীদের মধ্যে বহুকাল ধরেই প্রচলিত। ইউরোপে মিউজিক থেরাপি নিয়ে মেডিসিনা মিউজিকা নামে প্রথম একটি বই লেখেন রবার্ট ব্রাউন, ১৭২৯ সালে। আধুনিক চিকিত্সায় সংগীতের ব্যবহার শুরু বলা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ট্রমা-আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার মাধ্যমে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই ১৯৪৪ সালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মিউজিক থেরাপির ওপর ডিগ্রি দিতে শুরু করে।
শরীর এবং মনের ওপর সংগীতের প্রভাব নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে পরবর্তী পর্যায়ে। দেখা গেছে, সংগীত মানুষের হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, মাংসপেশির স্থিতিস্থাপকতা, হরমোন নিঃসরণ, ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, গর্ভের শিশু সংগীতে সাড়া দেয়। সারা পৃথিবীর ঘুমপাড়ানি গানের সুরে একটি মিল রয়েছে। এই সুরের সঙ্গে মানুষের হৃদপিণ্ডের গতির একটি সম্পর্ক আছে। এই সুর মায়ের পরিচিত হৃদস্পন্দনের মতো শিশুকে নিরাপত্তা দেয়। ইউরোপের অনেক হাসপাতালের প্রি-অপারেটিভ রুমে, লেবার রুমে সংগীত বাজে রোগীর মানসিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং ব্যথা উপশমের লক্ষ্যে। মনে পড়ে, ব্রিটেনের এক হাসপাতালে ইসিজির টেবিলে যতক্ষণ শুয়ে ছিলাম, পাশে ততক্ষণ বাজছিল বাখের সংগীত। হাসপাতালের পরিবেশে সব সময় যে আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তার আবহ থাকে, সংগীত তাকে প্রশমিত করে রেখেছিল। সাম্প্রতিক কালে হূদরোগ, বিশেষ করে স্ট্রোকের রোগীর পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে নানা দেশে ব্যাপকভাবে সংগীতের ব্যবহার হচ্ছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের যে ক্ষতি হয়, তাতে রোগীর প্যারালাইসিসসহ অন্যান্য জটিলতা নিরাময়ে বিভিন্ন রিহ্যাবিলিটেটিভ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংগীতকে যুক্ত করলে নিরাময়ের গতি বহুমাত্রায় বেড়ে যায়। আজকাল করপোরেট জগতের স্ট্রেস উপশমের জন্যও ব্যবহার হচ্ছে মিউজিক থেরাপি।
পাশাপাশি মানসিক এবং আবেগজাত স্বাস্থ্য রক্ষায় চিত্রকলার ব্যবহারেরও রেওয়াজ রয়েছে নানা দেশে। শুরুতেই আর্ট থেরাপিস্ট রেচেলের কথা বলছিলাম। মানসিক রোগের ডায়াগনস্টিক এবং থেরাপিউটিক উভয় উদ্দেশ্যেই চিত্রকলার ব্যবহার হচ্ছে দীর্ঘকাল। রোগীকে ছবি দেখিয়ে কিংবা ছবি আঁকতে দিয়ে বিশেষ কিছু মানসিক রোগের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়। আবার ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে রোগীর চিন্তার ক্ষমতা, বিচারবোধ, আত্মবিশ্বাস বাড়ে; যা তার রোগ নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। এ ছাড়াও সাধারণভাবে মানসিক চাপ বা আবেগগত বিপর্যয়ে থাকা কোনো মানুষকে রং এবং রেখার জগতে নিয়ে তার সংকট প্রশমিত করা যায়। দেখা গেছে, অনেক অব্যক্ত অনুভূতি, আবেগ, ভাবনা কথায় নয়, বরং রং ও রেখার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে দিয়ে মনকে নির্ভার করা যেতে পারে। এমনকি নাটকও এখন ঢুকে পড়েছে চিকিৎসার জগতে। ‘সাইকো ড্রামা’ ধারণায় নাটকের মাধ্যমে মানসিক সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়ে থাকে। অপরাধ শুদ্ধির প্রক্রিয়া হিসেবে আমেরিকার অনেক কারাগারেই নাটকের ব্যবহার হচ্ছে। ব্রিটেনের যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছি, সেখানকার মেডিকেল ফ্যাকাল্টির শ্রেণীকক্ষে নাটকের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ছাত্রদের ডাক্তারি কেসগুলো পড়াতে দেখেছি।
আমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করছি, যখন নানা জ্ঞানকাণ্ড পরস্পরের দেয়াল ভেঙে একে অন্যের সঙ্গে মিশে নিজেদের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে। মন্দ কী যদি রক্ত, অ্যান্টিসেপটিক, স্যালাইন টিউবের ভীতিকর আবহে সুরেরও প্রবেশাধিকার থাকে।
কথা হচ্ছিল পেশাদার আর্ট থেরাপিস্ট রেচেলের সঙ্গে। ব্রিটেনের একটি ক্যানসার হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। ক্যানসার রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে পেইন্টিং সেশন করেন রেচেল। চিকিত্সার অংশ হিসেবে রোগীরা ছবি আঁকে। ছবি আঁকার অভিজ্ঞতা রোগীর জীবনীশক্তি বাড়ায়, রোগযন্ত্রণা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। কখনো বা রোগীদের জন্য মাল্টিমিডিয়ায় বিশ্বসেরা পেইন্টিংয়ের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রেচেল বলছিলেন, একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীও আর্ট থেরাপির মাধ্যমে একটি নান্দনিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
রেচেলের কথা শুনতে শুনতে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। রোগীর ন্যূনতম ওষুধ জোগাড় করতে যেখানে আমাদের হাসপাতালগুলোর নাভিশ্বাস উঠছে, সেখানে মৃত্যুকে নান্দনিক করার ভাবনা বিলাসিতা বলেই মনে হবে নিঃসন্দেহে। তবে পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত বহু দেশেই এখন চিকিৎসায় সংগীত, চিত্রকলাসহ অন্য শিল্পকলার ব্যবহার হচ্ছে। ব্যাপারটি যে খুব ব্যয়সাপেক্ষ তা নয়, প্রশ্ন চিকিত্সা পরিমণ্ডলে এর গ্রহণযোগ্যতার। ইউরোপ এবং আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপশাখা হিসেবে আর্ট এবং মিউজিক থেরাপিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। পাশের দেশ ভারতেও মিউজিক থেরাপির ওপর উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।
বিশেষভাবে সংগীত চিকিত্সার কথা উল্লেখ রয়েছে পৃথিবীর প্রাচীন নানা শাস্ত্রে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে সংগীত চিকিত্সার কথা বলা হয়েছে। হিপোক্রিটাস তার গ্রন্থে একাধিকবার সংগীতের নিরাময় গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। দশম শতাব্দীতে সংগীত চিকিত্সা নিয়ে পুরো একটি বই লিখে ফেলেন প্রখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ আল ফারাবি। সংগীত চিকিত্সার কথা বলেছেন ইবনে সিনাও। সম্প্রতি আমার সিরিয়ার ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল। সেখানকার আলেপ্পো শহরে চতুর্দশ শতকে তৈরি শুধু মানসিক রোগ চিকিত্সার একটি হাসপাতাল দেখতে গিয়েছিলাম। দেখেছি, সে হাসপাতালে পৃথক সংগীতকক্ষ রয়েছে, যেখানে চিকিত্সার অংশ হিসেবে নিয়মিত রোগীদের জন্য সংগীত পরিবেশন করা হতো। জেনেছি, আরব বিশ্বে চিকিত্সায় সংগীতের ব্যবহারের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। নানা ঢোল-বাদ্যের আবহে চিকিত্সার ব্যাপারটি আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ভারতের আদিবাসীদের মধ্যে বহুকাল ধরেই প্রচলিত। ইউরোপে মিউজিক থেরাপি নিয়ে মেডিসিনা মিউজিকা নামে প্রথম একটি বই লেখেন রবার্ট ব্রাউন, ১৭২৯ সালে। আধুনিক চিকিত্সায় সংগীতের ব্যবহার শুরু বলা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ট্রমা-আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার মাধ্যমে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই ১৯৪৪ সালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মিউজিক থেরাপির ওপর ডিগ্রি দিতে শুরু করে।
