skip to main |
skip to sidebar
‘ফোর্থ স্টেট’। বলা হয়, ‘সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ (অথবা চতূর্থ শক্তি) এই
মিডিয়া। সমাজ বা রাজনীতির যে শক্তিটির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়
না, কিন্তু তা রয়েই যায় তাকেই এ চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
মিডিয়া রাষ্ট্রের কাঠামোর অবধারিত কোনো অংশ নয়। সে কারণেই একে চতুর্থ
শক্তি নাম দিয়ে তার অস্তিত্ব ও শক্তিকে স্বীকার করে নেওয়া হয়।
এ শব্দটির ইতিহাস আরও পুরনো। ১৭৮৭ সালে গ্রেট ব্রিটেনের হাউস অব কমনসে
সংসদীয় বিতর্কে এডমুন্ড ব্রুক প্রথমে শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন। তৎকালীন
ইউরোপীয় সমাজের তিনটি প্রধান স্তম্ভ ছিলো অভিজাত শ্রেণি (ফার্স্ট স্টেট),
ধর্মযাজক শ্রেণি (সেকেন্ড স্টেট) ও সাধারণ মানুষ (থার্ড স্টেট)। টমাস
কার্লাইল তার ‘বুক অন হিরোস অ্যান্ড হিরো ওরশিপ' বইয়ে লিখেছেন- ব্রুক
সেদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘এই সংসদে আজ তিনটি
স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। কিন্তু ওই যে গ্যালারিতে বসে আছেন
সাংবাদিকরা, তারা এই সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা কিন্তু এদের সকলের মধ্যে
গুরুত্বপূর্ণ’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মিডিয়ার জন্য এই ফোর্থ স্টেট তকমাটি কি প্রশ্নবিদ্ধ হয় নি?
হয়েছে। কারণ, মিডিয়াকে, মিডিয়ার ক্ষমতাকে, মিডিয়ার বক্তব্য,
মিডিয়ার প্রচেষ্টাকে আর মিডিয়ার সকল অনুমানকে মিথ্যা প্রমাণিত করে,
পুরোপুরি ভুলুণ্ঠিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল
ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিডিয়া কতো কথা বলেছে, ট্রাম্প অযোগ্য, নোংরা মানসিকতার, ট্যাক্স
ফাঁকিবাজ, জালিয়াত, অর্থ-দুর্বৃত্ত, নারীবিদ্বেষী, বর্ণবাদী, বিকৃত
যৌনাচারী। এসবের কোনোটাই ম্যাজিক বুলেটের মতো, হাইপোডারমিক নিডলের মতো
দর্শক-পাঠকের মস্তিষ্কে আঘাতও হানেনি, ঢুকেও পড়েনি। ফলে তারা ট্রাম্পকেই
পছন্দ করেছেন।
এ নির্বাচনে মিডিয়া ফোর্থ স্টেট হিসেবেও বিবেচিত হয়নি। বরং ব্যবহৃত
হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে। কারণ, এডমুন্ড ব্রুক যে ফোর্থ স্টেটের কথা বলেছিলেন,
তা ছিলো মিডিয়ার বিবেক- তার কলমের শক্তিকে বিবেচনা করে, মিডিয়ায়
প্রকাশিত বা প্রচারিত বিজ্ঞাপনের বিবেচনায় নয়।
যুক্তরাষ্ট্র তথা গোটা বিশ্বের প্রায় সকল মিডিয়াই এ নির্বাচনে
ট্রাম্পের জয় দেখতে পায়নি। যে কয়েকটি মিডিয়া দেখতে পেয়েছে, তারাও তা
দেখেছে একটি পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। উপরিতল থেকে তারা স্রেফ ভাষার
ব্যবহার ও বানোয়াট পরিসংখ্যানে ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছিলো। তাদের ছিলো না
সত্যিকারের পরিস্থিতির ওপর কোনো নজরদারি, কিংবা গভীরের কোনো বিশ্লেষণ।
আর যারা ট্রাম্পকে পিছিয়ে রেখেছিলেন, তারাও ছিলেন পক্ষপাতদুষ্ট। ভেতরের
খবর তাদের যে অজানা ছিলো কিংবা জানার চেষ্টাটুকুও ছিলো না, তা নিয়ে ০৮
নভেম্বর (মঙ্গলবার) দিবাগত মধ্যরাতের পর থেকে আর কেউই সন্দেহটুকুও করছেন
না।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী মিডিয়া ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি
ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিলো ৯৮.৫ শতাংশ। আর ট্রাম্পের মাত্র দেড়
শতাংশ। অন্য প্রধান মিডিয়াগুলোর কোনোটিই (রিপাবলিকান সমর্থক মিডিয়াগুলো
ছাড়া) হিলারির জয়ের সম্ভাবনা ৮০ শতাংশের নিচে দেখেনি।
কিন্তু বাস্তবে যা ঘটেছে, তা এখন সবার জানা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলো যেভাবে প্রেডিক্ট করেছে, সারা বিশ্বের
মিডিয়াগুলো সেটাই অনুসরণ করে গেছে। কেউই গভীরে যায়নি। ফলে সার্বিকভাবে আজ
মিডিয়ার যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এতো
মিডিয়ার এতো এতো চোখ, কেউ কি দেখতে পায়নি, আমেরিকানরা ভেতরে ভেতরে কতোটা
রক্ষণশীল, কতোটা নারী বিদ্বেষী, কতোটা তারা ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছে?
