Monday, December 22, 2014

হেয়ার কালার করার কিছু টিপস

0 comments
হেয়ার কালার করলাম, আর রাতারাতি ঐশ্বর্যা রাই হয়ে গেলাম- এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকলে কিন্তু আপনি পুরোটাই ভুল ভাবছেন৷ কারণ হেয়ার কালার করানোর আগে আপনাকে জানতে হবে, আপনার চুলের টেক্সচারের সঙ্গে ঠিক কোন রঙটা মানানসই হবে৷ এটা জানা তো জরুরিই, তার চেয়েও জরুরি আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে ঠিক কোন হেয়ার কালারটা করলে আপনাকে গ্ল্যামারাস লাগবে, তা জানা৷ আজ্ঞে হ্যাঁ হেয়ার কালারের সঙ্গে স্কিন টোন অর্থাৎ আপনার ত্বকের রঙের একটা গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে৷ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে (তা বলে পুরোটাই একরকম নয়) আপনাকে বাছতে হবে হেয়ার কালার৷ না হলে আপনি খরচা করে হেয়ার কালার করাবেন, অথচ পুরোটাই বেমানান ঠেকবে৷
ন্যাচারাল কালার- ভারতীয় মহিলাদের বার্গান্ডি, রেড বা ব্রাউনের মতো হেয়ার কালার ভালো মানায়৷কিন্তু হেয়ার কালার বাছার সময় আপনার গায়ের রঙ ফরসা না কালো না উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ সে বিষয়ে নজর রাখাটা খুব জরুরি৷যেমন ধরুন যদি আপনার গায়ের রঙ একটু হলদেটে হয়, তাহলে গোল্ডেন বা ব্রাউন ভুলেও করাবেন না৷ মনে হবে আপনি জন্ডিসে ভুগছেন! এই স্কিন টোনের সঙ্গে বার্গান্ডি ভালো মানাবে৷
ব্রাউন- অন্যান্য হেয়ার কালারের তুলনায় ব্রাউন অনেকটাই নিরাপদ৷যদি আপনার ত্বকের রঙ হাল্কা হয় তাহলে মেহগনি কালার আর যদি শ্যামবর্ণ হয় তাহলে লাইট ব্রাউন রঙ করাতে পারেন৷
বার্গান্ডি- হেয়ার কালার করানোর সময় ভারতীয়দের প্রথম পছন্দ বার্গান্ডি৷আপনার ত্বকের রঙ যদি হলদেটে, খুব ফরসা বা হাল্কা শ্যামবর্ণ হয়, তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় এই রঙটি বাছতে পারেন৷ হেয়ার কালার করানোর পর আপনার ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবে আকর্ষক৷
রেড- রেড হেয়ার কালারের নানারকমের শেডস থাকে৷ যদি আপনি খুব ফর্সা হন তাহলে কপার বা লাইট রেড হেয়ার কালারকে বাছুন৷ কিন্তু তা বলে কমলা ঘেঁষা লাল বাছবেন না, আপনাকে ভালো লাগবে না৷কিন্তু আপনি যদি গোলাপি ঘেঁষা ফরসা হন, তাহলে লাল হেয়ার কালার আপনার না বাছাই শ্রেয়৷
গোল্ডেন- এই রংটা কিন্তু ভারতীয় স্কিনটোনের সঙ্গে একেবারেই মানায় না৷ একান্ত করাতেই হলে গ্লোবাল (পুরো চুলে রঙ) না করিয়ে স্ট্রিকস(অল্প কয়েকটা চুলে রঙ) করান৷ খুব একটা বেমানান লাগবে না৷

ব্ল্যাক - কুচকুচে কালো রঙ কাউকেই মানায় না৷সে মহিলা ভারতীয়ই হোক বা বিদেশি৷মনে হবে আপনি পরচুল পরেছেন৷ তাই ব্ল্যাকের বদলে ব্রাউন রঙ করানো অনেক নিরাপদ৷
হাই লাইটস ও লো লাইটস- আপনার হেয়ার কালার আপনার স্কিন টোনের থেকে কিছুটা হাল্কা বা গাঢ় হতে হবে৷ আর সেটা ঠিক করে দেবে অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানই৷ তাই কখনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া হেয়ার কালার করাবেন না৷