শরীর এবং মনের ওপর সংগীতের প্রভাব নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে পরবর্তী পর্যায়ে। দেখা গেছে, সংগীত মানুষের হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, মাংসপেশির স্থিতিস্থাপকতা, হরমোন নিঃসরণ, ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, গর্ভের শিশু সংগীতে সাড়া দেয়। সারা পৃথিবীর ঘুমপাড়ানি গানের সুরে একটি মিল রয়েছে। এই সুরের সঙ্গে মানুষের হৃদপিণ্ডের গতির একটি সম্পর্ক আছে। এই সুর মায়ের পরিচিত হৃদস্পন্দনের মতো শিশুকে নিরাপত্তা দেয়। ইউরোপের অনেক হাসপাতালের প্রি-অপারেটিভ রুমে, লেবার রুমে সংগীত বাজে রোগীর মানসিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং ব্যথা উপশমের লক্ষ্যে। মনে পড়ে, ব্রিটেনের এক হাসপাতালে ইসিজির টেবিলে যতক্ষণ শুয়ে ছিলাম, পাশে ততক্ষণ বাজছিল বাখের সংগীত। হাসপাতালের পরিবেশে সব সময় যে আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তার আবহ থাকে, সংগীত তাকে প্রশমিত করে রেখেছিল। সাম্প্রতিক কালে হূদরোগ, বিশেষ করে স্ট্রোকের রোগীর পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে নানা দেশে ব্যাপকভাবে সংগীতের ব্যবহার হচ্ছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের যে ক্ষতি হয়, তাতে রোগীর প্যারালাইসিসসহ অন্যান্য জটিলতা নিরাময়ে বিভিন্ন রিহ্যাবিলিটেটিভ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংগীতকে যুক্ত করলে নিরাময়ের গতি বহুমাত্রায় বেড়ে যায়। আজকাল করপোরেট জগতের স্ট্রেস উপশমের জন্যও ব্যবহার হচ্ছে মিউজিক থেরাপি।
পাশাপাশি মানসিক এবং আবেগজাত স্বাস্থ্য রক্ষায় চিত্রকলার ব্যবহারেরও রেওয়াজ রয়েছে নানা দেশে। শুরুতেই আর্ট থেরাপিস্ট রেচেলের কথা বলছিলাম। মানসিক রোগের ডায়াগনস্টিক এবং থেরাপিউটিক উভয় উদ্দেশ্যেই চিত্রকলার ব্যবহার হচ্ছে দীর্ঘকাল। রোগীকে ছবি দেখিয়ে কিংবা ছবি আঁকতে দিয়ে বিশেষ কিছু মানসিক রোগের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়। আবার ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে রোগীর চিন্তার ক্ষমতা, বিচারবোধ, আত্মবিশ্বাস বাড়ে; যা তার রোগ নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। এ ছাড়াও সাধারণভাবে মানসিক চাপ বা আবেগগত বিপর্যয়ে থাকা কোনো মানুষকে রং এবং রেখার জগতে নিয়ে তার সংকট প্রশমিত করা যায়। দেখা গেছে, অনেক অব্যক্ত অনুভূতি, আবেগ, ভাবনা কথায় নয়, বরং রং ও রেখার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে দিয়ে মনকে নির্ভার করা যেতে পারে। এমনকি নাটকও এখন ঢুকে পড়েছে চিকিৎসার জগতে। ‘সাইকো ড্রামা’ ধারণায় নাটকের মাধ্যমে মানসিক সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়ে থাকে। অপরাধ শুদ্ধির প্রক্রিয়া হিসেবে আমেরিকার অনেক কারাগারেই নাটকের ব্যবহার হচ্ছে। ব্রিটেনের যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছি, সেখানকার মেডিকেল ফ্যাকাল্টির শ্রেণীকক্ষে নাটকের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ছাত্রদের ডাক্তারি কেসগুলো পড়াতে দেখেছি।
আমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করছি, যখন নানা জ্ঞানকাণ্ড পরস্পরের দেয়াল ভেঙে একে অন্যের সঙ্গে মিশে নিজেদের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে। মন্দ কী যদি রক্ত, অ্যান্টিসেপটিক, স্যালাইন টিউবের ভীতিকর আবহে সুরেরও প্রবেশাধিকার থাকে।