মিডিয়াগুলো স্রেফ ট্রাম্পকে নিয়ে পড়েছিলো। তারা এ খবর রাখেনি যে,
যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৫ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৬৭৮ জন নাগরিক রয়েছেন যারা
প্রত্যেকেই একেকজন ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোভাবাপন্ন।
এই মিডিয়াকে ফোর্থ স্টেট বললে এডমুন্ড ব্রুকের আত্মা কষ্ট পাবে। এই
মিডিয়াকে ‘মিডিয়া গান’ বলা হলে ইউনিভার্সিটি অব টোয়েন্ট তা মানবে না।
সুতরাং, ম্যাজিক বুলেট, ফোর্থ স্টেট শব্দগুলো নিয়ে ভাবতে হবে!
সাংবাদিকতায় ‘ম্যাজিক বুলেট’তত্ত্বটিতে বলা হয়, ‘মিডিয়ার এমন একটি ক্ষমতা রয়েছে যা সমাজে ম্যাজিক
বুলেটের মতো কাজ করে। মিডিয়া যা বলবে, সমাজ, সমাজের মানুষ সেভাবেই কাজ
করবে’।
এখানে দু’টি শব্দ- একটি 'ম্যাজিক', অন্যটি 'বুলেট'। দু’টি শব্দই কিন্তু
নিজ ক্ষমতা ও কার্যকারিতায় শক্তিশালী। যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় যেমন পাল্টে
যায় কোনো কিছু, ঠিক তেমনটি ঘটলে আমরা বলি... ‘বাহ যাদুর মতো কাজ করেছে’।
আর বুলেট যেমন ছুটে এসে দ্রুত আঘাত করে, তেমন কিছু ঘটলে আমরা বলি, ‘বাহ!
বুলেটের মতো কাজ হয়েছে’।
আর এই ম্যাজিক বুলেট তত্ত্বের যারা আবিষ্কারক, তারা মিডিয়ার ক্ষমতাকে
এমনভাবে দেখেছেন যে, তার প্রকাশে এ দু’টি শক্তিশালী শব্দকে একসঙ্গে ব্যবহার
করছেন। তারা বলেছেন, ‘মিডিয়া’ নামের ‘বন্দুক’ থেকে যখন গুলি বের হয়, তখন
তা সরাসরি দর্শক, পাঠক শ্রোতার 'মস্তিষ্কে' আঘাত করে।
এটিকে ‘হাইপোডারমিক নিডল’ মডেলও বলেছেন তারা। অর্থাৎ বলা হয়, ‘মিডিয়ার
কোনো বার্তা তার দর্শকের মস্তিষ্কে সরাসরি ইনজেক্ট করে দেয়। তখন মিডিয়া
যেভাবে চায়, পাঠক-দর্শক সেভাবেই আচরণ করে’।
কিন্তু মিডিয়ার সে ক্ষমতা আজ লোপ পেয়েছে। ১৯৩০-এর দশকে
নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব টোয়েন্টের দেওয়া এ আচরণতত্ত্বটি মূলত
প্রণীত হয় নাৎসি প্রোপাগান্ডায় হলিউডের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে, যা আজ আর
চলে না। সুতরাং, মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিডিয়ার
ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ বললে ভুল হবে, বস্তুতপক্ষে
ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। একটি কথা অন্তত বলাই চলে- এখানে মিডিয়ার ম্যাজিক বুলেট
তত্ত্ব কাজ করেনি।
“মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক” কি?
“মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক” শব্দটির সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে “এম.সি.এন” (MCN). একে সার্চ ইঞ্জিনের ভাষায় “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক” বলা হয়ে থাকে।
“মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক” বা “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক” এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা কিনা ইউটিউব এর মত ভিডিও প্লাটফর্মের সাথে কাজ করে।
মুলত “মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক” বা “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক” গুলো সারা দুনিয়ার মাল্টিপল/একাধিক ইউটিউব চ্যানেলের সাথে অধিভুক্ত হয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর/ইউটিউব পাবলিশারদের নানাবিধ সহায়তা, পণ্য, ক্রস-প্রোমোশন, প্রোগ্রামিং, ফান্ডিং, পার্টনার ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল রাইট ম্যানেজমেন্ট, মনিটাইজেশন/সেলস, অডিয়েঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এর সহায়তা প্রস্তাব ও চ্যানেলের ভিডিও তে উচ্চ সি.পি.এম. বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করিয়ে রাজস্বের শতকরা বিনিময় করে থাকে।
তথ্য সংগৃহীতঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Multi-channel_network
https://support.google.com/youtube/answer/2737059?hl=en
মোট কথা, “MCN” হচ্ছে “ইউটিউব স্বীকৃত” গুগল অ্যাডসেন্স এর মত একটা প্লাটফর্ম যেখানে ইউটিউব পাবলিশাররা গুগল অ্যাডসেন্স এর চেয়ে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, এবং ইউটিউব পাবলিশারদের ইনকাম গুগল অ্যাডসেন্স এর চেয়ে অনেকগুনে বৃদ্ধি পায়।
এমনকি “MCN” এর সকল আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কার্যাবলী “ইউটিউব স্বীকৃত” কতগুলো প্রতিষ্ঠিত সার্ভিস প্রভাইডারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যারা প্রত্যেকটা “MCN” এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে ইউটিউব পাবলিশারদের সার্বিক উন্নয়নে নিয়োজিত থাকে।
☛ বাংলাদেশের ইউটিউব পাবলিশারদের জন্য “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক” (এম.সি.এন.)- এর সূত্রপাত ও ভুমিকাঃ
বাংলাদেশে এই সর্বপ্রথম ইউটিউব পাবলিশারদের জন্য “মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক” বা “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক” প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার নাম “CREATOR MCN”
আমরা সকলে জানি যে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে গুগল/ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনের কোন প্রাতিষ্ঠানিক পার্টনারশিপ নেই বিধায় “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক”( MCN) সার্ভিস নেই। যার কারণে আমাদের ইউটিউব পাবলিশারদের চ্যানেলসমূহের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও অ্যাডসেন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এড়িয়ে চলতে ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য “CREATOR MCN”- যাত্রা শুরু হয়েছে।
☛ “CREATOR MCN”- এ পাবলিশারদের সুবিধাগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নোত্তর মাধ্যমে উল্লেখ করা হলঃ
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এর সাথে নতুন ইউটিউব চ্যানেল সংযুক্ত করলে কি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রদানকৃত অ্যাড্রেস পিন ভেরিফিকেশনের দরকার হয় কিনা?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- এর সাথে পাবলিশাররা তাদের চ্যানেল যুক্ত করলে কোন রকম গুগল থেকে প্রদানকৃত অ্যাড্রেস পিন ভেরিফিকেশন এর দরকার হয়না। অ্যাড্রেস পিন ভেরিফিকেশন ছাড়াই অর্জিত ব্যাল্যান্স উঠাতে পারবেন।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এর সাথে ইউটিউব চ্যানেল সংযুক্ত করলে আলাদাভাবে গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” ক্রিয়েট করার প্রয়োজন আছে কিনা?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- এ আপনার চ্যানেল সংযুক্ত হয়ে গেলে “CREATOR MCN”-কর্তৃক একটি ড্যাশবোর্ড প্রদান করা হবে সেখানে গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” এর মত সকল রিপোর্ট দেখতে পারবেন ও জানতে পারবেন। সেজন্য আলাদা করে গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” ক্রিয়েট করার দরকার নাই।
❢প্রশ্নঃ চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” এর সাথে পার্টনারশিপ করতে হয় কিনা?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- চ্যানেলটিকে অনুমোদন দিলে অটোমেটিকভাবে মনিটাইজেশন এর জন্য পার্টনারশিপ করে নিবে। সেজন্য আলাদাভাবে চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” এর সাথে পার্টনারশিপ করা লাগবেনা।
এক-কথায়, কোন প্রকার গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট ” তৈরি করতে হবেনা।
❢প্রশ্নঃ যদি কোন চ্যানেল গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং সেই চ্যানেলটি যদি “CREATOR MCN”- এর সাথে সংযুক্ত করতে চাই তাহলে কি সেটা সম্ভব কিনা?