২ সপ্তাহে কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ

0 comments
শরীরের অন্যান্য স্থানের মেদের তুলনায় সব চাইতে বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং বিশ্রী হলো পেটের মেদ। পেটে মেদ জমলে কোনো ধরণের পোশাকেই ভালো দেখায় না। যেভাবেই ঢাকতে যান না কেন পেটের মেদ ঢাকার কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই ঢাকাঢাকির যন্ত্রণায় পরতে যাবেন না একেবারেই। বরং কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন এই বিচ্ছিরি পেটের মেদ। ভাবছেন কিভাবে? খুব সহজেই। চলুন তবে শিখে নিই কি করে কমিয়ে ফেলবেন পেটের বিশ্রী মেদ মাত্র ২ সপ্তাহে।
উপকরণঃ

– ৩ কোয়া রসুন
– ১ টি লেবু
– ১ কাপ কুসুম গরম পানি
পদ্ধতিঃ

– সকালে খালি পেটে ৩ কোয়া রসুন কুচি করে কেটে খেয়ে নিন।
– এরপর ১ টি গোটা লেবুর রস ১ কাপ কুসুম গরম পানিতে চিপে মিশিয়ে পান করে নিন।
– এই পানীয় পান করার ১ ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা করবেন।
– প্রতিদিন সকালে একই নিয়ম পালন করতে থাকুন। প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফলাফল দেখতে পাবেন।
ব্যাখ্যাঃ

জানতে চান এই পদ্ধতিতে কেন কমবে পেটের মেদ? চলুন জেনে নিই। আমাদের পেটের মেদ মূলত একধরণের ইষ্ট গাটের কারণে হয়ে থাকে। রসুন এই ইষ্টের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয় কারণ রসুনের রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এবং লেবুর রসের রয়েছে মেদ কাটানোর ক্ষমতা।


সতর্কতাঃ

আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এই কাজটি করার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ভাজাপোড়া এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এর ফলাফল আপনি পাবেন না। এটি তখনই কার্যকর যখন আপনি সব ধরণের খাদ্য উপাদান পরিমিত পরিমাণে খাবেন।

Friday, December 5, 2014

কম্পিউটারের সামনে বসার পদ্ধতি

0 comments
কাজের সুবাদে বা সময় কাটানো, আমাদের দিনের একটা বড় সময় অতিবাহিত হয় কম্পিউটারের সামনে বসে। আর আমাদের এই বসার ভঙ্গীটা যদি সঠিক নিয়মে না হয় তাহলে ঘাড় ব্যথা, পিঠ ব্যথা, হাত ব্যথা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা ঘটিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আজ আপনাদের কম্পিউটারের সামনে বসার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু পরামর্শ প্রদান করা হবে।
চেয়ারে কোমর থেকে কাঁধ সোজা রেখে বসুন। হেলে বা বেঁকে বসলে সহজেই আপনার পিঠ ও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। আপনার কাজের চেয়ারে বসে পা দুইটা সামান্য মুড়ে বা ভেঙ্গে রাখুন, একটু পর পর অবশ্য পায়ের অবস্থান বদলে সামনে প্রসারিত করতে পারেন এতে পায়ের মাংসপেশি রিলাক্স থাকবে।
কম্পিউটারের সামনে বসে আপনার কীবোর্ডটি যতোটা পারেন সোজা ও সামনে রাখতে চেষ্টা করুন। এতে আপনার হাত সহজে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবে। এটা নিশ্চিত করুন যাতে কাজের সময় আপনার কাঁধ রিলাক্স থাকে, টাইপিং এর সময় হাত আর আপনার কাধের পেশিতে বেশী চাপ সৃষ্টি করবেন না।

কম্পিউটারের সামনে সঠিকভাবে বসতে আপনার মনিটরের অবস্থান সঠিক করুন। আপনার মনিটরটি আপনার কীবোর্ড এর কাছাকাছি বসার চেয়ারের ঠিক সামনে রাখুন। সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি মনিটরটি একদম সামনে মাঝখানে রাখেন, সাথে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের কাছে রাখুন। মনিটরের সামনে বসে কাজ করার সময় এটা খেয়াল রাখুন যাতে আপনার কাঁধ রিলাক্স থাকে।

