Monday, March 25, 2019

Free Bijoy Bayanno Download

0 comments
ফ্রি বিজয় বায়ান্ন ডাউনলোড

Download Bizoy 52

Sunday, March 24, 2019

Avro Key board Old version 4.1

0 comments
অভ্র কি-বোর্ড ৪.১ ভার্সন ডাউনলোড।
Avro 4.1
Free Download Avro Bangla Writing Software.
Unicode Bangla writing software.

Sunday, March 17, 2019

"কি" এবং "কী" এর মধ্যে পার্থক্য

0 comments
আমাদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষই কি আর কী’র ব্যবহারে গন্ডগোল করে ফেলি।

সহজ ভাবে বলতে গেলে:

যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর শুধু হ্যাঁ বা না দিয়ে বা শুধুই ঘাড় নেড়ে দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় কি।
যে সমস্ত প্রশ্নে একটা বর্ণনামূলক উত্তর প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয় কী।

যেমন “তুমি কি খেয়েছ?” আর “তুমি কী খেয়েছ?”-এই দুটো প্রশ্নের মধ্যে বিশাল তফাৎ। প্রথম প্রশ্নটির উত্তর যেখানে হবে হ্যাঁ অথবা না, দ্বিতীয়টির উত্তর সেখানে হতে পারে "ভাত", “রুটি”, “মিষ্টি” এসব।

প্রথম প্রশ্নটিতে জোর দিতে হবে খেয়েছ শব্দটিতে। দ্বিতীয় প্রশ্নে জোর দিতে হবে কী শব্দটিতে।

কি শব্দটি অব্যয়, সাধারণ জিজ্ঞাসাবোধক ভাব বোঝাতে ব্যবহার করা হয়, যেমন: ভাল আছ কি?

অপরদিকে কী শব্দটি সর্বনাম, যেমন: এখানে কী রেখেছ?

আরও,

তুমি কি দেখেছ? Did you see?

তুমি কী দেখেছ? What did you see?

Saturday, March 16, 2019

পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক মাপ

1 comments
সম্প্রতি এক গবেষণায় পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক আকার কতো, তা জানার জন্য অনুসন্ধান করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৫ হাজার পুরুষকে।
গবেষণাটি করেছে লন্ডনের কিংস কলেজ ও যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথকেয়ার সার্ভিসেস (এনএইচএস) ট্রাস্ট। এ গবেষণায় বহু পুরুষের নুনু বা লিঙ্গের আকার নিয়ে সংশয় দূর হবে বলে মনে করছেন তারা।
গবেষণায় জানা যায়, পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় গড়ে ৩.৬ ইঞ্চি আকারের থাকে। তবে তা টানলে তা গড়ে ৫.২ ইঞ্চিতে দাঁড়ায়। এ ছাড়াও এর পরিধি হয় ৩.৭ ইঞ্চি। গবেষকরা জানিয়েছেন, উত্থিত হলে তার আকার পরিবর্তিত হয়ে দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ৫.১ ইঞ্চি। সে সময় এর পরিধি দাঁড়ায় ৪.৫ ইঞ্চি।
এ গবেষণার জন্য বহু জাতি ও ভিন্ন বয়সের পুরুষের পুরুষাঙ্গের মাপ নেওয়া হয়। তারপর তাদের মাপের গড় হিসাবে এটি পাওয়া যায়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অনেকেরই মনে শিশ্ন অর্থাত পুরুষাঙ্গের সঠিক আকার নিয়ে সংশয় থাকে। এরপর থেকে তারা এজন্য চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার আগে নিজেরাই বিষয়টি মেপে নিতে পারবেন, যে তা স্বাভাবিক কি না।
কনডম নির্মাতারাও এ গবেষণার ফলাফলে উপকৃত হবেন। কারণ এ মাপটি পাওয়ার ফলে সঠিক মাপের কনডম নির্মাণ করা সহজ হবে তাদের জন্য।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল অফ ইউরোলজি ইন্টারন্যাশনালে।

Friday, March 15, 2019

ঢাকায় ১১ প্রজাতির মশা

0 comments
বাংলাদেশের ২০১৬ সালের পরিসংখ্যা বলছে, এদেশের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারে বাস করছে ১৬৬.৩৭ মিলিয়ন মানুষ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫.৬২ জন মানুষের বসতি (প্রতিবর্গ মাইলে ২৮৮৯.৪৫ জন)। বাংলাদেশের ২০.১ শতাংশ মানুষের বাস শহরে, আর বাকিরা অর্থাৎ ৭৯.৯ শতাংশ বাস করে গ্রামে। রাজধানী কেন্দ্রিক উন্নয়ন আর অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে গ্রামের মানুষগুলো বেকারত্ব ও নানা ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির শিকার হয়ে শহরমুখী হন।