➤ উত্তরঃ এমন অবস্থায় কেউ চ্যানেল “CREATOR MCN”- এ সংযুক্ত করতে চাইলে সেটা সম্ভব হবে। আর যেদিন থেকে “CREATOR MCN”- উক্ত চ্যানেলটিকে অনুমোদন দিয়ে দিবে সেদিন থেকে গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট”- এর সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক থাকবেনা। সেদিন থেকে সকল আরনিং রিপোর্ট ও এনালাইসিস রিপোর্ট সেখানেই প্রদর্শিত হবে।
❢প্রশ্নঃ কেউ যদি নতুন চ্যানেল গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” এর সাথে পার্টনারশিপ না করে ডিরেক্ট “CREATOR MCN”- এ অ্যাপ্লাই করে তাহলে “CREATOR MCN”-এ সংযুক্ত হতে পারবে কিনা?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- এর চ্যানেল অনুমোদন এর নিয়ম মোতাবেক চ্যানেলের মেয়াদ, ভিউ ও সাবস্ক্রাইবারের সংখা সঠিক থাকলে নতুন চ্যানেল সংযুক্ত করতে পারবেন।সেজন্য গুগল অ্যাডসেন্স “হোসটেড অ্যাকাউন্ট” এর সাথে পার্টনারশিপ থাকতে হবে এমন কোন বিধি-বিধান নাই।
❢প্রশ্নঃ যদি কোন চ্যানেল “CREATOR MCN”- এ সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কোন কারণে গুগল/ইউটিউব চ্যানেলটি সাসপেন্ড করে তাহলে কি সেই অর্জিত মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা?
➤ উত্তরঃ আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, কোন কারণে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি কখনো সাসপেন্ড হয় তাহলে গুগল সেই অর্জিত মুনাফা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেয়না বা দিতে বাধ্য নয়। কিন্তু আপনার চ্যানেলটি যদি “CREATOR MCN”- এ থাকা অবস্থায় সাসপেন্ড হয় সেই কাঙ্খিত অর্জন করা মুনাফা “CREATOR MCN”- প্রদান করবে।
অর্থাৎ চ্যানেল সাসপেন্ড হয়ে গেলেও চ্যানেল সাসপেন্ড হওয়ার পূর্ববর্তী মুহূর্ত পর্যন্ত কষ্টের উপার্জিত ইনকাম “CREATOR MCN”- এর ড্যাশবোর্ড এর রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার প্রদানকৃত পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট-এ যথাসময়ে পেয়ে যাবেন।
❢প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে লিগালি চ্যানেল মনিটাইজ করতে না পারায় অন্যান্য দেশের নাম/লোকেশন দিয়ে চ্যানেল মনিটাইজ করতে হয়, সেক্ষেত্রে “CREATOR MCN”- এর সিস্টেম কি?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- এ চ্যানেল মনিটাইজ করার জন্য অন্য দেশের নাম/ লোকেশন ব্যবহার করতে হয়না, বরং গর্বের সাথে বাংলাদেশের লোকেশন দিয়ে চ্যানেল মনিটাইজ করতে পারবেন।
❢প্রশ্নঃ চ্যানেলের ভিডিওতে প্রদর্শিত সচারাচর ব্যবহৃত (৪) চার প্রকার অ্যাড ফরম্যাট ছাড়া কি অন্য কোন অ্যাড ফরম্যাট “CREATOR MCN”- প্রদান করবে কি?
➤ উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই। “CREATOR MCN”- এর অন্তর্ভুক্ত সকল চ্যানেলের সকল ভিডিও তে অ্যাডসেন্স এর (৪) চার প্রকার অ্যাড ফরম্যাট ছাড়াও অতিরিক্ত (২) দুই প্রকার, মোট (৬) প্রকার অ্যাড ফরম্যাট ভিউয়ারদের কাছে প্রদর্শন করা হবে। অতিরিক্ত (২) দুই প্রকার অ্যাড ফরম্যাট নাম হলঃ
**১. “নন-স্কিপ্যাবল ভিডিও অ্যাড” অর্থাৎ আপনার ভিউয়ার যদি আপনার ভিডিও টি দেখতে চায় অবশ্যই তাকে নন-স্কিপ্যাবল ভিডিও অ্যাডটি দেখার পরে আপনার ভিডিও টি দেখতে হবে। বিষয়টা হল সেই ভিডিও অ্যাডটি স্কিপ করার কোন অপশন সে পাবেনা।
**২. “লং নন-স্কিপ্যাবল ভিডিও অ্যাড” অর্থাৎ দীর্ঘ যেমনঃ ১ মিনিট/১ঃ৩০ সেকেন্ড/২ মিনিট সময়ের অ্যাড ফরম্যাট চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে প্রদর্শিত হবে।
এমনকি এই অ্যাড ফরম্যাটটিতেও কোন প্রকার স্কিপ করার অপশন ভিউয়ার পাবেনা।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এর চ্যানেলগুলোতে শুধুই অ্যাডসেন্স এর বিজ্ঞাপনসমূহ দেখানো হবে কি?
➤ উত্তরঃ না, অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি “CREATOR MCN”- এর হাই সি.পি.এম. রেটের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এ কোন চ্যানেল সংযুক্ত করলে পাবলিশাররা কি ইউটিউব এর চেয়ে কম ইনকাম পাবে নাকি বেশী ইনকাম পাবে?