আপনার সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। প্রতি ২০ থেকে ৩০ মিনিট কাজ করার পর নিজেকে ও শরীরের অন্যান্য অংশগুলোর সঠিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে একটু হাঁটুন বা হাত পাগুলো নড়াচড়া করুন। কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিন। আপনার চোখ একভাবে মনিটরে নিবদ্ধ না রেখে চোখের বিশ্রাম নিশ্চিত করুন। ১০ কি ১৫ সেকেন্ড এর জন্য চোখটা বন্ধ করুন বা মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে দূরের কোন কিছুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন।

যেহেতু কম্পিউটারের সামনে বসলে আপনার হাতদুটি প্রায় সব সময় ব্যস্ত থাকে তাই একটু সময় পর পর হাত সচল রাখতে হাতের ব্যায়াম করুন। হাত দুটিকে উপর নীচে করুন দেখবেন কাজে শান্তি পাবেন।

সঠিক নিয়মে কাজ করলে আপনি কাজে আনন্দ পাবেন আর ক্লান্তিও আপনার ধারে কাছে আসতে পারবেনা। কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হলে সঠিক নিয়মে বসতে জানাটা খুব জরুরী। আপনি যখন ঘরে বসে কাজ করবেন তখন আরামের সাথে বসতে ছোট ছোট কুশন বা বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।

-রুমানা রহমান
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে অনুরোধ করছি।পরামর্শ.কম এর অন্যান্য প্রকাশনার আপডেট পেতে যোগ দিন ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসে অথবা নিবন্ধন করুন ইমেইলে।

Tuesday, December 2, 2014

ফ্লাইওভার বা উড়ালসড়ক

0 comments
নগর সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন খুবই জরুরি। ব্যস্ততম সড়কে গাড়ির চাপ সামলাতে না পেরে তৈরি হয় তীব্র যানজট। যানজট সামলাতে বিশ্বের বড় বড় শহরে রাস্তার ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্লাইওভার বা উড়ালসড়ক। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের প্রধান সড়কে উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশও ফ্লাইওভার নির্মাণে পিছিয়ে নেই।

কুড়িল ফ্লাইওভার, বাংলাদেশ

মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার। আরও কয়েকটি ফ্লাইওভার রয়েছে নির্মাণাধীন। ঢাকার অসহনীয় যানজট এড়াতে এই ফ্লাইওভারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে নজর কেড়েছে ঢাকার কুড়িল মোড়ে নির্মিত উড়াল সেতুটি। এয়ারপোর্ট সড়ক ও প্রগতি সরণির সংযোগস্থলে এটি নির্মাণ করা হয়। এই উড়াল সেতুর নান্দনিক ডিজাইন অনেকেরই নজর কেড়েছে। বিশ্বের অসংখ্য উড়াল সেতুর মধ্যে এটির নামও উচ্চারিত হচ্ছে সমান গুরুত্ব নিয়ে। এই উড়াল সেতুর নির্মাণ কাজে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। মূল সেতুটি মানুষের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হলেও এখনো সৌন্দর্যবর্ধন ও ফুট ওভারব্রিজের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ২০১২ সালের এপ্রিলে সম্পন্ন হবে বলে প্রাক্কলিত হয়। পরে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন সফল প্রকল্প সর্বত্র প্রশংসিত হয়। সেতুটি আরসি গ্রিডার ও পিসি বক্স গ্রিডার দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পুরো সেতুটির সড়ক দৈর্ঘ্য প্রায় ৩.১ কিলোমিটার। সেতুটির উচ্চতা ১৪.৫ মিটার (৪৭.৫৭ ফুট) এবং প্রস্থ ৯.২ মিটার (৩০.১৮ ফুট)। উড়াল সেতুটির মধ্যে চারটি লুপ বা ঘূর্ণি রয়েছে। এর নির্মাণে পাইলিং হয় ২৯২টি, পায়ার সংখ্যা ৬৭টি। এ প্রকল্পের অধীনে ৩০০ ফুট প্রশস্ত একটি সংযোগ সড়কও নির্মিত হচ্ছে। উড়াল সেতুর উদ্বোধন হওয়ার পর এই এলাকার যানজটের চিত্র পাল্টে যায়। এখন কোনো যানজট ছাড়াই বিশ্বরোড মোড় পার হতে পারে বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো।