রাজধানী ঢাকা দেশের সবচেয়ে বড় শহর। এ শহরে ১৪.৪ মিলিয়ন মানুষ বাস করে। এর প্রতিবর্গ কিলোমিটারে থাকেন ১৯৪৪৭ জন (প্রতিবর্গ মাইলে ৫০৩৬৮ জন)। পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই বস্তিতে বাস করেন। সেখানে বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। সকাল-বিকাল হাঁটার সুযোগ নেই। একটু কোলাহলমুক্ত হয়ে বিশ্রামের জন্যে মানুষ বিভিন্ন পার্কে ঘুরতে যান। কিন্তু এ শহরের মানুষ 'বাহক বাহিত রোগ (ভেক্টর-বর্ন ডিজিস)' থেকে নিরাপদ নয়। সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে মশা। এটা এক বহিঃপরজীবী প্রাণী যা পাখিসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহের রক্ত পান করে। কাজেই পরিবাহী হিসেবে মশার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, নেমাটোড, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এতে করে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

মশাবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং ফাইলেরিয়া। এসবই বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে মহামারী আকারেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছরই ডেঙ্গু ঢাকা শহরে হানা দেয়। মশাবাহিত রোগ, এর কারণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে শহরের সকল মানুষ খুব বেশি সচেতন নয়। পানির অস্থায়ী আধার এবং জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করে। পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানি, গাছের গর্ত ইত্যাদিও মশার বংশ বৃদ্ধির উত্তম স্থান। আবার নদীর পাশের ঘন বন বা পাতাবহুল ক্ষেত্রেও কিছু প্রজাতির মশার বসবাসের উপযুক্ত স্থান। এসব স্থান মশার শুককীটকে পুষ্টি জোগাতে আদর্শ আধার। এই শুককীটগুলো পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হওয়া অবধি বড় মশাগুলো সেখানেই অবস্থান করে।

ঢাকা শহরের মশা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. এম গোলাম ছারোয়ার। তাঁর গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মে ক্রমাগত বন্যার সময় মশা কয়েক প্রজন্ম ধরে টিকে থাকে। আবার গ্রীষ্মে শেষবারের মতো ডিম দেয়ার পর তা শীতকাল পর্যন্ত সুপ্তাবস্থায় টিকে থাকে। পুরুষ মশা গাছের কোষ-রস খেয়ে বেঁচে থাকে। স্ত্রী প্রজাতিও উদ্ভিদের কোষ-রস খেতে পারে। কিন্তু ডিমের পরিপক্কতার জন্যে তাদের রক্তপান জরুরি। এই মশাগুলো সেখানেই বিচরণ করে যেখানে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর বাস রয়েছে। এ কারণে তারা বাসাবাড়িতে এবং বিনোদক পার্কে হানা দেয়। যেখানে বড় বড় গাছ রয়েছে, সে জায়গা তাদের খুবই প্রিয়। বৃক্ষের ফাঁক-ফোকড়ে বাস করা মশাগুলো ব্যাপক সমস্যা মনে হলেও তারা মানুষের মধ্যে কোনো রোগ ছড়ানোর জন্যে দায়ী নয়। বরং এরা কুকুরের হার্ট ওয়ার্মের জন্যে দায়ী থাকে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিনোদন পার্ক এবং বাগানে মশার প্রজাতিগত ভিন্নতা এবং তাদের আধিক্য বোঝাতে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষ মশাবাহিত রোগ সম্পর্ক আরো বেশি সচেতন হয়ে উঠবে।

ড. ছারোয়ার তাঁর গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফের তত্ত্বাবধানে ঢাকা শহরের ছয়টি বাগান ও পার্কে গবেষণা পরিচালনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বোটানিক্যাল উদ্যান, বলধা গার্ডেন, ওসমানী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্ক এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এসব স্থানে মোট ১১ প্রজাতির মশার সন্ধান মিলেছে। এগুলো হলো- অ্যানোফিলিস অ্যানুলারিস, অ্যানোফিলিস কুলিসিফাসিয়েস, এডিস অ্যাজিপ্টি, এডিস অ্যালবোপিক্টাস, আর্মিজেরেস সুবালবাটুস, কুলেঙ ফুসকোসেফালা, কুলেঙ কুইনকোফ্যাসসিয়াটাস, কুলেঙ ট্রিটায়েনিওরিনসাস, ম্যানসোনিয়াঅ্যানুলিফেরা, ম্যানসোনিয়াউইনিফর্মিস এবং টঙরিনচিটেস বেনগ্যালেনসিস।