➤ উত্তরঃ যেহেতু “CREATOR MCN”- অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি হাই সি.পি.এম. রেটের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে, সেক্ষেত্রে অ্যাডসেন্স ইনকামের চেয়ে কম আরনিং হওয়ার সভাবনা নাই। বরং “MCN”এর হাই সি.পি.এম. বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য ২গুন/৩ গুন ইনকাম বেড়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এ পাবলিশাররা আরনিং বেশী পায় কেন?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- এ অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটা চ্যানেলের পাবলিশারদের প্রোমোশন এর পাশাপাশি “CREATOR MCN”- টীম আলাদাভাবে চ্যানেলে ভিউ, সাবস্ক্রাইবার ও কমিউনিটি ইত্যাদি ডেভেলপমেন্ট করে থাকে যার ফলে পাবলিশারদের আরনিং অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”-এর সাথে ইউটিউব স্বীকৃত কোন কোন সার্ভিস প্রভাইডারগুলো সার্বক্ষণিক ওতপ্রোতভাবে কাজ করে।
➤ উত্তরঃ সার্ভিস প্রভাইডারগুলো হলঃ
✔ http://epoxy.tv
✔ http://www.audiomicro.com/royalty-free-music
✔ http://www.epidemicsound.com
✔ http://vidcon.com
✔ https://www.tubebuddy.com
✔ http://genatomic.com
✔ https://www.scalelab.com/brands
✔ https://www.spreadshirt.com
✔ Biggest Channel Development Conversation Community
✔ Video Claims Apps
✔ Study Forum and Blog
✔ Brands Create Energy through Conversation Study Centre
❢প্রশ্নঃ চ্যানেলের ভিডিও কেউ যদি চুরি করে তাহলে “CREATOR MCN”- কি ধরনের সাপোর্ট দিবে?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”- এর ড্যাশবোর্ড থেকে ভিডিও ক্লেইম সফটওয়ারের এর মাধ্যমে ইউটিউব সাপোর্ট টিমের কাছে ডিরেক্ট ক্লেইম নোটিশ পাঠাতে পারবেন। যা কিনা “CREATOR MCN”- এর ইউটিউব সার্টিফাইড সাপোর্ট টিম তৎক্ষণাৎ অ্যাকশন নিয়ে সেই চ্যানেলে স্ট্রাইক দেয়।
❢প্রশ্নঃ একজন পাবলিশারের ৫ টা চ্যানেল যদি “CREATOR MCN”- এ অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তাহলে কি আলাদা আলাদাভাবে অ্যাপ্লাই করতে হবে?
➤ উত্তরঃ প্রথম চ্যানেলটির অনুমোদন পেয়ে গেলে সেই চ্যানেলের “CREATOR MCN”- এর ড্যাশবোর্ড থেকে বাকি চ্যানেলগুলো অ্যাড করে নিতে পারবেন। তবে প্রত্যেকটা চ্যানেলের জন্য আলাদা আলাদাভাবে অ্যাপ্লাই করাই ভালো ।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এর অন্তর্ভুক্ত চ্যানেল-সমূহ কি সাসপেন্ড বা ব্যান্ড হতে পারে?
➤ উত্তরঃ আপনি যদি ইউটিউব এর রুলস অনুযায়ী আপনার চ্যানেল ডেভেলপ করেন তাহলে চ্যানেল সাসপেন্ড বা ব্যান্ড হওয়ার প্রশ্নই আসেনা, যেহেতু সাসপেন্ড বা স্ট্রাইক সম্পর্কিত বিষয়গুলো ইউটিউব/গুগল নিজেই তদারক করে তারপরেও যদি চ্যানেল ব্যান্ড হয়ে যায় “CREATOR MCN”- উক্ত চ্যানেল পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা করে যাবে। এমনকি সঠিক কারণ যাচাই করে চ্যানেল মালিককে জানানো হবে।অন্যদিকে, ইউটিউব রুলস ভঙ্গ করলে “CREATOR MCN”- এর সাথে সংযুক্ত থাকলেও চ্যানেল সাসপেন্ড বা ব্যান্ড হতে পারে।
❢প্রশ্নঃ চ্যানেলের কি রকম যোগ্যতা থাকলে “CREATOR MCN” এ চ্যানেল অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
➤ উত্তরঃ অবশ্যই শেষ ৩০ দিনে ইউনিক চ্যানেলটির সর্বনিম্ন ১০ সাবস্ক্রাইবার ও ১,০০০ ভিউ থাকলে “CREATOR MCN”- তদারক সাপেক্ষে উক্ত চ্যানেলটি অনুমোদন দেয়।
❢প্রশ্নঃ কোন চ্যানেলে যদি কপিরাইট ভিডিও বা স্ট্রাইক থাকে সেই চ্যানেলটি “CREATOR MCN”- এ অ্যাপ্লাই করা যাবে কিনা বা “CREATOR MCN”- সেই চ্যানেলটি অনুমোদন দিবে কিনা?
➤ উত্তরঃ কোন চ্যানেলে যদি কোন কপিরাইট ভিডিও থাকে সেই চ্যানেলটি কখনই “CREATOR MCN”- এর সাথে যুক্ত হতে পারবেনা। এমনকি কোন স্ট্রাইক থাকলেও অ্যাপ্লাই করা ঠিক নয় বরং এমন কপিরাইট ও স্ট্রাইক যুক্ত চ্যানেল অ্যাপ্লাই করলে “CREATOR MCN”- অনুমোদন না দেয়ার পাশাপাশি সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে ইউটিউব সাপোর্ট টিমকে ক্লেইম জানায়। মোটকথা, ইউনিক কন্টেন্ট দিয়ে তৈরিকৃত চ্যানেলগুলোকে “CREATOR MCN”- অনুমোদন দিয়ে থাকে।
❢প্রশ্নঃ গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রে আইপি জনিত যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, “CREATOR MCN”-এ এই রকম কোন সমস্যা আছে কিনা। অর্থাৎ একটি কম্পিউটার থেকে একাধিকবার নিজ নামে বা ভিন্ন নামে অ্যাপ্লাই করতে পারবে কিনা?
➤ উত্তরঃ “CREATOR MCN”-এ এই ধরনের আইপি জনিত কোন সমস্যা নাই। আপনি চাইলে এক কম্পিউটার বা এক আইপি থেকে আপনার নামে কিংবা ভিন্ন নামে একাধিকবার অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপঃ ধরুন, আপনার যদি ৬ টা চ্যানেল থাকে, আপনি এক কম্পিউটার থেকে আপনার নিজের নামেই ৬ বার অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
❢প্রশ্নঃ সাধারণত বাংলাদেশী কন্টেন্ট নিয়ে চ্যানেল তৈরি করলে (সি.পি.সি.) অনেক কম হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে “CREATOR MCN” এ চ্যানেল অন্তর্ভুক্ত করলে (সি.পি.সি.) ও আরনিং বাড়বে কিনা?
➤ উত্তরঃ যেহেতু “CREATOR MCN”-এর অতিরিক্ত কিছু অ্যাড ফরম্যাট ও অ্যাড ফিচার পাবলিশারদের চ্যানেলের ভিডিওতে যুক্ত করা হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশী কন্টেন্ট দিয়ে চ্যানেল তৈরি হলেও (সি.পি.সি.) ও আরনিং অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
☛ “CREATOR MCN”- এর পেমেন্ট পাওয়ার সিস্টেম গুলো নিম্নরূপঃ
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এ সর্বনিম্ন কত ডলার উত্তোলন করা যায়?
➤ উত্তরঃ ডলার উত্তোলন করার সর্বনিম্ন কোন পরিমাণ নেই। আপনি যদি ১ ডলার ইনকাম করেন তাহলে মাস শেষে ১ ডলার-ই উত্তোলন করতে পারবেন।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এর পেমেন্ট মেথডগুলো কি কি?
➤ উত্তরঃ
☑. Check- চেক (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১০০ ডলার)
☑.Direct Deposit- ডিরেক্ট ডিপোজিট (শুধু অ্যামেরিকার জন্য) (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১০০ ডলার)
☑.Paypal- পেপাল (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১ ডলার)
☑.International Wire Transfer- ইন্টারন্যাশনাল ওয়াইর ট্রান্সফার (শুধু নন-অ্যামেরিকার জন্য) (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১০০ ডলার)
☑.WebMoney- ওয়েবমানি (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১ ডলার)
☑. Yandex.Money- ইয়ানডেক্স.মানি (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১ ডলার)
☑. QIWI Wallet- কিউঈ অয়ালেট (উত্তোলন সর্বনিম্ন ১ ডলার)
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN” –এ চ্যানেল সংযুক্ত করলে পেমেন্ট না পাওয়ার ভয় আছে কি?
➤ উত্তরঃ যেহেতু ইউটিউব “CREATOR MCN” এর সকল পাবলিশারদের পেমেন্ট নিজ হাতেই পাবলিশারদের অ্যাকাউন্ট সমূহে প্রদান করে সেক্ষেত্রে পাবলিশারদের পেমেন্ট না পাওয়ার কোন অনিশয়তা নাই। ঠিক যেমনটা গুগল তার ইউটিউব পাবলিশারদের নিজেই পেমেন্ট করে।
❢প্রশ্নঃ “CREATOR MCN”- এ পেমেন্ট সিস্টেম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
➤ উত্তরঃ আমরা সকলে জানি যে, ইউটিউব প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখে কারেন্ট বালেন্স চূড়ান্ত করে, উদ্বাহনস্বরূপঃ অক্টোবরের ইনকামটা চূড়ান্ত হয় নভেম্বরের ১০ তারিখে।
ইউটিউব চুক্তি অনুযায়ী “CREATOR MCN”- এর পাবলিশারদের ইনকামটা চূড়ান্ত করে উক্ত মাসের ১৫ তারিখ। উদাহরণস্বরূপঃ নভেম্বরের ১৫ তারিখ চূড়ান্ত করে।
“CREATOR MCN”- পরবর্তী মাসের ১-৫ তারিখে ড্যাশবোর্ড এর রিপোর্ট অনুযায়ী পাবলিশারদের পেমেন্ট দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ ডিসেম্বরের ১-৫ তারিখের মধ্যেই পেমেন্ট দেয়।
** অতএব,অক্টোবরের ইনকাম “CREATOR MCN”- এর ড্যাশবোর্ড এ যুক্ত হবে নভেম্বরের ১৫ তারিখ আর আপনার প্রদানকৃত পেমেন্ট মেথডে ডিসেম্বরের ১-৫ তারিখের মধ্যেই কাঙ্খিত ইনকাম পেয়ে যাবেন।
☛ “CREATOR MCN”- এর বিশেষ বিশেষ সুবিধাসমুহঃ
➊. “CREATOR MCN”- তার ইউটিউব পাবলিশারদের উচ্চ মাত্রার অর্জিত মুনাফা থেকে দৃঢ়তার সাথে শতকরা ৭০/৩০ ভাগ বিনিময় করে থাকে অর্থাৎ আপনি পাবেন টোটাল ইনকামের ৭০ ভাগ।
➋. “CREATOR MCN”- এ হাই সি.পি.এম. রেটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানো হয়।
➌. “CREATOR MCN”- এর সাপোর্ট টিম ২৪/৭ পার্টনার সাপোর্ট দিয়ে থাকে।
➍. গুগল অ্যাডসেন্স এর যথারীতি বিজ্ঞাপন ব্যতীত “CREATOR MCN”- এর হাই সি.পি.এম. রেটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার ফলে চ্যানেলের ইনকাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
➎. অর্জিত মুনাফা উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার শর্ত নাই, মুনাফার পরিমাণ ১ ডলার বা ১০০০+ ডলার হোক না কেন যা ইনকাম করবেন শিডিউল অনুযায়ী তাই উল্লেখিত পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট সমূহে উত্তোলন করতে পারবেন।
➏. চ্যানেল ডেভেলপমেন্ট, ওডিয়েঞ্চ ডেভেলপমেন্ট ও চ্যানেলের সার্বিক উন্নতির জন্য ৬ টি ইন্টারন্যাশনাল অসাধারণ ওয়েবসাইট, আপস, কমিউনিটি প্লাটফর্ম প্রদান করে থাকে।
➐. “CREATOR MCN”- এর ভিতর থেকে যেকোনো ভিডিও এর সমস্যার জন্য আপীল ও ক্লেইম অনায়াসে করতে পারবেন।
➑. ইউটিউব সাপোর্ট টিমের কাছে ভিডিও ও চ্যানেল সম্পর্কিত সমস্যার আবেদন “CREATOR MCN”- এর ড্যাশবোর্ড এর ভিতর থেকে সম্পাদন করতে পারবেন।
➒. “CREATOR MCN”- এর পাবলিশাররা ১৫০,০০০+ ফ্রি ষ্টক ট্রাকস ও ৩০০,০০০+ সাউন্ড ইফেক্ট’স ব্যবহার করতে পারবেন।
➓. “CREATOR MCN”- পাবলিশারদের জন্য ৭ টা পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার ব্যবস্থা চালু রেখেছে।
➊➊. অরিজিনাল ভিডিও এর কপির কন্টেন্ট আইডি ইউটিউব থেকে নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য ভিডিও মনিটাইজেশন করার ব্যবস্থা করে থাকে।
➊➋. শেষ ৩০ দিনে সর্বনিম্ন ১০ জন সাবস্ক্রাইবার ও ১,০০০ ভিউ থাকলে “CREATOR MCN”- এর সাথে সংযুক্ত করার বিধান আছে।
➊➌ . নো-লক কন্টাক্ট রীতি অনুযায়ী যেকোনো চ্যানেল যেকোনো সময় “CREATOR MCN”- থেকে চ্যানেল রিমুভ করে নিতে পারে।
➊➍. কমিউনিটি ফোরাম,চ্যানেল ভিউয়ার ও আরনিং এর জন্য বিভিন্ন টুলস এন্ড ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে “CREATOR MCN”- টিম কাজ করে থাকে।
☛ “CREATOR MCN”- এ চ্যানেল সংযুক্ত করার সাধারণ পদ্ধতিঃ
➀. প্রথমে Creator MCN ওয়েবে যাওয়ার পরে Join Now“ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
➁. “Apply Now With YouTube” ক্লিক করে আপনার চ্যানেলের ইমেইল টি দিয়ে লগ ইন করতে হবে যে চ্যানেলটি “CREATOR MCN”- এ জয়েন করাতে চান সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।
➂. তারপর “Allow” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
➃. “First Name” ও “Last Name” এ আপনার নিজের নাম লিখতে হবে।
➄. তারপর টার্মস এন্ড কন্ডিশনের “I agree” সাথে চেক-মার্ক/টিক চিহ্ন দিয়ে “APPLY NOW” ক্লিক করতে হবে।
➅. “APPLY NOW” এ ক্লিক করার পরেই আপনার চ্যানেলের ইমেইলটির “Promotions” অপশনটিতে প্রথমবারে মত একটি সাধারণ মেইল আসবে। যা আপনারা চেক করে নিবেন।
➆. ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে “CREATOR MCN” চ্যানেল অনুমোদন দেয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী অ্যাপ্লাইকৃত চ্যানেলটি তদারক করে দ্বিতীয়বার ইউটিউব একটি ইনভাইটেশন ইমেইল আপনার ইমেলের “Social” অপশনটিতে পাঠাবে।
ইনভাইটেশন ইমেইল-টির “Learn More” লিখাটিতে ক্লিক করতে হবে। এতে রি-ডিরেক্ট হয়ে ইউটিউব ড্যাশবোর্ডে চলে আসবে। তারপর সবগুলো টার্ম’স এন্ড কন্ডিশনে চেক মার্ক দিয়ে “Join Now” বাঁটনে ক্লিক করতে হবে।
অথবা কেউ যদি এই নিয়মটি না বুঝেন তাহলে দ্বিতীয়বার ইউটিউব ইনভাইটেশন ইমেইল পাঠানোর ঠিক ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টার পরে “CREATOR MCN Support” কর্তৃক তৃতীয়বারের মত একটি ইমেইল “Primary” অপশনে পাঠাবে। যেখানে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ইমেজ আকারে নির্দেশনা দিয়ে দিবে। সেই ইমেইলটির নির্দেশনা অনুযায়ী চ্যানেলের ইউটিউব ড্যাশবোর্ড থেকেও একই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
➇. ইমেইলে আসা ধারাবাহিক নির্দেশনা অনুযায়ী ইউটিউব ড্যাশবোর্ড থেকে কনফার্ম করার পর “CREATOR MCN” অটোম্যাটিকভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃতীয়বারের মত একটি ইমেইল পাঠাবে। ইমেইলটি ওপেন করে চেক করে নিবেন।
➈. উক্ত ইমেইলটির “LOG INTO YOUR DASHBOARD” অপশনটিতে ক্লিক করার পর নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পাসওয়ার্ড দিবেন। (মূলত পাসওয়ার্ডটি হল “CREATOR MCN” এর ড্যাশবোর্ডে লগইন করার পাসওয়ার্ড)।
➉. আপনি পাসওয়ার্ডটি দিয়ে “CREATOR MCN” ওয়েবসাইটের লগইন অংশে ক্লিক করে আপনার চ্যানেলের ইমেইল দিয়ে ড্যাশবোর্ডে এ প্রবেশ করতে পারবেন।
➀➀. ড্যাশবোর্ড পাওয়ার সাথে সাথে চ্যানেলের সকল রিপোর্ট দেখতে পারবে কিন্তু ৭২ ঘণ্টা বা তার অধিক সময় পর চ্যানেলের আরনিং রিপোর্টগুলো প্রদর্শিত হবে।
➀➁. ড্যাশবোর্ড পেয়ে গেলে অবশ্যই সেটিংস্ অপশন থেকে “পেমেন্টস” ক্লিক করে আপনার ৭ টি মেথডের সুবিধাজনক মেথডটি টাকা উত্তোলনের জন্য সিলেক্ট করে আপনার যাবতীয় ইনফরমেশনগুলো পূরণ করে দিবেন।মনে রাখবেন,যাবতীয় ইনফরমেশন সঠিক ও নির্ভুলভাবে প্রদান করে বেশ কয়েকবার চেক করে নিয়ে “সেভ” করে দিবেন।
তাহলে আর দেরি না করে এখনই আপনার চ্যানেলটি “CREATOR MCN”- এর সাথে সংযুক্ত করে আপনার অ্যাডসেন্স ইনকাম কয়েক গুনে বাড়িয়ে নিন।
❃❃ মনে রাখবেন, উপরোক্ত সকল কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার পরে অবশ্যই অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেলের ভিতর থেকে প্রত্যেকটা ভিডিও আবার নতুন করে মনিটাইজ করতে হবে। ভিডিও এর “মনিটাইজ”- অপশনে ক্লিক করে “Usage Policy” অংশের “Monitize in all country” সিলেক্ট করে “Non-skippable video ads” and “Long non-skippable video ads” ফরম্যাট গুলো চেক মার্ক করে “Save Changes” বাঁটনে ক্লিক করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলে নতুন করে ইউটিউব ড্যাশবোর্ডে আরনিং প্রদর্শিত হবে। ❃❃