সাংহাই ফ্লাইওভার, চীন

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও বিস্ময়কর উড়াল সেতুটি নির্মিত হয়েছে চীনের সাংহাই শহরে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম এ শহরে গাড়ির চাপ সামলাতে ধীরে ধীরে নির্মিত হয় এই সুবিশাল স্থাপনা। একই সঙ্গে সর্বাধিক গাড়ির চাপ সামলাতে সেতুটির নান্দনিক স্থাপত্য উড়াল সেতুর গুরুত্ব ও ধারণা পাল্টে দিয়েছে। একসঙ্গে প্রায় অর্ধ লাখ গাড়ি ছুটতে পারে এই ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সময় বাঁচাতে ব্যস্ততম নগরীতে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকগুলো আলাদা উড়াল সড়ক একসঙ্গে যোগ হয় এই বিশাল উড়াল সেতুটিতে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম উড়াল সড়কও এটি। রাতের বেলায় এই উড়াল সেতুটিতে ছুটে চলা গাড়ির স্রোত ও সৌন্দর্যবর্ধক আলোর খেলা মানুষের মনে বিস্ময় জাগায়। খ্যাতনামা ফটোগ্রাফারদের চোখে এই সেতু রাতের সেরা আকর্ষণ। শহরের ভেতর ডুবে যাওয়া ফ্লাইওভার নামেও অনেকে চেনে এটিকে।

ডালাস ফ্লাইওভার, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এর মধ্যে ফ্লোরিডা ও ডালাসের ফ্লাইওভার দুটি বিশেষভাবে আলোচিত। দুটি ফ্লাইওভারই আধুনিক স্থাপত্যবিদ্যার অনন্য নিদর্শন হয়ে রয়েছে। টেক্সাসের ডালাসে নির্মিত 'পাঁচতলা ফ্লাইওভার' খ্যাত উড়াল সেতুটি যে কোনো মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। রাস্তার ওপর দিয়ে একে-বেঁকে গেছে একাধিক উড়াল সেতু। ২৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর মানুষ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে আধুনিক স্থাপত্যবিদ্যার নান্দনিক এক স্থাপনা। অসাধারণ এক ডিজাইন নিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়। পুরো উড়াল সেতুটিকে অনেকে রাস্তার এক শহর বলেও ডেকে থাকেন। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রতিদিন এই ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ গাড়ি যাতায়াত করে। ১২তলা উঁচু এই ফ্লাইওভারে মোট ৩৭টি আলাদা আলাদা সেতু রয়েছে।

হেব্বাল ফ্লাইওভার, ভারত

যানজটের দিকে তাকালে বাংলাদেশের চেয়ে কোনো অংশে কম ভুগছে না ভারত। যানজট মোকাবিলায় ভারতে নির্মিত হয়ে অসংখ্য ফ্লাইওভার। এই ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে বিশ্বজুড়ে চমক সৃষ্টি করেছে হেব্বাল ফ্লাইওভার। ভারতের ব্যাঙ্গালুর শহরে এই দীর্ঘতম ফ্লাইওভারটি তৈরি করা হয়। ৫.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটির জন্য লেগেছে প্রায় ২০ একর জমি। অতিকায় এই ফ্লাইওভারটি বিশ্বের বিস্ময়কর ১০টি ফ্লাইওভারের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ফ্লাইওভারে লুপ বা বাঁক রয়েছে পাঁচটি। দুপাশে ছড়িয়ে আছে ছয়টি লেন। এই ছয় লেনে একই সঙ্গে যানবাহন চলাচল করতে পারে। বিশ্বের চমকপ্রদ ডাবল রোড ফ্লাইওভার হিসেবে এটির সুনাম রয়েছে। এই ফ্লাইওভারটি আউটার রিং রোড এবং বেলারি রোডের মধ্যে সংযোগ তৈরি করে এই পথে যান চলাচলকে মৃসণ করেছে।

তানভীর আহমেদ