অ্যানোফিলিস মশা দুটো জায়গায় মিলেছে- রমনাপার্ক এবং বোটানিক্যালগার্ডেন। তবে ডেঙ্গুবাহীমশা অর্থাত্ এডিস অ্যাজিপ্টি মিলেছে কেবলমাত্র বলধাগার্ডেনে। এডিস অ্যালবোপিক্টাস এবং আর্মিজেরেস সুবালবাটুস পাওয়া গেছে ওই ছয়টি স্থানেই। কারণ এরা সাধারণত গাছে ফোকরে বাস করে। এগুলো আসলে বুনোমশা নামেই পরিচিত। ম্যানসোনিয়া অ্যানুলিফেরা প্রজাতির মশার বাস ওসমানী উদ্যান ছাড়া বাকি পাঁচটা স্থানেই দেখা গেছে। টঙরিনচিটেস বেনগ্যালেনসিস নামের বড় আকৃতির মশার সন্ধান মিলেছে বোটানিক্যালগার্ডেন এবং রমনাপার্কে। মশার প্রজাতিগত বৈচিত্র্য সবচেয়ে বেশি মিলেছে রমনাপার্কে আর সবচেয়ে কম ওসমানী উদ্যানে। এ দুই স্থানের বাস্তুসংস্থান এবং জীববৈচিত্র্যে ভিন্নতা আছে এবং মশা তার বংশ বিস্তারের সুবিধা অনুযায়ী স্থানগুলো বেছে নিয়েছে। এডিস অ্যালবোপিক্টাস, আর্মিজেরেস সুবালবাটুস, কুলেঙ ফুসকোসেফালা এবং কুলেঙ কুইনকোফ্যাসসিয়াটাস প্রজাতির মশাগুলো বর্ষা, শীত বা গ্রীষ্মসহ সব মৌসুমেই বংশ বিস্তার করে যায়।

এই ছয়টি পার্কই শহুরেদের বিনোদন ও শরীরচর্চার জনপ্রিয় স্থান। আর এসব স্থানেই বিভিন্ন প্রজাতির মশার ব্যাপক বাসের সন্ধান মিলেছে। যে ১১ প্রজাতির মশা চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। রোগ সৃষ্টিকারী মশাগুলো হলো- অ্যানোফিলিস অ্যানুলারিস (ম্যালেরিয়া), এডিস অ্যাজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস (ডেঙ্গু জ্বর), কুলেঙ ফুসকোসেফালা ও কুলেঙ কুইনকোফ্যাসসিয়াটাস এবং কুলেঙ ট্রিটায়েনিওরিনসাস (ব্যানক্রোফটিয়ানফিলারিয়াসিস) আর ম্যানসোনিয়া অ্যানুলিফেরা (মালায়ানফিলারিয়াসিস)। এ তথ্য প্রায় সবাই জানেন যে, বেশ কয়েক ধরনের স্ত্রী প্রজাতির মশা প্রাণীদেহ থেকে রক্ত শোষণ করে এবং নানা ধরনের রোগ ছড়ায়। শহরে বনাঞ্চল উজাড় করার কারণে এসব মশা অনেকটা মানুষের বাসাবাড়ি এবং আশপাশেই থাকে এবং মানুষের রক্ত খেয়েই বেঁচে থাকে। আসলে মানুষের কাজ-কারবারের ওপর নির্ভর করেই মশা তার বাসস্থান এবং রক্ত সংগ্রহের উৎস ঠিক করে নেয়।

তাই পার্কগুলোতে গাছের সংখ্যা কমিয়ে আনা সবচেয়ে বোকামির কাজ হবে। বরং বেশি বেশি গাছ লাগানো দরকার। এছাড়া ঢাকা আশপাশের অঞ্চলের ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য। উদ্ভিদের দেহের ফোকরগুলো সিমেন্ট বা এ জাতীয় পদার্থ দিয়ে ভরাট করে দেয়া যেতে পারে। মশার বংশবিস্তার রোধে করণীয়গুলো পালন করলেই এর আধিক্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব এবং মশাবাহিত রোগ থেকেই নিরাপদ থাকা যায়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন